Tag: pakistan

pakistan

  • SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।” মঙ্গলবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) ভার্চুয়াল সম্মেলেন একথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। এবার হয়েছে ভার্চুয়াল সম্মেলন। এই সম্মেলনেই নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিশানা করেন পাকিস্তান ও চিনকে। 

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মোদি

    এদিনের ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পুতিন সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। এক সঙ্গে এক মঞ্চে (SCO Summit) চিন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানকে পেয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে পড়শি দুই দেশকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।”

    সীমান্তপার সন্ত্রাস 

    তিনি বলেন, “কিছু দেশ সীমান্তপার সন্ত্রাসকে তাদের নীতির হাতিয়ার হিসেবে দেখে। তারা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয়ও দেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবিলা করার জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ যে কোনও আকারে প্রকাশিত হতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বই হামলায় জড়িত লস্কর জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্ব জঙ্গি তালিকাভুক্ত (SCO Summit) করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত। তাতে ভেটো প্রয়োগ করে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন। কেবল সাজিদ নয়, নানা সময় পাক জঙ্গিদের আড়াল করে এসেছে চিন। এদিন নাম না করে তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি বলেন, “আমরা এসসিওকে (SCO Summit) একটি বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে দেখি না, বরং একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবেই দেখি। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলিকে এসসিও-র স্তম্ভ হিসেবে দেখি।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এসসিও দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ স্থাপন করেছে: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবন, প্রথাগত ওষুধ, যুব ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্য। গত দু দশকে এসসিও সমগ্র ইউরেশিয়া অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের (SCO Summit) মানুষ এই ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোদি, যোগ দিচ্ছেন শরিফ, জিনপিং

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোদি, যোগ দিচ্ছেন শরিফ, জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) শীর্ষ সম্মেলন হবে আজ, মঙ্গলবার। সম্মেলন হবে ভার্চুয়াল। এবার এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অংশ নেবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। গত বছর এসসিও সম্মেলন হয়েছিল উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। সশরীরে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। এবার উদ্বোধন করবেন তিনিই। প্রথমে ঠিক ছিল সম্মেলন হবে মুখোমুখি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সম্মেলন হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেন, “শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়াল করার জন্য আমরা ভারতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। যদিও রাশিয়া সশরীরে এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    এসসিও-র (SCO Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাখাস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। পর্যবেক্ষক দেশ রয়েছে চারটি। এগুলি হল, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, ইরান এবং আফগানিস্তান। মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, তুরস্ক, কম্বোডিয়া এবং সৌদি আরব এই ৯টি দেশ রয়েছে ডায়লগ পার্টনার হিসেবে। চলতি বছরই এসসিও-র অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ইরান। আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রধান বন্ধুদেশ বেলারুশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এবার সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে ডাক পেয়েছে তুর্কমেনিস্তান। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে এসসিওতে উপস্থিত ছিল ভারত। ২০১৭ সালে এর সদস্য হয় মোদির দেশ।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    চলতি বছর যেহেতু আয়োজক (SCO Summit) দেশ ভারত, তাই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি ঘোষণাপত্র, কট্টরপন্থার মোকাবিলা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে ভারত সহ কয়েকটি দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর নাও করতে পারে। কারণ বেল্ট অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে চিনের সঙ্গে মতদ্বৈততা রয়েছে ওই দেশগুলির।

    আরও পড়ুুন: কেশপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, জখম ৭

    এদিন এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। শেষ হবে ৩টে নাগাদ। এই শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতেই হয়ে গিয়েছে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠক হয়েছে গোয়ায়। উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং ও রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

    মহাসচিবের বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই (ISI) চর! এই মামলায় সিবিআইকে (CBI) প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সিআইডিও তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনার সঙ্গে সব এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    কর্মরত ২ পাকিস্তানি

    ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কুমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে ওই দুই পাকিস্তানিকে। চাকরির পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি চলছে ওই মামলার।

    মামলার মেরিট

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে (Calcutta High Court) বলেন, আমরা যা পেয়েছি, তাতে অভিযোগ গুরুতর। মামলার যথেষ্ট মেরিট রয়েছে। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেনাও কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে গ্রেফতার নাকি আটক, সেটা বলতে পারব না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম সহ একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন জাল নথি ছাপা হয়।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    এর আগে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। এদিন তাঁর মন্তব্য, সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে আসছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি মান্থা বলেন, সেনা সিবিআই এবং সিআইডিকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার যেন সংঘাত না হয়। সিআইডির সংগ্রহ করা তথ্য সেনাকে দিতে হবে। সেনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জুলাই। সেদিন সিবিআই ও সিআইডি রিপোর্ট দেবে তদন্তের অগ্রগতির।

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) অভিযোগ, এই নিয়োগের নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, পুলিশ এবং স্থানীয় পুরসভাও। সেনার পরীক্ষায় বসতে গেলে প্রয়োজন হয় বাসস্থানের প্রমাণ সহ একাধিক নথি। সেই সব নথি জাল করেই পরীক্ষা দিয়ে সেনায় দিব্যি চাকরি করছেন ভিনদেশিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংখ্যালঘু শিখ (Sikh Minority) সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পাকিস্তানে (Pakistan)। গত তিন মাসে এ নিয়ে চারবার হামলা হল সে দেশে বসবাসকারী শিখদের ওপর। ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের এক পদস্থ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাক দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে ‘ইউনাইটেড শিখস’ নামে শিখদের একটি সংগঠন।

    শিখদের ওপর হামলা

    পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। কখনও ব্যক্তিগত রোষের জেরে, কখনওবা জোর করে সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অছিলায়, কখনও আবার ধর্মীয় কারণে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছেই। গত কয়েকদিনে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আক্রান্ত হয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক। তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার হিংসার বলি হন মনমোহন সিংহ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি

    পুলিশ সূত্রে খবর, পেশোয়ারের রশিদগঢ়হী বাজারের কাছেই একটি দোকান চালাতেন মনমোহন। শনিবার দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চড়ে মনমোহনের (Pakistan) পিছু নেয় দুই দুষ্কৃতী। কিছুটা দূরে গিয়ে মনমোহনের পথ আগলায় তারা। তার পরেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিখ সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির।  

    শুক্রবার রাতেও স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়। তাঁকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর পায়ে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সবকটি ঘটনাই ঘটে পেশোয়ার শহরে। আফগান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারে হাজার পনের শিখের বাস। সেখানেই ঘটে চলেছে একের পর এক হামলার ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

    পাঁচ বছর আগে এই পেশোয়ারেই (Pakistan) গুলি করে খুন করা হয় শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা চরণজিৎ সিংহকে। তিন বছর আগে ফের গুলি করে খুন করা হয় সংবাদ মাধ্যমের সঞ্চালক বিন্দর সিংহকে। এই পেশোয়ারেই ২০১৬ সালে খুন হয়েছিলেন সুরেন সিংহ। তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা তথা জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। শনিবারের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট নামে একটি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান কপর্দকশূন্য। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা চাইছেন ভারতের অংশ হতে।” মঙ্গলবার এই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগরে প্রায় ১২১২ কোটি টাকার ২৩৩৯টি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আইনেই কাশ্মীরকে (Kashmir) শাসন করা হচ্ছে। একটা নতুন শান্তি আর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের মধ্যে চলে আসতে। কেউই আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না।”

    ৩৭০ ধারা রদ

    কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ন’ বছর আগে কেউ কি ভেবেছিলেন যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব? কেউ ভাবতে পারেননি। এবং আপনারা দেখলেন ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”

    শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ 

    আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “আজ কাশ্মীরে কোনও হিংসা নেই। সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজনও ভারতের অংশ হতে চাইছেন। আসলে দরিদ্র পাকিস্তানের সঙ্গে কেউই থাকতে রাজি নন।” তিনি বলেন, “সেই ১৯৫২ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন দুজন প্রধান, দুটো পতাকা এবং দুটো বিধান এক দেশে থাকতে পারে না। সেই কারণে তাঁকে জীবন বলি দিতে হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    আরও পড়ুুন: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মোদি জমানায় যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানান আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিকাঠামোর উন্নতি করা, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সহ সকলের উন্নতির জন্য বিগত বছরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাওবাদী, নকশালদের হিংসার ঘটনা ছিল। দেশের মধ্যে ১১৫টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল তারা। এখন সেটা কমে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ৩ থেকে ৪টি জেলায়।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংকটমোচন’ বলেও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “বর্তমানে কোনও দেশ বিপদে পড়লে ভারতের শরণ নেয়। প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হন সংকটমোচনের ভূমিকায়। ভারত বদলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বেরই মূল্যায়ন এটি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India vs Pakistan: সাফ কাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে  ৪-০ গোলে হারাল ভারত 

    India vs Pakistan: সাফ কাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে  ৪-০ গোলে হারাল ভারত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচেই পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে হারাল ভারত। হ্যাটট্রিক করলেন সুনীল ছেত্রী। অপর গোল উদান্তা সিংয়ের দুরন্ত ছন্দে সুনীলের ভারত। যে খেলাই হোক, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উন্মাদনা। কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। ম্যাচ জিতে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন ভারত অধিনায়ক। তবে তাল কাটল বিরতির আগে কোচ ইগর স্টিমাচ লাল কার্ড দেখায়। বিপক্ষের ফুটবলারের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্যে ডাগআউট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ভারতের কোচকে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিখুঁত ফুটবল খেলে ব্লু টাইগাররা।

    Score Line:  ভারত ৪ (সুনীল-হ্যাটট্রিক, উদান্তা), পাকিস্তান ০

    পুরো ম্যাচে দাপট ভারতের

    কয়েক দিন আগেই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সেখান থেকেই এদিন খেলা শুরু করেন সুনীলরা। ম্যাচের আগাগোড়া দাপুটে ফুটবল খেলেছে ভারত। ম্যাচের ১০ মিনিটে অধিনায়কের গোলেই এগিয়ে যায় ভারত। ছ’মিনিট পরে সুনীল নিজের দ্বিতীয় গোল করেন পেনাল্টি থেকে। বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। বক্সের মধ্যে সেটি পাকিস্তানের এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সুনীল গোলকিপারের ডান দিকে শট মারেন। হানিফ ঠিক দিকে ঝাঁপালেও বলের নাগাল পাননি। সুনীলের গোলের সঙ্গেই উত্তাল হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। 

    দ্বিতীয়ার্ধে বৃষ্টি হওয়ায় দু’দল খেলতে নামার সময় মাঠ কাদা হয়ে যায়। এতে ভারতের পাসিং ফুটবল খেলতে অসুবিধা হতে থাকে। পাকিস্তানও ভাল খেলতে পারছিল না। তবু দ্বিতীয়ার্ধে গোল হওয়া আটকায়নি। ৭২ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতরে আক্রমণরত সুনীলকে পিছন থেকে ঠেলে ফেলে দেন মহম্মদ সুফিয়ান। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুনীল। চতুর্থ গোল উদান্তার। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন আনোয়ার আলি। উদান্তা বল ধরে পাকিস্তানের গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।

    উন্মাদনা গ্যালারিতে

    বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ভারত-পাক ম্যাচে গ্যালারি হতাশ করেনি। পুরো সময় দলকে তাতিয়ে গিয়েছে। গ্যালারি থেকে ওঠে ইন্ডিয়া…ইন্ডিয়া…ধ্বনি। এদিন ম্যাচে দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ হাজার। দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ম্যাচ শেষে সুনীল বলেন, ‘আরও একটা ম্যাচে গোল না খাওয়া আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। যে কোনও টুর্নামেন্টের শুরুতে এমন বড় জয়, খুবই ভালো লাগছে। আলাদা করে বলতে হয় গ্যালারির কথা। পুরো ম্যাচেই আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছে। এর জন্যই তো খেলতে নামি। এরকম কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি দেখে খুবই ভালো লাগছে।’

    আরও পড়ুন: “যোগের কোনও কপিরাইট নেই, নেই পেটেন্ট, রয়্যাল্টিও”, যোগ দিবসে বললেন মোদি

    লাল কার্ড স্টিমাচের

    বিরতির কিছুক্ষণ আগে বিপক্ষ দলের ফুটবলারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ। ভারতের ডাগআউটের সামনে পাকিস্তানের ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াইতে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান প্রীতম কোটাল। পাকিস্তান থ্রো-ইন পায়। কিন্তু স্টিমাচ আবেদন করতে থাকেন ফাউলের। রেফারি তাতে কর্ণপাত না করায় পাকিস্তানের আবদুল্লাহ ইকবাল থ্রো করতে যাওয়ার ঠিক আগেই ভারতের কোচ পিছন থেকে তাঁর হাত থেকে বল কেড়ে নেন। পাক ফুটবলাররা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কয়েক জন ফুটবলার ধাক্কা মারেন স্টিমাচকে। ভারতের ফুটবলার এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। রেফারি, লাইন্সম্যান এবং দু’দলের কিছু ফুটবলারের মধ্যস্থতায় ঝামেলা থামে। এরপরেই স্টিমাচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পাকিস্তানের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এ ছাড়া হলুদ কার্ড দেখানো হয় ভারতের সন্দেশ জিঙ্ঘন এবং পাকিস্তানের নবিকে।

    সুনীলের ৯০টি গোল

    আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলদাতাদের তালিকায় চার নম্বরে উঠে এলেন সুনীল ছেত্রী। লিয়োনেল মেসির ঠিক পরেই রয়েছেন তিনি। বুধবার হ্যাটট্রিকের পর সুনীলের ৯০টি গোল হল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তিনি ২০০টি ম্যাচে ১২৩টি গোল করেছেন। এর পর ইরানের আলি দায়ি ১৪৮টি ম্যাচে ১০৯টি গোল করেছেন। তিনে মেসি। ১৭৫ ম্যাচে তাঁর গোল ১০৩। চারে সুনীল। তিনি ১৩৮তম ম্যাচে ৯০টি গোল করলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সে দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজও। রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াও। প্রধানমন্ত্রীর সফরে গন্ডগোল পাকাতে চাইছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক আইএসআইয়ের

    সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই (ISI) খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এই সংগঠনগুলি আমেরিকায় ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফরের মধ্যে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র ছকা হয়েছে ওই বৈঠকে। মোদির আমেরিকা সফরের দিন ঘনিয়ে আসতেই সে দেশে সক্রিয় হয়েছে আইএসআই। কেবল তাই নয়, খালিস্তানপন্থী এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যও করছে পাকিস্তানের ওই গোয়েন্দা বিভাগ।

    মোদির গুরুত্ব

    ইদানিং কালে বিশ্বনেতাদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদিকে। ব্যতিক্রম নয় আমেরিকাও। সেই কারণেই বাইডেন প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদিকে। হাতে গোণা বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন দুবার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশিতভাবেই মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে পাকিস্তানের। সেই কারণেই মোদির সফরে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    জানা গিয়েছে, মোদির (PM Modi) সফরে বিঘ্ন ঘটানোর একটা ছকও কষেছে আইএসআই। কীভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে, কোথায়ইবা দেখান হবে এসবই প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত-বিরোধী বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে খোলা হয়েছে ওয়েবসাইটও। ভারতীয় সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলেও মিথ্যে প্রচার করতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আইএসআইয়ের মদতে যেসব সংগঠন বিক্ষোভ দেখানোর ছক কষছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটারেন্স ফর পিসের মতো সংগঠনও। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। সেই সময় হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ওই সংগঠনগুলি। ‘মোদিকে স্বাগত নয়’, ‘হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা কর’ জাতীয় স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এখন দেখার, বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতের আকাশ সীমায় উড়ল পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)। ঘটনাটি নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩টি ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাব সীমান্তের কাছে গুলি করে নামানো হয় ড্রোনগুলিকে। শুক্রবার রাতে গুলি করে নামানো হয় ৩টি ড্রোনকে। চতুর্থটিকে গুলি করে নামানো হয় শনিবার রাতে।

    প্রথম দিনেই এল ৩ পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)

    সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম দিন যে তিনটি পাকিস্তানি ড্রোন নামানো হয়েছিল, সেগুলি ডিজিআই ম্যাস্ট্রিস ৩০০ আরটিকে ব্ল্যাক কোয়াডকপ্টার। এর মধ্যে একটি ড্রোন (Pak Drone) শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে ধারিয়াল গ্রামে ঢোকে। নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে গুলি করে নামানো হয়। তারই কিছু পরে অন্য একটি ড্রোন অমৃতসর জেলার রত্তন খুর্দ গ্রাম দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে সেটিকেও গুলি করে নামানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই ড্রোনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাকেট। প্যাকেটটি খুলতেই দেখা যায় নিষিদ্ধ মাদক। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ কেজি ৬০০ গ্রাম হেরোইন। এই পরিমাণ হেরোইনের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। হেরোইন ভর্তি ওই প্যাকেটের গায়ে উজ্জ্বল স্টিকার লাগানো হয়েছিল বলেও দাবি বিএসএফের।

    একটি ড্রোন আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে

    শুক্রবার রাতেই আরও একটি ড্রোনকে (Pak Drone) লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। তবে সেই ড্রোনটি উদ্ধার করা যায়নি। কারণ ড্রোনটি পড়েছিল পাকিস্তানের সীমানায়। বিএসএফের মুখপাত্রের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে ড্রোনটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গ সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা ড্রোনটি থেকে কিছু সংগ্রহ করছেন। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, চতুর্থ ড্রোনটি শনিবার রাতে নিয়ম ভেঙে ঢুকে পড়ে ভারতীয় আকাশ সীমায়। অমৃতসর সেক্টরে কর্তব্যরত জওয়ানরা সেটিকেও গুলি করে নামায়। একটি ড্রোন ও মাদক ভর্তি একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।

    সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্জাব, জম্মু সহ দেশের একাধিক পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে হয়েছে ড্রোন হামলা। অনেক ক্ষেত্রেই ড্রোনগুলির (Pak Drone) মাধ্যমে কখনও টাকা, কখনও আবার অস্ত্র ছড়িয়ে জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টাও চলছে। সেই কারণেই সীমান্তে রয়েছে কড়া প্রহরা। তার জেরেই গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share