Tag: Panchayat polls

Panchayat polls

  • Panchayat Polls: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    Panchayat Polls: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) পঞ্চায়েত (Panchayat Polls) ও পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত মিলল উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কথায়। এই নির্বাচনই হবে শীতের পরে। তিনি বলেন, “আবহাওয়া ভালো হওয়ার পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।” প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। এক দশক পর বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা।

    কী বললেন উপরাজ্যপাল? (Panchayat Polls)

    রবিবার ঝিরি মেলা ময়দানে আয়োজিত সভায় কৃষক ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন উপরাজ্যপাল। সেখানেই তিনি দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইঙ্গিত। পূর্বতন সরপঞ্চদের প্রসঙ্গের অবতারণা করে উপরাজ্যপাল বলেন, “আমি একটি বিষয় নিশ্চিতভাবে বলতে চাই যে এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু একটি সাংবিধানিক সমস্যা ছিল।” তিনি বলেন, “স্থানীয় সংস্থাগুলিতে (পঞ্চায়েত ও পুরসভা) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কোনও সংরক্ষণ ছিল না। তাই আইন (জম্মু ও কাশ্মীর পঞ্চায়েতি রাজ আইন) সংশোধন করতে হয়েছিল। সংসদে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।”

    পঞ্চায়েত আইন সংশোধন

    তিনি বলেন (Panchayat Polls),  “আইন সংশোধন হওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে পথ প্রশস্ত হয়েছিল। এরই মধ্যে চলে আসে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন।” উপরাজ্যপাল বলেন, “আমি পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (পিওজেকে), পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী, উপজাতি, বাল্মিকী এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে উপকৃত হওয়া অন্যান্য বঞ্চিত অংশের পরিবারগুলির অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা আমার লক্ষ্য, যার জন্য আমরা কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট খাতে রূপান্তরের গতি বাড়াতে কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রামীণ এলাকার যুবসমাজ যাতে সমান সুযোগ পায় এবং নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, সেই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব।”

    আরও পড়ুন: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১১ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটাররা ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন নাম অন্তর্ভুক্তি, নাম বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সূত্রের খবর, চূড়ান্ত (Jammu & Kashmir) ভোটার তালিকা (Panchayat Polls) প্রকাশিত হবে ৬ জানুয়ারি, ২০২৫-এ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) ছাপ্পা-ভোট থেকে শুরু করে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কয়েকদিন আগেই, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দাখিল হয়, যেখানে মামলাকারী দাবি করেন, ভোট বয়কট করা বুথেই ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই তথ্য আদালতের সামনে পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বুথে ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের মালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ৬৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৪৮১। কিন্ত সেখানে মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৯। সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৪০টি। একইভাবে ৮৩ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ৪৮৮. কিন্ত ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। মামলাকারীর দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে কারচুপি ও ছাপ্পার সাহায্যে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Panchayat Elections 2023)। মামলাটি এদিন ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। ভাবে মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ল, সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিধায়কের হুমকির পরই জয়ী ঘোষণা তৃণমূল প্রার্থীকে!

    কুলপির এক সিপিএম প্রার্থীর দায়ের করা আরেকটি মামলায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন কুলপির রামকৃষ্ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটগণনার দিন (Panchayat Elections 2023) গণনার শেষে প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় বিধায়ক কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং হুমকি দেন। তার পরেই মাত্র একটি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এই মর্মে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই এই ঘটনায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।

    ‘‘মানুষকে ন্যায় দিতে আদালতে আসি…’’

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে মামলার পাহাড় জমে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি জানন, খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না তিনি। এদিন, নির্বাচন সংক্রান্ত নয় একটি মামলার উল্লেখপর্ব নিয়ে মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চায়েতের যেভাবে বন্যার মতো মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে।’’ তখন ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না।’’ তাঁর কথার সূত্র ধরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। আর উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে।’’

    এই কথার প্রেক্ষিতেই উপস্থিত আরেক আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম।’’ তখন জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PMAY: আবাস দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঘুরবে সেই ১০ জেলায়

    PMAY: আবাস দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঘুরবে সেই ১০ জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের শেষের দিকে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Polls)। তার আগে রাজ্যে ফের এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে রাজ্যে এসেছেন ওই দলের সদস্যরা। এর আগে এক দফা রাজ্যের ১০ জেলায় ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তারা রিপোর্টও জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি থাকায় এবার সচিব পর্যায়ের দুই সদস্যের মোট ১০টি দল পাঠানো হয়েছে। বুধবার তাঁরা ঘুরে দেখেন পূর্ব বর্ধমান।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগ…

    এদিন সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার আমাড় এবং কোমলপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন ওই দলের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় দলের কাছে অভিযোগ ছিল, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এই যোজনার উপভোক্তা। তারই তদন্ত করছিলেন কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য। তাঁরা মেমারির বোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সোতলায়ও যান। বৃহস্পতিবার ওই দলের (PMAY) সদস্যরা গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে। জেলার রানিনগর ১ ব্লকের হেরামপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত কাঞ্চনপুর, ডিহিপাড়া, দুর্লভপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় যান তাঁরা। ওই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আবাস বিষয়ক দফতরের যুগ্ম সচিব অমিত শুক্লা এবং ওই দফতরের ডিরেক্টর দেবেন্দ্র কুমার।

    আরও পড়ুুন: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    আগের রিপোর্টে যেসব অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে মোট ৬টি তালিকা তৈরি করে তা নিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। এর আগেও এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেবার তারা ঘুরেছিল রাজ্যের ১০টি জেলায়। এবারও তারা যাবে ওই জেলাগুলিতেই। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, রাজ্যের ১০ জেলায় দ্বিতীয় দফার এই তদন্ত চলছে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছে করেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় দেরি করা হচ্ছে। প্রথম রিপোর্ট গেল। আবার দল এল। দ্বিতীয় রিপোর্ট যাবে। আবার দল আসবে। এভাবেই চলতে থাকবে। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার (PMAY) যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে ছেলেখেলা করছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার এই তদন্ত প্রক্রিয়া ৪ এপ্রিলের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার কথা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু তা হয়নি। বিজেপির দাবি, বাংলাজুড়ে দুর্নীতি। মিড-ডে মিল থেকে আবাস। আর এই কারণেই বারংবার কেন্দ্রীয় দলকে আসতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেন সুকান্ত। একইসঙ্গে বিজেপির থেকে লোক ভাঙানো নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    পুলিশকে কটাক্ষ

    শুক্রবার কোচবিহারের এক জনসভায় পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘পাশে বসে খেলা দেখুন। খেলার মাঝখানে আসবেন না। তা হলে পদপিষ্ট হবেন।’’  পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক- বিরোধী তরজা আগেই শুরু হয়েছে। এ দিন তাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মাথাভাঙায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। কোচবিহারের জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে। কোচবিহার জেলা পরিষদ বিজেপির নামে লেখা হয়েছে।’’ সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের দিকে ইঙ্গিত করে শাসকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা, ‘‘কী ভাবে খেলতে হয়, আমরা জানি।’’ সেই সূত্রেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    দল ভাঙানো প্রসঙ্গ

    মাথাভাঙার সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দল ভাঙানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদার কোচবিহার জেলা সফরে গিয়ে বলেন, তৃণমূলে টানতে অভিষেকের ‘ভূত’ এসেছিল এই জেলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে এক ‘ভূত’ এসেছিল কোচবিহার মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীলকুমার বর্মনের সঙ্গে দেখা করতে। সুকান্ত বলেন, ‘‘মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণকে তৃণমূল তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সুশীলদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপির পুরনো কর্মী। তিনি যখন থেকে বিজেপি করেন তখন বিজেপির ভালো সময় ছিল না। এখন ভালো সময়। তাই তাঁর দেখা করার কিছু নেই। প্রয়োজন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলে যাবেন।’’ 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    শুক্রবার কোচবিহার শহরের সুকান্ত মঞ্চে ওবিসি মোর্চার উত্তরবঙ্গ জোনের সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন গঙ্গা আরতি নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে ‘বাঁদর গুহ’ বলে সম্মোধন করেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে এক ‘বাঁদর গুহ’ আছেন, তাঁর ভাষা শুনলে মনে হয় তিনি ডাস্টবিন থেকে উঠে রাজনীতি করতে চলে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, এর আগে বোধহয় লুঙ্গি পরে মিছিল করেছিলেন। তিনি সাবধান করে দেন, ভালো লুঙ্গি পরে বাড়িতে থাকুন। রাস্তায় হাঁটলে বিজেপির দমকা হাওয়ায় লুঙ্গি খুলে যাবে। তখন মুশকিলে পড়বেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে ফের সুখবর গেরুয়া শিবিরে! গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Goa Panchayat Elections)  বিপুল জয় পেল বিজেপি (BJP)। লোকসভা, বিধানসভার পর জয়ের ধারা অব্যাহত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। রাজ্যের ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) মধ্যে ১৪০টির রশি গিয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের হাতে।

    ১০ অগাস্ট ভোট হয়েছিল রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার ৯৭টি ও দক্ষিণ গোয়া জেলার ৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১ হাজার ৪৬৪টি আসনে। ভোট পড়েছিল ৭৯ শতাংশের কাছাকাছি। নির্বাচনের আগেই অবশ্য উত্তর গোয়ায় ৪১টি ও দক্ষিণ গোয়ায় ২৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন পদ্ম প্রার্থীরা। শুক্রবার শুরু হয়েছে গণনা। ফল প্রকাশিত হলে দেখা যাচ্ছে, হাজারখানেক আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিপুল জয়ের জন্য গোয়ার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত (Pramod Sawant)। তিনি বলেন, ১০ তারিখে গোয়ার ১৮৬টি পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমরা ১৪০টি আসনে জয়ী হয়েছি। বিধানসভা, লোকসভার পর পঞ্চায়েতেও জয় পেয়েছি আমরা। এতে প্রমাণ হয় আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের এই ফলে খুশি হবেন কেন্দ্রীয় কমিটি। বিজেপির গোয়া রাজ্য সভাপতি সদানন্দ শেট তানাভাদে (Sadanand Shet Tanavade) বলেন, এই প্রথম গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও একটি রাজনৈতিক দল এত বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির এই জয় ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, নির্বাচনের এই ফলে এটা প্রমাণিত হয় যে বিধানসভা ভোটের তুলনায় আমাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হয় গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়ে সরকার গড়ে পদ্ম-পার্টি। ওই নির্বাচনে গোয়া দখলে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কেও পদ্ম শিবিরের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বার দুয়েক গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূল গড়ে বিজেপিকে মাত দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মুখ পুড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাতে ফিরতে হলেও, পঞ্চায়েতে একটি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী রাখি নায়েক। দক্ষিণ গোয়া জেলার নেত্রাবলী থেকে জয়ী হয়েছেন রাখি।

    আরও পড়ুন : বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

LinkedIn
Share