Tag: pakistan

pakistan

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

  • Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এমনই প্রশ্ন উঠছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শেষে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দৌড়ে গিয়েছেন। এই ছবির জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন,  “অন্য নেতারা যেখানে সংযম দেখিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দৌড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যেনতেনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। শি জিনপিং বুঝতে পেরেছিলেন শাহবাজ কী করতে যাচ্ছেন, তাই তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে তাঁকে উপেক্ষা করেন।”

    এসসিও সম্মেলন (Shehbaz Sharif)

    প্রসঙ্গত, চিনের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যরা। অন্য একজন লিখেছেন, “এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন আয়োজক দেশের প্রধান স্বয়ং শি।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুতিন যখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই পিছন থেকে এগিয়ে এসে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। ভিডিওটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই নজর কেড়ে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দে করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কমেন্ট বক্সে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য জমা হয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তাতে জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি লাইক (Shehbaz Sharif)।

    শাহবাজ শরিফের হোঁচট খাওয়ার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিতির ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের বেশ কয়েকবার হোঁচট খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় শাহবাজ শরিফ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত হেডফোন তিনি বারবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারছিলেন না, সেটি বারবার খুলে যাচ্ছিল। এই সময় পুতিনকে হাসতে দেখা গিয়েছিল (SCO Summit)। সহকারীদের সাহায্য সত্ত্বেও এই সমস্যার কারণে বৈঠক শুরু হয় দেরিতে। ঘটনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রিয়া নভোস্তির ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে শরিফকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?” এই ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আর একটি মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, শরিফকে প্যারিসে গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্যাক্ট সম্মেলনের সময় এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে ছাতা নিচ্ছেন। নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়ায় সেই কর্মী বৃষ্টিতে ভেজেন। এই ঘটনায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয় (Shehbaz Sharif)। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন শরিফ। সেবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেল নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যার জেরে বিব্রত হন শরিফ (SCO Summit)।

    শরিফকে উপেক্ষা মোদির

    উল্লেখ্য, চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে দীর্ঘ সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে মোদি উপেক্ষা করেছেন সম্পূর্ণভাবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন পাকিস্তানকে। বার্তাটি হল, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান বজায় রাখবে। আর সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না (Shehbaz Sharif)।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদন বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা দুজনে মিলে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে যান। এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বারংবার মোদি ও পুতিনের দিকে তাকালেও, তাঁকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যান তাঁরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (SCO Summit)। শরিফকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই (Shehbaz Sharif)।

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

  • Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানে (Afghanistan) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সারাফাত জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। সেই কারণে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যেমন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় নাগরিকরাও এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৩। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দাবি, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬ মাত্রার। দিল্লিতেও অনুভূত হয় আঁচ। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।

    আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) পর আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। যার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ রিখটার স্কেলের কাছাকাছি। মূল কম্পনের মাত্র ২০ মিনিট পরেই প্রথম আফটারশকটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং উৎসস্থল ছিল ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর রাত ১টা ৫৯ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার, ভোর ৩টা ৩ মিনিটে এবং ৫টা ১৬ মিনিটে দুটি ৫ মাত্রার কম্পন হয়, যেগুলোর গভীরতা ছিল ১০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

    কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে, ভূমি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। ভারতের সময় অনুযায়ী রাত পৌনে ১টা। নানগরহর প্রদেশের জনস্বাস্থ্য দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    আঁচ অনুভূত দিল্লিতেও (Earthquake)

    এই ভূকম্পনের প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই নয়, ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর ও রাজধানী দিল্লিতেও। ভূমিকম্পের সময় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সমাজমাধ্যমে অনেকে রাতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহর প্রদেশটি পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল এবং রাজধানী কাবুল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।

    ভূকম্পন প্রবণ দেশ আফগানিস্তান

    রেড ক্রসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। এই অঞ্চলে প্রতি বছর একাধিক ভূমিকম্প ঘটে। এর প্রধান কারণ হল, অঞ্চলটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এছাড়াও, আফগানিস্তানের হেরাত শহরের নিচ দিয়ে একটি বড় ফল্ট লাইন অতিক্রম করেছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। মাত্র এক মাস আগেই, অর্থাৎ অগাস্ট মাসে, আফগানিস্তানে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল। ২ অগাস্ট রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়, এরপর ৬ অগাস্ট আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.২।

    ২০২২ সালের ভূমিকম্প

    শুধু ২০২৫ সালেই নয়, মাত্র তিন বছর আগে, ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

    ২০২৩ সালের ভূমিকম্প

    এরপর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প (মাপ ৬.৩) আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দেয়। ওই ভূমিকম্পে দেশের একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে। তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল যে মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়েছে। যদিও পরে রাষ্ট্রসংঘ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি ছিল।

    ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

    ঠিক পাঁচ মাস আগে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে — আফগানিস্তানে তীব্র ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও অনুভূত হয়, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। রয়টার্সের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাগলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। ঠিক পাঁচ মাসের মাথায়, ফের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি ভূমিকম্প ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি গভীরতায় ঘটে, তবে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, কম্পনের অভিঘাত খুব দ্রুত ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে যায়, যার ফলে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও নির্মাণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রাণহানির ঝুঁকিও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

  • Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ে ছেঁড়াফাটা একটা শাল। রাস্তার ধারে বসে রয়েছেন মলিন বেশের একটি মানুষ (Ajit Doval)। গায়ে মাথায় ধূসর ধুলোর আস্তরণ। এহেন ভিখিরিকে দেখে পাকিস্তানের কেউ একটা বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি (Pakistans Nuclear Plans)। এমন কত মানুষই তো রাস্তার ধারে বসে থাকে! সমাজের অবাঞ্ছিত এই সব মানুষের ভিড়েই সেদিন মিশে গিয়েছিলেন অজিত ডোভাল। বর্তমানে আশি ছুঁইছুঁই যে মানুষটি সামলাচ্ছেন মোদি সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। আটের দশকে তিনিই উদ্দেশ্যহীনভাবে (?) ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অলিতে-গলিতে।

    ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় (Ajit Doval)

    দিন কয়েক রাস্তার ধারে ধূলিধূসরিত যে মানুষটি বসেছিলেন, তিনিই এবার ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় রাস্তায়। লোক দেখলেই চাইছেন ভিক্ষে। মাথা ভর্তি চুল-দাড়ি আর ছেঁড়া শালের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন যে মানুষটি, তাঁর বুদ্ধি ক্ষুরধার। ইসলামাবাদে তাঁর এই ছদ্মবেশ ধারণ করার আসল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করা। পাকিস্তানের সব চেয়ে সুরক্ষিত পারমাণবিক পরিকল্পনার রহস্য উদ্ঘাটন করা। আর তা করতে হলে যেন-তেন প্রকারে ঢুকতে হবে পাকিস্তানের গবেষণা কেন্দ্রে কিংবা সংগ্রহ করতে হবে নমুনা। ১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পর নয়াদিল্লিকে টেক্কা দিতে কোমর (Ajit Doval) বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে ইসলামাবাদও। এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য (Pakistans Nuclear Plans) করেছিল চিন। ভারতের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের এই গোপন প্রচেষ্টার একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ। আর সেই গুরু দায়িত্ব পড়েছিল অজিত ডোভালের ঘাড়ে, যিনি তখন পরিচিত ছিলেন ‘সুপার কপ’ নামে।

    খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ

    ইসলামাবাদের কাহুটায় রয়েছে কুখ্যাত খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি। এটি কোনও সাধারণ শহর নয়। বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে ঢুকতে হত শহরে। কঠোর নিয়ম মেনে চলাফেরা করতেন বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা কর্মী এবং সরকারি কর্তারা। শ্যেনদৃষ্টিতে তাঁদের চলাফেরার ওপর তাকিয়ে থাকতেন প্রহরীরা। মাস কয়েক ধরে ভিখিরির ছদ্মবেশে এখানকারই রাস্তায় ঘুরতে লাগলেন ডোভাল। পর্যবেক্ষণ করলেন এখানে আসা লোকজনকে, নিলেন নোটও। হাতড়ে বেড়ালেন ওই গবেষণা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা। সেখান থেকে বেরনোর উপায়ই বা কি! এই গবেষণা কেন্দ্রে যাতায়াত করার প্রতিটি ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি, নড়াচড়া, কে, কোথায় যান, তাঁদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করলেন ডোভাল।

    তিনি লক্ষ্য করলেন, এই গবেষণা কেন্দ্রে আসা লোকজন স্থানীয় একটি (Ajit Doval) নির্দিষ্ট সেলুনেই যান চুল কাটতে। একদিন ওই সেলুনে গেলেন ডোভালও। সংগ্রহ করলেন মেঝেয় পড়ে থাকা বিজ্ঞানীদের কয়েকটা চুল। গোপনে পাঠিয়ে দিলেন ভারতে, বিশ্লেষণের জন্য। সেই চুল পরীক্ষা করে ভারতীয় গবেষকরা জানতে পারেন, চুলে রয়েছে ইউরেনিয়াম এবং তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে যার গুরুত্ব অপরিসীম (Pakistans Nuclear Plans)। টানা ছ’বছর ধরে ইসলামাবাদে কাটিয়ে এলেও, এই দুঁদে গোয়েন্দার টিকিটিও ছুঁতে পারেননি কোনও পাক কর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই কাজের ফলে পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫ বছর (Ajit Doval)।

  • India Alerts Pakistan: ‘মানবিক মুখ’ ভারতের, পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কবার্তা দিল নয়াদিল্লি

    India Alerts Pakistan: ‘মানবিক মুখ’ ভারতের, পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কবার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার তামাম বিশ্ব দেখল ভারতের ‘মানবিক মুখ’ (India Alerts Pakistan)। যে দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক অহি-নকুলের, সেই দেশকেই বন্যার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করল নরেন্দ্র মোদির ভারত (Indus Treaty Abeyance)। ফেরা যাক খবরে। প্রবল বর্ষণের জেরে জম্মুর তাওয়ি নদীতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই বিপদ বাড়ছে পাকিস্তানেরও। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের পাক নাগরিকরা যাতে ভয়াল বন্যার কবলে না পড়েন, তাই আগেভাগেই পাকিস্তানের আধিকারিকদের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক অবহিত করল ভারত। সূত্রের খবর, ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার মঙ্গলবার সকালে এই সতর্কবার্তার বিষয়ে পাক আধিকারিকদের জানান।

    জলস্তর বৃদ্ধি তাওয়ি নদীর (India Alerts Pakistan)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে জম্মু ও তাওয়ি নদীর উৎপত্তিস্থলে প্রবল বৃষ্টির জেরে দ্রুত জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে (India Alerts Pakistan) ওই নদীর। তার পরেই পাক কর্তাদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন ভারতীয় আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরেই বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তান। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জনগণকে। স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের (Indus Treaty Abeyance)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ওই মাসেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থায়ীভাবে স্থগিত করে দেয় ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এর পর আর ভারত পাকিস্তানকে জলপ্রবাহের তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য দিতে বাধ্য নয়।

    সিন্ধু জলচুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলচুক্তি (India Alerts Pakistan)। তার পর থেকে এতদিনেও একবারও ছেদ পড়েনি এই চুক্তিতে। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ইতি পড়েছে এই চুক্তিতে। অথচ, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার আগে দু’পক্ষই জলপ্রবাহের বিষয়ে একে অপরকে অবহিত করত। চুক্তি স্থগিত হওয়ায় তা আর করতে বাধ্য নয় ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিল, “তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন (India Alerts Pakistan)!”

    যদিও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি অন্যায্য, ওই জল ভারত ও তার কৃষকদের। রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারত আর পাকিস্তানের পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। তাই ভারত এই চুক্তি মেনে নেবে না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এনডিএ সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সিন্ধু জলচুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, “নেহরু দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তানকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন (Indus Treaty Abeyance)। সংসদে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে ওই চুক্তি করা হয়েছিল (India Alerts Pakistan)।”

  • Pakistan: “১৯৭১-এর ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইব না”, বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন পাক মন্ত্রী

    Pakistan: “১৯৭১-এর ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইব না”, বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন পাক মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১-এর (Bangladesh) ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইবেন না তাঁরা। রবিবার ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এসব অতীতেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে আলোচনার আর সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই দ্ব্যর্থহীনভাবে কথাগুলি বললেন দার।

    মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা (Pakistan)

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছিল পাক সেনা। সেই বছর শুধু ২৫ মার্চ রাতেই ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নামে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খুন করা হয় ২৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে। তার পর এতদিন কেটে গেলেও, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য আজও ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর সামনে কথাগুলি বললেও, পাক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ দেখা যায়নি বাংলাদেশে। মৃদু প্রতিবাদ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারেরই বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চাক পাকিস্তান। আর্থিক ক্ষতিপূরণ করুক।”

    পাক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদও হল না!

    বঙ্গভূমে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে দারের সোজাসাপটা জবাব দেওয়ার পরেও, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। শনিবারই দারের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির প্রথমসারির নেতারা। রবিবার রাতে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা দারের। একাত্তরের গণহত্যার (Bangladesh) জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি নস্যাৎ করায় অনেকেই ভেবেছিলেন ঢাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়বেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচি বাতিল করবেন বিএনপি সুপ্রিমো। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। শনিবার দু’দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন দার। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দার (Pakistan) এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলির সমাধান করা হয়েছিল দু’বার – প্রথমবার ১৯৭৪ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে। তিনি বলেন, “পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফ ঢাকা সফরের সময় প্রকাশ্যে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে গণহত্যার বিষয়টি ফের নিষ্পত্তি করেছিলেন (Pakistan)।”

  • S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মার্কিন প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন যে জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করছেন অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনিই ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছিলেন, তা ঠিক নয়।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “তাদের মধ্যে একটি ইতিহাস আছে। এবং তারা সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করারও ইতিহাস রাখে। এটা প্রথমবার নয় যে আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখছি। মজার বিষয় হল, যখন আপনি কখনও কখনও সেই সার্টিফিকেটগুলি দেখেন যা কেউ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়, তখন মনে রাখতে হবে, এটাই সেই একই সেনাবাহিনী যারা অ্যাবোটাবাদে গিয়ে আপনি জানেন কাকে খুঁজে পেয়েছিল। আসল বিষয় হল, এই দেশগুলি কেবল সুবিধার রাজনীতি করতে মনোযোগী হয়। তারা বারবার এমনটা করার চেষ্টা করে। এর কিছুটা কৌশলগত হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্য সুবিধা বা হিসেব-নিকেশও থাকতে পারে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। সেখানে তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।  ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তেলের মজুত উন্নয়নের জন্য একটি বড় চুক্তিও ঘোষণা করেছিলেন এবং আরও অনেক কিছু।” তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে (Pakistan) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। সেখানে ফের একবার “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ অঙ্গীকার” করা হয়েছে (S Jaishankar)।

  • Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ চুপিসারে বিশাল চাঁদা সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। অপারেশন সিঁদুরে তাদের সংগঠন একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই ফের নতুনভাবে (Digital hawala of JeM) পাকিস্তানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর পন্থায় আছে জৈশ। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জৈশ গোষ্ঠী পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা তালিম শিবির ও নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। এই কাজে তারা প্রায় ৩৯০ কোটি পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে। জৈশ-ই প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar in Pakistan) ও তাঁর ভাই তালহা আল সইফ এই প্রচার চালাচ্ছে।

    নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানার পর, পাকিস্তানে ফের সন্ত্রাসের ডানা মেলাতে সক্রিয় হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজহার আইএসআই-এর সহযোগিতায় নতুন করে সন্ত্রাসমূলক পরিকাঠামো তৈরির ছক কষছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র। সমর্থকদের কাছে দরাজ হাতে চাঁদা দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ‘ইজিপয়সা’ এবং ‘সদাপে’-র মতো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ ও তহবিল সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নজর বাঁচিয়ে চলা যাবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ডিজিটাল ওয়ালেটগুলি মাসুদ আজহারের পরিবারের ফোন নম্বরের সঙ্গে নথিভুক্ত রয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন তাঁর ভাই ও ছেলে আবদুল্লা আজহার। এছাড়াও, প্রতি শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে গাজাবাসীদের ত্রাণের নাম করে নগদে চাঁদা সংগ্রহ চলছে। কিন্তু, আদতে সেই টাকা যাচ্ছে জৈশের ভাঁড়ারে।

    ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ

    জৈশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেটের (Digital hawala of JeM) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে কোনওরকম আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতায় না আসে। এর মাধ্যমে তারা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর নজর এড়াতে চায়। পাকিস্তান ২০২২ সালে ফতাফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলেও, ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে—জৈশের কার্যকলাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং পাকিস্তান তাদের মদত দিচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মাসুদ আজহারের (Masood Azhar in Pakistan) পরিবারের সদস্যদের নামে ৫টি ডিজিটাল ওয়ালেট শনাক্ত হয়েছে। যেমন, সদাপে-র একটি অ্যাকাউন্ট তার ভাই তালহা আল সাইফ (তালহা গুলজার)-এর নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যা ব্যবহার করছে হারিপুরের জৈশ কমান্ডার আফতাব আহমেদ। অপরদিকে, ইজিপয়সার একটি ওয়ালেট চালাচ্ছে মাসুদ আজহারের ছেলে আবদুল্লাহ আজহার। একটি অন্য ওয়ালেট ছিল গাজা-র জন্য সহায়তা প্রদানের ছদ্মবেশে তৈরি, যার নম্বরের মালিক কাগজে ছিল খালিদ আহমেদ, তবে এটি পরিচালনা করতেন মাসুদের আরেক ছেলে হাম্মাদ আজহার। জৈশের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সংগঠন আল রহমত ট্রাস্ট বাহাওয়ালপুরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করছে। এই ট্রাস্টের নেপথ্য মালিক খোদ মাসুদ আজহার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

    ৩১৩টি নতুন ‘মারকাজ’ তৈরির পরিকল্পনা

    চাঁদা সংগ্রহের পাশাপাশি জৈশ নেতারা নতুন মারকাজ নির্মাণের কথাও ভেবেছেন। এগুলিকে মাসুদ আজহার সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোপন ডেরা হিসেবে সংরক্ষিত করা হবে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই নতুন জঙ্গি তালিম শিবির খোলা হবে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। সূত্র এও জানিয়েছে যে, চাঁদা সংগ্রহের অর্থে সংগঠন বিদেশি অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। যেমন মেশিন গান, রকেট লঞ্চার ও মর্টার। এসবের মাধ্যমে জৈশ নতুন পরিকল্পনা করেছে। এই সব কাজে জৈশকে সক্রিয় সহায়তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জৈশ-আইএসআই মিলে ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প তৈরি করতে চাইছে। এসব ক্যাম্প গড়ার আড়ালে মসজিদ নির্মাণের ছুতো দিচ্ছে তারা। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিশ্চিত যে এই পরিকাঠামো মূলত সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিটি মারকাজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।

    বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছে অর্থ সংগ্রহ

    শুক্রবারের নামাজের সময় পাকিস্তানের মসজিদে গাজা-র সহায়তা নাম করে অনুদান তোলা হচ্ছে। পরে এই অর্থ জৈশ-এর কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া—বিশেষ করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে। মাসুদ আজহারের লেখা পোস্টার, ভিডিও, বার্তা বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে ছড়ানো হচ্ছে যাতে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থ সাহায্য মেলে। জৈশ একসঙ্গে ৭-৮টি ওয়ালেট চালায় এবং প্রতি ৪ মাস অন্তর সেগুলো বদলে দেয়। একটি ওয়ালেটে মোটা অঙ্ক জমলে সেটি ছোট ছোট অঙ্কে ভাগ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০টি নতুন ওয়ালেট তৈরি হচ্ছে প্রতি মাসে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক অমিত দুবে জানিয়েছেন, এসব ডিজিটাল ওয়ালেট আসলে ‘ডিজিটাল হাওয়ালা’-র মতো কাজ করছে—যেখানে কোনও প্রথাগত ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না, ফলে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়ানো যায়।

    ৮০-৯০ কোটি টাকার সন্ত্রাসী লেনদেন

    বর্তমানে জৈশ-এর এই ডিজিটাল ওয়ালেট (Digital hawala of JeM) চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৮০-৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। এই অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র কেনা, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা, মাসুদের পরিবার চালানো এবং বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে। এই অর্থের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বার্তা স্পষ্ট — পাকিস্তান যতই ফতাফ-কে মিথ্যা আশ্বাস দিক, বাস্তবে জৈশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠন পাকিস্তান মাটিতে আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে, আর এবার তারা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে তুলেছে।

  • India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) ধুয়ে দিল ভারত (India)। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে মহিলাদের যৌন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। এর পরেই ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে তাদের নিজেদেরই মহিলাদের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় অপরাধের রেকর্ড স্মরণ করিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের অন্যদের নীতি শেখানোর কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) লাখ লাখ নারীর ওপর পাক সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ যৌন হিংসা চালিয়েছিল, তা এক লজ্জাজনক ইতিহাস।” রাষ্ট্রসংঘে ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পুন্নোস বলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা আজও অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিচারব্যবস্থাও এই নারীর প্রতি অপরাধগুলিকে বৈধতা দেয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি কতটা বিদ্রূপাত্মক যে যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই এখন ন্যায়বিচারের রক্ষক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামি নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।”

    পুন্নুসের বক্তব্য (India)

    ২০২৪ সালে সাসটেনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে পাকিস্তানে ২৪,০০০-রও বেশি অপহরণ ও কিডন্যাপের ঘটনা, ৫,০০০টি ধর্ষণের ঘটনা এবং ৫০০টি “অপমানজনক” হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু ভুক্তভোগী ছিলেন হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরী, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুন্নুস (India) বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আইনি সহায়তা পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার নৃশংস কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের (Pakistan) কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক হিংসার মোকাবিলায় ভারত দেশীয় পর্যায়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সাহায্যে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অবদান রাখা প্রথম দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে (India) রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপে যৌন শোষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের সার্কেলে যুক্ত হয়েছে ভারত। পুন্নোস মনে করিয়ে দেন, ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম সর্বমহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল এবং এখনও রাষ্ট্রসংঘের মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট পাঠিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই দলগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল বিষয়গুলির (Pakistan) সমাধান করতে অসাধারণভাবে সফল হয়েছে” (India)।

LinkedIn
Share