Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজিব সিনহা যাবেন এটা ধরে নিয়েই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু। শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করার ফলে রাজীব সিনহা যদি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন সেক্ষেত্রে দুপক্ষের বক্তব্যই শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে।

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত শুরু শুভেন্দু-রাজীবের

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত বাঁধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সঙ্গে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। নমিনেশন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি দেখা যায়। এই সময় বারবার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজীব সিনহাকে তৃণমূলের এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত এই মামলাতে গত সপ্তাহেই আদালত অবমাননার রুল রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৩ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এর ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সেনাকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। এর পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে কেন আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমান্য করেছিলেন!

    রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বারবার দারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কখনও নমিনেশন পর্বে বাধা, তো কখনও বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এ সমস্ত মামলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো নির্দেশ দেয়। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কত দিন থাকবে, এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আদালতের এরকম কোনও নির্দেশই কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর ফলে আদালত অবমাননা করেছে তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতির গঠন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। হঠাৎ সেই সময় এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি বিজেপির। তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেই যেতে পারেননি গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! খানাকুল-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

    গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী (Hooghly)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তির রেশ এখনও কাটেনি। দিন কয়েক আগেই রাজনৈতিক অশান্তির জেরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির (Hooghly) খানাকুল। পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার দু দিন পর, সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারা রাত বাড়িতেই থাকতে হয়েছে বিজেপির এক কর্মীকে! পুলিশ আর তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেও যেতে পারেননি বলে অভিযোগ আহত বিজেপি কর্মীর। পরের দিন ভোরে, অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁকে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গুলি করল কে? আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই।

    কীভাবে করা হল গুলি?

    হুগলির (Hooghly) খানাকুলে অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল গত মঙ্গলবার। বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তি হয় সেই দিন। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই হামলায় দায় চাপায় একে অপরের দিকে। ঘটনার দুদিন পর কালীপদ দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মী দাবি করেছেন, তাঁর হাতে গুলি লেগেছিল। তিনি খানাকুলের চব্বিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে যান বিজেপির কর্মীরাই। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় বাড়িতেই। কালীপদ দোলুইয়ের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কার্যত দুষ্কৃতীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম ঘরে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বাঘা এবং অপর একজনকে সিভিকের পোশাক পরিয়ে গুলি করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব আরও জানায়, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সদস্যদের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, “এসব আর চলবে না। লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল সব টের পেয়ে যাবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যা, সবটাই সাজিয়ে বলা হচ্ছে। আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “সব মিথ্যা। অভিনয় করে ঘটনা সাজিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেদিন কী হয়েছিল, সেটা কারও অজানা নেই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বোর্ড গঠন করার সময় প্রথমে অসুস্থ এবং ঠিক তারপরেই আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়। প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনাই মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা(Nadia)?

    নদিয়ায় (Nadia) আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চার নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জিতেন সর্দারের আজ এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মোট কুড়িটি আসন আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে বিজেপির দশটি এবং তৃণমূলের দশটি। তাই আজ বোর্ড গঠনের জন্য অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে তিনিও ছিলেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। সেই সঙ্গে ছিল বোর্ড গঠন ঘোষণার প্রতীক্ষা! প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    খবর পেয়ে রানাঘাটের (Nadia) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছুটে যান মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। তিনি পরিবারবর্গের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং মৃত কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ নম্বর বুথের প্রথম সভাপতি ছিলেন জিতেনবাবু। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিয়েও বিজেপির জন্য কাজ করতেন। বোর্ড গঠনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত গরম এবং উত্তেজনায় মারা গেছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তিনি শান্তিপুর (Nadia)  গোবিন্দপুর অঞ্চলে একটি তেল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর দুটি নাবালক পুত্রসন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন। মৃতদেহ শান্তিপুরে দাহ করা হবে বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বোর্ড গঠন ঘিরে হানাহানি এবং মারধর-সন্ত্রাসের ঘটনার যে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না পসন্দ আইপ্যাকের খামবন্দি প্রধানের নাম। সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটেই তালা ঝোলালো তৃণমূলের যুব সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) যুব-মাদার তৃণমূলের মধ্যে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতৃত্বের দাবি, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে প্রধানকে। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির সাফ জবাব, দলের নির্দেশ মানতেই হবে, না হলে দল ছাড়তে হবে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটে তালার উপর চেন জড়িয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়ে, তাকে ঘিরেই তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় তৃণমূলের রাজনগর এলাকার যুব নেতার দাবি, ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হোক এবারের প্রধান। অন্যদিকে দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বলেন, দলের যে নির্দেশ তা মানতেই হবে। দল ভোটাভুটিকে অনুমোদন করে না।

    তৃণমূল যুব সম্পাদকের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) যুব সম্পাদক প্রবীর মাল বলেন, অঞ্চলের কোর কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আঁতাত করে এক তরফা নিজেদের কাছের মানুষকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই আমরা এই চাপিয়ে দেওয়া প্রধান অর্চনা সামন্তকে মানছি না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে রীতিমতো লুকিয়ে এই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দলে গণতন্ত্র নেই।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    ব্লক সভাপতি (Paschim Medinipur) সুকুমার পাত্র বলেন, সকলের সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে। দাসপুর, চন্দ্রকোনাতে ভোটাভুটিতে নির্বাচন হলেও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তা হবে না। কারণ দলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। দল যেভাবে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বলবে, আমরাও ঠিক একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যেহেতু এই পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষণ রয়েছে, তাই বোর্ডের প্রধান মহিলাকে করা হয়েছে। আর যাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ভোটাভুটি বা নাম প্রস্তাব করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরে (Murshidabad) বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে গভীর রাতে হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বহরমপুরে ১৩ নম্বর সংসদের প্রার্থী উপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে, গভীর রাতে বহরমপুর থানায় বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল জেলায়।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মূল অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে পরাজিত হয়েছে, সেই সব জায়গায় জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে (Murshidabad) হামলা, গুলি চালানো, বাড়ির মেয়েদের শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টা করছে তৃণমূল। গতকাল রাতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। রাতে চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির বাইরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভূপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলার আগে সাত নম্বর পঞ্চায়েতের চন্দনের বাড়ি এবং বিজেপির মেম্বার মামনী সাহার বাড়িতেও হামলা করে দুষ্কৃতীরা।

    নব নির্বাচিত প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী বিজেপি প্রার্থী উপেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) গিয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারধর করে, বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টাও করে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। উপেন মণ্ডলের স্ত্রী সোমা মণ্ডল জানিয়েছেন, গভীর রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) এসে হুমকি দেয় এবং বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বহরমপুর ব্লকের মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’ জন বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি নির্বাচিত সদস্যের ১২ বছরের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই রাতেই বিজেপি সদস্যের বাড়িতে পৌঁছায় জেলা নেতৃত্ব। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে, বিজেপির নির্বাচিত সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাত দুটো থেকে বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও ফলাফল থেমে নেই। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার মতন মাছ ধরার জালে উঠে এলো ব্যালট বাক্স। এরই জেরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতড়া এলাকায়। শাসক দলকে নিশানা করে বিরোধীরা বলছেন, শাসক দল যেভাবে ভোট লুট করেছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল মাছের জালে ব্যালট বাক্স উদ্ধার। জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চাল্য।

    কিভাবে উদ্ধার হল (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা যায়, বুধবার নেতড়া হাই মাদ্রাসার সামনের পুকুরে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় উঠে আসে ৩ টি ব্যালট বাক্স। দুটি বড় বাক্স এবং একটি ছোট বাক্স। আর এই ব্যালট বাক্স দেখে চমকে যান এলাকার মানুষজন। পরে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের খবর চাউর হলে, এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয়রা। তবে কিভাবে পুকুরে এই ব্যালট বক্স এলো তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় গণনা কেন্দ্র থেকে লুট করে এই বাক্স পুকুরের জলে ফেলা হয়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (South 24 Parganas) এক ব্যাক্তি আব্দুল্লা শেখ বলেন, সকাল ১১ টা নাগাদ পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া যায়। যখন পাওয়া যায়, সেই সময় তিনি উপস্থিত না থাকলেও খবর জানাজানি হতে সকলে ছুটে আসেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, এই বাক্সগুলি যে ভোটের সময় ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়ে উনি সুনিশ্চিত। কেননা বাক্সে বেশ কিছু নম্বর লাগানো ছিল। তবে কেন এই পুকুরেই পাওয়া গেল সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও জেলায় জেলায় পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। গত সপ্তাহেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, করণদিঘিতে একই ভাবে পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। নদীয়া মুর্শিদাবাদের পাটক্ষেত থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। হুগলির জাঙ্গি পাড়াতে গণনার পরেও পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ভোটের ব্যালট উদ্ধার হয়। এই নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাজে রীতিমতন মামলার শুনানি চলছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও, তাকে ঘিরে শোরগোল থামছে না।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নদিয়ার (Nadia) বিডিও গণনা কেন্দ্রে রুখে দিয়েছিলেন ভোট চুরির কারচুপি। সেই কারণেই বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ এলাকায় কেন বিজেপি জয়ী হয়েছে! আর তাই বিডিওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। তবে যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হলেন প্রণয় মুখার্জি। প্রায় তিন বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের কাজ সামলাচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্ত হাতে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকি গণনার দিন কেন্দ্রে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বারবার ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল শাসক দল। একমাত্র ব্লক আধিকারিক নিজে শক্ত হাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই এলাকায় বিজেপি জয়ী হওয়ায়, তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বিডিও, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম-ডিসি করে পাঠানো হলো। অন্যদিকে নদীয়ার ডিএম- ডিসি মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ মোল্লাকে শান্তিপুরের বিডিও করে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল সভাপতি (Nadia) তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে বিষয়টি পুরোটাই প্রশাসনের। আমরা নতুন ব্লক আধিকারিককে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল এই বিডিওকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। গণনার দিনে হয়তো পছন্দের তৃণমূল প্রার্থীদের জোর করে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতে পারেননি তৃণমূল আর তাই এই বিডিও শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন। বোর্ড গঠনের আগে এই ট্রান্সফার অত্যন্ত সন্দেহ প্রবন। ফলে এই ট্রান্সফার যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব। তিনি আরও বলেন, গণনার দিনেও বিজেপি রাজপথে ছিল, প্রশাসন যদি রাজনীতি করে সরকারি আমলাদের নিয়ে, তাহলে রাস্তায় ফের আন্দোলন হবে।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share