Tag: pakistan

pakistan

  • Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    Pakistan: নির্বাচনের ৪ দিন আগে পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা, হত ১০ পুলিশকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হলেন পাকিস্তানের (Pakistan) ১০ পুলিশ অফিসার। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬ জন। সোমবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি থানায় ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকদের। পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ থানায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রথমে কনস্টেবলদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় স্নাইপার রাইফেল দিয়ে। তার পরেই হামলা চালানো হয় থানার ভেতরে। হামলার দায় স্বীকার করে এদিন দুপুর পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার নেপথ্যে তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হাত রয়েছে বলে অনুমান পাকিস্তান পুলিশের একাংশের।

    কী বলছে পুলিশ?

    দ্রাবানের ডেপুটি পুলিশ সুপার মালিক আনীশ আল হাসান বলেন, “থানার ভেতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। অতর্কিত হানায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।” খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান হয়াত গন্দাপুর বলেন, “দেরা ইসমাইল খান জেলার চুওয়াধোয়াঁ থানায় হামলা হয়। তিরিশজনেরও বেশি জঙ্গি এক সঙ্গে তিন দিক থেকে হামলা চালায়। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুলি বিনিময় হয় দু’পক্ষে।” থানায় হামলার নিন্দা করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী আরশাদ হোসেন শাহ। মৃত পুলিশকর্মীদের (Pakistan) শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারবর্গকে। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন আরশাদ।

    টিটিপির শক্তি বৃদ্ধি

    গত কয়েক বছর ধরে খাইবার পাখতুনখোয়ায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে টিটিপি। গত দু’বছর ধরে পাকিস্তানে একাধিক হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সিংহভাগ হামলার নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তান মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। গত ডিসেম্বরেও সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আত্মঘাতী সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনাবাহিনীর অন্তত ২৩ সদস্যের। সেই ক্ষত ভালো করে শুকোবার আগেই ফের ঘটল সন্ত্রাসী হামলা। যার বলি হলেন ১০ পুলিশ কর্মী।

    আরও পড়ুুন: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানে। তার আগে থানায় ঢুকে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ত্রস্ত সাধারণ মানুষ। দিন চারেক আগে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খুন হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নেতা রেহান জাইব খান। খাইবার পাখতুনখোয়ার সিদ্দিকাবাদ ফটক বাজার (Pakistan) এলাকায় খুন হন তিনি। অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীদের গুলিতে জখম হয়েছেন পিটিআইয়ের আরও তিন সমর্থক। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের এই অঞ্চলটির আকাশে কেবলই গোলা-বারুদের গন্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি (Baloch Liberation Army)। দু’ দিনের দারা-ই-বোলান অপারেশন চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স। এঁদের মধ্যে ১২ জন ফিঁদায়েও ছিলেন।

    অপারেশন দারা-ই-বোলান

    বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৩৮৫ বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স, যার মধ্যে ১২ ফিঁদায়েও রয়েছেন, অংশ নিয়েছিলেন অপারেশন দারা-ই-বোলানে। খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। শত্রুপক্ষের (পড়ুন, পাকিস্তান) বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় যেসব দেশ, আমরা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি।” দু’ দিন ব্যাপী অপারেশন দারা-ই-বোলান শুরু হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। অপারেশনে যে ৩৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা বালোচ লিবারেশন আর্মির বিভিন্ন শাখার সদস্য। মাজিদ ব্রিগেডের ১২ জন ফিঁদায়েও অংশ নিয়েছিলেন। ফতে স্কোয়াড, স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশনস স্কোয়াড এবং গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন এই অপারেশনে (Baloch Liberation Army)।

    খতম ৭৮

    ৩১ জানুয়ারি সন্ধে সাতটায় যে অপারেশন হয়েছিল, সেদিন সমস্ত লক্ষ্যে আঘাত হানা করা হয়েছিল বলে দাবি বালোচ লিবারেশন আর্মির। ৭০ কিমি ব্যাসার্ধ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। এর মধ্যে রয়েছে মাচ শহর এবং এনএইচ ৬৫, কৌশলগতভাবে যার গুরুত্ব কম নয়। জানা গিয়েছে, অপারেশন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায়ই খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। পরে হামলা চালানো হয় ১০ ফ্রন্টিয়ার কর্পসের ওপর। পিয়ার ঘাইব, বোলন এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। জানুয়ারির ৩০ তারিখে বালোচ লিবারেশন আর্মি এফসি হেডকোয়ার্টারে হামলা চালায়। এই হামলায় খতম করা হয় ১২ পাকিস্তানি সেনাকে। পাঁচজন এসএসজি কমান্ডার ও দুই পুলিশ কর্মীও খতম হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    বালোচ লিবারেশন আর্মির এই অপারেশনে আত্মবলিদান দিয়েছেন ১২ জন ফিঁদায়েও। প্রাণ হারিয়েছেন ফতে স্কোয়াডের এক সদস্যও। বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “দেশমাতৃকার জন্য আত্মবলিদান দেবেন বলে যুদ্ধে নেমেছিলেন সব ফিঁদায়েরা। তাঁরা সফলভাবে এফসি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে পড়েছিলেন। দু’ দিন ধরে বোলানের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নেওয়ার পরে শত্রুরা আমাদের একজন যোদ্ধাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। এ থেকেই প্রমাণ হয় বালোচ লিবারেশন আর্মির (Baloch Liberation Army) দক্ষতা ও শক্তি কত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Elections 2024: নওয়াজের সভায় জ্যান্ত বাঘ-সিংহ! কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Pakistan Elections 2024: নওয়াজের সভায় জ্যান্ত বাঘ-সিংহ! কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে বুঝি, সার্কাস চলছে। আসলে তা না। চলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নির্বাচনী (Pakistan Elections 2024) প্রচার। খাঁচায় বন্দি বাঘ-সিংহ। বাঘের হালুম, সিংহের গর্জন ভয় ধরায় বুকে। সেসব উপেক্ষা করেই বাঘ-সিংহের সঙ্গে সেলফি তুলছে জনতা। সম্প্রতি এমনই ছবি ভাইরাল রয়েছে। ৪ বছরের বিদেশ-বাসের পর পাততাড়ি গুটিয়ে পাকিস্তানে ফিরেছেন নওয়াজ। নেমে পড়েছেন নির্বাচনী ময়দানে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে ভোট হওয়ার কথা সে দেশে। জনতার মন পেতে তাই কোমর কষে নেমে পড়েছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা।

    নওয়াজের সভা

    মঙ্গলবার লাহোরের এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন নওয়াজ (Pakistan Elections 2024)। সেখানেই জ্যান্ত বাঘ-সিংহ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁর সমর্থকরা। বিষয়টি জানতে পেরে সেগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এনএ-১৩০ আসনে প্রার্থী হয়েছেন নওয়াজ। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হওয়ায় বাঘ-সিংহ নিয়ে আসছেন সমর্থকরা। যদিও তিনি তাঁদের এসব করতে নিষেধ করেছেন বলে খবর। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, “বাবা সমাবেশে সিংহ আনার খবর জানতে পারে। তাঁর নির্দেশে সিংহটি ফিরিয়ে আনা হয়।”

    ভোটে লড়তে পারবেন না ইমরান

    নওয়াজ প্রার্থী হতে পারলেও, ভোটে লড়তে পারবেন না পাকিস্তানের আর এক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে। তোষাখানা সহ একাধিক মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। গ্রেফতারও হন। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন জামিনে। তবে নির্বাচনী ময়দানে দেখা যাবে না তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    নওয়াজ জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। চার বছর লন্ডনে কাটিয়ে গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানে ফেরেন নওয়াজ। জমা দেন মনোনয়ন। তাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও সদস্য আপত্তি না জানানোয় নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাঁকে। নওয়াজ নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাওয়ায় বেজায় চটেছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক নওয়াজকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ উঠেছিল নওয়াজের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল পাকিস্তানের (Pakistan Elections 2024) সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pakistan: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    Pakistan: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কাকভোরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল ইরান। চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই তার পাল্টা জবাব দিল পাকিস্তান (Pakistan)। বৃহস্পতিবার আঘাত হানল পাকিস্তান। ইরানে এয়ারস্ট্রাইকের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে দাভোসের ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম ছেড়ে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকার।

    ইরানে মিসাইল হানা 

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুনতাজ জাহারা বালোচ বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর কাটছাঁট করেছেন।” ইরানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তের সিস্টান-বালুচিস্তান প্রদেশে একাধিক মিসাইল হানা হয়েছে। তিন মহিলা ও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃত্যু হয় আরও দুজনের। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯। পাকিস্তানের (Pakistan) তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরানে যে আঘাত হানা হয়েছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জঙ্গির। নির্দিষ্ট করে জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আজ যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের নিজের নিরাপত্তা এবং দেশীয় স্বার্থ। এর সঙ্গে কোনওভাবে আপস করা হবে না। 

    ইরানের কালো তালিকায় জায়েস

    বালুচিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ অল-আদাল। এই ঘাঁটি দুরমুশ করতেই হামলা চালিয়েছিল ইরান। তেহরানের দাবি, ২০১৩ সাল থেকে ইরানে লাগাতার অশান্তি করে যাচ্ছে তারা। ২০১২ সালে গড়ে ওঠে জয়েশ। তার পরে পরেই সুন্নি মুসলমানের উগ্রপন্থীদের এই গোষ্ঠীটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ইরান। তারা ইরানের মধ্যে থাকা সিস্টান ও বালুচিস্তানের স্বাধীনতা চায়। এদিকে, বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশ থেকে স্বাধীনতা চায়। পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়েছে এই সংগঠন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    ইরান-পাকিস্তানের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তলানিতে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্ত পেরিয়ে আঘাত হানার ঘটনা এই প্রথম। ২০১৩ সালে ১৪ জন ইরানীয় গার্ডকে হত্যা করে জয়েশ। তার চার বছর পরে হত্যা করা হয় আরও দশ জনকে। ২০১৮ সালে ইরানের চার পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়। ২০১৯ সালে পাকিস্তান দাবি করে, ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বালুচিস্তানে হত্যা করে ১৪ জনকে। ২০২৩ সালে জয়েশ দাবি করে, ইরানের ১১ জন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এয়ারস্ট্রাইক শুরু হয়েছে দুই মুসলিম রাষ্ট্র ইরান ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে। সব মিলিয়ে ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে এশিয়ার আকাশে যুদ্ধের মেঘ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ram Mandir: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    Ram Mandir: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। মূল পর্বের এই অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা আচার পালন। অযোধ্যার এই মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে যখন উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ, তখন নেতিবাচক প্রচার করছে পাকিস্তান। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পর্ক নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে সে দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী। ভারত-বিরোধী নানা সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়িও দিচ্ছে তারা।

    পাকিস্তানের নেতিবাচক প্রচার

    জানা গিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘোষণা হতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বাসিন্দাদের একটা অংশ। একাধিক পাকিস্তানি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে তারা রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিভিন্ন কু-মন্তব্য করছে। বাবরি মসজিদের সমর্থনেও বলা হচ্ছে নানা কথা। মূল রাম মন্দির থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নয়া রাম মন্দির তৈরি করা হচ্ছে বলেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানি সমাজমাধ্যমে। অবশ্য এই প্রথম (Ram Mandir) নয়, নানা সময়ে ভারত বিরোধী ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে পাকিস্তান। হ্যাশট্যাগ দিয়ে পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেলে রাম মন্দির সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। এরকম প্রায় ছটি গ্রুপ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে।

    বাবরি মসজিদের সমর্থনে প্রচার

    রাম মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের দাবি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। দীর্ঘ সওয়াল যুদ্ধের পর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মান্যতা পায় হিন্দুদের দাবি। রাম মন্দিরের অদূরে জমি দেওয়া হয় বাবরি মসজিদ কর্তৃপক্ষকেও। তার পর শুরু হয় রাম মন্দিরের কাজ। সেই মন্দিরের একটা অংশের কাজ হয়েছে শেষ। শুরু হয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূর্তিপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে চলতি মাসের ২২ তারিখে। ১৬ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা আচার পালন।

    রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথিকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। অতিথিদের জন্য ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বুক করা হয়েছে হোটেল। তৈরি করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। উদ্বোধন করা হয়েছে বিমানবন্দরের। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেল স্টেশনকে। এই রাজসূয় যজ্ঞে (Ram Mandir) জল ঢালতেই সক্রিয় পাকিস্তানের বাসিন্দাদের একাংশ। তারাই নেতিবাচক প্রচার করছে এক্স হ্যান্ডেলে।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Iran Attacked Pakistan: এবার পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইরানের, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গি-ঘাঁটি

    Iran Attacked Pakistan: এবার পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইরানের, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গি-ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইরানের (Iran Attacked Pakistan)। জঙ্গি সংগঠন জইশ আল অদলের ডেরায় চালানো হয়েছে হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র হানায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের। এই ধরনের হামলা বরদাস্ত করা হবে না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। পরবর্তীকালে এর ফল ইরানকে ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি পাক সরকারের।

    ইরাক-সিরিয়ার পর এবার বালুচিস্তান

    এর আগে ইরাকের কুর্দিস্তান ও সিরিয়ার ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। এবার হামলা চালানো হল বালুচিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে। ইরানের দাবি, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের ওই জায়গায় জঙ্গিদের দুটি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি (Iran Attacked Pakistan) বালুচিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই। তিনি শুধু বলেন, “এ নিয়ে বিবৃতি দেবে পাক সেনা।” ইরানের দাবি, বালুচিস্তানে হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি।

    সুন্নি মুসলমানদের উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর হামলা

    ইরান সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি ইরানের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। জয়শঙ্কর দেশে ফেরার পরে পরেই বালুচিস্তানে হানা ইরানের। যদিও জয়শঙ্করের সঙ্গে এই হামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের। কী কারণে হামলা পাকিস্তানে? জানা গিয়েছে, ইরানের সুরক্ষা বাহিনীর ওপর বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে সুন্নি মুসলমানদের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। ইরান সীমান্তে একাধিক বোমা বিস্ফোরণ এবং ইরান সীমান্ত পুলিশের কয়েকজন আধিকারিককে অপহরণের দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে ওই গোষ্ঠী। ২০১২ সালে তৈরি হওয়া এই গোষ্ঠী মূলত পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম করে। এই গোষ্ঠীকেই সমূলে বিনাশ করতে বালুচিস্তানে হামলা চালিয়েছে ইরান।

    আরও পড়ুুন: স্কাইওয়াক ভাঙার খবর গুজব, তার পরেও হাওয়া গরমের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?

    দীর্ঘদিন ধরেই জইশ আল আদলের বিরুদ্ধে লড়ছে ইরান। তবে পাক ভূখণ্ডে এই প্রথম তারা চালিয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানে যদি সত্যিই ইরান হামলা চালিয়ে থাকে, তাহলে ইরান-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকবে। বালুচিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীর ডেরায় হামলা চালানো হলেও, কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, কোন কোন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয়েছে, হতাহতের সংখ্যাই বা কত, এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি ইরান। বিশদে কিছু জানানো হয়নি পাকিস্তানের (Iran Attacked Pakistan) তরফেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lashkar-e-Taiba: পাকিস্তানে এ বার মৃত হাফিজ ঘনিষ্ঠ ২৬/১১ সন্ত্রাসের চক্রী ভুট্টভি

    Lashkar-e-Taiba: পাকিস্তানে এ বার মৃত হাফিজ ঘনিষ্ঠ ২৬/১১ সন্ত্রাসের চক্রী ভুট্টভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী এবং লস্কর-ই-তৈবার নেতা হাফিজ আবদুল সালাম ভুট্টভির মৃত্যুর খবর মিলেছে পাকিস্তানে। রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের তরফে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল ওই নেতা। সালাম ভুট্টভির মৃত্যু লস্করের (Lashkar-e-Taiba) কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। এক এক করে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা লস্কর গোষ্ঠীর প্রধান হাফিজ সইদের দলের লোকজনের মৃত্যু হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় নাম উঠেছে হাফিজের ডান হাত এবং লস্কর গোষ্ঠীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ আবদুল সালাম ভুট্টভির। ২০১৯ সাল থেকেই অবশ্য পাক কারাগারে বন্দি ছিল ভুট্টভি (Lashkar-e-Taiba)। লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদ বর্তমানে পাক কারাগারে রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    ১ বছরে পাকিস্তানে ১২ জন ভারত বিরোধী জঙ্গি খুন

    গত এক বছরে মোট ১২ জন ‘ভারত-বিরোধী চক্রী’ খুন হয়েছে পাকিস্তানে। কয়েকজনের মৃত্যু বেশ রহস্যজনক। কখনও বিষক্রিয়াতে কখনও বা অজ্ঞাত পরিচয়তেদর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। lভুট্টভির মৃত্যু এখন নয়, গত বছরের মে মাসে হয়েছে। যদিও, সেই রিপোর্ট এখন প্রকাশিত হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভুট্টভির মৃত্যুর কারণ হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হওয়া। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “২০২৩ সালের ২৯ মে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকেতে মৃত্যু হয়েছে ভুট্টভির। তিনি সে সময় পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে ছিলেন।” পাক পঞ্জাবের মুরিদকেতেই রয়েছে লস্করের (Lashkar-e-Taiba) সদর দফতর। সাম্প্রতিককালে, হাফিজের ছেলে ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে।

    আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের

    ভারত বিরোধীদের ওপর আঘাত চলছেই

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলার এক অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী (Lashkar-e-Taiba) সাজিদ মির পাকিস্তানের ডেরা গাজি খানের সেন্ট্রাল জেলে মারা যায় সম্প্রতি। তখন তদন্তে জানা যায়, তাকে কেউ বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে করাচিতে নিজের বাড়ির সামনেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা গুলি চালিয়ে খুন করে ২০১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে বিএসএফের কনভয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল চক্রী, লস্কর নেতা আদনান আহমেদকে। অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথমেই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে এ এই ঘটনার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan General Polls: প্রতীক ফিরে পেল ইমরানের দল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়বে পিটিআই

    Pakistan General Polls: প্রতীক ফিরে পেল ইমরানের দল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়বে পিটিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিলেছিল মুক্তি। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীক ফিরে পেল পাকিস্তানের (Pakistan General Polls) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। জেলবন্দি হওয়ার পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ব্যাট প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবে না।

    কমিশনের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক

    কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে বুধবার অসাংবিধানিক আখ্যা দিল পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়তে পারবেন ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নে নির্বাচনে লড়তে চেয়ে পাক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইমরানের দল। এদিনই সেই মামলা প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। তার পরে পরেই প্রতীক ফিরে পেল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি।

    আদালতে পিটিআই

    তোষাখানা (Pakistan General Polls) মামলায় গ্রেফতার হন ইমরান। বন্দি হন জেলে। তারপর ২২ ডিসেম্বর পাক নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে লড়তে পারবে না ইমরানের দল। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ৮ ফেব্রুয়ারি। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির ভোট ম্যানেজাররা। এদিন পেশোয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি ইজাজ আনোয়ার ও বিচারপতি আরশাদ আলির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ভুল। ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকেই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুুন: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মঙ্গলবারই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির তরফে আইনজীবী আলি জাফর আদালতে বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন কেবল নির্বাচনে নজরদারি করতে পারে। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীক কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।” প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আইনজীবীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর সওয়াল-যুদ্ধ চলে। দু’ পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আদালত জানিয়ে দেয়, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকেই লড়বে পিটিআই। আদালতের রায়ের পর পিটিআইয়ের মুখপাত্র জাফর বলেন, “এবার আর নির্বাচনে জয় থেকে পিটিআইকে কেউ আটকাতে পারবে না।” আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পিটিআই সেনেটরও। তিনি বলেন, “আদালত পিটিআইকে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা খুশি (Pakistan General Polls)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সাতটি আলাদা আলাদা মামলায় তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এমনই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।

    গ্লোবাল টেররিস্ট

    মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে দেগে দেয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়ও রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজের নাম। তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও সে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ (Hafiz Saeed)।

    হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ

    গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। তবে যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তাই হাফিজকে যে ভারত তার জিম্মায় পাবে না, তা এক প্রকার জানাই ছিল। সম্প্রতি সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রকও। মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সঈদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগ ছিল হাফিজের। হাফিজের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী যে হাফিজ, ভারত একাধিকবার তার স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেও হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি পাক সরকার। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পাকিস্তান তাকে নাশকতায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। হাফিজের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশও জানিয়েছিল ভারত। সেসবে অবশ্য বিশেষ কাজ হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে হাফিজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাফিজ বাইরে থাকলে প্রাণহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে জেলে। যেখানে কারাদণ্ড ভোগ করার নামে বহাল তবিয়তে রয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি (Hafiz Saeed)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share