Tag: pakistan

pakistan

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বুধবার। এদিন মক ড্রিল করবে ভারত। এজন্য সারা হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এহেন আবহে সুর নরম করে ‘সন্ধির প্রস্তাব’ দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতও। তখনই বিলাওয়াল গর্জন করেছিলেন, “সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্তগঙ্গা বইবে।” এর পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ব্লক করে দেয় কেন্দ্র।

    কী বললেন জারদারি? (Bilawal Bhutto Zardari)

    পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনও হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।” তিনি বলেন, “ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়।” বিলাওয়াল বলেন, “আসুন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সঙ্কল্প আছে। কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, আমরা ভালোবাসি স্বাধীনতা।”

    ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন 

    পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সে কি আলোচনা করবে নাকি ধ্বংস হবে? সহযোগিতা করবে নাকি সংঘাত চায়?” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা যাবে না। একে ন্যায়ের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। গুলি দিয়ে একে উৎখাত করা যাবে না, আশা দিয়ে নিরস্ত্র করতে হবে।” বিলাওয়াল বলেন, “জাতিগুলিকে দানব হিসেবে চিত্রিত করে নয় (Pakistan), বরং যে অভিযোগগুলি এর জন্ম দেয়, সেগুলির মোকাবিলা করেই একে পরাস্ত করতে হবে (Bilawal Bhutto Zardari)।”

  • Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে টানা ১০ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিও চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনারা (Pakistan)। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এবার পাকিস্তানের কার্যকলাপের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আম জনতাকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বেতন নয়, দৈনিক রোজের ভিত্তিতেই এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কটাক্ষের সুরে বলছেন, এবার কি তবে ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? প্রসঙ্গত, রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানেই উঠে আসে পাক সেনার অভাবের চিত্র। সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য এমনকি অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।

    অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা

    জানা যাচ্ছে, অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan) অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় চলছে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তদারকি করছে পাক সেনাবাহিনী। যুদ্ধের আবহে একেবারে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। তাও আবার দৈনিক রোজের লোভ দেখিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে বলে খবর। সেনা খুঁজতে তাই শশব্যস্ত পাকিস্তান। তাই নিয়োগ নয়, একেবারে স্থানীয় এলাকা থেকেই লোক টানতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়োগের শর্তে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি, মানসিক চাপ ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পাক সেনা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বা ছুটিতে গিয়েছেন এমন জওয়ানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই জওয়ানদের ধরে রাখতে আবার ১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। এবার সেনার ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষকেই যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সামান্য টাকার বিনিময়ে।

    ভারতের ভয়ে খাদ্য মজুদ করছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারত যে প্রত্যাঘাত করবেই একথা একেবারে বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের যুদ্ধ মহড়া থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া- এসব কিছু থেকেই ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান (Pakistan Army)। এই আবহে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার বেজায় চাপে পড়েছে। অর্থসংকটে ভোগা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক নিজে বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।

    ভীত পাকিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হাজারের বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

    পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও ভেসে এসেছে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সুর। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান যে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১ মে থেকে ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়, সেনার অভাব এগুলি তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজ। সম্প্রতি, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাক সেনাপ্রধান এনিয়েই হুমকি দিচ্ছে, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধানের আরও হুমকি, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে নাকি কড়া জবাব দেওয়া হবে পাকিস্তানের তরফ থেকে।

    বিলাবলের ফাঁকা আওয়াজ

    একই সুরে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে ভারত বিদ্বেষী সুর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি মেনে নিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, ‘‘যদি ওরা (ভারত) সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে।’’ বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ‘‘ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘অতীতে প্রতিটা যুদ্ধতেই ভারতের কাছে গোহারা ভাবে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরাসরি যুদ্ধের হিম্মত তাদের নেই। নেতা-মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অন্যদিকে সেনা ইস্তফা দিচ্ছে। যুদ্ধের ময়দানে অসামরিক নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।’’

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের হাতে এসে গেল ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্র (Igla-S Missiles)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে সেনার জন্য রাশিয়ার নির্মিত এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের অর্ডার দেয়। সেই মতো, বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা হাতে পেয়ে গেল নতুন এই মিসাইল। যার জন্য মোদি সরকারের খরচ হল ২৬০ কোটি টাকা। রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে আসায় আকাশপথে হামলার বিরুদ্ধে এক লাফে অনেকটা শক্তিশালী হল ভারতের ঢাল।

    যুদ্ধবিমান, ড্রোন লক্ষ্য করে নির্ভুল আঘাত

    রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন করা যায়। এটি নিক্ষেপ করার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যাটফর্মও লাগে না। কোনও ব্যক্তি কাঁধে করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবেন। নীচ দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলিকে নির্ভুল ভাবে আঘাত করার মতো করেই নকশা করা হয়েছে ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Igla-S missiles)। সম্প্রতি এই অতি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর জন্য জরুরি ক্রয় ক্ষমতার অধীনে রাশিয়ার সঙ্গে ২৬০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে ইগলা-এস বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সরবরাহ। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন হুমকির মোকাবিলা করার জন্য এগুলি সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনা সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে।

    কীভাবে কাজ করে

    নতুন এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় সেনা কাঁধে চাপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে বাঁধলে যদি পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা চপার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে কাঁধে চাপিয়ে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে মিসাইল ফায়ার করা যায়। বহুদিন ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপক কদর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পোর্টেবল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। আকাশে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে একবার ‘লক’ করতে পারলে সিস্টেমের ইনফ্রারেড টার্গেটের হিট সিগনেচার লক্ষ্য করে ধেয়ে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরের ও প্রায় ৪ কিলোমিটার উপরের উড়ন্ত টার্গেটকেও নিখুঁত নিশানায় আঘাত করে নিকেশ করতে পারে।

    সহজে বহনযোগ্য, দুর্গম এলাকায়ও নিয়ে যাওয়া যায়

    এটি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (Igla-S missiles) বা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ‘ইনফ্রারেড হোমিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বস্তুর ‘হিট সিগনেচার’ শনাক্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তার পর সেটিতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য বলে, দুর্গম এলাকায় যেখানে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কাজে আসবে। একবার নিক্ষেপ করা হলে, লক্ষ্যবস্তুর ইঞ্জিনের তাপকে অনুসরণ করে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ছোটমাপের এবং দ্রুতগতির আকাশযানের বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর।

    ইগলা সিরিজের মিসাইল নতুন নয়, আরও আধুনিক

    ১৯৯০-থেকেই দেশে বিদেশে অনেক যুদ্ধে রুশ নির্মিত ইগলা সিরিজের মিসাইল (Igla-S missiles) ব্যবহার হয়। ‘ইগলা-এস’ হল একটি উন্নততর সংস্করণ। উড়ন্ত ড্রোন, চপার বা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রাকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে ব্যর্থতার হার প্রায় শূন্য শতাংশ। ভারতীয় সেনা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে অর্থাৎ পাক সীমান্তের কাছে এই সিস্টেম মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এক দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেগুলিরও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ ইগলা-এস

    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নতুন ইগলা-এস সিস্টেমগুলিকে এখন দ্রুত পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (India Pakistan Conflict) এবং আইএসআই ক্রমে হামলার জন্য ড্রোনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইগলা-এসের মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি, সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে দেশি প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্ক ওয়ান ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেমও। সম্প্ৰতি জম্মুতে সেনার ১৬ কোর-এর এলাকায় এই ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেই পাক ড্রোন নামিয়েছে সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে এই মিসাইলের কদর ও সক্ষমতা এতটাই যে ভারতীয় বায়ুসেনাও ইনফ্রারেড নির্ভর এই একই মিসাইলের জন্য দরপত্র জারি করেছে। পাশাপাশি, পদাতিক বাহিনী আরও ৪৮টি লঞ্চার ও ৯০টি ইনফ্রারেড নির্ভর মিসাইলের নতুন বরাত দিয়েছে। সেগুলিও দ্রুতই চলে আসবে।

  • Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই আবহে ফের কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লি। ভারত চেনাব নদীর (Chenab) বাগলিহার বাঁধ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকার ঝিলম নদীর উপর নির্মিত কিষাণগঙ্গা প্রকল্পেরও জলপ্রবাহ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ সিন্ধু নদের জল একফোঁটাও যাতে পাকিস্তান না পায় সেদিকেই এগিয়ে চলেছে ভারত সরকার। চেনাব নদীর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বেশ বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পাকিস্তানে প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে

    জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ভারত বাগলিহার ও সালাল বাঁধের পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ভারত। এর ফলেই পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতে এমন আরও ৬টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। সেগুলিতেও পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হবে। জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায়, ভারত নির্দ্বিধায় এই বাঁধগুলিতে ‘ডি-সিলটেশন’ কাজ করতে পারে। কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আপত্তিও টিকবে না। তিনি আরও জানান, কিষাণগঙ্গা প্রকল্পের জন্যও একই ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এভাবেই ধীরে ধীরে কিষাণগঙ্গার বাঁধ থেকেও পাকিস্তানের জল সরবরাহ (Chenab) একেবারে বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে সবদিক থেকেই তেড়েফুঁড়ে নেমেছে নয়াদিল্লি।

    জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের আধিকারিককী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বাগলিহার ও সালাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যে গেটগুলি তা বন্ধ করে দিয়েছি (Chenab)। বর্তমানে আমরা জলাধার থেকে পলী অপসারণ কাজ শুরু করেছি। শনিবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, শনিবারই পাকিস্তানের মাটিতে পরীক্ষা করা হয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল। পাক ভূমে এমন পরীক্ষা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত এমন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দেশের সমস্ত বন্দরে পাকিস্তানের (Pakistan) পতাকা বহনকারী জাহাজের ডকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লখ করা দরকার, পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রকমের কূটনৈতিক সম্পর্কই প্রায় শেষ করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। বাণিজ্য থেকে জলচুক্তি সবকিছুই।

    দেশের নাগরিকদের সুবিধায় ব্যবহার করা হবে সিন্ধুর জল

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত হল কিষাণগঙ্গা বাঁধ। এটি একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্র সরকার এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেটগুলিকে বন্ধ করে নদীর প্রবাহ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এই জঙ্গি হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের রুখতে গিয়ে নিহত হন এক স্থানীয় মুসলিম যুবক। এরপরেই দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। এ নিয়েই জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের দেশ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে রেখেছে, তাই আমরা স্বাভাবিকভাবে এবার থেকে আমাদের নাগরিকদের সুবিধা মতো  নদীর জল ব্যবহার করতেই পারি। সে বিষয়ে সকল সম্ভাব্য প্রচেষ্টা আমরা শুরু করেছি।’’

    উত্তর ভারতে জল সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল

    শনিবারই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক সিন্ধু প্রণালীর নদীগুলি থেকে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে আরও জল সরবরাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট বৈঠকের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এনিয়ে জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন,‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের (Chenab) প্রায় ৫০ জন অধিকর্তা ইতি মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে এ নিয়ে কাজ করছেন।’’

    কোন কোন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে?

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারত চেনাব নদী এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীগুলির ওপর চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৭ ও ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রত্যেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল – পাকাল দুল (১,০০০ মেগাওয়াট), কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট) এবং রাটল (৮৫০ মেগাওয়াট) – এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন (জেকেএসপিডিসি) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছিলেন।

  • Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে ভারতের পড়শি এই দেশে গৃহযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত (Baloch Rebels)। মাস দুয়েক আগে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এবার পাকিস্তানের আস্ত একটা শহরেরই দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের পতাকা খুলে সেখানে ওড়ানো হয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ঝান্ডা। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার কয়েকজন সদস্যকে।

    পাক সেনার অস্ত্র লুট (Baloch Rebels)

    সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ডেথ স্কোয়াড। কোয়েটা-করাচি হাইওয়েতে সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে পাক সরকার বা সেনার কোনও যোগ পাওয়া গেলেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চার নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণ গিয়েছে বালোচ আর্মির গুলিতে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা আবদুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে। পাক সেনার হয়ে আলোচনা চালাতেন তিনি। বালোচ লিবারেশন আর্মি বহুদিন ধরে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে।

    পোস্ট ভাইরাল

    এই আবহে অজয় কল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট ভাইরাল হয়েছে (Baloch Rebels) সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বালোচ আর্মির লোকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এটি বালুচিস্তানের কলাট জেলার মাঙ্গোচর শহর। যেখানে বালুচিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল। প্রধান সড়কগুলির নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে, একটি ব্যাঙ্ক ও আদালতের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।”

    গত ২৮ এপ্রিল পাসনি এলাকায় মহম্মদ নওয়াজ নামে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বিএলএ। পরিচয় লুকিয়ে বিদ্রোহীদের ডেথ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করতেন নওয়াজ। তারপর (Pakistan) থেকেই নতুন করে বিএলএর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ (Baloch Rebels)।

     

  • CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    CRPF Jawan Sacked: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন, চাকরি খোয়ালেন সিআরপিএফের জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন করা এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রীকে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগে সিআরপিএফের এক জওয়ানকে বরখাস্ত (CRPF Jawan Sacked) করা হল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিযুক্ত জওয়ান মুনির আহমেদ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাঁর কার্যকলাপে (Pakistani Woman) দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    পাকিস্তানে বিয়ে (CRPF Jawan Sacked)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খানের আলাপ হয় অনলাইনে। গত বছর মে মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। অনলাইনে ভার্চুয়াল বিয়ে করেন মুনির ও মিনাল। গত মার্চে ভারতে আসেন মিনাল। ওই মাসেরই ২২ তারিখে শেষ হয়ে যায় তাঁর ভিসার মেয়াদ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়তে বলা হয়। বাধ্য হয়ে অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফিরছিলেন মিনাল। তবে শেষ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে ভারতে থাকার অনুমতি পান তিনি।

    বরখাস্ত করার কারণ

    সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের বিষয়টা চেপে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। চেপে গিয়েছিলেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর ভারতে থেকে যাওয়ার বিষয়টি। এই ধরনের কার্যকলাপ সন্দেহজনক। তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে (CRPF Jawan Sacked)। এদিকে মুনিরের দাবি, সদর দফতর থেকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই তিনি বিয়ে করেন পাক তরুণীকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

    মুনির বলেন, “আমি ন্যায়বিচার পাবই।” মুনির আরও বলেন, “তাঁকে যে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা তিনি প্রথম জানতে পারেন সংবাদ মাধ্যম থেকে। তার কিছু পরেই চিঠি এসে পৌঁছয় সিআরপিএফের সদর দফতর থেকে।” তিনি বলেন, “ভাবতে পারছি না, আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল।” জম্মুর ঘরোটা এলাকার বাসিন্দা মুনির। ২০১৭ সালে যোগ দেন সিআরপিএফে। মুনিরের পাকিস্তানি স্ত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২২ মার্চ। তার পরেও তিনি ছিলেন ভারতেই। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগেই আদালত থেকে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ মেলে (Pakistani Woman)। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি (CRPF Jawan Sacked)।

  • Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে সেদেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসও পার হয়নি। এমনই সময় ফের হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion)। বিদ্রোহীরা বালুচিস্তান প্রদেশের পুরো একটি শহরই দখল করে নিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই শহরের একাধিক সরকারি অফিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার সদস্যদের। একাধিক রিপোর্টে দাকি করা হয়েছে, সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টা দখলে চলে যায় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

    শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হামলা (Baloch Rebellion)

    কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত হল মঙ্গোচের শহর (Mangocher city)। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেখানে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমেই তারা হাইওয়ে অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল বিদ্রোহী(Baloch Rebellion) রাস্তার গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। অন্য আরেকটি দল মঙ্গোচের বাজারে ঢুকে পড়ে সরকারি কার্যালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে বলে অভিযোগ।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion) আব্দুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে (Mangocher city)। তাঁর বিরুদ্ধে পাক সেনার হয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিলই মহম্মদ নওয়াজ নামের এক আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। পরিচয় লুকিয়ে ওই গুপ্তচর মিশেছিল বিদ্রোহীদের সঙ্গেই। এরপর থেকেই নতুন করেবালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ।

LinkedIn
Share