Tag: pakistan

pakistan

  • S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) মুখের মতো জবাব দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিল শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধলেন পাকিস্তানকে।

    কাশ্মীর ইস্যু…

    দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলে পাকিস্তান। তার পরেই প্রতিবেশী দেশটিকে একহাত নেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। লাদেন এবং সংসদ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে সমসাময়িক প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকরভাবে মোাকাবিলার ওপর। তা অতিমারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা সন্ত্রাস হতে পারে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাজানো তথ্য এবং গুরুত্বহীন অভিযোগ নতুন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, বিশ্ব যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না, তাকে জাস্টিফাই করার প্রশ্নও ওঠে না। জয়শঙ্কর বলেন, এটা অবশ্যই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এর পরেই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংসদের হামলার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন জয়শঙ্করের (S Jaishankar) আগে বলতে ওঠেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তার পরেই তাঁকে কার্যত বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজ থেকে আঠারো বছর আগে ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কয়েকজন সদস্য হামলা চালায় পার্লামেন্টে। প্রকাশ্যে গুলিও চালায় তারা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ন’ জনের। পাকিস্তানের মদতেই সংসদে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি মাসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে ভারত। মঙ্গলবার তাই রাষ্ট্রসংঘে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইভেন্টে বক্তৃতা দেন। সেখানেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Agni 5: অগ্নি-৫ এর পাল্লা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ৭ হাজার কিমি!

    Agni 5: অগ্নি-৫ এর পাল্লা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ৭ হাজার কিমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক মিসাইলের। চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এর ফলে ভারতীয় সেনার মুকুটে জুড়েছে আরও একটি পালক। ৫০০০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

    অগ্নি-৫ এর পাল্লা…

    এখন অগ্নি-৫ এর পাল্লা ৫ হাজার কিমি। জানা গিয়েছে, ভারত এর পাল্লা বাড়িয়ে ৭ হাজার কিমি করছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র মারফত এ খবর জানা গিয়েছে। কেবল তাই নয়, অগ্নি-৫-এর ভারও লাঘব করা হচ্ছে। স্টিলের বদলে কাজে লাগানো হবে কম্পিজিট মেটিরিয়ালস। ফলে গতিবেগ হবে আরও বেশি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, অগ্নি-৫ (Agni 5) এর ওজন ২০ শতাংশ কমানো যেতে পারে। শুধু তাই নয়, সরকার চাইলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ৭ হাজার কিমিও করা যেতে পারে। অগ্নি-৩-এর উদাহরণ দিয়ে ওই সূত্র জানিয়েছে, অগ্নি-৩ মিসাইলের ওজন ৪০ টনের কাছাকাছি। এটি আঘাত হানতে পারে ৩ হাজার কিমি দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে। কিন্তু অগ্নি-৪-এর ওজন ২০ টনের সামান্য বেশি। তাই এর পাল্লাও অগ্নি-৩-এর চেয়ে অনেক বেশি।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    বৃহস্পতিবার অগ্নি-৫-এর (Agni 5) সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এই অগ্নি-৫ পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এর পাল্লা ৫ হাজার ৪০০ কিমি। যে সমস্ত সরঞ্জাম এতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা অগ্নির আগের ভার্সানগুলোর তুলনায় বেশ কম। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে। ২০১৮ সালের জুন মাসে ভারত প্রথম অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ করে। সেবারও উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে। উৎক্ষেপণ সফল হওয়ায় অগ্নির পাল্লায় চলে এল ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চিন। স্বাভাবিকভাবেই বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেল ইসলামাবাদ ও বেজিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফয়সালা হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। অযোধ্যায় রামের (Lord Ram) জন্মস্থানেই গড়ে উঠছে রামমন্দির (Ram Temple)। এক সময় ওই জায়গায় ছিল বাবরি মসজিস। সেই মসজিদ কমিটিকে অযোধ্যারই অন্যত্র জমি দেওয়া হয়েছে। রামের জন্মভূমিতে যেমন রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে, বাবরি মসজিদ কমিটিকে যেখানে জমি দেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে সেখানেও। এমতাবস্থায় আমরা পেরিয়ে এলাম আরও একটা ৬ ডিসেম্বর। এদিনই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ভারতকে বলেছে, রামমন্দির গড়া বন্ধ রাখতে। ওই জায়গায় তৈরি হোক বাবরি মসজিদ। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোকে ভাল চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। ভারতে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, ইসলামাবাদকে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    বাবরি মসজিদ…

    ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্তি দিবস। এদিনই ভারতকে মন্দির নির্মাণ বন্ধ রেখে ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ গড়ে তুলতে বলেছে পাকিস্তান। ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যে স্বধর্ম পালন করেন ইসলামাবাদকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কেবল তাই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় যে মন্দির এবং গুরুদ্বার ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে, সেকথাও শাহবাজ শরিফের সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরন্তর হুমকির মুখে পড়ছেন, সেকথাও বারংবার জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানে যাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভাল থাকেন, সেই বিষয়টি যেন পাক সরকার নিশ্চিত করে, এমন অনুরোধও করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিকে, জোরকদমে চলছে রামমন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ। মন্দির গড়ছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে চলছে মন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের নকসা ঘিরে উদ্যোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ধরনের পাথর এসে পৌঁছেছে রাম মন্দির নির্মাণর জন্য। মন্দিরের ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, ইতিমধ্যেই রামমন্দিরের গর্ভগৃহটি বিশেষ জ্যামিতিক আকারে তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, গর্ভগৃহটি এমনভাবে নির্মিত হবে যে প্রতি রামনবমীতে দুপুরে সূর্যের আলো এসে সরাসরি পড়বে রামলালার ওপরে। এও জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর থেকে বিশেষ বেলে পাথর নিয়ে এসে ওই গর্ভগৃহ তৈরি হবে। ৪.৭৫ কিউবিক ফুটের ওই বেলেপাথর দিয়েই তৈরি হবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মন্দিরের (Ram Temple) দরজা খুলে যাবে ভক্তদের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া পাক প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তানের এই ক্রমাগত চেষ্টায় ক্ষুব্ধ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করছে চিন। সম্প্রতি পাক সেনাকে গিলগিট বালতিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষার অজুহাতে সেনা এলেও আদতে তাঁদের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণে চিনকে সাহায্য করা।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    কেন এই ক্ষোভ? 

    প্রাকৃতিক সম্পদের উপস্থিতি যেকোনও অঞ্চলের অগ্রগতির ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। উন্নতির অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই এলাকা বরাবরই উপেক্ষিত। এই অঞ্চলে কোটি কোটি টাকার খনিজ এবং জল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসনের উদাসীনতায় এই এলাকার বাসিন্দারা চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন  হয়।

    সম্প্রতি বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান ইসলামাবাদকে এই অঞ্চলের দুর্দশার জন্যে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলের অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বালতিস্তানের জন্যে অর্থ বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি ৩০ লক্ষ পাক মুদ্রা। তাঁর কথায়, “অঞ্চলটিকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পাক প্রশাসন।” 

    সিপিইসির ব্যানারে গিলগিট বালতিস্তানে (Gilgit Baltistan) মেগা ড্যাম, তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম ও ভারী ধাতু উত্তোলনের কাজও শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় জীবিকা এবং বাসিন্দাদের জীবনযাপনে খারাপ প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, বালতিস্তান গোটা পাকিস্তানের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি জল সরবরাহ করে। চিনা মেগা প্রকল্পগুলি স্থানীয় জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে দূষণ বাড়ছে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

    এই অঞ্চলে নিযুক্ত চিনা কোম্পানিগুলি পরিবেশ নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগের প্রতি একেবারের সংবেদনশীল নয়। গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দাদের অভিযোগ কারাকোরাম মহাসড়কের সম্প্রসারণের জন্যে যে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হয়েছে তার জন্যে দায়ী চিনের একটি সংস্থা চায়না রোডস অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন। 

    এমনকি এই চিনা সংস্থাগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করলেও কোনও রাজস্ব দিতে রাজি নয়। বিদেশী কোম্পানিগুলিও গিলগিট সরকারকে কর প্রদান করে না। কারণ তারা ইসলামাবাদ-ভিত্তিক ফেডারেল প্রতিষ্ঠান গিলগিট-বালতিস্তান (Gilgit Baltistan) কাউন্সিল (GBC) নামের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে। এই সংস্থার এই অঞ্চলের বন, জলের রিজার্ভ সম্পর্কিত আইনী বিষয়গুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গিলগিট প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পাক সরকার বিদেশি সংস্থাগুলিকে বাণিজ্য, ট্রানজিট রুট এবং খনির লাইসেন্স প্রদান করে।

    যদিও ইসলামাবাদ বাণিজ্য ও ট্রানজিট, জলসম্পদ, ট্রফি শিকার, ইকো-ট্যুরিজম, খনিজ অনুসন্ধান এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফেডারেল কর মিলিয়ে এই অঞ্চল থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। কিন্তু তবুও এই আয়ের কোনও বড় অংশ অঞ্চলের (Gilgit Baltistan) উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

     

  • Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্ত পার সন্ত্রাস বন্ধ না করলে আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়াদিল্লিতে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে এই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত পার সন্ত্রাসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে এদিন জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জয়শঙ্করের।

    ভারত-জার্মান চুক্তি

    সোমবার রাজধানীতে হায়দরাবাদ হাউসে মোবিলিটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত-জার্মানি। এই অংশীদারিত্বের চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাসিন্দার পরস্পরের দেশে গিয়ে গবেষণা, পড়াশোনা এবং চাকরি করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এবং জার্মানির মধ্যে এই চুক্তি প্রকৃতপক্ষে আগামিদিনে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তির সংকেত বলা যেতে পারে। একই সুর জার্মান বিদেশমন্ত্রীর মুখেও। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এমন সময়ে আমাদের একসঙ্গে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি হওয়া অশোধিত তেল সঙ্কট নিয়েও এদিন কথা হয় ভারত এবং জার্মানির।  রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পক্ষে ফের একবার সওয়াল করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন ভারতীয়দের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে কথা

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান-সৃষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি নিয়েও এদিন জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত কথা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাকিস্তানকে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে সংযুক্ত করি, কিন্তু সন্ত্রাস চললে কথা এগোনো যায় না। জার্মানি বিষয়টি বুঝেছে।” চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, “গোটা অঞ্চলই দেখেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে চিন কী ভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা নতুন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করছি, সেখানে চিনের ভূমিকাকে নতুন করে দেখা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে জার্মানি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায়। ভারত বিশ্বের অনেক দেশের কাছে এখন রোল মডেল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হতে চলা একদিনের বিশ্বকাপ (ODI World Cup) ক্রিকেটকে বয়কটের কথা বলেছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। তারই পাল্টা দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিশ্ব ক্রিকেটে বড় শক্তি ভারত। আইসিসির অর্থনৈতিক ভিত্তিও বটে। তাই ভারতে বিশ্বকাপের আসর বসবেই। আর সব দলকেই এখানে খেলতে আসতে হবে, বলে জানান অনুরাগ।

    বড় শক্তি ভারত

    সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার তথা পিসিবির চেয়ারম্যান রামিজ রাজা জানিয়েছিলেন ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে পাকিস্তান কেন ভারতে যাবে? পাক বোর্ডের প্রধান বলেন,  “পাকিস্তান যদি ভারতে গিয়ে পরের বছর বিশ্বকাপ (ODI World Cup) না খেলে তা হলে কেউ সেটা দেখবে? আমাদের পরিষ্কার কথা, ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসে, তা হলেই আমরা ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলব। যদি ওরা না আসে, তা হলে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ করতে পারে ওরা।” এ প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। বিশ্বে খেলার দিক থেকে ভারত বড় শক্তি এবং কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবে না।’ এই এশিয়া কাপ ইস্যুতে আগেও মন্তব্য করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, ‘BCCI পাকিস্তানের ব্ল্যাকমেল চিঠির যথাযথ উত্তর দেবে এবং ওডিআই বিশ্বকাপ অবশ্যই ভারতে আয়োজিত হবে এবং এখানে সব দেশ খেলবে।’

    আরও পড়ুন: কোকেন আসক্তি থেকে রিহ্যাবের ভয়াবহতা, আত্মজীবনীতে ‘খুল্লমখুল্লা’ আক্রম

    ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব

    ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান, কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে তারা খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। তারবদলে নিরপেক্ষ ভেনুতে হবে ম্যাচ। এরপর পাকিস্তান শিবির থেকে ভারতে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপ (ODI World Cup) বয়কটের দাবি তোলা হয়। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কের মধ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে দুই দেশের সরকারের। কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক। সেই কারণেই দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ। দেখা হয় শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড সচিব জয় শাহ কিছু দিন আগে বলেছিলেন, আগামী বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিযোগিতা পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের নয়া সেনাপ্রধান আসীম মুনির, কেন জানেন?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের নয়া সেনাপ্রধান আসীম মুনির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নয়া সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) নাম ঘোষণা করল পাকিস্তান (Pakistan)। নতুন সেনাপ্রধান হতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির (Asim Munir)। এই আসীম মুনির এক সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন। তিনি এখন জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন। চলতি মাসেই পাক সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) পদে অবসর নেবেন জাভেদ বাজওয়া। এই পদে তিনি ছিলেন ছ’বছর। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই এ খবর জানিয়েছেন। নয়া সেনা জেনারেল পদে আসীম মুনিরের নিয়োগ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বলেন, সেনাপ্রধান পদে আসীম মুনিরের নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে। যা কিছু করা হয়েছে, তা আইন ও সংবিধান মেনেই। প্রসঙ্গত, এদিন সেনাপ্রধান পদে মুনিরের নাম ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ-ই।

    কাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হল মুনিরকে?

    প্রসঙ্গত, পাক সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’জনের একটি নামের তালিকা আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Pakistan PM Shehbaz Sharif) অফিসে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা সবাই সিনিয়র-মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ এবং কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের।

    আরও পড়ুন: ইতালির এই শহরে বসবাস করলেই পাবেন ২৫ লক্ষ টাকা, যাবেন নাকি?

    তালিকায় ছ’জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর ছিল, সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরনো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে সেই মুনিরের নামেই সিলমোহর দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পাকিস্তানি (Pakistan) ড্রোনকে (Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। সোমবার রাতে সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিএসএফের একটি দল। আচমকাই কানে আসে শব্দ। শূন্য থেকে ভেসে আসা ওই শব্দের উৎস লক্ষ্য করেই গুলি চালায় বিএসএফ। তখনই দেখা যায় আকাশ থেকে খসে পড়েছে একটা অতিকায় ড্রোন। পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দিন দুই আগেও ওই এলাকায় একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে ফের সেই একই ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ড্রোনের মাধ্যমেই পাচার করার চেষ্টা চলছিল মাদক।

    বিএসএফের বিবৃতি…

    ঘটনার পরে পরে বিএসএফের (BSF) তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে বলা হয়, ২৮ নভেম্বর রাত ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ আধিকারিকরা অদ্ভুত আওয়াজ পেয়েছিলেন। তখনই খেয়াল করেন, পাকিস্তানের দিক থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর অমৃতসর গ্রামীণ ডেলার ছহরপুর গ্রামের কাছে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোনটিকে গুলি ছুঁড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। গুলি লেগেই সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। সূত্রের খবর, পরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি হেক্সাকপ্টার উদ্ধার করে বিএসএফ। এর সঙ্গে সঙ্গে সাদা পলিথিনে মোড়া সন্দেহজনক কিছু বস্তুরও হদিশ মেলে ছহরপুর গ্রামের একটি খেতে।

    জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই আরও বেশি করে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের খালিস্তান জঙ্গিদেরও নানাভাবে সাহায্য করছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। এসব কারণেই চিনের তৈরি ড্রোনের মাধ্যমে তারা কখনও অস্ত্র, কখনও বা মাদক পাচার করছে ভারতে। দিন কয়েক আগে একটি ড্রোনের মাধ্যমে পাঞ্জাবের মাটিতে অস্ত্র ফেলেছিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছিলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। তিনি এও বলেছিলেন, ওরা এখন পিস্তল গ্রেনেড এবং মাদক ঢুকিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। আমরা তা সফল হতে দেব না। তিনি জানিয়েছিলেন, লঞ্চপ্যাডগুলিতে এই মুহূর্তে অন্তত ১৬০ জন সন্ত্রাসবাদী ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০জন পিরপাঞ্জালের উত্তর দিকে লুকিয়ে, আর বাকি ৩০ জন দক্ষিণ দিকে। পুরো এলাকা ধরলে ৮২জন পাকিস্তানি ও ৫৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী স্রেফ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাদেশিক আইনসভা থেকে দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব। শনিবার এক জনসভায় এমনই ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সপ্তাহ তিনেক আগে লং মার্চ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান ও তাঁর দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় ইমরানকেও। সুস্থ হয়ে এদিন তিনি যোগ দেন সমাবেশে। সেখানেই জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে দলের বিধায়কদের।

    লং মার্চ…

    এদিন রাওয়ালপিন্ডি শহরে জনসভার আয়োজন করেছিল ইমরানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (PTI)। ওই সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন বছর সত্তরের ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ পর্যন্ত যে লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।

    ইমরানের (Imran Khan) দলের তরফে এদিন ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমরা এই সরকারের অংশ হতে চাই না। আমি আমার দলের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সমস্ত প্রাদেশিক বিধানসভা থেকে আমাদের বিধায়কদের সরিয়ে নেব। দেশে অশান্তি এবং হিংসা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়াই বরং ভাল।

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে পাক পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ‘স্বাধীনতা’ পদযাত্রার সময় জাফর আলি চকের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ী ইমরানকে (Imran Khan) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ইমরান বলেছিলেন, আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি মানুষের জন্য, পাকিস্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সেই ঘটনার পর এদিন প্রথম জনসভায় অংশ নেন ইমরান।

    এদিনের সভায় দলীয় কর্মীদের উদীপ্ত করতে ইমরান বলেন, ভয় একটা জাতিকে দাসে পরিণত করে। ওই সভায় তিনি এও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেননি। তার পরেই ইমরান বলেন, আমরা ইসলামাবাদ পর্যন্ত আর লং মার্চ করব না। তিনি বলেন, দেশে নৈরাজ্য হোক, তা আমি চাই না। আমি এই দেশের কোনও ক্ষতি হোক, চাই না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share