Tag: Pakistan zindabad slogan

Pakistan zindabad slogan

  • Al Falah University: আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হত প্রতিদিন ১৫০ ভুয়ো রোগীর ফাইল!

    Al Falah University: আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হত প্রতিদিন ১৫০ ভুয়ো রোগীর ফাইল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ফরিদাবাদের (Pakistan) আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University)। বর্তমানে দেশের একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার নজরে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে যোগসূত্র সামনে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রাক্তন নার্সিং কর্মী জানান, প্রতিদিন সেখানে ১০০ থেকে ১৫০টি ভুয়ো রোগীর ফাইল তৈরি করা হত। এই অবৈধ কাজটি করা হত জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মুজ্জামিল শাকিল এবং পরে আত্মঘাতী হামলা চালানো উমর নাবির নির্দেশে। নির্দেশ মানতে অস্বীকার করলে তাঁদের অনুপস্থিত দেখানো হত, কেটে নেওয়া হত বেতনও। প্রাক্তন ওই কর্মী আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হত। কাশ্মীরি মেডিকেল কর্মী ও কিছু ডাক্তার নাইট শিফটে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রশংসা করত, স্লোগান দিত ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে। সূত্রের খবর, শাহিনা সাঈদ, মুজ্জামিলের সঙ্গে এনআইটি মার্কেটে যেত বিস্ফোরক ও সন্দেহজনক সামগ্রী কিনতে। তদন্তকারীরা এখন তাদের চলাফেরা, কেনা জিনিসপত্র এবং যোগাযোগের নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখছেন।

    লক্ষ্মণের বক্তব্য (Al Falah University)

    রাজস্থানের নার্সিং স্টাফ লক্ষ্মণ ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। চাকরি ছেড়ে দেন অক্টোবর মাসেই। তিনি জানান, ভুয়ো ফাইলগুলি মূলত রাতের শিফটে তৈরি করা হত। প্রত্যেক কর্মীকে প্রতিদিন পাঁচটি করে ভুয়ো ফাইল তৈরি করতে হত। এই সব ফাইলে আগে থেকেই ডাক্তারদের সই করা থাকত। ভুয়ো ফাইলগুলিতে এমন সব ওষুধপত্রের রেকর্ড রাখা হত, যা রোগীদের কখনও দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন সকালে ডাক্তাররা এই ফাইলগুলি নিয়ে যেত, কিন্তু কর্মীদের কখনও জানানো হত না যে এর আসল উদ্দেশ্য কী। আসলে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অছিলায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে এগুলি ব্যবহার করা হত।

    বেতন বন্ধ করে দেওয়া হত

    যদি কেউ ভুয়ো ফাইল তৈরি করতে অস্বীকার করত, তাহলে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হত। তবে এই কঠোর নিয়ম কাশ্মীরি কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না। মুসলিম কর্মচারীরা প্রতি মাসে ৮০ কিলোগ্রাম বিনামূল্যে রেশন পেত। হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজে প্রায় ২০০ জন নার্সিং স্টাফ রয়েছেন, এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই মুসলিম এবং ২০ শতাংশ হিন্দু। মেডিকেল স্টাফ ও ডাক্তারদের প্রায় ৩৫ শতাংশই কাশ্মীর থেকে আসে (Al Falah University)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হিন্দু কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্য করত। দীপাবলিতে হিন্দু কর্মচারীদের মিষ্টি দেওয়া হত না, অথচ রমজান মাসে মুসলিম কর্মীদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হত। লক্ষ্মণ আরও বলেন, কাশ্মীরি চিকিৎসাকর্মী এবং ডাক্তাররা নাইট শিফটে কাজ করার সময় প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রশংসা করত। “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে হাসাহাসি ও ঠাট্টা করত। প্রায়ই কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হত। সেনাবাহিনী কাশ্মীরিদের ওপর অত্যাচার করছে বলেও দাবি করা হত (Pakistan)।

    একটি উচ্চস্তরের কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন কর্তার কাছে চিঠি লিখেছেন আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। তাঁদের লক্ষ্য, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বর্তমান তদন্তের সময় যেন তাঁদের পড়াশোনা বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ছাত্রছাত্রীরা সন্দেহ এবং বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছেন। এর ফলে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে বা ঠিকমতো ঘুমোতেও পারছেন না। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাব, দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলের ৩৬০ জনেরও বেশি অভিভাবক তাঁদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন (Al Falah University)।

    ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়। একটি সাদা হুন্ডাই আই২০ গাড়ির ভিতরে শক্তিশালী বিস্ফোরণে প্রায় ১৫ জন নিহত হন, জখম হন ২০ জনেরও বেশি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি জঙ্গি হামলা এবং আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এর যোগ ছিল।

    সুইসাইড বোমারু উমর নবি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিল। সে-ই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটায়। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহিন সাঈদকে গ্রেফতার করেছে। তাদের যোগাযোগ (Pakistan) জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে যুক্ত বলে খবর মিলেছে। শিক্ষিত পেশাজীবীদের জড়িত এই জঙ্গি মডিউলের তদন্ত এখনও চলছে (Al Falah University)।

  • Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জিতেছেন কংগ্রেসের প্রতীকে। সাংসদ হয়েছেন ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার। অথচ দলীয় প্রার্থীর জয়ে উল্লসিত কংগ্রেসের নাসির হুসেনের অনুগামীরা ধ্বনি দিতে শুরু করলেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে (Karnataka Assembly)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। কর্নাটকের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা দেশে। কংগ্রেস অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপির অভিযোগ।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান

    মঙ্গলবার গোটা দেশে রাজ্যসভার ১৫টি আসনে হয় নির্বাচন। এর মধ্যে ছিল কর্নাটকের একটি আসনও। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের রাজনৈতিক সচিব নাসির হুসেন। নির্বাচনে জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাসির। সেই সময় হঠাৎই পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিতে থাকেন (Karnataka Assembly) নাসিরের অনুগামীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান-প্রেমের কথার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্য। ভিডিওটিতে স্পষ্টই পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে নাসিরের অনুগামীদের। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম

    ‘কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক’

    এক্স বার্তায় অমিত জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের প্রতি কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক। এটা দেশের পক্ষে নিরাপদ নয়। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের নিন্দায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ও কর্নাটকের নেতা সিটি রবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন তাঁরাও।

    আরও পড়ুুন: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    নাসির ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেঙ্গালুরু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতৃত্ব। মামলা করা হয়েছে ১৫৩ ধারায়। বুধবার বিধান সৌধের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিও জানানো হবে বলে জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “বিধানসভার মধ্যে নাসির হুসেনের অনুগামীরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছেন। ভিডিওতে তা স্পষ্ট। তার পরেও কংগ্রেস সাংসদ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘনিষ্ঠ নাসির হুসেন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে বিজেপি (Karnataka Assembly)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share