Tag: pakistan

pakistan

  • Terror Drones: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    Terror Drones: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (pakistan) পাঠানো হচ্ছে ড্রোন। ফিরছে কখনও মাদক (drug), কখনও বা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ড্রোন (drone) আটক করেছে বিএসএফ (bsf) এবং পাঞ্জাব পুলিশ। ড্রোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা বাহিনী জেনেছে, ভারত থেকে পাকিস্তানে ড্রোন পাঠিয়ে কাজ হাসিল করছে দুষ্কৃতীরা।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ (punjab police) বেশ কয়েকটি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করে। প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে তারা জেনেছে, এই ড্রোনগুলিকেই ব্যবহার করা হয় মাদক কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের মাধ্যম হিসেবে। এও জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ড্রোনই ওড়ানো হত অমৃতসর এবং তরণ তারণ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে।

    অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    জানা গিয়েছে, ভারত থেকে পাঠানো ড্রোনে পিস্তল, মাদক এবং গোলাবারুদে ভর্তি করে পাকিস্তানের কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সেগুলি ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ঘটনাটি নজরে পড়ায় পাঞ্জাব পুলিশকে নিয়ে বিএসএফ ওই ড্রোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে। তখনই ফাঁস হয় অবৈধ পাচারচক্র। গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠকে উঠেওছিল বিষয়টি।      

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিএসএফ একটি ড্রোনকে গুলি করে নামায়। ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে উড়ে এসে পাঞ্জাবের অমৃতসরে আসছিল। সেই ড্রোন থেকে মেলে ১০ কেজিরও বেশি হেরোইন। যার বাজারদর প্রায় ৭০ কোটি টাকা। পাঞ্জাব পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বাজেয়াপ্ত করা ড্রোনের যাতায়াতের পথ বিশ্লেষণ এবং তদন্ত করে জানা গিয়েছে, সেটি পাঠানো হয়েছিল ভারত থেকে। সেখানেই ড্রোনটিতে ভরা হয়েছিল ১০ কেজি হেরোইন। পরে সেটিকে ফের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    প্রায় একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল মার্চের প্রথম সপ্তাহে। ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া একটি ফার্মের কাছে গুলি করে ড্রোনটি নামায় বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশ। এই ড্রোনটিও ভারত থেকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। গোলাবারুদ এবং মাদক নিয়ে ভারতে ফিরছিল সেটি।

    আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    পরপর এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক করে দেয় পাঞ্জাব পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু লোক পাকিস্তানের সঙ্গে তলায় তলায় যোগসাজশ রেখে চলছে। তারাই চালাচ্ছে এই চক্র। এর পেছনে বেশ কিছু গ্যাংস্টার এবং পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা রয়েছে। ঘটনায় যোগ রয়েছে দুই দেশেরই স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীরও। ড্রোনের এই অপব্যবহার ঠেকাতে সক্রিয় বিএসএফও। সীমান্তে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম (Anti-Drone system) মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী। বাড়ানো হয়েছে টহলদারি, বসানো হয়েছে নানা নজরদারি সরঞ্জামও।

    বরাবরই ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ। নড়বড়ে প্রশাসন। হাজারো সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) দেশ।

     

  • Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে পাকিস্তান। গাড়ি চুরি হল লন্ডনে, আর খুঁজে পাওয়া গেল করাচিতে! এ যেন একেবারে অবাক করা কাণ্ড। তবে এই গাড়ি যেই সেই গাড়ি নয়, তার নাম বেন্টলে।

    সংবাদ সূত্রের খবর, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন (London) থেকে চুরি হয়ে যাওয়া বিলাসবহুল বেন্টলে মুলসান সেডান (Bentley Mulsanne sedan) গাড়িটি করাচিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি! ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি টাকার বেশি। তবে কীভাবে লন্ডনের চুরি হওয়া গাড়ি করাচিতে পৌঁছলো এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কোনওমতে ঠেলেঠুলে গাড়িটিকে সরানোর চেষ্টা করছেন পাক কাস্টমসের কর্মীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে তথ্য পাওয়ার পরে করাচির কালেক্টরেট অফ কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। সেই সময় দেখা যায় বেন্টলে মুলসান সেডান গাড়িটি শহরের ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা রয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে গাড়িটি চুরি করার পরে সেই গাড়ি থেকে ট্রেসিং ট্র্যাকার সরাতে পারেনি চোরের দল। আর এইভাবেই উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির কোথায় আছে তা খুব সহজেই বুঝতে পেরে যায় ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি।

    আরও পড়ুন: স্কুলে নম্বর বেশি পাওয়ার ফল মৃত্যু! বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ সহপাঠীর মায়ের বিরুদ্ধে

    তবে জানা গিয়েছে অভিযান চলাকালীন দেখা যায়, সেই গাড়িতে পাকিস্তানের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। তবে তল্লাশি চালানোর পর জানা যায়, লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ির চেসিস নম্বর আর সেই গাড়ির চেসিস নম্বর এক। এরপর গাড়ির মালিককে ওই গাড়ির উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেনি। আর সেই কারণে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মালিক এবং যে দালালের মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কিনেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, তদন্ত করে জানা গিয়েছে গাড়ি চুরির ক্ষেত্রে যারা যারা জড়িত ছিল তারা পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকের কাগজপত্র ব্যবহার করে তা পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল। আবার, কাস্টমসের দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে গাড়িটি নিয়ে যেতে পাকিস্তানের টাকায় প্রায় ৩০০ মিলিয়নের বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে গাড়ি চোরেরা।

  • Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের হামলা হল হিন্দু মন্দিরে (Hindu temple attacked)। ফের আতঙ্কিত পাকিস্তানি সংখ্যালঘুরা।  বুধবার করাচির (Karachi) কোরাঙ্গি (Korangi) এলাকার শ্রী মারি মাতা মন্দিরে (Shri Mari Maata Temple) ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দেবতার মূর্তি (idols deities vandalised)। ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে মন্দির ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    প্রাথমিক তদন্তের পরে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছয় থেকে আটজন লোক মোটরসাইকেলে চেপে এসে মন্দিরে হামলা চালায়। কোরাঙ্গির এসএইচও ফারুক সানজরানি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    গত বছরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শ্রী পরমহংসজি মহারাজের (Paramhansaji Maharaj) সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে (Krishnadwar Temple) ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পাক শীর্ষ আদালত। আদালত পাক সরকারকে মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দেয়।

    এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গতবছরই রহিম ইয়ার খান জেলার গনেশ মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই পাক সন্ত্রাসদমন আদালত ওই ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    কিছুদিন আগেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতের দিকে আক্রমণ শানিয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় বিশ্বাস। নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়ে বলে, তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ পুড়ল পাক সরকারের। 

    পাকিস্তানে প্রায়ই হিন্দু মন্দিরগুলি আক্রান্ত হয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সিন্ধু নদীর (Indus River) তীরে কোটরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়েছিল। 
     

     

  • Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (pakistan) অবিলম্বে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। বিস্ফোরক ইমরান খান (Imran khan)।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf) পার্টির প্রধান বলেন, পাকিস্তান এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারালে তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদি চলতি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে এদেশ আত্মঘাতী হতে যাচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি যে এখনই ফিরে আসছেন না, এদিন তাও জানান ‘কাপ্তান’। তিনি বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ফিরে আসার মানে হবে ষড়যন্ত্র স্বীকার করে নেওয়া।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    ইমরানেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। ইমরানের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে দিন কয়েক আগে ইসলামাবাদে বিশাল জমায়েত করেন ইমরান। ওই জমায়েত ঠেকাতে চেষ্টার কসুর করেনি শাহবাজের সরকার। তার পরেও রোখা যায়নি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। ইসলামাবাদের বুকে জনসভা করেন তিনি।

    ওই দিনই ইমরান জানিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, আমি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগ করিনি। ক্ষমতার প্রকৃত কেন্দ্রগুলি পড়ে রয়েছে অন্যত্র। সবাই জানে যে কোথায় আছে। ইমরান আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের সরকার দুর্বল ছিল। তাই জোটসঙ্গী খুঁজতে হয়েছিল। তবে এরকম পরিস্থিতি আবার দেখা দিলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে নির্বাচন বেছে নেবেন বলেও জানান পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    তাঁর সরকার ব্ল্যাকমেলের শিকার বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান বলেন, আমাদের হাত বাঁধা ছিল। সব জায়গা থেকে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। ক্ষমতা আমাদের সঙ্গে ছিল না। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা দেখব তারা আমাদের আইনি ও সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচনের দিকে যেতে দেয় কিনা, অন্যথায় এই দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।

    এদিকে, দেশের বিরুদ্ধে নগ্ন হুমকি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার পূর্বসূরি ইমরান খানকে পাবলিক অফিসের জন্য অযোগ্য বলে অভিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের বিভাজনের বিষয়ে কথা না বলতে তাঁকে সতর্কও করেন।

     

  • Imran khan: অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    Imran khan: অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকারকে “চরম হুঁশিয়ারি” দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan)। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (pakistan Tehreek-i-insaf) দলের প্রধান বলেন, মাত্র ছ’দিন। তার মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবি জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আজাদি মিছিলে (protest march) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদে আসেন ইমরান। সেখানকার জিন্নাহ অ্যাভেনিউতে দাঁড়িয়ে শাহবাজের সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন ‘কাপ্তান’। সরকার যদি এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না করে, তাহলে এবার গোটা দেশকে পাশে নিয়ে রাজধানীতে আসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।

    আরও পড়ুন : গদি বাঁচাতে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করতে চেয়েছিলেন ইমরান?

    অবিলম্বে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবিতে উত্তাল ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। বুধবার থেকেই ইমরানের সভা নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়েছে অশান্তির আগুন। রাজধানী ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, করাচি, লাহোর, খাইবার পাখুনখাওয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ইসলামাবাদের রেড জোন, ব্লু জোনেও ব্যাপক অশান্তি হয়। বুধবার ইসলামাবাদের অদূরে আটকে দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এদিন সকালে রাজধানীতে সভা করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    ইমরান বলেন, আমি ঠিক করেছি যে যতক্ষণ না এই সরকার সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করছে, ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকব। গত ২৪ ঘণ্টায় আমি যা দেখেছি, তাতে বুঝতে পারছি যে দেশে নৈরাজ্য চলছে। সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।

    প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বুধবার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সংঘর্ষে তাঁর দলের পাঁচ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। একজন অ্যাটোক ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়েছেন। নদীতে ডুবেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। করাচিতেও তাঁর দলের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    ইমরান বলেন, জুনে নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফের রাজধানীতে মিছিল করবেন বলেও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন ইমরান ফের দাবি করেন, গত মাসে আস্থাভোটে তাঁর পতনের নেপথ্যে ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্র। তাঁর পেছনে যে জাতীয় সমর্থন রয়েছে, এদিনের সভায় তাও জানিয়ে দেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

    এদিনের এই সভা করতে ইমরামকে কম বাধার প্রাচীর ডিঙোতে হয়নি। শেষমেশ সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে খোলা জায়গায় ইমরানকে সভা করার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো এদিন সভা করেন ইমরান। তার আগে রাজধানীতে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় ইমরানের সমর্থকদের সঙ্গে পাক পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, বিক্ষোভ মিছিলের ভ্যানগার্ডের উপর লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। সরকারি সূত্রে খবর, দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ১৮ জন পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মী।

     

     

  • Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    Pakistani Drone: চোরাচালানের ছক! পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার প্রচুর মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাব (Punjab) সীমান্তে একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। সোমবার ভোরে সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin) উদ্ধার হয়। 

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অমৃতসরের সীমান্তবর্তী ভারোপাল গ্রামে একটি পাকিস্তানি ড্রোন দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়ে সেটিকে নামিয়ে আনেন। ড্রোনটি থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মাদকের মূল্য ভারতীয় বাজারে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বিএসএফের তরফে একটি ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচার করার আরও একটি প্রচেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ। পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে আনেন জওয়ানরা। সেই ড্রোন থেকে ন’টি প্যাকেটে মোড়া ১০ কেজি হেরোইন পাওয়া গিয়েছে।”    

    রবিবার পাঞ্জাবের তরন তারান থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী আইইডি উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই বোমাটি ভারতে পাচার করা হয়েছিল।  

    মূলত অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছড়াতেই সীমান্তরেখা পেরিয়ে এই ড্রোনগুলিকে ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। নাশকতার কোনও ছকও থাকতে পারে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। অতিমারীর সময় থেকেই সীমান্তে পাক হামলার ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনার একের পর এক প্রত্যাঘাতে নাকাল হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তাই এখন ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান।

     

  • Imran Khan: ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    Imran Khan: ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কয়েক কোটি টাকার বিলাসবহুল সরকারি গাড়ি নিজের কব্জায় রেখে দিয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan)। এমনই অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) তথ্যমন্ত্রী মারিয়ম ঔরঙ্গজেব।

    অনাস্থা ভোটে (No confidence vote) হেরে গতমাসে গদি হারান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী (Former Pakistan PM) ইমরান। এর ফলে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও ছেড়ে দিতে হয়। মন্ত্রীর অভিযোগ, বেরনোর সময় বিদেশি অতিথিদের জন্য রাখা একটি সরকারি গাড়ি করে বের হন “কাপ্তান”। তারপর থেকে সেই গাড়ি তিনি আর ফেরত দেননি। নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন।

    ৬ বছর আগে ৩ কোটি পাকিস্তানি টাকায় কেনা হয়েছিল ওই বুলেটপ্রুফ ও বম্ব-রোধক গাড়িটি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচগুণ বেশি, অর্থাৎ ১৫ কোটি টাকা। পাক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার সময় একটি BMW X5 সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। গাড়িটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ি। বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্যে ব্যবহার করা হত।’  

    তিনি আরও জানান, গাড়িটি নিজের কাছে জোর করেই রাখতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। যদিও আগের প্রধানমন্ত্রীদের বাড়িতে দামী গাড়ি রাখা নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারগুলির সমালোচনা করেছিলেন ইমরান। পাক মন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, ইমরান খান এক বিদেশি কূটনীতিকের দেওয়া হ্যান্ডগানও নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। যদিও পাকিস্তান আইন অনুযায়ী, বিদেশি প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর তোশাখানায় জমা করা উচিৎ ছিল।

    [tw]


    [/tw]

    গতমাসে অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হওয়ার পরই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরানের কার্যকলাপে বার বার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (Pakistan Tehreek-i-Insaf)। 
    বিদেশি প্রতিনিধিদের থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কী কী উপহার পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রকাশ করতে সম্প্রতি শেহবাজ (Pak PM Shehbaz) শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে এ-ও বলা হয় যে, বিদেশি প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, দেশের সম্পত্তি। এর উত্তরে ইমরান খান বলেন, ‘আমার উপহার আমার মর্জি।’ বিদেশি উপহার নিজের কাছে রাখার জন্যে তোশাখানার নিয়মেও বদল করেছিলেন ইমরান, বলে দাবি করেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী।

     

     

  • Asia Cup Hockey 2022: এগিয়ে থেকেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র ভারতের

    Asia Cup Hockey 2022: এগিয়ে থেকেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না! এশিয়া কাপ হকির প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করল ভারত। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে। জাকার্তায় শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ হকি। পুল এ-র প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই এগিয়ে ছিল ভারত। 

    প্রথম কোয়ার্টারের নয় মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন কার্তি সেলভম। এরপর দুই দলই গোল করার একান্ত চেষ্টা করে গেলেও গোল হয়নি। ম্যাচের শেষমুহূর্তে পাকিস্তানের আব্দুল রাণা পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচ ড্র করে দেন এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করার স্বপ্ন ভেঙ্গে দেন।

    ম্যাচ শুরুর প্রথম তিন মিনিটে পাকিস্তানের স্কোর করার সুযোগ থাকলেও কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। এরপর ভারতের সুযোগ আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার। কিন্তু পাকিস্তানি গোলরক্ষক আকমল হোসেন নীলম সঞ্জীবের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ভারতীয় দল। প্রথম কোয়ার্টারে দুটি আরও পেনাল্টি কর্নার আদায় করে ভারত। তার মধ্যে অষ্টম মিনিটে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন কার্তি সেলভম। 

    দ্বিতীয় কোয়ার্টারের প্রথমের দিকে পাকিস্তানের গোলকিপার হুসেন দুরন্তভাবে পাওয়ান রাজভারকে আটকে নিশ্চিত গোল বাঁচান।  ২১ মিনিটে ভারত পেনাল্টি কর্নার পেলেও, তা গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়। 
    দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে পাকিস্তানের কাছে পেনাল্টির সুযোগ এলেও তারা তা নষ্ট করায় ভারত প্রথমার্ধে লিড বজায় রাখে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভারত, পাকিস্তান কোনও দলই একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেনি। দুই দল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও, তা গোলে পরিবর্তিত হয়নি। হাফ টাইমে সেলভামের গোলেই এগিয়ে ছিল ভারত। 

    হাফ টাইমের পর তৃতীয় কোয়ার্টেরও গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। এক সময় পাকিস্তানকেও বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায়। পাকিস্তান তাদের তৃতীয় পেনাল্টি পেলেও রিজওয়ান আলির জন্য বিফলে যায়। ভারতীয় দলের রাজভার এবং উত্তম সিংয়ের কাছে সুযোগ আসলেও পাকিস্তানের গোলকিপার হুসেন রক্ষা করতে পেরেছিলেন। ম্যাচের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতে পাকিস্তান পেনাল্টি কর্নার পায়। সেখান থেকে আব্দুল রাণার গোল করে সমতায় আসে।

    এদিন অন্যান্য ম্যাচের মধ্যে মালয়েশিয়া ওমানকে ৭-০ গোলে, কোরিয়া বাংলাদেশকে ৬-১ , জাপান ইন্দোনেশিয়াকে ৯-০ তে পরাজিত করে। মঙ্গলবার ভারতকে জাপানের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে।

     

  • Sikh Killing in Pakistan: পেশোয়ারে জঙ্গির গুলিতে মৃত দুই শিখ, নিন্দা পাক প্রধানমন্ত্রীর

    Sikh Killing in Pakistan: পেশোয়ারে জঙ্গির গুলিতে মৃত দুই শিখ, নিন্দা পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) জঙ্গি হামলার বলি হলেন দুই শিখ (Sikh) ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা পেশোয়ারে (Peshawar)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম কুলজিৎ সিং(৩৮) এবং রঞ্জিত সিং (৪২)। মশলার ব্যবসা ছিল তাঁদের। রবিবার সরবন্দ অঞ্চলের বট্টাতাল চকে নিজেদের দোকানে বসে বিকিকিনিতে ব্যস্ত ছিলেন ওই দু’জন। সেই সময়ই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বাইকে চড়ে আসা দুই আততায়ী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই ব্যক্তি। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইসিস (ISIS)। ঘটনার পরপরই আইসিসের খোরাসান (Khorasan) ইউনিটের তরফে জানানো হয়, পেশোয়ারে দুই শিখকে হত্যা করেছে তারা। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আমি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

    [tw]


    [/tw]

     

    এই ঘটনার নিন্দা করে পাকিস্তান সরকারকে নিশানা করেছে শিখ নেতৃত্ব। এই ঘটনার নিন্দা করেছে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (SGPC)। শিখদের বিভিন্ন উপাসনালয়ের দেখভাল করে এই কমিটি। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, “এই ধরনের হত্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাকিস্তান সরকারের উচিৎ অবিলম্বে আততায়ীদের গ্রেফতার করা। নিজেদের কর্তব্য যেন ভুলে না যায় পাকিস্তান।” সংখ্যালঘুদের হত্যার বিষয়টি সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    এই হত্যার নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, “খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে আমাদের শিখ নাগরিকদের হত্যার (Terrorist Attack) ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি জানাচ্ছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    হত্যার নিন্দা করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত সিং মান জানান, এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। গত সেপ্টেম্বরেও পেশোয়ারেই এক শিখ ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল আইসিস জঙ্গিরা। রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তানের শিখরা। পেশোয়ারে শিখরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মিছিল করেছেন সেখানকার শিখরা। 

     

  • China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগে ঘটা করে চালু হয়েছিল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (China Pakistan Economic Corridor), সংক্ষেপে সিপিইসি (CPEC)-র কাজ। পাকিস্তানজুড়ে (pakistan) শুরু হয়েছিল হইচই। দেশ নতুন যুগের ভোরে জাতীয় প্রচারও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। করিডর তৈরির কারিগররাও ভেবেছিল করিডরটি পাকিস্তানের বার্ষিক বৃদ্ধির হারে আরও ২.৫ শতাংশ যোগ করবে।

    পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন :পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    নিম্ম-মধ্য আয়ের দেশ পাকিস্তান। দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। বেকারত্ব লাগামছাড়া। তাই সরকার আশা করেছিল, সিপিইসি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশে ২৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সাত বছর আগের ওই প্রকল্পের বিশেষ কোনও ফসল এখনও অবধি ঘরে তুলতে পারেনি শাহবাজের (Shehbaz Sharif) দেশ।

    সূত্রের খবর, সিপিইসির মাধ্যমে ১৫টি প্রকল্প হওয়ার কথা। এর মধ্যে দিনের আলো দেখেছে মাত্র তিনটি। বাকিগুলি বিশবাঁও জলে। যে প্রকল্পগুলি পাইল লাইনে ছিল কিংবা নতুন করে শুরু হওয়ার কথা, সেগুলির জন্যও চিন থেকে কোনও টাকা আসছে না। প্রকল্পগুলিতে টাকা ঢেলে কাজ শেষ করার মতো অবস্থায়ও নেই দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই কবে শেষ হবে ওই প্রকল্পগুলির কাজ, তা নিয়েই ভাবিত পাকিস্তানের নয়া সরকারও।      

       আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    তবে ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটির আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। তাই, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই প্রকল্পগুলি আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা, দেখলেও কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পাকিস্তানিরাই।

    সঙ্কটের জন্য চিন অবশ্য দায়ি করেছে পাকিস্তানকে। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে একটিই বিকল্প, আইএমএফ বেলআউট। তবে পাকিস্তান এই ঋণ পাওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই। তাই পাকিস্তানের হাতে আন্তর্জাতিক ঋণের বাধ্যবাধকতা এবং আমদানির চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ঋণ, এমনকি বাণিজ্যিক ঋণের সন্ধান করা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই নেই। শাহবাজের দেশ কি পারবে এই ঋণ জোগাড় করতে? উঠছে প্রশ্ন।

     

LinkedIn
Share