Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Purba Medinipur: তৃণমূলের বিধায়ক ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’ পোস্টার, শোরগোল মহিষাদলে

    Purba Medinipur: তৃণমূলের বিধায়ক ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’ পোস্টার, শোরগোল মহিষাদলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই। তার মধ্যেই মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের কিসমৎ নাইকুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৯ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের প্রার্থী বিরুদ্ধে ঘাগরা এবং শরবেড়িয়া এলাকায় পোস্টার ঘিরে জোর শোরগোল পড়েছে। প্রার্থী নিজে এলাকার রাস্তাঘাট এবং মানুষদের তেমন চেনেন না বলে অভিযোগ উঠেছে পোস্টারে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে (Purba Medinipur)?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, “বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-মহিষাদল ২০৮ এর বিধায়ক, মহিষাদল (Purba Medinipur) পঞ্চায়েত সমিতিতে কাকে প্রার্থী করেছেন? বাগদা, বাসুদেবপুর, শরবেড়িয়া, ঘাগরা, গোপালপুর গ্রামে যিনি রাস্তা চিনে না এবং বাড়ি বাড়ি তো দূরের কথা। বড় লজ্জা। ছিঃ ছিঃ ছিঃ।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিষয়টিকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলছেন মহিষাদলের (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমাদের দলে নেত্রীর আঁকা প্রতীকই বড় কথা। বিরোধীরা তাঁদের পরাজয় বুঝতে পেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। এর জবাব সঠিক সময়, ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন পাবেন।

    মহিষাদল ব্লকের ৯ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতা জানা ফাদিকা বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আমি মহিষাদলে রয়েছি। মহিষাদলের মানুষের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এতে লাভ হবে না। জয় তৃণমূল কংগ্রেসের নিশ্চিত।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির (Purba Medinipur) প্রার্থী সুন্দরানন্দ গুড়িয়া বলেন, এই ধরনের পোস্টার বিজেপিকে করতে হয় না। তৃণমূলের নিজেদের লোকেরা যাঁরা প্রার্থীকে পছন্দ করেননি তাঁরাই এই কাজ করেছেন। সবটাই তৃণমূলেরই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের প্রার্থী বাইরে থেকে এসেছেন, এলাকার কোনও লোকজনকেই চেনেন না। যারা দীর্ঘদিন ধরে দল করল, টিকিট না পাওয়ায় এই ক্ষোভ তাদেরই। এসব তৃণমূলের মূলত গোষ্ঠী কোন্দলের পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন এই বিজেপির প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    Birbhum: দুবরাজপুরে প্রাইমারি স্কুল থেকে উদ্ধার বোমা, এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের বিদ্যালয়ের রান্না ঘরের ছাদে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার। খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। এদিনই দুবরাজপুরে আসার কথা ফিরহাদ হাকিমের। ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে উদ্ধার হল বোমা (Birbhum)?

    সোমবার দুবরাজপুরের (Birbhum) লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমপুর গ্রামে প্রাইমারি স্কুল থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বোমা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, মাত্র আর ৫ দিন বাকি! ফলে এই বোমা কি নির্বাচনে ভোট লুট করার জন্য মজুত রাখা হয়েছিল? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। খবর পেয়েই ছুটে এসেছে এলাকার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই স্কুলেই মিড ডে মিলের খাবার রান্না হত। এই স্কুলের ছাদ থেকেই প্লাস্টিকে মোড়ানো তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তবে কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    আর কোথায় উদ্ধার বোমা?

    এছাড়াও দুবরাজপুরের (Birbhum) যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের শেখ আলমের বাড়ি থেকে ১৪ থেকে ১৫ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়ও তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে বোদাই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বস্তা ভর্তি ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে আমডাঙা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উদ্ধার হওয়া বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকাগুলিতে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    স্থানীয় গ্রমাবসী (Birbhum) মীর নাজিরুদ্দিন বলেন, এই স্কুলেই বুথ রয়েছে! সমানে পঞ্চায়েত ভোট। এখানে বোমা উদ্ধারে আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভোটদানের দিন কী ঘটবে, তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা ব্লক কনভেনর (Birbhum) রফিকুল খান বলেন, উদ্ধার হওয়া বোমার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন আছে। তারাই তদন্ত করবে। তিনি আরও বলেন, সত্যি কি বোমা? নাকি সুতলি দিয়ে বাঁধা রয়েছে কোনও বস্তু! তবে এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: ভাতারে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে দলবল নিয়ে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। আপাতত পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটল (Purba Bardhaman)?

    বিজেপির অভিযোগ, ভাতার ব্লকের (Purba Bardhaman) বড়বেলুন গ্রামের ৯২ ও ৯৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস এবং তাঁর স্ত্রী মমতা দাস। ঘটনার দিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অভিষেক পালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের প্রথমে হুমকি এবং এরপর নির্যাতন চালায়। বিজেপির পক্ষ থেকে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন, আমরা মনোনয়ন করার পর থেকেই তৃণমূল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কেন বিজেপির প্রার্থী হলাম? আমি প্রচারের কাজে ছিলাম, সেই সময় অভিষেক পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে (Purba Bardhaman) লাঠি, বাঁশ নিয়ে স্ত্রী, কন্যাকে হুমকি দিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার পরিবার আতঙ্কিত। জেলার বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরা বলেন, আমরা অভিযোগ জানিয়ে কোর্টে যাব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের জেলার নেতা প্রসেনজিত দাস বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ মিথ্যা। জেলার (Purba Bardhaman) যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে এখন প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। আর তাই সব দোষ তৃণমূলের ওপর চাপাচ্ছে। কিন্তু এই ভাবে তৃণমূলের বদনাম করেও বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।  ওদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নানা পথ অবলম্বন করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সন্ত্রাস কবলিত বাসন্তীতে রাজ্যপাল, দিলেন সব রকম সাহয্যের আশ্বাস

    South 24 Parganas: সন্ত্রাস কবলিত বাসন্তীতে রাজ্যপাল, দিলেন সব রকম সাহয্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাসন্তীতে (South 24 Parganas) গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ রাজ্যপাল যান বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে। সেখানে গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের যুব, মাদার এবং নির্দলের মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। সেই সমস্ত সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে আবার তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর দাবি, প্রশাসন চক্রান্ত করে বাড়িতে আসতে দেয়নি রাজ্যপালকে। শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (South 24 Parganas)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তাল। এই পর্যন্ত গত ২৩ দিনে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু যে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ ঘটছে তাই নয়, এলাকা বিশেষে পুরাতন এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের কথাও উঠে এসেছে। শুধু সংঘর্ষই নয়, মারামারি, প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে তৃণমূলের যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। গতকাল কোচবিহারের দিনহাটায় নির্দল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যপাল। ফেরার সময় ট্রেন থেকে রাতে খবর নেন আরও আক্রান্তদের।

    এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসন্তীতে তৃণমূলের যুব এবং মাদার সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্পষ্ট হয়। বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। মৃত জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে রাজ্য পুলিশের প্রতি আস্থা নেই বলে জানিয়ে দেন। এমনকি সিবিআই এবং রাজ্যপালের উপর ভরসা আছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ সোমবার তাই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই পরিদর্শনে যান বাসন্তীতে (South 24 Parganas)। নির্বাচন সময় পর্বে রাজ্য জুড়ে ঘটা অশান্তির এলাকা পরিদর্শন করে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভয়মুক্ত পরিবেশ গঠনের কথাই বারবার বলেন তিনি।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য

    কাঁঠালবেড়িয়া (South 24 Parganas) অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি সনৎ দত্তের মা বীণা দত্ত বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজা গাজি নির্দলের হয়ে মাদার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বীণা দেবী বলেন, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিনপাত করছি। আমরা যুব তৃণমূল করি। কিন্তু মাদার তৃণমূলের সঙ্গে নির্দলরা যুক্ত হয়ে রোজ ভয় দেখাচ্ছে। বাড়িতে বেশ কয়েকবার বোমাও মারা হয়। ইতিমধ্যেই আমার স্বামী বোমার আতঙ্কে তিনবার স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল এসেছেন, আমাদের কথা তাঁকে বলেছি। রাজ্যপাল সব রকম সাহয্যের আশ্বাস দিয়েছেন। উনি একটি নম্বরও দিয়ে গেছেন। যদি আরও কোনও রকম অসুবিধা হয়, তাহলে সেই কথাও জানাতে বলেছেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি স্কুল খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে চলছে মাংস-ভাত খাওয়া। স্কুল চত্বরে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। ভোটের আগে এলাকা দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি বলছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের চোখে কি তুলসি পাতা লাগানো রয়েছে?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামগঞ্জের প্রতি বুথে চলছে রাতের বেলায় খাওয়া-দাওয়ার আসর। একই ভাবে নবদ্বীপ (Nadia) বিধানসভার চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি সরকারি স্কুলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে চলল মাংস-ভাত খাবার আয়োজন। গ্রামের মানুষকে নিমন্ত্রণ করে চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি জুনিয়র স্কুলে হয়ে গেল পিকনিক। স্কুলের চৌদ্দহির ভিতরেই পড়ে রয়েছে মদের বোতল। আর এ নিয়েই বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীরা ওই এলাকায় মাংস-ভাত খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছে! রাতের বেলায় স্কুলের চাবি পেল কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। স্কুলের ভিতরে মাইক এবং দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেদার অনুষ্ঠান রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের আগে এলাকায় শাসক দলের এই আচরণে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপি নেতা দিলীপ সরকার বলেন, এই স্কুলের শিক্ষকরা আসেন এবং চলে যান। পড়াশুনা হয় না বললেই চলে। রাজনৈতিক নেতাদের গোপন আস্তানা হয়েছে এই স্কুল। ভোটের নিয়মবিধি চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলের মধ্যে তৃণমূলের পাতাকা লাগিয়ে মাংস-ভাত খাইয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট কেনাবেচা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কি কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না! নাকি চোখে তুলসি পাতা লাগিয়ে রেখেছেন! ঠিক এই ভাবেই শাসকদলের ভোট কেনার কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) তৃণমূল নেতা বলেন, খাওয়া দাওয়ার সেরকম কিছু ব্যাপার নয়। ওই এলাকায় সারা বছরই স্কুলে পিকনিক হয়। দুর্গাপুজো, কালীপুজো এরকম বছরের ১২ থেকে ১৩ বার খাওয়া দাওয়া চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মদ খাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা মদ খায় তারা খেতেই থাকে, সারা বছরই মদ খায়। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে বিরোধীরা মূলত অপ্রচার করছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। সোমবার কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে এনজেপি রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথের ভিতর না রাখার যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, আমরা তার বিরোধিতা করছি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করব আমরা। আমাদের আইনজীবীরা তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    আরও কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো করে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত। যাতে তৃণমূল অবাধে ভোট লুট করতে পারে। কেননা পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে বিজেপি জিতবে। তারপর তৃণমূল দলটাই থাকবে না। সবাই তখন তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। আর সেই ভয়েই তৃণমূল পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে চাইছে না।

    রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সন্ত্রাস, সংঘর্ষের অভিযোগ পেলেই ছুটে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা তিনি ঘুরে দেখেছেন। এপ্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন ঠিক মতো তাঁর কাজ করেন না, তখন সাংবিধানিক প্রধানকে সেই কাজ করতে হয়। আমাদের রাজ্যপাল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সেই কাজটাই করছেন। তিনি যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন, মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাতে যাঁরা শান্তিপূর্ণ অবাধ ভোট চান, তাঁদের উৎসাহিত করছেন। যাঁরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান না, তাঁরা রাজ্যপালের এই সফরে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের এই ভূমিকা সাধারণ মানুষকে ভোটদানে সাহস জোগাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ছাড় নেই নির্দলেরও! লাঠি এবং রড দিয়ে আঘাত, ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা

    Murshidabad: ছাড় নেই নির্দলেরও! লাঠি এবং রড দিয়ে আঘাত, ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালার (Murshidabad) থানার মালিহাটি গ্রামে নির্দল সমর্থককে মারধরের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ঘটনাস্থলে সালার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় বেশ উত্তেজনা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে এক দিকে যেমন বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ, আবার অন্য দিকে হামলা। সব মিলিয়ে সরগরম জেলা।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    নির্দল সমর্থক নুরেল শেখ (Murshidabad) বলে এক ব্যক্তিকে এদিন প্রচণ্ড মারধর করে তৃণমূল সমর্থকরা। তারপর থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে পরিবার। নির্দল প্রার্থীর স্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর স্বামীকে, লাঠি এবং রড দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কোমরে বেশ আঘাত করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যাতে তৃণমূল একক ভাবে জয়ী হয়, সেই প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে এই হামলা চক্রে। এমনই মন্তব্য করে পরিবার।

    মেয়ের দাবি

    নির্দল সমর্থক নুরেল শেখের মেয়ে বলেন, বাবাকে নান্টু, সান্টু নামের তৃণমূল কর্মীরা আক্রমণ করে। প্রথমে ফোন করে ডাকে। তারপর বাড়ির কাছেই লোহার রড নিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি ছুটে বাবাকে বাঁচাতে গেলে উপর থেকে সোহাগী নামে এক মহিলা ছাদ থেকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এরপর বাবাকে টানতে টানতে ওরা নিয়ে চলে যায়। পরে অবশ্য হাসপাতালে গিয়ে আহত নুরেল শেখের (Murshidabad) সন্ধান পাওয়া যায়।

    আহত নির্দল সমর্থকের বক্তব্য

    নুরেল শেখ (Murshidabad) বলেন, আমি বাড়ি (Murshidabad) থেকে ফিরছিলাম। আমি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করি না। কিন্তু নির্দলকে সমর্থন করায় আমাকে আঘাত করে ওরা। আমার মাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমরা সব মিলিয়ে প্রায় ৮ জন আহাত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পুলিশ আসে এবং দুষ্কৃতীদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর এবার থানায় অভিযোগ করতে যাবেন বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

    বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

    অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

    এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

    বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে থাকা মজুত বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির প্রাচীর। এছাড়াও সকেট বোমা উদ্ধার হল ডোমকলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৩ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ এবং সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে, তাতে জেলা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

    কোথায় বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    রবিবার দুপুর নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার জয়কৃষ্ণপুর মাঠপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই কংগ্রেস কর্মী জাহাঙ্গির শেখ। আপাতত বোমা বিস্ফোরণের স্থান এবং বাড়িটিকে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বাড়ির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে। বোমা রাখার উদ্দেশ্য কী ছিল? কোন কাজে ব্যবহার করতে বোমা রাখা হয়েছিল? সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কোথায় সকেট বোমা উদ্ধার হল

    এবার ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার তাজা সকেট বোমা। ডোমকলের ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় বোমগুলি। শনিবার সকালে বোমার ব্যাগ ও বালতি দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় ডোমকল থানার পুলিশকে। সেইমতো খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ পিস তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। বোমা উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল ঘিরে খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারপরে বিকেলের দিকে তারা এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। তবে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে তাজা সকেট বোমা উদ্ধারে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন! এই নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মীরা। যেভাবে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর, ডোমকল, সালার, সামসেগঞ্জ, নিমতিতা, ভরতপুর, বেলডাঙ্গায় পরপর নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণের কথা উঠে এসেছে, তাতে আগামী ৮ই জুলাই কেমন ভোট হয়, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    Birbhum: “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ গভর্নর করছেন” ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠ (Birbhum) এলাকায় “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিলীপ ঘোষ বিজেপির কর্মী এবং প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন। আর সেখান থেকেই শাসক দল তথা তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। ছাড় পাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে, এদিন রাজ্যপালের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

    রাজ্যাপাল নিয়ে কী বললেন (Birbhum)?

    বীরভূমে (Birbhum) দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে ১২ হাজার নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ওরাও তো তৃণমূল! তৃণমূল দলটা চোরে ভর্তি। তাই নিজেদের মধ্যে “খুনোখুনি” করে চলেছে। আরও হত্যালীলা দেখতে পাবেন। কারণ পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ রাজ্যপাল প্রসঙ্গে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাজটা গভর্নর করছেন! নিহত ও আহতদের বাড়িতে যাচ্ছেন। এমন দিন এসেছে যে বাংলার রাস্তায় বোমা-বন্দুক পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আইএসএফ ও তৃণমূল সংর্ঘষ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ দুই দলকেই কটাক্ষ করেন।

    ছাপ্পা ভোট প্রসঙ্গে কী বললেন?

    নির্বাচনে হবে বিজেপির জয়। কিন্তু তৃণমূল ভুয়ো কাগজপত্র আর বল প্রয়োগ করে নির্বাচনে জয়ী হাওয়ার কৌশল করছে। ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস অতিরিক্ত ব্যালট ছাপিয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারাপীঠে (Birbhum) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বুথে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করবেই। সরকারি কর্মচারীরা ভয়ে ভোট করতে যাবে না। এক্সট্রা ব্যালট যেগুলি ছাপানো হয়েছে, সেগুলি ঢোকানো হবে। আর এভাবেই জিততে চাইছে তৃণমূল।

    নির্বাচনী প্রচারে দিলীপ বীরভূমে (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের ভোট প্রচারে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। সকাল থেকেই সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সকাল ন’টায় তারাপীঠ (Birbhum) কড়কড়িয়া মোড়ে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে এক হাত নেন শাসকদল তৃণমূলকে। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও দুষ্কৃতী নেই, কোনও আশ্রিত নেই। তৃণমূলের এত ভালো ছাতা থাকতে আমাদের কাছে আশ্রয় নেবে কেন? সব গুন্ডারা তৃণমূলের আশ্রয়েই আছে। তারাই আলাদা আলাদা দল হয়ে মারামারি করছে। সব জায়গায় তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি, মারামারি করছে, ভয় দেখানো হচ্ছে সর্বত্র। ভয় না দেখিয়ে তৃণমূল জিততে পারবে না! তবে তৃণমূল এবার হারবে। তাই হারার ভয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share