Tag: pakistan

pakistan

  • Shahbaz Sharif: “যুদ্ধ নয়, এবার শান্তি চাই”, কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে আলোচনায় বসার বার্তা দিলেন শাহবাজ

    Shahbaz Sharif: “যুদ্ধ নয়, এবার শান্তি চাই”, কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে আলোচনায় বসার বার্তা দিলেন শাহবাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, এবারে শান্তি চায় পাকিস্তান, এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)। ভারতের সঙ্গে তিন-তিনবার যুদ্ধ করে যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান। তাই এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৎ ভাবে এবং বিশদে আলোচনায় বসতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কারণ এই যুদ্ধের ফলে উন্নয়ন তো দূর, বেড়েছে বেকারত্ব, দেশটি আরও দুঃস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে এবারে ভারতকে শান্তির প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে চান। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মোদিকে শান্তির বার্তা শাহবাজের

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Shahbaz Sharif) বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। ঠেকে শিখেছিই বলা চলে। ৩টি যুদ্ধের জেরে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। তাই আর যুদ্ধ নয়, এ বার পাকিস্তান শান্তি চায়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান। তিনি বলেন, “ভারতীয় নেতৃত্বকে আমি বলতে চাই, আসুন আমরা একসঙ্গে বসে এক টেবিলে আমাদের যত গুরুতর সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কথা বলি। কাশ্মীরের মত সমস্যাগুলির সমাধান করি। কারণ আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে অগ্রগতি করব, না কি এই ঝগড়া এবং অশান্তি চালিয়ে নিয়ে যাব, তা পুরোপুরি আমাদের উপর নির্ভর করে।” তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান দু’টি দেশই পরমাণু শক্তিধর। ফলে যুদ্ধ বাঁধলে দুই দেশের কী পরিণতি হতে পারে তা ভেবেও চিন্তিত পাক প্রধানমন্ত্রী।

    যখন পাকিস্তানের এই পরিস্থিতি, তখন সাক্ষাৎকারে শরিফ মন্তব্য করেছেন, যে দেশ পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান, তাদের অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য এভাবে ভিক্ষে করা লজ্জার। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণ চাওয়া নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

    সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি বহুল প্রচারিত ইংরেজি সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন বেরোয়। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যেখানে ভারতের দিনে দিনে অগ্রগতি হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান ক্রমশ আরও গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে এবং শরিফকে বিশ্বের দরবারে কার্যত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হচ্ছে। এটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শরিফ (Shahbaz Sharif) যাতে দ্রুত পাক অর্থনীতিকে মজবুত করার দিকে জোর দেন। অন্যদিকে ভারত যে ২০৩৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠায় নজর দিয়েছে, সেকথাও বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Global Terrorist: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আব্দুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    Global Terrorist: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আব্দুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬/১১-র মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লস্কর-ই-তৈবা নেতা এই আব্দুল রহমান মাক্কিকে (Abdul Rehman Makki) ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ (Global Terrorist) বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস এবং আল কায়েদা নিষিদ্ধ কমিটির আওতায়, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান মাক্কি-কে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভারত এর দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু গত বছর জুনেও ভারতের এই প্রয়াস রুখে দেয় চিন। এবার চিনের আপত্তি ধোপে টিকল না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে এটা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। 

    চিনের বিরোধিতা 

    ভারত বরাবর মাক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চেয়েছিল। এর আগে, গত বছর জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস এবং আল কায়েদা নিষিদ্ধ কমিটির আওতায়, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান মাক্কি-কে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত এবং আমেরিকা। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে ভেটো প্রয়োগ করে সেই প্রস্তাব পাশ হওয়া আটকে দেয় বেজিং। মাক্কি হল লস্কর-ই-তৈবা প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের শ্যালক। ২০১০ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ থেকে তাকে ‘স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    কে এই মাক্কি

    লস্কর-ই-তৈবায় মাক্কি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছে। লস্করের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য সে তহবিল সংগ্রহের কাজও করত। মার্কিন ঘোষণার ফলে, আমেরিকার এক্তিয়ারভুক্ত তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মার্কিন নাগরিকদের তার সঙ্গে কোনওরকম আর্থিক লেনদেনও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে মাক্কির কোনও খবর দিতে পারলে ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত নাশকতার জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মাক্কিকে। সেই থেকে পাক জেলে রয়েছে সে।২০০৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা মুম্বইয়ে তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে খুন করেছিল। সব মিলিয়ে ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসে মোট ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Terror: দিল্লিতে ধৃত দুই জঙ্গির যোগ পাক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে? পাঠানো হয়েছিল মৃতদেহের ভিডিও

    Delhi Terror: দিল্লিতে ধৃত দুই জঙ্গির যোগ পাক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে? পাঠানো হয়েছিল মৃতদেহের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ধৃত দুই জঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ পেল পুলিশ (Delhi Terror)। সম্প্রতি রাজধানীর রাস্তায় উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ। ধৃতদের নাম জগজিৎ সিং এবং নৌসাদ। অভিযোগ, ধৃত এই দুই জঙ্গি সেই ব্যক্তিকে খুন করে  তাঁর দেহ আট টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিল রাস্তার মাঝে। এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল দিল্লি পুলিশের হাতে। ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এসেছে পুলিশের হাতে। মৃতদেহের ভিডিও করে সোহেল বলে এক ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। লস্কর-ই-তৈবা- র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সোহেলে। এই সোহেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই নৌসাদের অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল।

    কী ঘটেছে?

    জঙ্গিদের থেকে মিলেছে অস্ত্রশস্ত্র। এমনকী হামলার ‘ব্লু প্রিন্ট’ ও মিলেছিল তাদের থেকে। দিল্লি (Delhi Terror) পুলিশের সন্দেহ, ওই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার মিল থাকতেও পারে। তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার করেছিল ৩টি পিস্তল ও ২২ রাউন্ড গুলি। শনিবারই তাদের আস্তানা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?     

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, আট টুকরো করে দেহ ছড়িয়ে দেওয়া ছিল রাস্তার মাঝে। মৃতদেহটি (Delhi Terror) পুলিশ উদ্ধার করে উত্তর দিল্লি থেকেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মৃতদেহের সঙ্গে ধৃত জঙ্গিদের মিল কী? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জগজিৎ সিং ও নৌসাদ জেরার মুখে স্বীকার করেছিল যে, তারা একটি দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল খালি জায়গায়। এমনকী জায়গাও জানিয়েছিল পুলিশকে। সেখান থেকেই শনিবার উদ্ধার হল ছিন্নভিন্ন দেহ।   

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লির (Delhi Terror) জাহাঙ্গিরপুরীতে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছিল, জগজিৎ সিংয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে কানাডার খলিস্তানি সংগঠনের অন্যতম সদস্য অর্শদীপ সিং গিলের। অন্যদিকে নৌসাদ ছিল হরকত-উল-আনসার নামে জঙ্গি সংগঠনের  সদস্য।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বা দিনে কোনও বড় হামলার ছক ছিল দুই জঙ্গির (Delhi Terror)। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই জেরার সময়ই এই খুনের কথা স্বীকার করে তারা। কিন্তু কী কারণে খুন করা হয়েছে বা মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Pakistan Food Crisis: একটা বস্তা দাও! বাইকে আটা-ভর্তি ট্রাক ধাওয়া স্থানীয়দের, পাকিস্তানে ভয়াবহ খাদ্য-সঙ্কট

    Pakistan Food Crisis: একটা বস্তা দাও! বাইকে আটা-ভর্তি ট্রাক ধাওয়া স্থানীয়দের, পাকিস্তানে ভয়াবহ খাদ্য-সঙ্কট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেই পাকিস্তানের (Pakistan Food Crisis) জায়গায় জায়গায় খাদ্য সঙ্কট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। একটু আটা সংগ্রহের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন সেই দেশের নাগরিকরা। এর আগেই এক ব্যাগ আটার জন্য পাক নাগরিকদের হাতাহাতির ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার আটা ও অন্যান্য শস্য বহনকারী ট্রাকগুলিতেও শুরু হয়েছে লুঠপাট। 

    ভাইরাল ভিডিও

    সম্প্রতি, পাকিস্তান থেকে আরও এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি আটা বহনকারী ট্রাকের পিছনে মোটরসাইকল নিয়ে ধাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে আম পাকিস্তানিদের। ন্যাশনাল ইকুয়ালিটি পার্টি জম্মু-কাশ্মীর গিলগিট বালিস্থান অ্যান্ড লাদাখের চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজ্জাদ রাজা সম্প্রতি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে, আটার বস্তা বোঝাই একটি লরির পিছনে প্রাণপণে ছুটছে ক্ষুধার্ত জনতা। ওই ট্রাকে বস্তা ভর্তি আটা ছিল। তবে লুঠ করতে নয়, দাম দিয়েই ওই আটা কেনার চেষ্টা করেন তাঁরা। এক ব্যক্তি ট্রাকটির খুব কাছে চলে আসেন। পাকিস্তানি টাকার নোট হাতে নিয়ে তিনি এক বস্তা আটা কিনতে চান। তবে ট্রাকটি দাঁড়ায়নি।

    অধ্যাপক রাজা ভিডিও ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটা কোনও মোটরসাইকেল র‍্যালি নয়। পাকিস্তানের মানুষজন মাত্র ১ ব্যাগ আটা পাওয়ার জন্য এই ভাবেই প্রাণ হাতে করে গম বোঝাই ট্রাকের পিছনে ছুটছে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের এবার জেগে ওঠা উচিত। ভাগ্যিস আমি পাকিস্তানি নই, এবং এখনও নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আমার। কিন্তু আমাদের কি আদৌ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে?’

    আরও পড়ুন: মহিলাদের পঠন পাঠন ও চাকরিতে তালিবানি নিষেধাজ্ঞা জারি হল আফগানিস্তানে

    আটার দাম আকাশছোঁয়া

    আটার দাম ভয়াবহ জায়গায় গিয়েছে পাকিস্তানে। করাচিতে কিলো প্রতি আটার দাম ১৪০-১৬০ টাকা। ইসলামাবাদে ১০ কেজির আটার বস্তার দাম প্রায় ১৫০০ টাকা। সবথেকে খারাপ অবস্থা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের। ২০ কেজি আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট পাকিস্তান তীব্র সঙ্কটে। বাজারে ভর্তুকিযুক্ত আটার মজুত কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাজার বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে এবং সাধারণ মানুষের পদদলিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। গমের ঘাটতি মেটাতে পাকিস্তান সরকার মোট ৭৫ লক্ষ টন গম আমদানি করছে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা গম করাচি বন্দরে পৌঁছেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীর বেগে ছুটে যাচ্ছে আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাক। তার পিছু নিয়েছেন বাইক সওয়ারিরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ট্রাক কবজা করতে পারলেই চলছে লুঠতরাজ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এক বস্তা আটা-ময়দা পেতে নিত্যদিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে দৌড়চ্ছেন পাকিস্তানবাসীর একাংশ (Food Crisis)।

    অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা…

    সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি ন্যাশনাল ইক্যুয়ালিটি পার্টি জেকেজিবিএলের চেয়ারম্যান। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, এটা কোনও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নয়, বরং আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাকের পিছু ধাওয়া করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা। এই আশায় তাঁরা ধাওয়া করছেন, অন্তত এক বস্তা আটা-ময়দা তাঁরা কিনতে পারবেন। এর পরেই একটি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, এর পরেও কি পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে? সাজ্জাদ আরও লিখেছেন, এই ভিডিওটি পাকিস্তানে কী ঘটছে, তার একটা ঝলক মাত্র।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    বাজারে আটা-ময়দা অমিল। অথচ এই আটা-ময়দাই পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের ওপর রয়েছে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আটা-ময়দার মতো দাম বেড়েছে চাল-ডালেরও। এ সবেরই দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বাজারে সব কিছু নিয়মিত মিলছেও না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য গায়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছে। টান পড়ছে পাক নাগরিকদের পকেটেও।

    ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে খাদ্যসংকট প্রবল হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দর ছিল ৩৬.৭০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারির পাঁচ তারিখে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ডিজেলের দর বেড়ছে ৬১ শতাংশ। আর পেট্রোলের দর বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। সে দেশের বিভিন্ন বাজারে দশ কেজি গমের বস্তার দর হয়েছে ১৫০০ টাকা। বস্তা কুড়ি কেজি হলেই মূল্য চোকাতে হচ্ছে ২৮০০ টাকা। খাদ্য সংকটের জেরে বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটির (Pakistan) অর্থনীতির হাল যে হাঁড়ির হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশও। জানা গিয়েছে, দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার এক বছরে হয়েছে অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেটাই হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • India China: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    India China: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সেনা মোতায়েন করলেও, যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারত (India) জবাব দিতে প্রস্তুত। আজ, বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande)। তবে তিনি এও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা প্রধান বলেন, সীমান্ত সমস্যার ৭টির মধ্যে ৫টি আমরা আলোচনার (India China) টেবিলে মিটিয়ে নিতে পেরেছি। বাকি সমস্যাগুলি মেটাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনা।

    লালফৌজ…

    গত ডিসেম্বরেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে লালফৌজ। সীমান্তেই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতীয় সেনার। দু পক্ষের কয়েকজন জখম হন। পরে ভারতীয় সেনার হাতে মার খেয়ে নিজেদের বাঙ্কারের দিকে পিঠটান দেয় চিনা সেনা। এই আবহে সেনা প্রধানের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এদিন সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনা প্রধান। সেখানে চিন (India China) সীমান্তের প্রসঙ্গ ওঠে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, চিন অরুণাচল সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চিনকে জবাব দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না ভারতীয় সেনাদের। সেনা প্রধান বলেন, চিন সেনা মোতায়েন করেছে, তবে বিপুল সংখ্যায় নয়। তিনি বলেন, সীমান্তের দিকে নজর রয়েছে ভারতীয় সেনার।

    আরও পড়ুুন: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্ত্র বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। তবে জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তিনি বলেন, উপত্যকায় শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। মনোজ পাণ্ডে জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফিরেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নমূলক কাজের সুফল মিলেছে। পদাতিক বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সেনা প্রধান। প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুদ্ধ বিমানের পাইলট পদে নিয়োগ করা হয়েছে মহিলাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গতির সীমা নেই গ্যাস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)! এক সময় যে হাতে গর্জে উঠত একে সাতচল্লিশ, এখন সেই হাতেই উঠেছে লাঠি। না, লাঠি চালানো শিখছেন না তিনি। আসলে লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতেই পারছেন না গ্যাংস্টার। তার কারণ, পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছে পায়ের দুটি আঙুল। তার জেরে আপাতত লাঠিই ভরসা এই ডনের।

    মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ…

    এক সময় মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও তাঁর। ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হন তিনি। কড়া প্রহরায় করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তাঁর পায়ের দুটি আঙুল। বছর দুই আগে দাউদের প্রাক্তন সহযোগী এজাজ লাকদাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গ্যাংগ্রিন হয়েছে দাউদের পায়ে। যদিও দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। ছোটা শাকিলের দাবি অবশ্য পরে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধানে করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় দাউদের (Dawood Ibrahim)। তখনই গ্যাংগ্রিন আটকাতে বাদ দেওয়া হয় পায়ের আঙুল। তার পরেই দাউদ কার্যত হয়ে পড়েন অথর্ব। যদিও মানসিকভাবে তিনি এখনও সক্রিয় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    ডন যে বিষম বেকায়দায়, তা জানা গিয়েছে আরও একটি খবরে। ফি বার ঘটা করে ডনের জন্মদিন পালন করা হলেও, এবার তা হয়েছে নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ২৬ ডিসেম্বর ডনের জন্মদিন। এক সময় তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকতেন পাকিস্তানের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের অনেক তারকাও। করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে হত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন করাচি, লাহোর এবং পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অথচ এবার? জানা গিয়েছে, এবার তেমন অনুষ্ঠান হয়নি। পাকিস্তানে থাকা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ায় দাউদ (Dawood Ibrahim) তাঁর অনেক ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের হাতে। শাকিল রয়েছেন অপারেশনাল বিষয়গুলির দায়িত্বে। আর আনিস দেখাশোনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছাড়ুন। না হলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করব। সম্প্রতি এই মর্মে বিজেপি এবং আরএসএস (RSS) নেতাদের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-খালসা (LEK)। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কয়কজনকে এই হুমকি দিয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রামপুরের সাংসদ বিজেপির ঘনশ্যাম লোধি ওই খুনের হুমকি পেয়েছেন। তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছে লস্কর-ই-খালসার খালিস্থানি সন্দীপ সিং। নতুন বছরের পাঁচ তারিখে তাঁকে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    বিজেপির ওই সাংসদ…

    বিজেপির ওই সাংসদ জানান, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করে বলা হয়েছে, বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করা হবে। শুধু তাঁকেই নয়, এই মেসেজের মাধ্যমেই বিজেপি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং সেনাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি মেসেজ পাওয়ার পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির ওই সাংসদ। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়েছে পুলিশ। চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বার্তা-প্রেরককে। যে মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর ফোনে মেসেজ এসেছে, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন রামপুরের সাংসদ। নম্বরটি হল, +৯১ ৭৬০৯৮৭৫৩০৬। তিনি এও জানান, খালিস্থানি ওই জঙ্গিটি তাঁকে পাঁচবার মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি পাঁচবার কলও করেছিল।

    আরও পড়ুুন: কুলগামে শিক্ষিকা খুনে অভিযুক্ত আরবাজ মীর! ‘বিশেষ সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    ওই একই জঙ্গি গোষ্ঠীর (LEK) কাছ থেকে হুমকি-বার্তা পেয়েছেন তাজিন্দর সিং তিওয়ানা। তিনি মুম্বইয়ে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা। তিনিও মেসেজ পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। যে তাজিন্দরের ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছে, সে নিজেকে খালিস্তানি সন্দীপ সিং বলে পরিচয় দিয়েছে। সে যে লস্কর-ই-খালসার মুখপাত্র, তাও জানিয়েছে। মেসেজে সন্দীপ লিখেছে, তাজিন্দর বিজেপি না ছাড়লে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করার শপথ নিয়েছে সন্দীপ। ওই জঙ্গি তাঁকে হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ এবং খালিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। সে আরও জানিয়েছে, তারা গোটা দেশের বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করেছে।

    একই মেসেজ পেয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপি সমর্থক বীর সিং সাইনিও। বুধবার তাঁকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেও বলা হয়েছে, শীঘ্রই বিজেপি ছাড়ুন। নাহলে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন করা হবে। আমরা বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকেও টার্গেট করেছি। এই মেসেজর নীচেও লেখা, খালিস্তান (LEK) জিন্দাবাদ। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে ওই মেসেজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনের আগে প্রাক্তন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে খুন করেছিল তারা। এবার তাঁর ছেলে তথা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোকেও খুনের হুমকি (Death Threat) দিল কাবুল ঘনিষ্ঠ বিদ্রোহী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। বিলাবলের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও খুনের হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠন।

    জোট সরকার…

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটিয়ে জোট সরকার গড়ে শাহবাজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ ও বিলাবলের পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তার পর থেকেই পাক-আফগান সীমান্তে তালিবান বিরোধী তৎপরতা শুরু করে পাক সেনা। সম্প্রতি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন বিলাবল। তারপরেই পাক সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। কাবুল ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনের বক্তব্য, আমেরিকাকে খুশি করতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার আমেরিকার এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও জানায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। এই সংগঠনের অভিযোগ, বিলাবল ভুট্টো আমেরিকার পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু তিনি কেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকার লাইন নিলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি ২০২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর তারা ৪৪৬ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ানকে খুন করেছে। এজন্য তারা হামলা চালিয়েছিল ৩৬৭ বার। আর খাইবার পাখতুন এলাকায় তারা অভিযান চালিয়েছিল ৩৪৮ বার। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, কেবল ডিসেম্বরেই ৬৯ বার হামলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির চুক্তি শেষ হওয়ার পরেই ওই হামলা হয়। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির কাছ থেকেই নানা ঝড়ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

    মঙ্গলবার দুপুরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার উপস্থিতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় মাপের সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাঞ্জাব প্রদেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের দুই পদস্থ কর্তাকে গুলি করে খুন করে কাবুল ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠন। স্বভাবতই এর পর আর তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের হুমকিকে (Death Threat) নিছক ফাঁকা বুলি বলে মনে করছে না সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নাম উচ্চারণ না করেই আমি আবারও এই কথা বলতে পারি। সন্ত্রাসের এপিসেন্টারের (Epicentre) চেয়েও কর্কশ কথা আমি বলতে পারি। এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে এক হাত নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    এদিন সেই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করেন এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক। তিনি জয়শঙ্করকে বলেন, আপনি একজন কূটনীতিক। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে আপনি পাকিস্তানকে, আপনার প্রতিবেশী দেশকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলেছিলেন। এটা কূটনীতিসুলভ শব্দ নয়। তাই না? অস্ট্রিয়ান ওই সাংবাদিকের এহেন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের নাম না করেই আমি আবার এই শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। তিনি বলেন, একজন কূটনীতিক হওয়ার মানে এই নয় যে আপনি অসত্য বলবেন। এর পরেই জয়শঙ্কর যোগ করেন, আমি এপিসেন্টারের চেয়েও কর্কশ শব্দ প্রয়োগ করতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতি যা ঘটছে, তাতে আমার মনে হয় এপিসেন্টার কূটনৈতিক শব্দই।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন, কীভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছিল। ২০০৮ সালে হামলা চালিয়েছিল মুম্বইয়ে। তিনি বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে নিত্য অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তান হল সেই দেশ যারা মুম্বই শহরে হামলা চালিয়েছে। মুম্বইয়ের হোটেলে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যদি দিনের আলোয় কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির চলতে থাকে, তাতে অর্থায়ন করা হয়, তার পরেও কি বলা যায়, পাকিস্তান এর বিন্দুবিসর্গও জানে না। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ওই দেশে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্ব রয়েছে উদ্বেগে। তারা এটা দেখছেও। বিশ্ব এটাও ভাবে, যে এটা আমাদের সমস্যা নয়, কারণ এটা ঘটছে অন্য একটি দেশে।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share