Tag: pakistan

pakistan

  • টাকা দেয়নি পাকিস্তান! তেল সরবরাহ বন্ধ করল সংস্থাগুলি  

    টাকা দেয়নি পাকিস্তান! তেল সরবরাহ বন্ধ করল সংস্থাগুলি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেল সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। রাজধানী ইসলামাবাদ সমেত বেশ কিছু শহরে পেট্রোল পাম্পগুলিতে বাইক এবং অন্যান্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। একথা জানা যাচ্ছে সেদেশের কিছু জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার সূত্রে। যেমন ডন পত্রিকা জানাচ্ছে, তেল কোম্পানিগুলি হঠাৎ করেই তাদের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে যার ফলে শুরু হয়েছে এই সংকট।
    পাকিস্তানের (Pakistan) পেট্রোলপাম্পের মালিকরা বলছেন, তেল কোম্পানিগুলিকে টাকা দিতে দেরী হয় অনেকটাই, এর জন্য বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিই দায়ী।
    পেশোয়ারের গাড়ির চালকরা বলছেন, শহরের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প এদিন বন্ধ ছিল, ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে গাড়ির চালকদের। শুধুমাত্র পাকিস্তানের সরকারি পেট্রোল পাম্পগুলি খোলা ছিল, সেখানে অজস্র গাড়ি, বাইক, ডাম্পার সব কিছুর ভিড় করে। একইকথা বলেছেন অপর একজন মোটর বাইক চালক তাঁর মন্তব্য ছাপা হয়েছে ডন পত্রিকায়। ওই মোটর বাইক চালক বলছেন, ” আমাকে আধঘন্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আমার পিছনে ওই সময়ের মধ্যে ২০টিরও বেশি বাইক এসে দাঁড়িয়ে পড়ে”। ফকিরাবাদের কাছে  অপর একটি পেট্রোল পাম্পে অনেককে ১ ঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বাইক চালক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মানসেহরা জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলি সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পেট্রোল না থাকার কারণে।

    পেট্রোল পাম্প সংগঠনের চেয়ারম্যান কী বলছেন

    সরহদ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড কার্টেজ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদের ডন পত্রিকায় বলেছেন, “টাকা দিতে দেরী হওয়ার কারণেই তেল সংস্থাগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানি, এরফলে অনেক পেট্রোলপাম্পে তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তবে আশা করছি পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে”। পেট্রোল পাম্প সংগঠনের চেয়ারম্যান যাই বলুক অন্য কথা শোনাচ্ছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। এই সপ্তাহের রিপোর্টে তারা বলছে  যে পাকিস্তানে গ্যাস এবং তেল সংকট ফেব্রুয়ারিতে আরও খারাপ হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

     

  • Pakistan High Commission: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    Pakistan High Commission: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেন এক ভারতীয় মহিলা। পেশায় অধ্যাপক ওই মহিলার অভিযোগ, নয়া দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে তিনি ভিসার আবেদন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক কর্তা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছে। মহিলার দাবি, লাহোরে যাওয়ার জন্য পাক ভিসা দরকার ছিল তাঁর। ভিসার আবেদন করার জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলেন তিনি। ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁকে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন করেন পাক দূতাবাসের জনৈক কর্তা তাহির আব্বাস।

    কী ঘটেছিল

    এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই আধিকারিকদের ছেড়ে কথা বলবে না পাকিস্তান, এমনই অভিমত পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচের। মুমতাজ বলেন, ‘‘আমাদের দূতাবাসে আসা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার আমরা মেনে নেব না। এই অভিযোগ শুনে আমরা হতবাক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ওই সিনিয়র অধ্যাপিকা জানান, ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় পাক দূতাবাসের এক কর্তা, তাঁর লাহোর সফরের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করেছিলেন।  অধ্যাপিকা জানিয়েছিলেন, তাঁকে লাহোরের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি লাহোরের বিভিন্ন স্মৃতিসৌধের ছবি তুলতে চান। এরপরই ওই ঘরে প্রবেশ করেছিলেন পাক দূতাবাসের আরেক কর্তা।

    নিন্দা পাকিস্তানের

    অধ্যাপিকার দাবি, এরপর তাহির আব্বাস তাঁকে একের পর এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা শুরু করেছিল। তিনি বলেছেন, “তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি বিয়ে করিনি কেন? বিয়ে না করে আমি কীকরে জীবন কাটাই? আমার যৌন চাহিদা মেটাতে আমি কী করি?” শুধু তাই নয়, এক সময় ওই পাক কর্তা তাঁর হাতও চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধাচরণ করে নিবন্ধ লেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয় তাঁকে। এ প্রসঙ্গে মুমতাজ বলেন, ‘‘পাকিস্তান সমস্ত ভিসা আবেদনকারীদের প্রতি যথাযথ আচরণ করে। আমাদের সমস্ত কূটনৈতিক কর্মীকে পেশাদার আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

  • T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান। অপরদিকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বুধবার ৯ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দলই পৌঁছাতে পারবে ফাইনালে।

     ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই ধুকছিল। নিউজিল্যান্ড প্রথম দল যে সেমিফাইনালে সবার আগেই পৌঁছাতে পেরেছিল। নেট রানরেটের নিরিখে গ্রুপেরও টপার হয়েছেন নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে উঠে গিয়েছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের নিরিখে পিছিয়ে থাকায় এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।২০১৬ সালে সেমিফাইনালে আটকে গেলেও নিউজিল্যান্ড ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলেছিল যদিও ম্যাচে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। 

     

    এবারের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ও ২.১১৩ নেট রানরেট ছিল কিউইদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে টেবিলের তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট ছিল -০.৩০৪। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান দল প্রথম ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে হারায় প্রথম থেকে টুর্নামেন্ট থেকে পিছিয়ে পড়ছিল। পরবর্তীতেও বিরাট সুযোগ হারিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ান দল।কারণ গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচে নেট রানরেট বাড়ানোর দুর্দান্ত সুযোগ ছিল অজিদের সামনে। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও আয়ারল্যান্ডকে ১৩৭ রান তুলতে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪২ রানে হারানোয় নেট রানরেট তেমন বাড়েনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে   বিরাট ব্যবধানে জিতলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা থাকত কিন্তু মাত্র ৪ রানে আফগানিস্তানকে হারানোয় সেমিফাইনালে পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রানরেট নিয়ে +০.৫৪৭ সহজেই সেমিফাইনালে পৌছে গিয়েছে।

    অপরদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজ সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ষষ্ঠবার সেমিফাইনালে উঠল পাকিস্তান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর মাত্র ২ বার সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। এবার গ্রুপ থেকে ছিটকে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য জয়ের ফলে পাকিস্তানের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ আসে। আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগে সদ্ব্যবহার করেছেন বাবররা।

    নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যে দল জিতত, সেই দলই সেমিফাইনালের টিকিট পেত। সেই পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে উঠে গিয়েছে পাকিস্তান। 

     

    আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে মাত্র ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের সুবাদে সহজেই সেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোতে পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই জিতে যান বাবররা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিবের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আম্পায়ার তাঁকে লেগ বিফোর দেন।সাকিব রিভিউও নেন। রিপ্লে-তে ধরা পড়ে ব্যাট ক্রিজে লাগার আগে ব্যাটে বল লেগেছে। তৃতীয় আম্পায়ারও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। প্রথম বলেই সাকিব ফিরে যায়। বাংলাদেশের টিমে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে আর তেমন উল্লেখযোগ্য রান নেই।
    শুধু ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন। তবে পাকিস্তানেরও কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। অধিনায়ক বাবর আজম ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। তবে সকলের সৌজন্যে ১৮.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান। ফাইনালে পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিয়ার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের অপেক্ষায় রইল ক্রিকেট প্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Muslim man hoists Pakistani flag: আবারও দেশের মাটিতে উড়লো পাকিস্তানি পতাকা

    Muslim man hoists Pakistani flag: আবারও দেশের মাটিতে উড়লো পাকিস্তানি পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন করেছে মুসলিম ব্যক্তি, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুশতাক খান,পেশায় সে একজন ফল বিক্রেতা। জানা গিয়েছে  মঙ্গলবার সারানগড়-ভিলাইগড় জেলার সারিয়া শহরের অটল চক এলাকায় নিজ বাসভবনে পাকিস্তানতার  পতাকা উত্তোলন করে সে।

    ঘটনাটি জনসমক্ষে আসতেই বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছত্তিশগড় পুলিশ মুশতাক খানকে গ্রেফতার করেন এবং  পতাকাটি বাজেয়াপ্ত করে।
    মুশতাক খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 153A এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। ১৫৩ এ ধারা ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করা এবং সামাজিক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর, এমন কোনও কাজ করা হলে ঋজু করা হয়।
    তবে বিজেপি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার দাবি করেছে এবং সারিয়া থানার বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। তারা জানিয়েছে দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এই লড়াই চালিয়ে যাবে। 

    [yt]https://youtu.be/tYdOIlvwU5o[/yt]

    প্রসঙ্গত, এর আগে, উত্তর প্রদেশের কুশিনগরে একই ধরনের খবর পাওয়া গিয়েছিল, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় যখন সারা ভারত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ পালন করেছিল, তখন কুশিনগরের বেন্দুপার মুস্তাকিল গ্রামের বাসিন্দা সালমান তার ছাদে ভারতীয় পতাকার পরিবর্তে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন করেছিল।
    কিছু প্রতিবেশী তাকে তার বাড়ির বারান্দায় পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন করতে দেখে ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় ঘটনাটি। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পরে তৎপর হয় প্রশাসন।  

    [tw]


    [/tw] 

    এছাড়াও ভারতের অনেক স্থানে এমন ঘটনার খোঁজ মিলছে অহরহ , দেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার উদ্দেশ্যেই এসব করা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবার্নে বিরাট দীপাবলী পালন করছে ভারতীয়রা। ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা সাক্ষী রইল মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। কোহলীর চওড়া ব্যাটে ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল রোহিতরা।

    গত কয়েক বছর ধরেই বিরাটকে সইতে হয়েছে অবজ্ঞা, অপমান, উপেক্ষার জ্বালা। হাত থেকে গিয়েছে জাতীয় দলের নেতৃত্ব । এমনকি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথাও শুনতে হয়েছে। ‘ফুরিয়ে গিয়েছেন,’ ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছেন’ শব্দ বন্ধনী আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে তাঁকে। এর আগে এশিয়া কাপেই নিজের ফর্মের ঝলক দেখিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ব্যাটে রান পেয়েছিলেন দুবাইয়ে।

    তবে এই তাঁর মহারাজকীয় প্রত্যাবর্তনের জন্য আরও বড় মঞ্চ তৈরি রেখেছিলেন। যে বিশ্বকাপ থেকে লজ্জার বিদায়ে ক্যাপ্টেন হিসাবে এক বছর আগে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্বকাপ প্ল্যাটফর্মেই অতিমানবীয় ইনিংস খেললেন বিরাট। সম্মোহিতের মত এতে আত্মসমর্পণ করে ছাড়া যাতে উপায় ছিল না পাকিস্তানের।

    [tw]


    [/tw]

    কোহলি যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারত তখন অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রবিবার ১৬০ স্কোরকেও এক সময় টিম ইন্ডিয়ার কাছে পাহাড়-প্রমাণ ঠেকাচ্ছিল। দ্রুত একের পর এক উইকেট খুঁইয়ে ইনিংসের শুরুতেই ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হতে চলেছিল।

    ভারতের টপ অর্ডার কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যার চাপ পড়ে টিমের মিডল অর্ডারে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায় ভারত টপ অর্ডার । কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব আউট হয়ে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডারকে বাঁচাতে সাত-তাড়াতাড়ি নামানো হয় অক্ষর প্যাটেলকে। তিনিও দ্রুত রান আউট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ৩১ রানে দাঁড়ায়। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৪৫ জোটে। সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরানো অকল্পনীয় মনে হচ্ছিল।

    তবে লক্ষ্য কঠিন হলেও তবে অসম্ভব ছিল না। কেন না, ক্রিজে বিরাট-হার্দিক জুটি। ব্যাটে-বলে টাইম করতে গোটা ইনিংস জুড়েই হার্দিক সমস্যায় পড়লেও  ৩৭ বলে ৪০ রানের দাঁত কামড়ে থাকা হার্দিকের সঙ্গেই কোহলি পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে তুললেন ১১৩ রান। হঠাৎ যে ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, সেই ম্যাচেই পাল্টা লড়াই জমিয়ে দেন দুজনে।

    [tw]


    [/tw]

    শেষ ওভার যেন কমেডি অফ এরর। রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ । বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে আক্রমণে আনেন বাবর। হার্দিক পান্ডিয়া বরাবর স্ট্রাইক করতে সমস্যায় পড়ছিলেন। তিনি শেষ ওভারের প্ৰথম বলেই হাঁকাতে গিয়ে সোজা ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন। বিরাট ও হার্দিকের জুটি ভাঙ্গে। পরের দুই বলে উঠল মাত্র ৩ রান। তবে চতুর্থ বলেই নাটকীয় ঘটনা। হাই ফুলটসে কোহলি মাঠের বাইরে বল পাঠানোর পরে আম্পায়ার উচ্চতার জন্য নো দেন। ফ্রি-হিটে কোহলি বোল্ড হলেও দৌঁড়ে তিন রান নেন বিরাট। শেষ ২ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পড দীনেশ কার্তিক।শেষ বলে ২ রান। ক্রিজে অশ্বিন। অশ্বিন মিড অফের উপর দিয়ে খেলে সিঙ্গল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এই মুহূর্তের আগে অবধি ভারতীয় সমর্থকদের যেন হৃদযন্ত্র খুলে বসতে হয়েছিল। জয় নিশ্চিত হতেই বিরাট নিজের আবেগকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন বিরাট । উইকেটের মধ্যে মারেন ঘুসি।হেলমেট খুলে বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যে ভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আশা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে।

    আজীবনের চেজ মাস্টার বিরাট পুনরায় ফর্ম ফেরায় ইনিংস জুড়ে আরও কিছু রেকর্ডের অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Slams Pakistan: “ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের কিছু প্রতিনিধি”, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    India Slams Pakistan: “ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের কিছু প্রতিনিধি”, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্দিষ্ট একটি ধর্মকে রক্ষার নামে ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের মুষ্ঠিমেয় প্রতিনিধি।” রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই ভাষায়ই পাকিস্তান ও চিনকে নিশানা করল ভারত (India Slams Pakistan)। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার প্লেনারি বৈঠক ছিল। সেখানেই পাকিস্তানের দূত মুনির আক্রম চিনের মদতে ‘ইসলামফোবিয়া’র বিরুদ্ধে মোকাবিলা প্রস্তাব পেশ করেন।

    ভোটদানে বিরত ছিল ভারত (India Slams Pakistan)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সেটি গৃহীত হয়। রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১৫টি দেশ এর পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে কোনও ভোট না পড়লেও, ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের ৪৪টি দেশ। এই প্রস্তাবের ওপর (India Slams Pakistan) বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাক দূত সিএএ এবং অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গ টানেন। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, “একটি বিষয় খুবই চিন্তার যে, সাধারণ সভার এক সদস্য ও তাঁর মন্তব্য অনেকটা ফাটা রেকর্ডের মতো। যখন পুরো বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, তখন দুঃখজনকভাবে স্থবির হয়ে রয়েছে তারা। আমার দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রতিনিধির সীমিত এবং বিপথগামী দৃষ্টিভঙ্গী খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আরও উল্লেখযোগ্য যে, সাধারণ সভা এই বিষয়টিকে আরও ব্যাপক আকারে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য গ্রহণ করেছিল। এই সদস্য দেশের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নিশ্চয়ই নয়।”

    সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা

    গত সেপ্টেম্বরেও রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে আক্রমণ (India Slams Pakistan) শানিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় মিশনের প্রথম সেক্রেটারি পেটাল গেহলট। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার ছড়াতে এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করতে পাকিস্তান একটি অভ্যস্ত অপরাধী।” সেদিনও তরুণ এই কূটনীতিক পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সরকারি হিংসার উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, “ফয়সালাবাদের জেরানওয়ালায় সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বড় আকারের হিংসা চালানো হয়েছিল। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থনাস্থল ও তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এদিন রুচিরাও বলেন, “এই ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা প্রস্তাব আদতে হিংসা ও বৈষম্যের সম্মুখীন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ-সহ অন্যান্য ধর্মের প্রতি ধর্মভীতির বিস্তার।” স্বমত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রুচিরা বিশ্বের হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের পরিসংখ্যানও তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী দূত (India Slams Pakistan)।

    আরও পড়ুুন: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করে দিল এ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল। যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের জন্য ‘সিএএ-২০১৯’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও কেন্দ্র চালু করবে বলে খবর।

    সিএএ (CAA)

    ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় সিএএ বিল। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে বিরোধীদের অপপ্রচারের জেরে সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইন বলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত যেসব শরণার্থী (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়া হবে। এই আইন তাঁদের সাংস্কৃতিক, লিঙ্গুইস্টিক এবং সোশ্যাল আইডেন্টিটি রক্ষা করবে। এটা তাঁদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, মুক্তভাবে চলাচল করা এবং সম্পত্তি কেনার অধিকারও দেবে।

    কী কী নথি প্রয়োজন (CAA)

    প্রথমেই নথি পেশ করতে হবে যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত

    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া পাসপোর্ট।
    • ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকার বা এই তিন দেশের কোনও সরকারি সংস্থার ইস্যু করা যে কোনও ধরনের পরিচয়পত্রের নথি।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারি কোনও সংস্থার দেওয়া যে কোনও লাইসেন্স কিংবা সার্টিফিকেট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের  জমি কিংবা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর বাবা-মা বা পিতামহ কিংবা প্রপিতামহ এই তিন দেশের কোনও একটির নাগরিক ছিলেন।
    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী এই তিন দেশের কোনও একটি থেকে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    এ ছাড়াও আরও কিছু তথ্য লাগবে, যা প্রমাণ করবে আবেদনকারী ভারতে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে (CAA)। এগুলি হল—

    • ভারতে আসার ভিসা এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের কপি।
    • রেজিস্ট্রশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট যেটা ইস্যু করেছেন ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার।
    • জনগণনার সময় ভারতে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল।
    • সরকারের ইস্যু করা কোনও লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট বা পারমিট (ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি)।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় রেশন কার্ড।
    • অফিসিয়াল স্ট্যাম্প-সহ কোনও চিঠি যা ভারত সরকার কিংবা আদালত আবেদনকারীকে দিয়েছে।
    • আবেদনকারীর ভারতে জন্মের শংসাপত্র।
    • ভারতে আবেদনকারীর নামে থাকা জমি বা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • তারিখ-সহ প্যানকার্ড ইস্যুর নথি।
    • অন্য কোনও নথি, যা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারের দেওয়া।
    • কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও পাবলিক অথরিটির দেওয়া নথি।
    • গ্রাম কিংবা শহরের কোনও নির্বাচিত সদস্য বা রেভিনিউ অফিসারের দেওয়া সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।
    • আবেদনকারীর নামে ভারতে থাকা কোনও ইন্স্যুরেন্স পলিসির নথি।
    • আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজ কিংবা বিদ্যুতের বিল।
    • আবেদনকারীর কোর্ট কিংবা ট্রাইব্যুনাল রেকর্ডের নথি।
    • আবেদনকারী চাকরি করলে তার নথি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশনের কাগজ।
    • স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের নথি।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় কোনও স্কুল পরিত্যাগের নথি।
    • ভারতের কোনও স্কুল বা কলেজ বা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর মিউনিসিপ্যালিটি ট্রেড লাইসেন্স।
    • বিয়ের শংসাপত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। শরণার্থীদের একটা বড় অংশ মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। সিএএ বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পাশ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা। দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এমনকী বাংলাতেও এই আইন (Citizen Amendment Act) কার্যকর হওয়ায় খুশিতে মেতে ওঠে বহু শরণার্থী পরিবার। জয়পুরের রাস্তায় বাজি ফাটাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্লোগানও দিতে দেখা যায় শরনার্থীদের।

    কী বলছেন পাক-হিন্দু শরণার্থীরা

    দিল্লিতে যে পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তু সম্প্রদায় রয়েছে, তাদের নেতা ধরমবীর সোলাঙ্কি বলেন, “এই আইন কার্যকর হলে আমাদের সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০০ জন ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। আমি এবং আমার পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমাদের ভারতীয় নাগরিক বলা হবে। আমরা সবাই এতে খুব খুশি। আজ মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস ২০১৩ সালে আমি স্বদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আমাদের কাঁধ থেকে একটা বিশাল বোঝা তুলে নেওয়া হয়েছে।” সোমবার দেশজুড়ে সিএএ (CAA) আইন কার্যকর হওয়ার খবর শুনে খুশিতে মেতে ওঠে ওই সমস্ত পরিবার। সিএএ কার্যকর করার জন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া সমাজের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বাংলায় এই আইনকে স্বাগত জানাতে  ঢাক-ঢোল নিয়ে পথে নামেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    সিএএ (CAA) কী?

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের তিনি মুসলিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সেদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে (CAA) উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share