Tag: pakistan

pakistan

  • Pakistan Crisis: ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    Pakistan Crisis: ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম বিদ্যুৎ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করেছে পাকিস্তান ন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি বোর্ড। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসে আরও বাড়তি লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হতে পারেন দেশবাসী। শক্তি সংরক্ষণ বাড়াতে পাক সরকার সরকারি কর্মচারিদের কাজের সময়ও কমিয়েছে। বিভিন্ন শহরে শপিং মল, কারখানাগুলিকে নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেই পাকিস্তানের টেলিকম অপারেটররা (telecommunication operators) ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি বোর্ড (NIBT) ট্যুইট করে জানিয়েছে, ‘দেশব্যাপী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের টেলিকম অপারেটররা। কারণ বিদ্যুতের এই বিভ্রাট তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় নানা সমস্যা ও বাধার সৃষ্টি করছে।’

    আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    প্রসঙ্গত, বিদেশি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। বেহাল এই অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক সরকার। কয়েক দফায় পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানি রুপির দরে একের পর এক পতন ঘটেছে। সম্প্রতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে খোলাবাজারে পাকিস্তানি ২১২ রুপির বিনিময়ে মিলছে ১ মার্কিন ডলার। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) আগেই দাবি করেছিলেন, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    পাকিস্তানের মাসিক জ্বালানি তেলের আমদানি জুলাই মাসে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে অনুমান। প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের চুক্তিতে অন্যান্য দেশ সম্মত না হওয়ায় পাকিস্তানে বিদ্যুত সংকট চলছে। সরকার শক্তি সংরক্ষণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif )শাহবাজ শরিফ ।

  • G20 Summit:  কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    G20 Summit:  কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ (G-20)  বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার। তাতে আগেই বাধ সেধেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। এবার শেহবাজ শরিফের দেশের দোসর হল শি জিন পিংয়ের চিনও (China)। কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছে ড্রাগনের দেশ। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, চিনা সরকার বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করলেও, ওই সম্মেলন কাশ্মীরেই করার বিষয়ে অনড় নয়াদিল্লি।

    আগামী বছর জি-২০র অন্তর্গত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন হবে ভারতে। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন হবে ভূস্বর্গে। তাতেই পাকিস্তানের পর এবার বাদ সাধল চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং বলেন, কাশ্মীর নিয়ে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারাবাহিকভাবে একই রয়েছে। এবং তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বারবার। এটা ভারত ও পাকিস্তানের পুরানো সমস্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলির সাপেক্ষে এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দু পক্ষেরই উচিত এক তরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টিকে অযথা জটিল না করে তোলা। আমাদের উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যের অবসান ঘটানো। একত্রে শান্তি ও সুস্থিতি বহাল রাখা।

    আরও পড়ুন : মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলনে কি তা হলে অংশ নেবে না চিন?  সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তের চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, আমরা বৈঠকে অংশ নেব কি নেব না, তা ভেবে দেখা হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মন দিতে। বিষয়গুলি নিয়ে রাজনীতি না করতে। তাহলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিকে চাঙা করা যাবে। চলতি বছরের মার্চেই কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি। এবার সেখানেই জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ভারত। মোদি সরকারের আমলে কাশ্মীরে যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে, বিশ্বের দরবারে সেই বার্তা দিতেই কাশ্মীরে বৈঠকের আয়োজন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    তবে বিষয়টি এত সহজে মেনে নেবে না পাকিস্তান। চিনকে পাশে পাওয়ার পর এখন সৌদি আরব এবং তুরস্ককেও পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে শেহবাজের দেশ। তবে তাতে ইসলামাবাদ আদৌ সফল হবে কিনা, হলেও কতটা, তা বলবে সময়।

     

  • Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ভিক্ষা করবে না ভারত (India)। পাকিস্তানের (Pakistan) পাশাপাশি চিনকেও (China) কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তিনি বলেছেন, শান্তির জন্য কোনও অবস্থাতেই ভারত আর পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হবে না। সতর্ক করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সামনে বন্ধুত্বের হাতও বাড়িয়েছেন ডোভাল। তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু জঙ্গিদের মদত কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। শান্তি ভিক্ষার কোনও প্রশ্নই নেই। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণে তৈরি। সময় মতো যোগ্য জবাবও দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় (Pulwama) সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরের ‘মুড’ অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডোভাল। তিন বছর আগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) চল্লিশের বেশি জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পরে ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে টেনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, “পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপকে এখন আর কেউ সমর্থন করে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) মানুষও শান্তি চায়। বনধে কাশ্মীরে কোনও প্রভাব না পড়াটা তার বড় উদাহরণ। এটা ঠিক, এখনও কিছু যুবককে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু আমরা তাদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব।”

    পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন অজিত ডোভাল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “সীমান্ত অতিক্রম করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। নিজেদের সীমায় থাকলে ভারত সকলের বন্ধু। না হলে কঠিন পদক্ষেপ নিতে ভারতও প্রস্তুত।’ 

    চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ (Border Dispute) নতুন নয়। তবে সম্প্রতি তা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। প্যাংগংয়ের হৃদের (Pangong Tso) কাছে নতুন সেতু তৈরি করছে চিন। এই প্রসঙ্গে ডোভালের বক্তব্য, “চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আমাদের এই টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। তবে ভারত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বার বার বৈঠক হয়েছে। এর পরেও যদি সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে ভারত নিজের মতো করেই জবাব দেবে।”

  • BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সহযোগিতায় ব্রিকস(BRICS) সামিটে পাকিস্তানের (Pakistan) উপস্থিতি আটকে দিল ভারত (India)। বহু চেষ্টা করেও শেহবাজ শরিফের দেশ ঢুকতে পারল না ব্রিকসে। যদিও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল আলজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার মতো ১৩টি দেশ। ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি সরকারের জয় হিসেবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, পাকিস্তানকে আটকাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল ভারত। তাতে সাফল্য মিলল কারণ চিনও তার সব চেয়ে কাছের বন্ধু পাকিস্তানের হাত ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সহমত হয়েছে। ঘটনায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ ইসলামাবাদ।  

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ব্রিকস। জুনের ২৪ তারিখে শীর্ষ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের আগে আগে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। প্রকাশ্যে বলা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি ব্রিকসে পাকিস্তানের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যায় সেখানেই।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    কূটনৈতিক মহলের মতে, ব্রিকস বৈঠকে যে দেশগুলি যোগ দিয়েছে, তাদের বাজার ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে পাক অর্থনীতি। পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার পর সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ব্রিকসের মঞ্চে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কথোপকথন আমরা নজর করেছি। তাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ যোগ দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একটি দেশ পাকিস্তানকে ওই মঞ্চে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়েছে। বিবৃতির লক্ষ্য যে ভারত, তা স্পষ্ট। এর জবাবে চিন সরকার যা বলেছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই হতাশ হওয়ার কথা পাকিস্তানের। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং ভারতের পক্ষ নিয়ে সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির আলোচনার মাধ্যমে।

    চিনের এই বিবৃতিতে যথেষ্ট হতাশ পাক সরকার। ইমরান খানের বিদায়ের পর দেশের অর্থনীতির হাল ধরতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ পাকিস্তানের নয়া সরকার। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ। দৃশ্যতই পাকিস্তানকে একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল শি জিন পিংয়ের দেশের তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের পক্ষ নিয়ে সেই কাজটিই করে দেখাল ড্রাগনের দেশ।

     

  • Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বে আঘাত হানে ভয়াল ভূমিকম্প (Earthquake)। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে পড়শি দেশ পাকিস্তানেও (Pakistan)। ভূমিকম্পের ধাক্কায় শুধু আফগানিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন পনেরশোরও বেশি মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন :রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    আমেরিকার ভূ-সর্বেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে প্রথম অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উৎস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন ১৫০০রও বেশি মানুষ।

    বর্তমানে আফগানিস্তানের রাশ রয়েছে তালিবান প্রশাসনের হাতে। তালিবান প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হক্কানি জানান, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে সিংহভাগ মানুষের। সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। আহতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। নানগড়হার ও খোস্ত এলাকায়ও ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    আরও পড়ুন : তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে কোনও কিছু বোঝার আগেই কাঁপতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বসত বাড়ি। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেন বহু মানুষ। চোখের সামনে ঘর ভেঙে পড়তে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। প্রিয়জনদের অনেককেই ভাঙা বাড়ির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেও হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। কম্পন থামতেই শুরু হয় প্রিয়জনদের বাঁচানোর চেষ্টা। ততক্ষণে অনেক জায়গায় চলে এসেছেন বিপর্যয় বাহিনীর লোকজন। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য।

    এদিকে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশেই ভূমিকম্প আঘাত হানলেও, যেহেতু ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানে, তাই আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের লাহোর, মূলতান সহ একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে বলেও পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

     

  • Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (IMF) সাহায্যের। সেই সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে বাজেট পেশ করতে হবে আইএমএফ-এর শর্ত মেনেই। তা না হলে মিলবে না অর্থ সাহায্য।

    পাহাড় প্রমাণ অর্থসংকট। পাকিস্তান জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশবাসীর একটা বিরাট অংশ দুবেলা খেতে পান না পেট ভরে। দেশের এই সংকট মোকাবিলায় একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। তার পরেও মেটেনি সমস্যা।

    আরও পড়ুন :ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টার কসুর করছে না শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দেশটির প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ঋণের। পাকিস্তানকে এই মোটা অঙ্কের ঋণ দিতে পারে কেবল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।

    এই ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। উন্নতি ঘটাতে হবে সে দেশের আর্থিক অবস্থার। এটা করতে গিয়েই একের পর জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই। আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে বলে দিন কয়েক আগেই পাক সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্ভাব্য ঋণখেলাপি (loan default) এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঋণ পেতেই গ্রহণ করতে হবে কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তান একটি “মেমরান্ডাম অফ ইকনমিক অ্যান্ড ফিসক্যাল পলিসি” পেয়েছে। সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরে বেতন পান যাঁরা, তাঁদের প্রদত্ত ট্যাক্স ছাড়াও আয়ের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ “সুপার ট্যাক্স” বা সারচার্জ দিতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    বছর কয়েক আগে প্রায় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল গ্রিস। তীব্র অর্থসংকট কাটাতে সেবারও গুচ্ছ জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। এবারও প্রায় একই পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার, দেশকে দেউলিয়া হওয়ার পথ থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করে শেহবাজ শরিফের সরকার।

  • Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি (Terrorist) ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন (China)। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের দূরত্ব এক লপ্তে বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। এর আগেও একাধিকবার ভারতের (India) প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তবে এবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার (US) তরফে। তাতেও বাধার প্রাচীর তুলে দিল চিন।

    লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার চাঁই হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman Makki)।  এই মাক্কিকে আগেই জঙ্গি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে রাষ্ট্রসংঘে মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব জমা দেয় জো বাইডেনের দেশ। প্রস্তাব দেওয়া হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে শি জিন পিংয়ের দেশ।  

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পনেরটি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। ২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে ফের প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই দফায়ও ভেটো প্রয়োগ করে চিন। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানায় মাসুদকে। এই সময় কেবল আমেরিকাই মাক্কিকে বিশেষ জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।

    আরও পড়ুন : জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি

    ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সন্ত্রাসবাদমূলক কাজকর্ম, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গোটা বিশ্বে যখন সমালোচিত হচ্ছিল ভারত, তখন নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল চিন। মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণার প্রশ্নে ফের যোজন দূরত্ব তৈরি হল প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে।  

     

  • Indo-Pak Relation: ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    Indo-Pak Relation: ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান (Pakistan)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। ইসলামাবাদের (Islamabad) একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল জানান, কাশ্মীর বিতর্ককে শেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি  করতে ইচ্ছুক তিনি। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন বিলাওয়াল।

    ইসলামাবাদের ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (Institute of Strategic Studies) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিলওয়াল বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত দীর্ঘদিনের। কিন্তু, কাশ্মীর বিবাদে জড়িয়ে কিংবা ভারতের হিন্দুত্ববাদের সমালোচনা করে পাকিস্তানের কোনও লাভ হচ্ছে না। বরং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে ফাটল ধরায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।” বিশ্বের বিভিন্ন স্তরেও ভারতের সমালোচনা করে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে সম্পর্ক ভালো থাকলে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাকিস্তান লাভবান হবে বলে মনে করছেন পাক বিদেশমন্ত্রী

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কনিষ্ঠতম বিদেশমন্ত্রী হলেন বেনজির-পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা (Article 370) প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। যতদিন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত সরকার ফিরিয়ে না দিচ্ছে, ততদিন দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে পাকিস্তান।

    বিলাওয়ালের মতে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা অর্থহীন। বিবাদকে দূরে সরিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পক্ষে মত  শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের বিদেশমন্ত্রীর। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি যে প্রস্তুত, তা-ও জানিয়েছেন। পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতও। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সবসময়ই সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী ভারত। কিন্তু তার জন্য দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে নারাজ দিল্লি।

  • Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। এই তালিকা থেকে এখনই সরানো হচ্ছে না পাকিস্তানের নাম। শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেবে এফএটিএফ।

    আরও পড়ুন : ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রর মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    এফএটিএফের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২০৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন আইএমএফ, রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্বব্যাংক সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। এফএএফটির প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ারের নেতৃত্বে সম্প্রতি বসেছিল পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোচনা হয় পাকিস্তান নিয়েও। ঠিক হয়, পাকিস্তান যথাযথভাবে সব শর্ত মেনেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সে দেশে যাবে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল। শর্তপূরণ করলে তবেই অক্টোবরের দিকে ধূসর তালিকা থেকে সরানো হতে পারে শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) দেশের নাম। মার্কাস বলেন, পাকিস্তানকে এখনই ধূসর তালিকা থেকে সরানো হচ্ছে না। শর্ত পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ।

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। শেষমেশ ঘটতে চলেছে ‘শাপমুক্তি’! তবে এখনই নয়।

     

  • Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (india) পর এবার বাংলাদেশ (bangladesh)। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার (Al Qaeda) শাখা সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’ বা আকিস (AQIS) হুমকি শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশকে। বুধবারই নূপুর শর্মাকাণ্ডে (Nupur Sharma) ভারতকে হুমকি চিঠি দিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন। এবার একই চিঠি দেওয়া হল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেও।

    ৬ জুন ভারতকে পাঠানো হুমকি চিঠিতে আল কায়দা জানিয়েছে, নবীর (Prophet) সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, হিন্দুত্ববাদীরা (Hindutva) আল্লার শরিয়ত (Shariat) বিরোধী। ভারতীয় চ্যানেলে মহম্মদ ও তাঁর স্ত্রীকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে।

    বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাঁদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, বিশ্বের সব উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে, তাদের হত্যা করব। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।

    আরও পড়ুন :পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    ভারতকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর পরপরই চিঠি পাঠানো হল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশে ৭ নির্দোষ ব্যক্তিকে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুত্বের এজেন্টের মতো আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আল কায়দার তরফে। ইসলামের নিন্দাকারীদের শাস্তি দেওয়ায় কেন বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাল্টা শাস্তি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে আল কায়দা। বাংলাদেশ হিন্দুত্বের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনটি।

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডুচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    ঈশ্বর নিন্দা (Blasphemy) করায় ২০১৪ ও তার পরের বছর হত্যা করা হয় লিজিয়ন ও বিজয়কে। বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়। সেই কারণেই আকিস হুমকি চিঠি দিয়েছে হাসিনার সরকারকে।

LinkedIn
Share