Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুর ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায়ের ব্লক কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) শাসকদলের মধ্যেই বেলাগাম গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে নিজেদের দলের গোঁজ প্রার্থীরাই ভয় ধরাচ্ছে শাসক শিবিরে।

    কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) কারা গোঁজ প্রার্থী

    তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি কুমারগঞ্জ (Dakshin Dinajpur) ব্লকে। প্রার্থী ঘোষণার পর এই ব্লকেই তৃণমূলে বেলাগাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জে তিনটি, হিলিতে দুটি সহ কুশমণ্ডি, হরিরামপুর সর্বত্রই তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল। বালুরঘাট মহকুমায় অবশ্য গোঁজ প্রার্থী মফিজউদ্দিন মিয়াঁ, সুধীরচন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে কুমারগঞ্জের গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে পারেনি তৃণমূল। ওই আসনে ধেনা টুডুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী দলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা। তাই গোঁজের কাঁটা নিয়েই সেখানে শাসকদলকে ভোটের ময়দানে নামতে হবে।

    দলের প্রতীক না পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর অঞ্চলে ১৭টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। প্রধানের স্বামী বাবুন টিগ্গাও দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। প্রধান অঞ্জলি টিগ্গা আবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। ওই অঞ্চলের উপ প্রধান জান্নাতুন বিবি মণ্ডল সহ পুরোনো তৃণমূলের সদস্যরাও এবার নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোঁওড় অঞ্চলের ১৪টি আসনের সাতটিতেও নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ছ’জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। হরিরামপুর ও কুশমণ্ডিতে নির্দলের সংখ্যা অনেক।

    হরিরামপুরে কারা গোঁজ প্রার্থী

    মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুরে (Dakshin Dinajpur) এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে নির্দল কাঁটা রয়েছে তৃণমূলের। এই ব্লকের শিরশি, পুগুরি, গোকর্ণ, সৈয়দপুর সহ সর্বত্র তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমনকী বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূলের চারজন প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দলের নির্দল প্রার্থীদেরই লড়াই হতে চলেছে। কুশমণ্ডি ব্লকের উদয়পুর, মালিগাঁও সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে।

    জেলা তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে লিফলেট বিলি করিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানোর কথা চলছে।” এদিকে দলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “যারা নির্দলের হয়ে লড়াই করছে, তাদের কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের প্রতীক দেখেই ভোট দেবে। তবে যেসব নির্দল প্রার্থীর জন্য দলের ক্ষতি হবে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই করিম চৌধুরী গোষ্ঠীর নির্দল সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছঘরিয়া এলাকায়।

    কী ঘটেছে?

    মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী করিম ও কানাইয়া পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় ৩ জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্তমানে ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আহতদের অভিযোগ, তাঁরা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সমর্থক। বুধবার রাতে হঠাৎই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের লোকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সানজুর আলম, লাল মহঃ এবং নুর আলম নামে তিন জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হন। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    করিম গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আহত লাল মহঃ জানিয়েছেন, তাঁরা দু-তিন জন বসে গল্প করছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই করিম চৌধুরির (Uttar Dinajpur) সমর্থক। হঠাৎ আসারুল হক, সাকাওয়াতরা পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু করে কোনও কারণ ছাড়াই। আবার করিম গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী লাল বানুর ছেলে মহঃ খইবুল আলম জানিয়েছেন, “তৃণমূলের প্রতীকে যারা দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনও সংগঠন নেই। তাদের পায়ের নিচের জমি সরে যাচ্ছে। তাই তারা ভয় দেখানোর জন্য আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়েছে। ওরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন করিম গোষ্ঠীর খইবুল।

    করিম চৌধুরীর বক্তব্য

    উল্লেখ্য, বুধবার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ টি আসনে, জেলা পরিষদের ২ টি আসনে, এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪ টি আসনে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তারপরই রাতের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।

    কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য

    অপরদিকে তৃণমূলের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল টেলিফোনে জানিয়েছেন, করিম সাহেব নিজের মতো কাজ করুক। গোটা ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে। মাটিকুন্ডা হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা, কোথাও কোনও গন্ডগোল হতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    এখন নির্বাচন কীভাবে কাটে এলাকায়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার ভাঙন তৃণমূলে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ঝুলন মোড় এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে (BJP) যোগদান করে। সন্ধ্যায় সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি বাড়ল। আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি ভালো ফলাফল করবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে মানুষ বিজেপির পতাকার নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এদিনের এই যোগদান কর্মসূচি সেই প্রবণতারই জ্বলন্ত প্রমাণ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    কী বলছেন যোগদানকারীরা (BJP)?

    এই বিষয়ে যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দল দুর্নীতির দল। তাই ওই পরিবেশে তাঁরা আর থাকতে পারছিলেন না। চাইছিলেন পরিবর্তন। তাই দুর্নীতির দল থেকে বেরিয়ে আজ ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) ফল ভালো হবে বলে তাঁরা প্রত্যেকেই আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কুমারগঞ্জে এদিন ২৫ টি পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। এরা বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির (BJP) আরও বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভালো ফলাফল করবে।

    কী বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আজ কুমারগঞ্জের সাফানগরে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গিয়েছিলেন। ৫০০ লোক বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিজেপির লোক, বিজেপিতে যোগদান করেছে। তারা কেউ তৃণমূল করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। দলের প্রার্থী এবং নেতানেত্রীদের নিয়ে দুর্নীতি এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই প্রচারেই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    কীভাবে পদযাত্রা করলেন?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ঢাক, ঢোল, মাদল বাজিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। প্রচার যাত্রার সঙ্গে ছিল বিজেপির দলীয় পতাকা, পদ্মফুলের প্রতীক এবং গেরুয়া বেলুন। এই পদযাত্রা টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক পদযাত্রায় যোগদান করেন। শেষে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভাষণের মধ্যে দিয়ে প্রচার শেষ হয়।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, তার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচনে কোনও প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ২০১৩ সালে ৮০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল। এই দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার আরও অবনমন ঘটেছে। তাই ২০১৩ সালের থেকেও ডবল বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা প্রয়োজন। কোর্টের আদেশকে মান্যতা দিয়ে বাহিনীর হাতেই রাজ্যকে ছেড়ে দিক কমিশন! নির্বাচনের প্রচার, ভোটদান, ফলাফল এবং ফলাফল ঘোষণার পরও বাহিনীকে রাজ্যে রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বসিরহাটের বিডিও এবং রাজ্যের বেশ কিছু এসপি এবং আইসি প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল পার্টির হয়ে কাজ করছেন। অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামের নির্বাচনী প্রচার এদিন ছিল বেশ জমজমাট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমে মনোনয়নপত্র তোলা, তারপর মনোনয়নপত্র জমা করা এবং এরপরই মনোনয়ন প্রত্যাহার। বিরোধীরা শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে বার বার আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ধরনের বহু খবর সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের ভোটের প্রচারকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের প্রচার করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে (Paschim Bardhaman)। কাঁকসার মাধবমাঠ এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    কাঁকসা (Paschim Bardhaman) গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৬৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ছোটন বাগদী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভয় দেখাত। গতকাল গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় এবং তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বলে, তিনি যেন এলাকায় কোনও রকম ভোটের প্রচার না করেন। এমনকী ভোটের প্রচারে বের হলে তাঁকে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি জানান, অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারেননি। এই ঘটনার পরই কাঁকসা থানায় ফোন করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছোটন বাগদী অবশ্য তাঁর দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বুধবার তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁকসা (Paschim Bardhaman) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, এই এলাকায় একশো শতাংশ বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুই কোটি বেকারের চাকরি দিতে পারেনি কেন্দ্র! আর তাই বিজেপি প্রচার করতে গেলে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করছে মানুষ। কার্যত প্রচারের আলোয় আসার জন্যই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) উঠেছে বারবার। ফের তার প্রমাণ মিলল একটি প্রাণের বিনিময়ে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঝরল আরও একটি প্রাণ। চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গুরুতর জখম মনসুর আলমের মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের।

    কী হয়েছিল?  

    গত ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। মাঝপথে তাদের সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়। রক্ত ঝরে। জখম হন একাধিক। তিনজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’ জন, মনসুর আলম ও নাইমূল হককে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

    কারা আক্রমণ করেছিল, কী বলছে মনসুরের পরিবার

    মনসুরের পিসেমশাই মজফফর আলম বুধবার শিলিগুড়িতে বলেন, আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ মিছিল করে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) জমা দিতে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎই রাস্তা আটকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়। তার মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছিল। নাইমূল হক ও মনসুরকে শিলিগুড়িতে আনা হয়। মনসুরের মাথায় গুলি লেগেছিল। এজন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন এই ঘটনার পর আমাদের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    চিকিৎসকরা কী বলছেন

    শিলিগুড়ির যে বেসরকারি নার্সিংহোমে মনসুর মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মনসুরের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মনসুরের মাথায় সেদিন গুলি (Panchayat (Election 2023) লেগেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সবটা জানা যাবে। তার আগে তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে যেভাবে প্রাণনাশের হুমিক দেওয়া হত, ঠিক তেমনই ঘটনার প্রতিফলন এবার পুর্ব মেদিনীপুরে। অভিযোগের তীর এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নীলিমা দত্ত। কাঁথি (Purba Medinipur) ১ নম্বর ব্লক এলাকার সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ বুথের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তিনি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠানে একটা সাদা থান এবং সঙ্গে মিষ্টি, ফল, ফুলের মালা। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট চিরকূট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘স্বামীর ভালো চাইলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া’… । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির প্রার্থী নীলিমা দত্ত বলেন, আমরা রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরবেলা আমার শ্বশুরমশাই বাইরে বের হলে দেখেন, কারা যেন বাড়ির (Purba Medinipur) উঠানে এই সাদা থান এবং একটি চিরকূট রেখে গেছে। তিনি খুব স্পষ্ট বলেন, তৃণমূলের হার্মাদরাই এই কাজ করেছে! আগে সিপিএমের লোকেরা এই কাজ করত, এখন তৃণমূল করছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। মানুষ নিজের পছন্দ এবং মতামত প্রকাশ করলেই এভাবে বিরোধীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই থান এবং চিরকূটের মাধ্যমে তাঁকে বিধবা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নীলিমা দেবী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই, লড়াই করব। তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করব।

    কতটা সুরক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন?

    কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে মানুষের অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছেন। মিনাখাঁ, ভাঙড়ে যে সব বিরোধীরা মনোনয়ন করতে পারেননি, তাঁদের সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? যে কোনও রকম হিংসা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন? হিংসার আগে-পরে কী কী ঘটেছে? কত জন গ্রেফতার হয়েছে! সেইসব কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের দিনে বিরোধী রাজনৈতিক দল কতটা সুরক্ষিত! তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। ৮ই জুলাই নির্বাচনের দিন কাঁথিতে (Purba Medinipur) কেমন নিরাপত্তা বলয় থাকে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের শুরু থেকেই শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং প্রার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। মনোনয়ন জমার পর এবার মনোনয়ন প্রত‍্যাহারের চাপ দিয়ে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত হলেন পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) এক বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ‍ের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    বারাবনি (Paschim Bardhaman) বিধানসভার সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিষাডি গ্রামের বাসিন্দা চিন্ময় তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী সিঙ্কু তিওয়ারি। তাঁরা যথাক্রমে বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। অন‍্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জয় সুকুলের স্ত্রী নবনীতা সুকুল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীদের নাম প্রত‍্যাহারে চাপ দিতে সোমবার রাতে চিন্ময় তিওয়ারিকে ফোন করা হয়। এরপর বচসার সৃষ্টি হওয়ায়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চিন্ময়ের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধর করে। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর কাকা সজল তিওয়ারিও আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসন এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ

    মনোনয়ন প্রত্যহার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ইতিমধ‍্যে রূপনারায়ণপুর (Paschim Bardhaman) ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ‍্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এইভাবেই এই রাজ্যে বিরোধীরা বারবার রাজনৈতিক ভাবে হিংসার শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতী হরেরাম তিওয়ারি, সঞ্জয় সুকুল ও পল্লব তিওয়ারিরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সালানপুর ব্লকের (Paschim Bardhaman) তৃণমূলের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, দোকান ও ব‍্যবসা সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও ঘটনার সাথে কোনও রাজনীতির সংযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবেন উভয় পক্ষের সাথে একযোগে বৈঠক করে সমস‍্যার সমাধান করতে। অন‍্যদিকে সঞ্জয় সুকুল দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলেই তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির অন্ধ ভক্ত। স্বামীও এক সময় সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি করায় জোটেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। তবুও থেমে থাকেননি। ৮৫ বছর বয়সে পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কাঁকসার আমলাজোড়ার (Durgapur) উমারানী। এই বয়সে প্রার্থী হয়ে যেমন দলের যুব কর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তেমনই পঞ্চায়েত ভোটে নতুন চমক বিজেপির।

    কে এই উমারানী মিশ্র (Durgapur)?

    বয়স ৮৫। বয়সের ভারে শ্রবণশক্তি কমেছে। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের ধোবাঘাট গ্রামের বাসিন্দা। দুই ছেলের মধ্যে বছর কয়েক আগে এক ছেলে মারা গেছেন। স্বামীরও মৃত্যু হয়েছে। অনটনের সংসার। বার্ধ্যকভাতা যেটুকু পান, তাতে কোনওভাবে সংসার চলে। স্বামী কুবীর মিশ্র বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সময় সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির অন্ধ ভক্ত উমারানী। বছর কুড়ি আগে আমলাজোড়ার বিহারপুর গ্রাম থেকে (Durgapur) বিজেপির হয়ে প্রথম প্রার্থী হয়েছিলেন। ৮৫ বছর বয়সেও সাহস ও ইচ্ছাশক্তি প্রবল এবং সক্রিয় বিজেপি কর্মী। নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপি করার অপরাধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িটুকুও জোটেনি বলে অভিযোগ উমাদেবীর। সম্প্রতি রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব উমাদেবীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে।

    কী বলছেন ৮৫ বছরের এই প্রার্থী (Durgapur)?

    কাঁকসার আমলাজোড়া অঞ্চলের ২৭৬ নং গ্রাম সংসদে বিজেপি প্রার্থী উমারানী মিশ্র। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রচারও (Durgapur) শুরু করেছেন। এই বয়সে কেন প্রার্থী হয়েছেন? প্রশ্ন করতেই উমাদেবীর সপাটে জবাব, “স্বামী একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী ছিলেন। আমি বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। করোনা আবহে লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। উজ্বালা যোজনায় গ্যাস। প্রত্যেকের পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ড, যেটা রাজ্যে চালু করতে দেয়নি তৃণমূল, তার জন্য আমাদের মতো গরিব মানুষকে চিকিৎসা করাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে আপ্লুত। তাই নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপিই একমাত্র গরিব মানুষের সাহারা। তাই এই বয়সে প্রার্থী হয়েছি।” তিনি আরও বলেন,” গ্রামের মানুষের চাপে বার্ধক্যভাতাটুকু চালু করেছে। বিজেপি করায় আমাকে  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেয়নি তৃণমূল সরকার। তাই রাজ্য থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নামক জগদ্দল পাথরটাকে সরাতে প্রার্থী হয়েছি।” জেতার বিষয়ে উমাদেবী বলেন,” আমাদের মতো অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্য কাজ করব। গ্রামের মানুষ খুব ভালোবাসে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই জিতব।”

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Durgapur)?

    উমাদেবীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় Durgapur তৃণমূল নেতৃত্ব। আমলাজোড়া পঞ্চায়েত প্রধান চয়নিকা পাল বলেন, “উমাদেবীর দুই ছেলে। এক ছেলে মারা গেছেন। দুই ছেলের পরিবারের দুটি জব কার্ড। উমাদেবীর আলাদা কোনও জবকার্ড নেই। উমাদেবীর নাম এক বৌমা লক্ষ্মী মিশ্রর জবকার্ডে সংযুক্ত রয়েছে। দুটি পরিবারের দুটি জবকার্ডে আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে। জবকার্ড অনুযায়ী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে।”

    কী বলছে বিজেপি (Durgapur)?

    প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভার নিরিখে আমলাজোড়া অঞ্চলের ধোবাঘাট গ্রামে (Durgapur) বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। তাই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও উমাদেবীর জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী। স্থানীয় বিজেপিকর্মী অসীম ঘড়ুই, প্রসেঞ্জিত বাগদী বলেন,” ঠাকুমা এবারে জিতবে। গ্রামের মানুষ তৃণমূলের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চাইছে। দু হাত তুলে সমর্থন করছে বিজেপিকে।” উল্লেখ্য, বিজেপির প্রত্যেক নির্বাচনে প্রার্থী পদে চমক রাখে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার শালতোড়া আসনে রাজমিস্ত্রির পরিবার থেকে চন্দনা বাউরীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। এছাড়াও আউশগ্রাম বিধানসভায় পরিচারিকা কলিতা মাজিকে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছিল। চন্দনা বাউরী বিপুল ভোটে জয়ীও হয়েছেন। তবে কলিতা মাজি টক্কর দিয়ে কয়েক হাজার ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন,” উমারানী আমাদের গর্ব। বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সম প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন তৃণমূলের অত্যাচার থেকে গ্রামবাসীকে পরিত্রাণ দিতে প্রার্থী হয়েছেন। উমাদেবীর সাহসিকতা বিজেপির অনুপ্রেরণা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share