Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই তৃণমূল দলটা ভেঙে যাবে’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই তৃণমূল দলটা ভাঙবে। হাজার হাজার কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি সহ অন্য দলে যোগ দেবেন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। রাজ্যের সর্বত্র নির্দল দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েতের পর তৃণমূল ভাঙবে। আমরা বিচার করব, কাদের দলে নেওয়া যাবে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস করছে। ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর সহ একাধিক জায়গায় আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আসলে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের প্রাণ যাবে। তৃণমূল যদি মনে করে বিজেপি বা সিপিএম বা বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তারা দেখবে। তারা ভুল ভাবছে। কারণ, সেই আগুনে তৃণমূলকে পুড়তে হবে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মথুরাপুর থানার কালিকাপুর এলাকার বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইকের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়়িতে তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করে রাখে বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে আটতক করে। তখনই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ ওই বিজেপি কর্মীকে ছেড়ে দেন। বিজেপি কর্মী সঞ্জীব পাইক বলেন, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আমার বাড়িতে বোমা রেখে  ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আসলে আমি বিজেপি প্রার্থীর হয়ে এলাকায় প্রচার করছি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। ওরা বলেছিল। সেটা মেনে তৃণমূলে যোগ দিইনি বলেই ওরা এই কাজ করেছে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভয় না পেয়ে বিজেপির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে বোমা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমরা সবসময় দলীয় কর্মীর পাশে রয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    Governor: রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল, বাস্তব চিত্র দেখতে নিজে যাবেন এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন রাজ্যপাল? সোমবার দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor) মন্তব্যে ওয়াকিবহাল মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে। কেননা এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মোলনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তা তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখেছেন, সব রিপোর্ট ফিল্টার হয়ে তাঁর কাছে আসছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব এলাকা অশান্ত ও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে, সেখানকার বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে যাবেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে এদিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল (Governor)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, তার সবগুলোই ফিল্টার হয়ে আসছে। তার অবজেক্টিভও ফিল্টার হওয়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও উঠছে। তাই নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি এ ধরনের এলাকাগুলি ঘুরে দেখব। বাস্তব পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখে সবটা মূল্যায়ন করতে চাই। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের সঙ্গেও দেখা করব। আক্রান্তরা কেমন আছেন দেখব, তাদের অভিজ্ঞতার কথাও শুনব। দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দিনাজপুর জেলাতেও পরিদর্শনে যাবেন বলে এদিন জানান রাজ্যপাল।

    সাক্ষাতে সব রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল (Governor)

    বিকালে সেখান থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে যান রাজ্যপাল। সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল (Governor) বলেন, পাহাড়েরও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। রাজনৈতিক দলগুলি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের স্বাগত। এদিন দুপুরে রাজ্যপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য একদল যুবক জমায়েত করেছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে  ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের ভরা জোয়ারে ঝাড়গ্রাম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) চারটি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই! জেলার জামবনি, কাপগাড়ি, দহিজুড়ি, রাধানগর-এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই অবস্থা শাসক দলের।

    কোথায় কী পরিস্থিতি (Panchayat Election)?

    জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর সংসদে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তী হাঁসদা, তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোহন সরেন। প্রার্থী পদের নামের তালিকায় মোহনের নাম ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বর নির্দেশ মতো মোহন নাম প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে তৃণমূলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। ওই আসনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে নির্দল প্রার্থী বাসন্তী হাঁসদার। যদিও কাপগাড়ি অঞ্চল সভাপতি কানু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসন্তী নির্দল থেকে দাঁড়ালেও আমাদেরই লোক।’’

    একই অবস্থা দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) ৮ নম্বর সংসদে কামিনী হেমব্রম তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ঝর্ণা মুর্মু নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থী হিসাবে কামিনীকে মানেনি। যার ফলে কামিনী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাই ওই আসনে বিজেপি ও নির্দলের লড়াই হচ্ছে।  

    আবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর সংসদে জয়ন্ত মাহাতো, মনতোষ সিংহ মাহাতো ও তরুণ মাহাতো তিনজনই নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। জানা গিয়েছে, এটি কুড়মি এলাকাভুক্ত। যার ফলে দলীয় প্রতীকে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, ‘‘জয়ন্ত মাহাতো আমাদের প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্দল হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছে’’। 

    আর জামবনি ব্লকের জামবনি অঞ্চলের ৪ নম্বর সংসদে তৃণমূলের নামে সুজিত পাত্র ও বিপ্লব রানা মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় প্রতীক দেওয়ার আগে সুজিত পাত্র মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। অথচ সুজিতের নামে দলীয় প্রতীক জমা পড়ে। যার ফলে সুজিত প্রত্যাহার করায় বিপ্লব রানা নির্দল হয়ে যান। ওই আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই।

    জেলায় মোট ১০০৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০০৩ টি আসনে, বিজেপি ৭৯৯টি, সিপিএম ৪১১টি, নির্দল ৩৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘শাসক দলে থেকেই বুথে (Panchayat Election) প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় কিছু হতে পারে না। যেখানে আমরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি, সেখানে প্রার্থী দিতে পারিনি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘খোঁজখবর নিয়েছি। কম সময়ে ভোট, তাই অসুবিধা হয়েছে। দলের তরফে যে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল, অঞ্চল সভাপতিরা বদলে দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট আমাদের করেননি। যার ফলে সমস্যা হয়েছিল। কাকে সমর্থন করব, তা ভেবে দেখব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, রাজনৈতিক হত্যা-সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হয়েছে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহারও। আর এরপর প্রচার অভিযান শুরু হতেই দিকে দিকে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, প্রার্থী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ থামছে না। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    রানিনগরে (Murshidabad) ব্লক ২ এর মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সিপিএম জোট প্রার্থী-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসুস্থ ছেলেকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমার বাড়ির সামনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে গেছে। এখানে মূলত সিপিএম সমর্থিত জোট এবং শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। দিনের বেলায় বাচ্চা ছেলেদের বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়, আর তারপরেই রাতের বেলায় এই বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের গুণ্ডারা বোমা নিয়ে আঘাত করলে জোটের ছেলেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ উল্টো আমার বাড়িতে তল্লাশি করে জোটের কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমার ছেলেকেও তুলে নিয়ে যায়। রাজ্যে স্বৈরাচারী আর দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রপতি পুরুস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। রানিনগর (Murshidabad) টু-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, গ্রামে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছেন শিক্ষক আতাউর রহমান। পরিকল্পনা মাফিক এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন-চারজন কর্মীকে মেরে আহত করেছেন ওই শিক্ষক। আমাদের বেশ কিছু কর্মী বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন ব্লক সভাপতি। বয়স্ক শিক্ষক মানুষ। আগে সিপিএম করতেন, কিন্তু ভালোমন্দের জ্ঞান নেই তাঁর। শিক্ষক আতাউর রহমান গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে গ্রামে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: বোমা বাঁধার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল দুজন, কাঠগড়ায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Bomb: বোমা বাঁধার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল দুজন, কাঠগড়ায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোঁজ দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের সব জেলায় এটাই চেনাচিত্র। এই নির্দল প্রার্থীরাই এখন তৃণমূলের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৫৬ জনকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার বোমা (Bomb) তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি-২ ব্লকের বসন্তিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন বসন্তিয়ায় বাদামের জঙ্গলের ভিতরে একটি ঘরের মধ্যে বোমা (Bomb) তৈরির কাজ চলছিল। স্থানীয় লোকজন দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা তৈরির সরঞ্জাম সহ দুজনকে আটক করে। বেশ কয়েকটি বোমা ও তার সরঞ্জাম পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে অভিযুক্তরা বলেন, ২০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলে নিয়ে এসেছিল। তৃণমূলের জন্য বোমা তৈরির কথা বলা হয়েছিল। এদিন ২০০ টাকা অগ্রিম দিয়েছিল। আমরা বোমা তৈরির কাজ করছিলাম। এরমধ্যেই পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে যায়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তপন কুমার সামন্ত বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকটি বুথে নির্দল প্রার্থী দিয়েছে। বিরোধীরা সমর্থন করেছে। আসলে তৃণমূলে হারানো তাদের লক্ষ্য। তাই, নির্দলের লোকজন বোমা তৈরির কাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা চড়াও হই। হাতে নাতে ধরে বোমা (Bomb) তৈরির কারবারিদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বিজেপি সহ বিরোধীদের এই কাজে মদত রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ব্যাপক আকার নিয়েছে। তৃণমূলকে হারাতে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বোমা (Bomb) তৈরি করছে। তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব। বিজেপি বোমাবাজির রাজনীতির পছন্দ করে না। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে-তে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ভীমপুরে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় বিজেপির পক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা এদিন লক্ষ্য করা গেল।

    কেমন প্রচার চলছে (Paschim Medinipur)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে ভীমপুরে পদযাত্রায় যোগদান করেন। এরপর তিনি দীর্ঘ রাস্তায় টোটো করে জনসংযোগ সারেন। শেষে পিড়াকাঠায় (Paschim Medinipur) এসে পৌঁছান। দলীয় কর্মীদের সাথে পিড়াকাঠায়ও যোগ দেন একটি নির্বাচনী পদযাত্রায়। এরপরই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসক শিবিরকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার অভিযানে (Paschim Medinipur) যোগদান করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীর পায়ে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রের সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি, এনআইএ যাতে তদন্ত আর না করতে পারে! তৃণমূল শাসকদের বড় বড় নেতামন্ত্রী এখন জেলে রয়েছেন। আরও হয়তো অনেকে যাবেন। নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে পাটনায় সব চোরেরা এক হয়েছেন। কিন্তু লাভ হবে না। কার্যত চুরির তদন্ত বন্ধ করতেই তৃণমূল দিল্লির কেন্দ্র সরকারের পরিবর্তন চায়। শুভেন্দু আরও বলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে সিপিএমকে ভোট দেওয়া আবার সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। তাই তিনি বলেন, এই গোপন বোঝাপড়া এবং সেটিংকে বুঝে নিতে হবে।

    আরও কী বললেন?

    সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, রাজ্যে রাজ্যপাল সমান্তরাল শাসন চালাচ্ছেন বলে তৃণমূল অভিযোগ করছে। উত্তরে শুভেন্দু বলেন, সময়ে সময়ে রাজ্যপাল ভালো হয়ে যা্‌ আবার সময়ে সময়ে তৃণমূলের কাছে খারাপ হয়ে যান। সবই নাটক! এক কথায় তৃণমূল শাসক সংবিধানকে মানে না। কয়েকদিন আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম তখন ভালো ছিলাম। এখন বিজেপিতে আসায় খারপ হয়েগেছি। তৃণমূলের জনজোয়ার যাত্রাকে তিহার যাত্রা বলেও সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে তৃণমূলের (TMC) ভরতপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে বিশাল জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে, সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের হারানোর জন্য কোনও প্রস্তুতি সভা নয়। এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই। দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগেই এই জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধায়ক নিজের বিধানসভার চেয়ারম্যান। অথচ এই নির্বাচনে আমার কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আহ্বায়ক হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করছি। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ প্রধান বক্তা। আর জলঙ্গির বিধায়ক ছাড়াও অনেকে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই আমরা আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আরও ভালোভাবে তুলে ধরব। জমায়েতে প্রচুর কর্মী, সমর্থকের যে ভিড় হবে তার তিনি আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই ধরনের সভা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বেশ বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছে। এতে দলের আখের ক্ষতি হবে বলে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু, এই ধরনের দল বিরোধী সভা বন্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই জেনে দলের কর্মীরাও হতবাক। তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় বলেন, যে যা খুশি করতেই পারে। তাতে আমার কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর পরিবর্তে সেখানে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। তাই, এই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে।

    কেন তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি?

    সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শুনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয়। গ্রেফতার হন সুকুমার। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। তাই মনোনয়ন জমা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে তমলুকের পদুমপুরের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। লড়াইয়ে আছেন বিজেপির লক্ষ্মণ গুড়িয়া, সিপিএমের শ্রীকান্ত পাল, আম প্রতীকের নির্মল কুইল্যা এবং বটগাছ চিহ্নে পূর্ণচন্দ্র তুঙ্গ। প্রসঙ্গত, এই বুথের ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে তার ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজি নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে, তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ‘ সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইলা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে, ভোটে কোন অসুবিধা হবে না। গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।’ তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি এটা ঠিক নয়। আসলে দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একজন প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের নির্দল প্রার্থী রয়েছে। দল তাকে সমর্থন করবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। প্রকৃত ভোট (Panchayat Election) হলে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! এ যেন নিজের নাক কেটে পরের (BJP) যাত্রাভঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোটে এমন নজির সহজে মিলবে না শুধু এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, হয়তো গোটা রাজ্যেও। কারণ এখানে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য, নিজের আসন নয়, বরং গ্রাম থেকে বিজেপিকে হটাতে হবে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীই দিল না শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল। এমনই নজির বিহীন ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরডাঙ্গী গ্রামে।

    গ্রামে দেখা মিলবে বিরল ছবির

    পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান লড়াই বোরডাঙ্গী গ্রামের ৯৬ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) বনাম বাম- তৃণমূল মহাজোটের নির্দল প্রার্থীর মধ্যে। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই বুথে গেলে একদিকে সারি সারি বিজেপির দলীয় পতাকা, আবার দেখা মিলবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীর প্রচারের ফ্লেক্সের ওপর তৃণমূল ও সিপিএমের দলীয় পতাকা। এমন বিরল ছবি অন্য কোথাও সহজে দেখা মিলবে কিনা সন্দেহ। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই ৯৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মিতা পাল এবং আম চিহ্নের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাম-তৃণমূলের মহাজোটের প্রার্থী অনিন্দিতা পাল। 

    প্রচার(BJP)-পাল্টা প্রচারে সরগরম এলাকা

    গত নির্বাচনে কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও বোরডাঙ্গীর এই বুথটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। বিজেপির (BJP) দাবি, তারা উন্নয়ন করেছে বিগত পাঁচ বছরে। তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে এই নির্বাচনেও ভোট আদায়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী মিতা পাল। পাশাপাশি এলাকায় অনুন্নয়নের দাবি তুলে পাল্টা ভোট প্রচার শুরু করেছেন বাম- তৃণমূল জোটপ্রার্থী অনিন্দিতা পাল। তবে কে শেষ হাসি হাসবে এই পঞ্চায়েত ভোটে, তা সময় বলবে।তবে তৃণমূল ও সিপিএমের এই মহাজোট জেলায় একেবারে নজিরবিহীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভোট প্রচার শুরু হল বীরভূমে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহাকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব (BJP)। বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ১৮ এবং ১৯ নম্বর বুথে এদিন জোর কদমে প্রচার চালায় গেরুয়া শিবির। এই দুটি বুথ আদিবাসী অধ্যুষিত। এদিন প্রত্যেকটি পাড়ায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগ করেন বিজেপি নেতারা। 

    কীভাবে ক্ষোভের কথা জানাল মানুষ?

    জব কার্ড সহ ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ নানা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্কুলগুলিতে নাকি ভালো পড়াশোনা হয় না। ভাতা নয়, বরং ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়, তারই দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠে আসে।

    কী আবেদন জানাল গেরুয়া শিবির?

    বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বরের তিনটি পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে তাই গেরুয়া শিবিরের আবেদন, পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে মানুষ যেন মোদিজির আত্মনির্ভর ভারত এবং চোর মুক্ত বীরভূম জেলা গড়তে সহায়তা করেন। এমনটাই জানান বীরভূম জেলা পরিষদের২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি (BJP) মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহা। ক্ষমতায় এলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলার আশ্বাস দিলেন তিনি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ বোলপুর এলাকায়

    অন্যদিকে, আগামী ৮ ই জুলাই রাজ্যে এক দফায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (BJP) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলছিলেন। আদালতও সেই দাবিতেই সিলমোহর দেয়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চিঠি লেখেন। রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে শুরু হল তৎপরতা। শনিবার বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share