Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোমকলের হেরামপুর নতুনপাড়া ১৪৩ ও ১৪৪ নং বুথে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ হয়ে গেল। কারণ ভিতরে তখন চলছে দেদার ছাপ্পা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনগণ। রাস্তা অবরোধ করে পুনরায় ভোট চান ভোটাররা। রাত থেকেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়, ভোর ৫ টা নাগাদ মারা হয় বোমা।  তাতে জখম হন ৪ জন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার মহিলারা রাস্তায় বসে অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুনরায় ভোট করতে হবে। এ ভোট তাঁরা মানছেন না। উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

    সুতির অরঙ্গাবাদ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৩২ নং বুথেও দেদার ছাপ্পা। হাতেনাতে ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার। ভাঙচুর করা হয়েছে দরজা জানালা, চেয়ার টেবিল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট কর্মীরা (Panchayat Election 2023) আতঙ্কে বেরিয়ে যান ভোট কেন্দ্র থেকে। সুতির খানাবাড়ি এলাকার ঘটনা। ভোট কর্মীদের দাবি, দরজা-জানালা বন্ধ করে আটকে দেদার ছাপ্পা চলেছে। দীর্ঘক্ষণ বলার পরেও আসেননি সেক্টর অফিসাররা।

    বীরভূমেও চলল ছাপ্পা (Panchayat Election 2023)

    বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের (Panchayat Election 2023) অভিযোগ বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার সন্তোষপুর হাইস্কুলের বুথে। কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীর এজেন্টদের বুথে ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর লোকজনদের বিরূদ্ধে। বোমা মেরে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজাগ্রামের ১৫ নম্বর আসনে। এদিন নির্দিষ্ট সময়ে ভোট শুরু হয় গ্রামের দুটি বুথে। ১৫ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী রয়েছেন সামাইল শেখ। তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন আবাদি মল্লিক। আবাদির অভিযোগ, নির্দলের দুষ্কৃতীরা চারটি বোমা ফাটায়। বুথের ভিতর ঢুকে ব্যালট বক্স বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ভাংচুর করা হয় ভোটের জিনিসপত্র। মারধর করা হয় আবাদিকে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) ভাঙর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। পরিস্থিতি এতাটাই খারপ ছিল যে রাজ্যপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করেছিলেন। আজ পঞ্চায়েত ভোটের দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর এলাকা। এলাকায় বোমা ফেটে দুই শিশু আহত হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানে বাধা দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করে এলাকার মানুষ রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে চলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের মারামারি

    বোমা ফেটে আহত দুই শিশু (South 24 Parganas)

    নির্বাচনের দিনে ভাঙড়ের (South 24 Parganas) ছয়ানিতে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত দুই শিশু। আহত ৭ বছর ও ৪ বছরের দুই শিশুকে জিরানগাছা হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। দুজেই খুব গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

    ভোট দানে বাধা অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইএসএফ প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কাশীপুরে (South 24 Parganas)। সেই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কাশীপুরে রাস্তা অবরোধ করল আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। মূলত তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যখন আইএসএফ কর্মীরা অবরোধ করছিল সেই সময় এক তৃণমূল কর্মী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। আর তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

    তিন কোম্পানি বাহিনী পৌঁছাল ভাঙড়ে

    ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানা (South 24 Parganas) এলাকায় মোট ১৬১টি বুথ রয়েছে। সেই বুথের নিরাপত্তার জন্য দু কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান এসেছে বলে জানা গেছে। এর আগে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আর আজ সকালে দু কোম্পানি মোট তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    Panchayat Election 2023: বনগাঁয় ছিনিয়ে নেওয়া হল ব্যালট পেপার, সুতিতে ব্যালট চুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে বনগাঁ ব্লকের ভাটবাওর গ্রামে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তা পুকুরের জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এই কাজ করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যালট পেপারের (Panchayat Election 2023) হিসাব দিতে পারেননি প্রিসাইডিং অফিসার। ৮৩ নম্বর ও ৮৪ নম্বর বুথের একটিতে ৮৪৪টি ভোট রয়েছে, অন্যটিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে নয়’শ ভোটার। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বিকেলে ভোট কর্মীরা অটোতে চেপে আসেন। তার পর ভোট কেন্দ্রে চারটি স্করপিও গাড়ি ঢুকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা নাকি এর পর দেখতে পান, পেপারে সই করছে। এরপর ব্যালট পেপারের হিসাব চাইলে তা দিতে অস্বীকার করা হয়। তাই বাকি ব্যালট ছিনিয়ে গ্রামবাসীরা পুকুরে ফেলে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই দুই বুথে ব্যাপক ছাপ্পা হয়েছিল। এবার তাঁরা নিজেদের ভোট (Panchayat Election 2023) নিজেরা দিতে চাইছেন। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, কে বা কারা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তা চালু ছিল কিনা বা তার থেকে কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। বনগাঁর এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

    মুর্শিদাবাদেও ব্যালট পেপার চুরি (Panchayat Election 2023) 

    সুতির অরঙ্গাবাদ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪০ নম্বর বুথে ব্যালট পেপার চুরি। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছায় ঘটনার খবর পেয়ে। ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, মাঝরাতে লোডশেডিং-এর পর কিছু লোক এসে গ্রাম সংসদ ও পঞ্চায়েত সমিতি দুই স্তরের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) চুরি করে নিয়ে যায়। সকাল থেকে ভোট বন্ধ হয়ে যায় বুথে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ভোট চালু হবে না জানিয়ে দিয়েছেন অফিসার। সামশেরগঞ্জের ২৩৪ নং বুথ থেকে ভোট চলাকালীন ১০০ টি ব্যালট পেপার চুরি। ব্যালট পেপার চুরি হতেই বিক্ষোভ বিরোধী প্রার্থীদের।  উত্তেজনা বুথের ভিতরে। ঘটনাস্থলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়াররা। তালা মেরে দেওয়া হয় মেন গেটে।  সব মিলিয়ে উত্তেজনা রয়েছে সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন বুথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তখন থেকেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা। একদিকে যেমন ঝরছে রক্ত, তেমন অন্যদিকে, শাসকদলের বেলাগাম ভোট-সন্ত্রাস ও লুটের ছবি উঠে আসছে। যেমনটা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে। 

    অভিষেকের কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ

    রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারাবারে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই ছবি সামনে আসায় ফের বিরোধীদের দাবি জোরালো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) শাসক দলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটকর্মীদের আটকে রেখে ও ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুড়ল ব্যালট, লুট উত্তর দিনাজপুরে! শাসক-সন্ত্রাস নিয়ে সরব সুকান্ত

    ঠিক কী বলছেন স্থানীয়রা?

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তাঁরা দেখেন, তাদের ভোট পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও ইতি উতি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বেলাগাম ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালট বাক্স খুলে সব ব্যালট ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও 

    এই মর্মে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের ছেলেরা রাতেই ছাপ্পা মেরেছে। সরকারি কর্মী, অফিসার ও পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকালে এসে সেই ব্যালট বক্স (Panchayat Election 2023) বাইরে ফেলে দিয়েছি।’’ এক পুলিশকর্মীকে কাতরভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাতে এখানে অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছিল। বোমা-বন্দুক দেখিয়ে আমাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের মারধর করা হয়। আমরা কোনও প্রতিরোধ করতেই পারিনি। প্রাণের ভয় রয়েছে।’’

    ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাউদাউ করে করে জ্বলছে ব্যালট পেপার। রাতে ছাপ্পা মারার অভিযোগে সেই ব্যালট পেপারগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেখানে অনেকগুলির ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকের উপর ভোটের ছাপ দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    Panchayat Election 2023: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ফুরোলেই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোট। এই বছর নতুন ভোটার হিসাবে ভোটদান করবেন, এমন অনেকেই আছেন। আবার যাঁরা শহরে থাকেন, পঞ্চায়েত ভোট সম্পর্কে তাঁদের অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা নেই। একটা কথা শুরুতেই বলা যায়, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের থেকে অনেকাংশেই আলাদা। এখানে থাকে না কোনও ইভিএম মেশিন, থাকে তিনটি বড় বাক্স যা ব্যালট বাক্স নামে পরিচিত। আর সঙ্গে থাকে তিনটি আলাদা রঙের ব্যালট পেপার। ভারতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমতি ও জেলা পরিষদ। তাই এখানে ভোটাররা তিনটি জায়গার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করে থাকেন।

    পঞ্চায়েতে ভোট প্রদানের (Panchayat Election 2023) পদ্ধতি কী?

    ভোট কেন্দ্রে ভোটার প্রবেশ করলে প্রাথমিক কাগজপত্র এবং ভোটার তালিকা পরীক্ষার পর সেখানে উপস্থিত ভোটকর্মীরা তাঁকে হাতে তিনটি আলাদা রঙের কাগজ ধরিয়ে দেন। এই তিনটি কাগজকেই ব্যালট পেপার বলা হয়। এই ব্যালট পেপারের মধ্যে প্রার্থীর নাম, দলের নাম ও চিহ্ন ছাপা থাকে। এই কাগজগুলি নিয়ে যেখানে ব্যালট বক্স থাকে, সেই স্থানে নিজের পছন্দসই পার্থীকে নির্বাচন করে ছাপ দিতে হয়। তার পর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারগুলি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সতে ফেলতে হয়। এইভাবেই ভোট প্রদান (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

    তিনটি আলাদা ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) কোন কোন রঙের?

    পঞ্চায়েতে ভোটদাতাদের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়। সেই রংগুলি যথাক্রমে গোলাপি, সাদা এবং হলুদ। পঞ্চায়েতে তিনটি স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে ভোট প্রদান করতে হয় এবং আলাদা আলদা প্রার্থীও থাকে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটি জায়গায় তিনটি স্তরে প্রার্থী নাও থাকতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে নির্দল প্রার্থী, বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। এবার তিনটি স্তরের ক্ষেত্রে যদি একই রঙের ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) ব্যবহৃত হয়, তাহলে ভোটারদের সমস্যা হতে পারে। আবার ভোট গণনার সময়ও নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তার জন্যই প্রত্যেকটি ইউনিটে আলাদা আলাদা বাক্স এবং আলাদা রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়।

    কোন রং কীসের জন্য (Panchayat Election 2023)?

    পঞ্চায়েত স্তরের জন্য সাধারণত থাকে সাদা রঙের পেপার, পঞ্চায়েত সমিতির জন্য থাকে গোলাপি ব্যালট পেপার, আর জেলা পরিষদের জন্য থাকে হলুদ পেপার। এই পেপারগুলির মধ্যেই যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা (Panchayat Election 2023) করছেন, তাঁদের নাম এবং দলের চিহ্ন উল্লেখ করা থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকদের উপর আচমকা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর বিনপাড়ার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কীভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় প্রচার করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে বিজেপি প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভানেত্রী পূর্ণিমা দত্ত বলেন, ঘটনার পরে পুলিশ প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। উপরন্ত দলীয় প্রার্থী, কর্মী সমর্থকদের হয়রানি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল করছে। আসলে ওরা বিজেপিকে ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, ভোটের আগে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন বিন বলেন, নির্দল ও বিজেপি (BJP) একত্রিত হয়ে তৃণমূলের নাম কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল না, তাহলে তৃণমূল কী করে তাদের উপর হামলা করবে। সম্পূর্ণই দোষ চাপানো হচ্ছে তৃণমূলের উপর। আসলে তৃণমূল সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সেটা বিজেপির কাছে আতঙ্কের। আর সেই জন্যই আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বেসুরো মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এবার নিজের দলের কর্মীদেরই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের এই বিধায়ক। শিরাকল অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীদের (TMC) সমর্থনে এক সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ তৃণমূল। ভোট ঘোষণার পর থেকেই দলের মধ্যে বিবাদের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। বিধায়করা পর্যন্ত প্রকাশ্যে দল-বিরোধী মন্তব্য করছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।

    ঠিক কী বললেন তিনি?

    দলের নেতাদের চোর-ডাকাতদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”। একই সঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষীকান্তপুর এলাকায় এমন এক জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, যিনি তাঁর দুজন ছেলেকে খুন করেছেন। বিধায়কের (TMC) দাবি, “বাড়ি ভাঙচুর, পুকুর লুট করা ব্যক্তিদেরকেও টিকিট দিয়েছে দল”। আর এই ভাবেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁকে চিনিয়েছে, ঠিক তেমনি এই সকল কর্মীদেরকেও তিনিই রাজনীতির পথ দেখিয়েছেন। এখন তারাই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে বাড়িঘর, জায়গ্‌ জমি কিনেছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, দলে নতুনদের জায়গা দিতে হবে, যারা নতুন দল করছে।

    অস্বস্তিতে শাসক দল (TMC)

    এর আগেও ভোটের টিকিট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এমনকী দলে তাঁর গুরুত্ব কমেছে বলেও জানিয়েছিলেন। ৫০ শতাংশ টিকিট দল তাঁকে দিয়েছে, এমনও দাবি করেছিলেন বিধায়ক (TMC)। আর এবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশকেই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিযংউদ্দিন মোল্লা। আর তাঁর এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগে অনেকটাই অস্বস্তিতে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে দুই বিজেপি কর্মীর ‘ট্রেকার’ অনির্দিষ্ট কাল স্ট‍্যান্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনায় আবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলার (North 24 Parganas) সভাপতি তথা স্থানীয় পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান তাপস দাশগুপ্তের। তিনি দুই বিজেপি কর্মীকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে সকলের সামনে হুমকি দিয়ে বলেন, “ট্রেকার স্ট্যান্ডে নিষিদ্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য!”। এমনটাই অভিযোগ। আর তাকে ঘিরেই ভোটের মুখে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা অঞ্চল।

    কী ঘটেছে ঘটনা (North 24 Parganas)?

    সূত্রের খবর, বারাসতের (North 24 Parganas) দুই চালকের মধ্যে কুমারেশ সাধু খাঁ এবারের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের আসন থেকে। অন‍্যজন অবশ্য নিজে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তাঁর স্ত্রী বিজেপির হয়ে লড়ছেন অন্য একটি গ্রাম সংসদের আসন থেকে। এটাই ছিল ওই দুই বিজেপি কর্মীর অপরাধ! যার জেরেই ‘নিষিদ্ধ’ করে দেওয়া হয়েছে দুই বিজেপি কর্মীর ট্রেকার। এদিকে, শাসকের এই তুঘলকি ‘শাসন’-এর জেরে অসহায় অবস্থা ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মীর। পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত এখন পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা দু’জনে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই, সুবিচার পেতে দলের জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজ‍্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মী। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকেই নিশানা করেছে শাসক শিবির।

    কোন জায়গা থেকে ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন?

    জানা গিয়েছে, বেড়াচাঁপা-বারাসত (North 24 Parganas) রুটে ট্রেকার চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন দুই বিজেপি কর্মী কুমারেশ সাধু খাঁ এবং হারান ঘোষ। কুমারেশের বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সাধু খাঁ পাড়ায়। অন্যদিকে, হারানের বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর ঘোষপাড়ায়। দু’জনেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। সেই সুবাদে কুমারেশকে টিকিটও দিয়েছে বিজেপি। তিনি দেগঙ্গার ১৫৫ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত আসনে লড়াই করছেন বিজেপির প্রতীকে। তবে, হারান ভোটে প্রার্থী না হলেও তাঁর স্ত্রী সুজাতা ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের ৯৩ নম্বর আসন থেকে ।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ছিল?

    অভিযোগ, প্রথম থেকেই এলাকায় (North 24 Parganas) এই দুই বিজেপি কর্মীর ওপর চাপ তৈরি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। কিন্তু, চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি তাঁরা। এর পরেই জব্দ করতে শাসকদল এই পন্থা বেছে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন দুই বিজেপি কর্মী। এই বিজেপি কর্মীর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বনই হল এই ট্রেকার। দীর্ঘদিনের সেই পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন টান পড়েছে রুটি-রুজিতে। কীভাবে সংসার চলবে? আর কীভাবেই বা এর থেকে সুরাহা মিলবে? তা ভেবেই অস্থির দুই বিজেপি কর্মী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলে সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন, এমন কোনও বিষয় নেই! আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অত্যন্ত মিথ্যা। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন এমন কাউকে আমি চিনিনা। ট্রেকার কোনও ব্যাক্তির বন্ধ হয় নি। তবে সিপিএমের কেউ কেউ এসেছেন আমার কাছে। তিনি হুমকির স্বরে আরও বলেন, বন্ধ না করেও যদি বন্ধের অভিযোগ করে থাকে কেউ! তাহলে এবার বন্ধ করে দেবো।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: সুকান্তর জমজমাট প্রচার, চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক

    Dakshin Dinajpur: সুকান্তর জমজমাট প্রচার, চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে নিজের বাড়ির পাশের গ্রামে সুকান্ত মজুমদার। বুধবার বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভূষিলা এবং চকঘটক গ্রামে তিনি নির্বাচনী প্রচারে এসে এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলেন। আজ তিনি ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে থেকে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। সুকান্ত মজুমদার ছাড়া প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দুই প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, বিনয় বর্মন এবং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থীরাও।

    কোথায় যোগদান করল তৃণমূল (Dakshin Dinajpur)?

    পাশাপাশি আজ, পঞ্চায়েত ভোটের দুদিন আগে ভূষিলা এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ প্রেসিডেন্ট সহ ১৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় ভাটপাড়ায় (Dakshin Dinajpur) বিজেপির শক্তি অনেকটা বাড়ল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    প্রচারে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই গ্রামটা আমার বাড়ির (Dakshin Dinajpur) পাশে। এই গ্রামে ছোটবেলায় খেলাধুলো করতে আসতাম। আজ আমি এখানে ভোট প্রচারে বেরিয়েছি। প্রচারে বেরিয়ে গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলছি। আমরা এখানে ভোটে ভালো উত্তেজনা পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ এবার তৃণমূলকে ছেড়ে বিজেপিতে ভোট দেবে। ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করবে। ভূষিলা এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ প্রেসিডেন্ট সহ ১৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে মানুষ যোগদান করছেন। এদিন পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করার আহ্বান জানান সুকান্ত।

    তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মলয় দাস বলেন, আমরা আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম! তৃণমূল এই গ্রামে কোনও উন্নয়ন করেনি। তৃণমূল গরিব মানুষদের ঘর না দিয়ে যাঁদের ঘর আছে তাঁদের দিয়েছে। তাই এই (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েতকে তৃণমূল মুক্ত এবং দুর্নীতি মুক্ত করাই একমাত্র কর্তব্য।

    সবজির দাম বৃদ্ধির সমালোচনা

    বিগত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের নীতির ফলেই এই অবস্থা। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সবজির দাম বছরে এক-দু’বার বৃদ্ধি হয়। কিন্তু এবার অস্বাভাবিকভাবেই সবজির দাম বেড়েছে। সবজির দাম বাড়ার মূল কারণ রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতি। এরা ত্রাণের কথা ভাবে, পরিত্রাণের কথা ভাবে না।সাবেকি পদ্মতিতে চাষ করলে এই সমস্যা সমাধান হবে না। আধুনিক পদ্ধতি আনতে হবে চাষে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share