Tag: Panchayat Poll 2023

Panchayat Poll 2023

  • Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    Birbhum: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকেশ চক্রবর্তী, বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের টোটো চালক। তিনি কোনও রাজনীতি করেন না। তবে, সব সময় তিনি প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত। বার বার তাঁর টোটোর ব্যানারে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ উঠে এসেছে। এবার ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি’ লেখা ব্যানার লাগিয়ে ফের প্রতিবাদ করলেন শান্তিনিকেতনের এই টোটো চালক।

    এর আগেও ব্যানারে একাধিক প্রতিবাদ তুলে ধরেছিলেন সুকেশ

    অনুব্রতের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের নীচুপট্টির বাসিন্দা সুকেশ চক্রবর্তী। পেশায় টোটো চালক। প্রায় সময় টোটোর পিছনে বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক ছবি ও কথা লিখে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর শান্তিনিকেতনের অপা বাড়ি সংক্রান্ত ব্যানার দেখা দিয়েছে সুকেশের টোটোয়। একই ভাবে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে তাঁর কার্টুন ছবির সঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক লেখা ব্যানারও দেখেছেন শান্তিনিকেতনবাসী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে তাঁকে ‘ভগবান’ লিখে ব্যানার লাগাতেও দেখা গিয়েছে।

    পিসিমণির হেঁসেল নিয়ে কী বললেন টোটোচালক?

    সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন হাবড়ায় সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে টেবিলের উপরে থাকা কয়েকটি ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল প্রার্থীর এক অনুগামীর বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে এবার সুকেশের টোটোতে দেখা গেল, সে নিজে একটি প্রতীকী ব্যালট পেপার মাটির থালায় সাজিয়ে খাচ্ছে সেই ছবি। ছবি পাশে লেখা আছে, পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি, তার সঙ্গে থাকছে বোমা, বন্দুক আর গুলি। আরও লেখা আছে, এটা হল পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র। এই ব্যানার টোটোয় লাগিয়ে যথারীতি যাত্রী নিয়ে শান্তিনিকেতনে ঘোরাফেরা করছেন তিনি। এই টোটো দেখে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন, অনেকে ছবি তুলছেন। টোটো চালক সুকেশ চক্রবর্তী বলেন, দেখলেন তো কিভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হল? তৃণমূল প্রার্থী ব্যালট পেপার খেয়ে নিল। এটারই প্রতিবাদে আমি এই ব্যানার লাগিয়েছি। মানুষ আরও জানুক, প্রতিবাদ করুক। কত মানুষ আমাকে বলে এভাবেই প্রতিবাদ করতে থাকো, তোমার সাহস আছে। আমি চাই সবাই প্রতিবাদ করুক। নাহলে দুষ্কৃতীরা রাজ্যে রাজত্ব করবে। আর পুলিশ টেবিলের তলায় থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার খাদিকুল গ্রামে। বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এলাকার মানুষের জনরোষ এবার গিয়ে পড়ল ভোটের বাক্সে। খাদিকুল গ্রামে এবার জয়লাভ করল বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। খাদিকুলে ৮২ ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ। আর তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিলতা দাসকে। তিনি এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান। শান্তিলতা দাসকে শিপুর গ্রামসভাতে ৮২ ভোটে পরাজিত করল বিজেপি। এই শান্তিলতা দাসের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিল নির্দল এবং তৃণমূল। পরে নির্দলের প্রধান হন তিনি। এবার এই পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করল। ১৭ টি আসনের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিস্ফোরণে ভয়াবহ ভাবে অগ্নিদগ্ধ কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয় ওড়িশার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ সে সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন সহ একাধিক নেতাকে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ বলেন, তৃণমূল প্রচার করেছিল উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এত কিছু করেও তৃণমূল এই আসন ধরে রাখতে পারল না। কারণ, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে এলাকার মানুষ জোট বেঁধেছিল। এই জয় এলাকার মানুষের জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপি (BJP) কর্মীদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হয়। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কেউ গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাটোয়া থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে, সিপিএম কর্মীদেরও মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটের দিন তৃণমূল বহু বুথে ছাপ্পা মেরে ভোট লুট করেছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এদিন ওরা আমাদের কাউকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওরা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতেই আমরা অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। পাশাপাশি আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কর্মীরা যখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের গাড়ি থামিয়ে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    গলসিতে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালাল তৃণমূল

    বুদবুদে ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা। পা ভেঙে দেওয়া হল সিপিআইএম প্রার্থী তরুণপদ বাগদির। তিনি গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাডি গ্রামের ১৭৪ নং বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী। তাছাড়াও শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন গ্রামের কাজল মুন্সী নামে এক কংগ্রেস সমর্থককে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে গলসি ১ ব্লকের পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ৬৫ নং আসনের প্রার্থী জয়শ্রী বিষ্ণুকে পুলিশের সামনেই মেরে বার করে দিল তৃণমূলের লোকজন। এমনই অভিযোগ তাঁর। স্ট্রং রুম থেকে তাঁর ব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    বর্ধমানেও বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা

    বর্ধমান ১ ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। পুলিশ সাহায্য করেছে না বলে অভিযোগ। গণনা কেন্দ্রের ভিতর পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিরোধীরা। হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির ৩১ নং মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্থা করা হয়। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    TMC: করিমের খাসতালুকেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, পুড়ল ব্যালট পেপার, ভোট লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনও উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। আর লড়াই হল তৃণমূলের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের। যারা সকলেই তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। এই বিধানসভা এলাকায় নির্দল প্রার্থীদের হয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা মূলত ভোট করাচ্ছেন। আর শনিবার সকালে সেই নির্দলের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম মোজাফ্ফর হোসেন। পাশাপাশি একাধিক বুথে ব্যালট লুট করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনার জেরে বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এই বিধানসভা এলাকায় ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক করিম চৌধুরী আগেই বলেছিলেন দলীয় কর্মীরা টিকিট না পেলে নির্দলে দাঁড়াবেন। তিনি সেই কথা রেখেছেন। তাঁর অনুগামীরা এখন ইসলামপুরে নির্দল হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এদিন সকালে ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের ঝাড়বাড়ি এলাকার ২৮ নম্বর বুথে গণ্ডগোল বাধে। মূলত বুথে জমায়েতকে কেন্দ্র করে নির্দল এবং তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলা বাধে।  পরে, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বুথের কাছে চলে গুলি। আর তাতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইসলামপুরের জগতাগাও হাইস্কুল ১০৮ নম্বর বুথেও এদিন গণ্ডগোল হয়। ব্যালট পেপার সহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া। ভোট লুটের পাশাপাশি  ব্যালট বাক্সে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি রাস্তায় ব্যালট পেপার ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের চোপরাবাখারি এলাকার ১৪৫ নং বুথে ব্যালট লুটে বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় প্রিসাইডিং অফিসার সহ অন্যান্য ভোট কর্মীদের। জখম অবস্থায় তাঁদের  উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ইসলামপুরের আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৮ নং বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। সকাল ৮ টার মধ্যেই ব্যলট বক্স সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।  অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য পুলিশের দেখা মেলেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও, শাসক দল তা মানতে নারাজ।  ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতি জাকির হুসেইন বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তখন থেকেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা। একদিকে যেমন ঝরছে রক্ত, তেমন অন্যদিকে, শাসকদলের বেলাগাম ভোট-সন্ত্রাস ও লুটের ছবি উঠে আসছে। যেমনটা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে। 

    অভিষেকের কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ

    রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারাবারে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই ছবি সামনে আসায় ফের বিরোধীদের দাবি জোরালো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) শাসক দলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটকর্মীদের আটকে রেখে ও ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুড়ল ব্যালট, লুট উত্তর দিনাজপুরে! শাসক-সন্ত্রাস নিয়ে সরব সুকান্ত

    ঠিক কী বলছেন স্থানীয়রা?

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তাঁরা দেখেন, তাদের ভোট পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও ইতি উতি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বেলাগাম ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালট বাক্স খুলে সব ব্যালট ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও 

    এই মর্মে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের ছেলেরা রাতেই ছাপ্পা মেরেছে। সরকারি কর্মী, অফিসার ও পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকালে এসে সেই ব্যালট বক্স (Panchayat Election 2023) বাইরে ফেলে দিয়েছি।’’ এক পুলিশকর্মীকে কাতরভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাতে এখানে অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছিল। বোমা-বন্দুক দেখিয়ে আমাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের মারধর করা হয়। আমরা কোনও প্রতিরোধ করতেই পারিনি। প্রাণের ভয় রয়েছে।’’

    ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাউদাউ করে করে জ্বলছে ব্যালট পেপার। রাতে ছাপ্পা মারার অভিযোগে সেই ব্যালট পেপারগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেখানে অনেকগুলির ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকের উপর ভোটের ছাপ দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কোচবিহার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল বিজেপির (BJP) এক পোলিং এজেন্টের। শনিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ফলিমারি ৪/৩৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মাধব বিশ্বাস। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার জখম হন।  বুথে থাকা এক পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হন। সকাল থেকে গণ্ডগোলের জেরে এই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে, ভোট শুরু হওয়ার আগেই এদিন সকালে মালদার মানিকচকে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মালেক (৪০)। তিনি ওই এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই কোচবিহারের ফলিমারি বুথে বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাস যান। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা বুথে হামলা চালায়। বুথের মধ্যেই চলে বোমাবাজি। বিজেপির পোলিং এজেন্ট বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার সুমন রায় জখম হন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিজেপি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট হচ্ছে। তৃণমূলের হামলায় আমাদের কর্মীর প্রাণ গেল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে, এদিন সকালে মালদার মানিকচকে ভোট শুরুর আগেই ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। অভিযোগ কংগ্রেসের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী শেখ মালেকের। ঘটনার পর পই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের রামপুর এলাকা উত্তপ্ত হল। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট চারজন বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার জোরাই ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙা ও ঢোঢারকুঠি  এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী টহল দেয় গোটা রামপুর এলাকায়। সেই সময় প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোঢারকুঠি ৯/৫৫ নম্বর বুথে সুব্রতলাল সরকারের ধান ঝারাই করার দোকানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর চালিয়ে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠিক তার পরেই ৯/৫০ নম্বর বুথের গড়ভাঙ্গা বাতানবাড়ি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী দুলালী সাহা, বিজেপি কর্মী অখিল সাহা, গোপাল সাহা, নিখিল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি কর্মীদের ঘরে থাকা আলমারি, টিভি, ঘরের টিনের বেড়া সহ সমস্ত আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুব্রতলাল সরকার বলেন, বিজেপি (BJP)  করা আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার দোকানে হামলা চালায় তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার ও তার দলবল। হামলা চালানোর পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার পাশের জেলা বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূল প্রার্থীর খাদানের একটি বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে নলহাটির বাহাদুরপুরে হানা দেয় এনআইএ। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল প্রার্থী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সেভাবেই বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর খাদানে হানা দেয়। সেখানকার অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি প্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে আট ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এনআইএ। তবে তাতে কত পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা জানা যায়নি। যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিলও করে দিয়ে যায় এনআইএ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তাঁরা জানেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবে অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) ছাপ্পা-ভোট থেকে শুরু করে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কয়েকদিন আগেই, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দাখিল হয়, যেখানে মামলাকারী দাবি করেন, ভোট বয়কট করা বুথেই ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই তথ্য আদালতের সামনে পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বুথে ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের মালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ৬৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৪৮১। কিন্ত সেখানে মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৯। সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৪০টি। একইভাবে ৮৩ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ৪৮৮. কিন্ত ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। মামলাকারীর দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে কারচুপি ও ছাপ্পার সাহায্যে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Panchayat Elections 2023)। মামলাটি এদিন ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। ভাবে মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ল, সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিধায়কের হুমকির পরই জয়ী ঘোষণা তৃণমূল প্রার্থীকে!

    কুলপির এক সিপিএম প্রার্থীর দায়ের করা আরেকটি মামলায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন কুলপির রামকৃষ্ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটগণনার দিন (Panchayat Elections 2023) গণনার শেষে প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় বিধায়ক কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং হুমকি দেন। তার পরেই মাত্র একটি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এই মর্মে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই এই ঘটনায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।

    ‘‘মানুষকে ন্যায় দিতে আদালতে আসি…’’

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে মামলার পাহাড় জমে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি জানন, খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না তিনি। এদিন, নির্বাচন সংক্রান্ত নয় একটি মামলার উল্লেখপর্ব নিয়ে মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চায়েতের যেভাবে বন্যার মতো মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে।’’ তখন ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না।’’ তাঁর কথার সূত্র ধরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। আর উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে।’’

    এই কথার প্রেক্ষিতেই উপস্থিত আরেক আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম।’’ তখন জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪-ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও চলছে পঞ্চায়েত ভোটগণনার (Panchayat Elections 2023) কাজ। ফলে, চূড়ান্ত ফল আসতে এখনও কিছুটা দেরি। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। শাসক শিবির যে জিতছে, তা ধরে নিয়েই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কটাক্ষ, এটা যে জনমত নয়, তা সকলেই জানেন।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওযার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হতো। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে। বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাড়ি ফিরতে পারছেন না ভয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন।’’

    গণনা নিয়ে কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার?

    ভোট গণনা (Panchayat Elections 2023) নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যালট পেপার গোনা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট পেপারগুলি গৃহিত হয়েছে। আর তেমনই ব্যালটে যদি বিরোধীদের পক্ষে ভোট গিয়ে থাকে, তাহলে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    এদিকে, তৃণমূলের জয় নিয়ে শাসকদলের নেতা হয়েও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। তিনি বলেন “এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুট, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share