Tag: panchayat election 2023

panchayat election 2023

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দি (Murshidabad) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে নির্দলদের পাশেই দেখা গেল ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য এবং জেলা পরিষদের নির্দল সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন। তাই নিয়ে জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল। 

    কীভাবে প্রচার করলেন (Murshidabad)?

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সালার (Murshidabad) বাস স্ট্যান্ড থেকে কাজীপাড়া, দফাদার পাড়া ঘুরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ভোটের প্রচার করেন। সাথে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা নেত্রীরা। নির্দলদের প্রচারে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি বহু নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভরতপুর বিধানসভা। কিন্তু তারপরেও সালারের নির্দল প্রার্থীদের প্রচারে অটল থাকলেন হুমায়ুন কবীর।

    কী বললেন হুমায়ূন কবীর?

    নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের হুমায়ুন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “এই নির্দলদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র দায়ী জেলা তৃণমূল সভানেত্রী (Murshidabad) সাওনী সিংহ রায়। তাঁর অপসারণ আমার মুখ্য দাবি। তাঁর জন্যই আজ তৃণমূলের প্রকৃত সৈনিকরা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন ভরতপুর বিধানসভা এলাকায়, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় সৈনিক। হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “নির্দল হলেও এই প্রার্থীরা প্রকৃতই দলেরই কর্মী-সৈনিক। তাঁদের পাশে আমি রয়েছি, সব সময় তাঁদের জয়লাভ করানো আমাদের লক্ষ্য। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণ এবং উন্নয়ণের কান্ডারী এই নির্দল প্রার্থীদেরই ভোট দেবে।”

    তৃণমূলের সভানেত্রী কী বললেন?

    অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী সাওনী সিংহ রায় বলেছেন, “কে কী বলছেন আর কে কী করছেন, আমার তাতে কী আসে যায়! আমি কিছু বলবো না। সমস্তটাই রাজ্য নেতৃত্ব দেখতে পাচ্ছেন। দল নজরে রেখেছেন বিষয়টি। যদি কেউ মনে করে থাকেন, রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি খবর রাখে না, তাহলে সে ভুল করছে! ভুল ভাবছে! রাজ্যের চোখে সবকিছুই ধরা পড়ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দলের কাজ করেছে দল। তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) সংশোধন করার সময় দিয়েছে দল। যদি সংশোধন করেন ভালো! দলের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কারণ দলের কর্মীদের পরিশ্রম বৃথা যাবে না। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে দল নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় ৩০ দিনে রাজ্যে মৃত্যু ১৮ জনের! শনিবার কী হবে?

    Panchayat Election 2023: ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় ৩০ দিনে রাজ্যে মৃত্যু ১৮ জনের! শনিবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-পর্ব। এবার শনিবার ভোটগ্রহণ। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়া ইস্তক রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক হিংসার পালা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা, হানাহানি, রক্তপাতের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩০ দিনে রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ১৮ জনের।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আবহে ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় কত প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে—

    ভোট-পূর্ববর্তী হিংসায় মৃত্যুর খতিয়ান

    ৯ জুন: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।

    ১৫ জুন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন হন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা ও ২ তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখকে পিটিয়ে ও গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

    ১৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীর দেওর শম্ভু দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ওইদিনই মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে মারা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে।
     
    ২১ জুন: ১৫ জুন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন ২১ বছরের সিপিএম কর্মী মনসুর আলম। ২১ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়।

    ২২ জুন: পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রায় পয়েন্ট ব্ল্যঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।

    ২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী আলিম বিশ্বাসের।

    ২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।

    ১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামে গুলি করে খুন করা হয় যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লাকে। পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কোন্দলে খুন বলে অভিযোগ ওঠে।

    ৩ জুলাই: ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের।

    ৪ জুলাই: উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের তৃণমূল সমর্থক ইমরান হোসেনের। আইএসএফ ও সিপিএম সমর্থিত নির্দলদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    ৫ জুলাই: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী কামাল শেখের। ওই দিনই বীরভূমের মহম্মদবাজারে দিলীপ মাহারা নামে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

    ৬ জুলাই: ৩ জুলাই কুলপির দক্ষিণ গাজিপুরে আলফাজ হালদার নামে এক কংগ্রেস নেতা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রচারের সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ৬ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়।

    ৭ জুলাই: মুর্শিদাবাদের রানিনগরের রায়পুর গ্রামে অরবিন্দ মণ্ডল নামে কংগ্রেস কর্মী খুন। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কংগ্রেসের ওপরেই হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    ভোটের দিন হিংসা বন্ধ হবে কি?

    পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে রাজ্যে লাগামছাড়া হিংসা ও সন্ত্রাসের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। আদালতও, ভোট-হিংসা রুখতে রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ। অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, এত কিছুর পরও কি হিংসা বন্ধ হবে? কেউ কি নিশ্চিত করে বলতে পারে যে শনিবার রক্ত ঝরবে না এ বাংলার বুকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস হতে পারে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। এবারেও রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। তাই শেষ প্রচারে শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লকে বুথ পরিক্রমা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    তৃণমূলের কোন পরিকল্পনা ফাঁস করলেন?

    শেষ প্রচারে শুভেন্দু বুথ পরিক্রমা করার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জলপথে কেন্দামারি থেকে শওকত মোল্লা ও শাহজাহানের বাহিনীকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটেও চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। এবারেও করবে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য। কর্মীদের সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা তৈরি থাকবেন। বাইক বাহিনী দেখলেই জলে ফেলে দেবেন। আমিও নন্দীগ্রামে থাকব। ভোটের দিন যেমন সতর্ক থাকতে বললেন, পাশাপাশি স্ট্রং রুম পাহারার কথাও বলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লক থেকে প্রচার শুরু করে বিরোধী দলনেতা শেষ করেন নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের টেঙ্গুয়াতে।

    শেষ দিনে প্রচারে ‘মমতাও’

    অন্যদিকে, প্রচারে মমতাও। না মমতা মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নয়। যাত্রা ও সিনেমাতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের শেষ প্রচারেও নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটেও শেষ প্রচারে শুভেন্দু ও মমতা। তবে হ্যাঁ শুভেন্দু অধিকারী নিজে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। আছে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী। সেই  সাদা শাড়ি পায়ে চটি, নির্বাচনী মঞ্চে মমতার সাজে রুমা। তৃণমূলের ভোট চাইলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসা রুখতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)! আদালতের নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। মূলত নির্বাচিতদের ও সামগ্রিকভাবে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের উদাহরণ রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনও অভিযোগ যেন না আসে, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে হবে কমিশনকে। আদালত আশা করে, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন বিএসএফের আইজি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশের কর্তারা বিএসএফের আইজিকে সাহায্য করবেন।

    গণনা-পর্ব

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে ৮ জুলাই। গণনা শুরু হবে ১১ জুলাই। গণনা-পর্ব শেষ হতে ১২ তারিখ হয়ে যেতে পারে। তাই এই ১২ জুলাইয়ের পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বাহিনী। প্রসঙ্গত, বুধবারই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তায় গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অশান্ত হয়েছে রাজ্য। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। কেবল মুর্শিদাবাদেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। কোথাও শাসকের হাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কোনও কর্মী, কোথাও আবার তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন কেউ। রাজনৈতিক এই হিংসার আবহে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্ভব নয় অনুমান করে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। দাবি করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বিস্তর টানাপোড়েনের পর হাইকোর্টের গুঁতোয় শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেই রাজ্যে দফায় দফায় আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার আদালতের নির্দেশে সেই বাহিনীই থাকবে গণনা শেষ হওয়ার ১০ দিন পর পর্যন্ত।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

    Panchayat Election 2023: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাকে আমি নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু আপনি রাজ্যবাসীকে হতাশ করেছেন। দায়িত্ব পালনে আপনি ব্যর্থ। এখনও সময় আছে, সঠিক পদক্ষেপ করুন। রাজধর্ম পালন করুন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। তার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আগুন নিয়ে খেলা!

    এদিন সাংবাদিকদের সামনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, “আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। রক্ত নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। মানুষের অসহায়তা দেখেছি। চোখের জল দেখেছি। পিতৃহারা শিশুর কান্না দেখেছি। এই রাজনৈতিক হিংসা (Panchayat Election 2023) বন্ধ হওয়া উচিত।” বিশ্বখ্যাত নাট্যকার শেক্সপিয়রের অমর কীর্তি ‘ম্যাকবেথ’ নাটকের প্রসঙ্গ টেনে রাজীবের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, “সঠিক পদক্ষেপ করতে যদি ব্যর্থ হন, তাহলে আরবের সমস্ত সুগন্ধী আপনার ছোট হাতকে মিষ্ট করবে না। পবিত্র গঙ্গার জলে আপনার হাতের রক্ত ধোয়া যাবে না।”

    রাজ্যপালের চোখে জল

    তিনি বলেন, “বাসন্তী, পুরুলিয়া, কোচবিহারে হিংসার দায় কার? কে ঘাতক? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জানা উচিত। এত মৃত্যুর দায় কার? কমিশনকে জবাব দিতে হবে।” শনিবার যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত করতে রাজীবকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “গ্রাউন্ড জিরো  হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Panchayat Election 2023)। মানুষের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। মানুষ বলছে, তাঁদের প্রিয়জনের জীবন ফেরাতে।”

    আরও পড়ুুন: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    রাজ্যপাল যখন কথাগুলি বলছেন, তখন তাঁর দু চোখের কোণে চিকচিক করছে জল। রাজ্যপাল বলেন, “এখনও সময় রয়েছে। সঠিক পদক্ষেপ করুন। স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন। স্ট্রংরুমে নিরাপত্তা বাড়ান। সাধারণ মানুষের কথা শুনুন। তাঁদের মতামত নিন। মানুষ বলছে, নকল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে, খতিয়ে (Panchayat Election 2023) দেখুন।” তিনি আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, বাংলার গ্রামেগঞ্জে গিয়ে দেখব, চিত্ত হেথায় ভয় শূন্য, উচ্চ হেথায় শির। কিন্তু এসে দেখলাম, একেবারে উল্টোটা। মানুষের মনে ভয়, মাথা হেঁট হয়ে রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election 2023: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি সহ চারটি অভিযোগ পেয়েও কেন পদক্ষেপ নয়? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মামলায় রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, অভিযোগ আসার পরেই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল কমিশনের। এদিনই দুপুর ১টায় ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য

    আদালতে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিদিকে বলো-র ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। যা এখন চলছে। নির্বাচন ঘোষণার পরে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক প্রার্থী টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মসূচিতে। এই অবস্থায় ওই জেলায় তিনি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) পরিচালনা করবেন। নির্বাচন ঘোষণার পরে রাজ্য পুলিশের আইজি কয়েকজন অফিসারকে বদলিও করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ওই কর্মসূচি ঘোষণা করার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়। জারি হয় বিজ্ঞপ্তিও। বিষয়টি নিয়ে আদালতের (Panchayat Election 2023) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কর্মসূচিতে যে নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে। নির্বাচনের আগে এটি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুর!

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে। বিচারপতি সিনহা মামলাটি পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে (Panchayat Election 2023)। বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। তাই এটিকে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠান তিনি। এদিন শুনানি হয় ওই মামলার। সেখানেই আদালতের প্রশ্নের সম্মুখীন হয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর গাড়িতে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বুধবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাপি গোস্বামী। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন জেলা বিজেপি সভাপতি। গাড়িতে মোট তিনটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি চিহ্ন গুলির। বাকি একটি চিহ্ন পাথর বা ভারী কিছু বস্তু দিয়ে গাড়ির পিছনে কাচে আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি। 

    আতঙ্কের সেই ঘটনার বিবরণ

    বুধবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাপি গোস্বামী তাঁর মণ্ডল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভোট প্রচার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাপি গোস্বামী গাড়ির সামনে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন। অন্ধকার রাস্তায় আসতেই আচমকা গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। এর পরেই বাপি গোস্বামীর সিটের পাশের কাচে একটি গুলি করা হয়। তার পর গাড়ির সামনের কাচে আরও একটি গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপি গোস্বামী। একটি মোটর সাইকেলে চেপে দুজন এসেছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। সেই কারণেই দুষ্কৃতীদের চেহারা দেখতে পারেননি তিনি। কোনও প্রকারে ওই এলাকা থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটিকে নিয়ে বাপিবাবু ৩১ নং জাতীয় সড়কে উঠে পড়েন। সেখান থেকে সোজা কোতোয়ালি থানায় চলে আসেন৷ কোতোয়ালি থানার পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভিতর থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করে। রাত প্রায় ৩ টে ১৫ নাগাদ বাপিবাবু কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলা সভাপতির (BJP) গাড়িটি আপাতত থানায় রেখে দিয়েছে পুলিশ।

    দিলীপ ঘোষের (BJP) সভার আগেই হামলা!

    বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুর এলাকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি নির্বাচনী সভা রয়েছে। তার আগে জেলা সভাপতির গাড়িতে গুলির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বাপি গোস্বামীর (BJP) অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীদের মাথার উপর শাসক দলের নেতাদের হাত না থাকলে তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। ওই এলাকা এখন সমাজ বিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। গণনায় কারচুপি ও অশান্তি রুখতেই বিশেষ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কেবল তাই নয়, প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। 

    জেলায় জেলায় ঝরেছে রক্ত

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। প্রথম বলি হয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সেখানে এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসক দলের দিকেই। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করে। কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন (Panchayat election 2023) জেলাও। ভাঙড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আইএসএফ-তৃণমূলের ওই সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। তাঁদের মধ্যে এক আইএসএফ কর্মীও ছিলেন।

    উত্তপ্ত কোচভূমও

    শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচ রাজাদের ভূমিও। অশান্তি হয়েছে রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায়ও। সব ক্ষেত্রেই যে সংঘর্ষ হয়েছে তৃণমূল বনাম বিরোধীদের, তা কিন্তু নয়। কোথাও কোথাও তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর লড়াই হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের লড়াইয়ের বলিও হয়েছেন একজন। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা (Panchayat election 2023)। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভরসা করেছিল রাজ্য পুলিশের ওপর। সেই মতো কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতেও শুরু করেছিল বলে খবর। কমিশনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর কমিশনের তরফে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। এবার আদালত নির্দেশ দেয়, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তার সমতুল কিংবা তার বেশি বাহিনী চাইতে হবে। সেই মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করে কমিশন। ভোটারদের (Panchayat election 2023) আস্থা ফেরাতেই এই বাহিনীর একটা অংশ টহল দিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বাকি বাহিনী এলে টহল দেবে তারাও। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পাশাপাশি প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের নিরাপত্তাও দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানের নামে ভঙ্গ করা হচ্ছে আদর্শ আচরণ বিধি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এই মামলা গ্রহণ করেনি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। বরং নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই মতো বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবান্নের তখতে ফিরতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত ওই কর্মসূচিতে ব্যাপক (Suvendu Adhikari) সাড়া মেলে। প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরাই জনগণের সমস্যার কথা জেনে নথিবদ্ধ করে রাখছিলেন। অভিযোগ, দলীয় এই কর্মসূচিতে যে ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরকারের কর্মসূচি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ!

    বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষণাটি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ঘোষণা করা হয় পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট। তার ঠিক পরের দিনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এই কর্মসূচির। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, এতে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনের প্রার্থী দীনেশ মজুমদারের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ (Suvendu Adhikari) উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এই বিষয়টি নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share