Tag: Panchayat vote

Panchayat vote

  • Panchayat Vote: কীভাবে ব্যবহার হবে বাহিনী? কমিশনকে চিঠি অমিত শাহের মন্ত্রকের

    Panchayat Vote: কীভাবে ব্যবহার হবে বাহিনী? কমিশনকে চিঠি অমিত শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা থেকেই লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যের মানুষ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট ঘোষণার ১৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা হারানো মানুষ রবিবার মালদার সাহাপুরে শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানালেন। এমন পরিস্থিতিতে ২২ কোম্পানির পর ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। অন্যদিকে বাহিনীর ব্যবহার কীভাবে হবে, তা জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি

    মোট ৮২২ কোম্পানির মধ্যে এখনও বাকি ৪৮৫ কোম্পানি। এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। শুক্র, শনি, এবং রবিবারে বিএসএফ-এর আইজি এবং সিআইএসএফ-এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা উত্তর চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে। পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, পরপর তিন দিন বিএসএফ-এর সঙ্গে বৈঠকের পরও কমিশন এখনও জানাতে পারেনি মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কেমন ভাবে ব্যবহার করা হবে।

    শুভেন্দুর করা মামলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী          

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও অপারগতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয়, প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও জেলায় মোতায়েন করা বাহিনীর সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় কম না হয়। এমনকী যদি এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, তার চরম ফল কমিশনকে ভুগতে হবে বলেও জানায় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে  হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।

    মালদার চিত্র

    মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের কোন কোন জেলায় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার তালিকা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশ এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। জানা গিয়েছে, ২২টি জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী প্রথমে মোতায়েন করা হবে। পরে ধাপে ধাপে আসবে আরও বাহিনী। ইতিমধ্যেই মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশন সূত্রে খবর, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এদিন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    প্রথম ধাপে কোন কোন জেলায় যাচ্ছে বাহিনী?

    প্রথম ধাপে ২২ কোম্পানি বাহিনী যে সব জেলায় আসছে, সেগুলি হল— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর।

    বেশি দফায় ভোট করানোর আর্জি শুভেন্দুর আইনজীবীর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে বলেন, ‘‘৩৩৭ কোম্পানির চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন পাওয়া না গেলে পঞ্চায়েত ভোট কয়েক দফায় ভেঙে দেওয়া হোক। ২০১৩ সালে এভাবেই পাঁচ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল।’’

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘কেন্দ্র বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে পাঠাবে তা ২৮ জুন আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ যথাযথ ভাবে মেনে চলছে কিনা তাও হলফনামা আকারে জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সৌদিতে বসে মনোনয়ন! ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সৌদিতে বসে মনোনয়ন! ২৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ বসিরহাটের মইনুদ্দিন গাজী বর্তমানে রয়েছেন সৌদি আরবে অথচ তার মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত (Calcutta High Court)। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলায় কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা, কোন প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে কারা সই করেছেন এসব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছে জমা দিতে হবে।

    বৃহস্পতিবার এনিয়ে কী বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    অভিযোগ, মিনাখাঁর কুমারজুলির তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?” মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন, ফিরবেন ১৬ জুলাই। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁরা এও আবেদন জানিয়েছেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিক আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি বাতিল করা হোক মনোনয়ন।

    একদল মনোনয়ন দিতে পারছেনা, অপর দল বিদেশে থেকেও তা জমা করছে 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা শাসক দলকে চরম ভর্ৎসনা করে বলেন, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাহিনীর ফোন নম্বর প্রকাশ! ‘‘ভোটাররাও জানাতে পারবেন অভিযোগ’’,  মত শুভেন্দুর  

    Suvendu Adhikari: বাহিনীর ফোন নম্বর প্রকাশ! ‘‘ভোটাররাও জানাতে পারবেন অভিযোগ’’, মত শুভেন্দুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকেই অশান্ত বাংলা। রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে সরব বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে সরকারের। পঞ্চায়েত ভোট যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২ কোম্পানির কমান্ডিং অফিসারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’’ শুভেন্দু আরও জানান, সাধারণ ভোটাররাও ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অশান্তির খবর দিতে পারবেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানেনি কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট বাহিনী দিয়ে ভোট করানোতেই আস্থা রেখেছে।’’

    বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আদালতের নির্দেশে বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বাহিনী থাকাকালীন কোনও অঞ্চলে হিংসা ছড়ালে বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাম জড়াবে। সেটা যাতে না হয় সে কারণেই বাহিনীর বিস্তারিত তথ্য প্রার্থীদের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষও তা জানতে পেরে যাবেন।’’ 

    রাজ্য পুলিশকে এদিন একহাত নিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। কয়েকজন পুলিশ কর্তার সরাসরি নাম করে  তিনি বলেন, ‘‘এবার আর মনোজ মালব্য, বিনীত গোয়েল, সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, কোটেশ্বর রাওয়ের মতো পুলিশের কর্তারা তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারবে না। ভাইপোর কথায় চলবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।’’

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘কোথাও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশের সঙ্গে বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারকেও বিষয়টি জানাতে পারবেন সাধারণ ভোটাররাও। বাহিনীর সিও-কে ফোন করে খবর দেওয়া যাবে। তিনি তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবেন।’’

    শুভেন্দুর করা মামলাতেই মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    Calcutta High Court: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে হিংসা। সব ঘটনাতেই জড়িয়েছে শাসক দলের নাম। এনিয়ে দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একাধিক মামলা। তবে এবার অন্যরকম মামলা দায়ের হল। বসিরহাটের শাসকদলের প্রার্থী রয়েছেন বিদেশে, অথচ তাঁর নমিনেশন হয়ে গেছে। এই অভিযোগেই সরব বিরোধীরা।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    এবার বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজুলির শাসক দলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদেশে থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই মামলার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কুমারজুলির তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

    সেখানে আদালত কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, যেখানে প্রার্থীরা সশরীরে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে একজন প্রার্থী বিদেশে থেকে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি খাড়া করেন, আইন মেনে ওই প্রার্থীর প্রস্তাবক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখানেও প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি যখন বিদেশ রয়েছেন, তখন তাঁর সই কে করল? এসব বিষয়েই কমিশনকে জানানোর নির্দেশ এদিন দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও ওই ব্যক্তির বিদেশে থাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে। 

    কী বলছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা?

    মামলাকারীদের আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদের দাবি, হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৪ জুন সৌদি আরবে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন। আগামী ১৬ জুলাই তাঁর রাজ্যে ফেরার কথা। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূল প্রার্থী বিদেশে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, মিনাখাঁর কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মইনুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। তাঁরা এও আবেদন জানিয়েছেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিক আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি বাতিল করা হোক মনোনয়ন।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের এত বেশি মামলায় বিরক্ত হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলা চলছেই বিভিন্ন ইস্যুতে। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া রয়েছে প্রায় দুই লাখের বেশি মামলা। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার চাপে অন্যান্য মামলা শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টকে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানিও পিছিয়ে যাচ্ছে এই কারণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নো টিএমসি ওনলি নির্দল’। শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) আগে ফের বিস্ফোরক ইসলামপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তৃণমূলের রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে জেলার নেতাদেরও এদিন এক হাত নেন ইসলামপুরের বিধায়ক। বুধবার উত্তর দিনাজপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।  নির্বাচনে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। ইসলামপুর জেলা পরিষদের ২টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এবং ইসলামপুরের তৃণমূল  ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

    কী বললেন আব্দুল করিম চৌধুরি?

    তিনি বলেন, ‘‘আমি ন্যায্য কথা বলি বলে, আমি বিদ্রোহী বিধায়ক।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা ব্যানার্জিকে বলেছিলাম যে আপনার লোকগুলো আমার লোকগুলোকে মারছে। খুন করছে। কানাইলাল আগরওয়াল এবং জাকির হোসেনকে ব্যাকিং করছে তৃণমূল ভবন থেকে।’’ করিম চৌধুরির আক্ষেপ, ‘‘উপ নির্বাচনের সময় অনেকেই চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে বিশ্বাস করেননি। তৎকালীন জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছিলেন, করিমদাকে ফিরিয়ে আনো। আমি তখন ‘বাংলা বিকাশ কংগ্রেস’ নামে একটি দল শুরু করেছিলাম। তখন আমি আবার নির্বাচনে দাঁড়াই এবং প্রায় ৩৭ হাজার ভোটে জয়ী হই।’’ জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ও ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সম্পর্কে তাঁর মত, ‘‘ওরা টাকাপয়সা, বন্দুকবাজদের নিয়ে খেলা করে বেড়াচ্ছে। এবার যদি কোনও বন্দুকবাজের খেলা হয়, তবে আমি নিজে গাড়ি নিয়ে চলে যাব ওই বন্দুকবাজের কাছে।’’

    শাসকদলের বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

    পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নীরব থেকে যায়। ভয় পেয়ে যায়। পুলিশকে বলেছি, আপনারা যখন চাকরিতে জয়েন করেছেন, তখন শপথ নিয়েছিলেন সৎভাবে কাজ করবেন।কোনও পক্ষপাতিত্ব করবেন না।  প্রশাসনকে বলব নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার  কর্মীরা ভয় পাচ্ছে যে ভোট তো হয়ে যাবে। কিন্তু কাউন্টিংয়ে স্লিপ কেড়ে নেবে এবং সার্টিফিকেট অন্য লোককে দিয়ে দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: জল নেই, রাস্তা নেই! এ কোন উন্নয়ন? ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন গ্রামবাসীরা

    Panchayat Vote: জল নেই, রাস্তা নেই! এ কোন উন্নয়ন? ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিলে দিতে হবে জরিমানা। একেবারে গুনতে হবে দশ হাজার টাকা। জরিমানার এমনই নিদান দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এনিয়ে গ্রামে রীতিমতো সালিশি সভাও বসানো হয়। সেখানেই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভোট (Panchayat Vote) দিলে দিতে হবে জরিমানা, এই দাবিতে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। অনুন্নয়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গ্রামের এই সিদ্ধান্তে এককাট্টা সব মানুষ। এই অঞ্চলের বড় জগদীশপুর, দোআঁশ এলাকায় নেই কোনও পাকা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টিতেই চলাফেরার অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পুকুরের জলই একমাত্র ভরসা। গ্রামবাসীদের দাবি, বহুবার আবেদন করা হয়েছে পঞ্চায়েত থেকে গাজল ব্লকে। আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ভোট আসলেই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি  দিয়ে যান। ভোট মিটতেই কথা রাখেন না কেউ। তাই এবার গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ভোট (Panchayat Vote) বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

    কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    এলাকার বাসিন্দা সন্তোষী মণ্ডল বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের। গ্রামে কোনও উন্নয়ন নেই। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’’ গ্রামের আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘৪৫ বছর ধরে বসবাস করছি এই গ্রামে। খুবই কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। চারদিকে বড় বড় ঝাঁ চকচকে রাস্তা হয়েছে। কিন্তু আমাদের গ্রামের হাল আজও ফেরেনি। বর্ষাকালে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন যাপন। কাদায় হাঁটা যায় না। আজ তাই পথে নেমেই ভোট (Panchayat Vote) বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

    পুকুরের জলও ফুটিয়ে খেতে হয় 

    এক প্রবীণ মহিলা বলেন, ‘‘একটা সাবমার্সিবল আছে বটে। তবে তা গ্রামের সমস্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। লোডশেডিং এখানে খুব ঘন ঘন হয়। মাঝে মধ্যে ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হলে সাবমার্সিবলের জল মেলে না। তখন বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ফুটিয়ে খেতে হয়। আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভোট (Panchayat Vote) বয়কটের। যে বা যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে, তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠাল রাজভবন। দায়িত্ব নেওয়ার পরই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা করেন রাজীব সিনহা। তখন থেকই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজীব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজীবই হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে পরে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার কথা বলেন তিনি (রাজীব)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখন দেখার, রাজীব থাকেন নাকি সরতে হয় তাঁকে!

    বুধবারই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজীবকে

    রাজীব সিনহা দায়িত্ব নেন চলতি মাসের ৭ জুন। তারপর জয়েনিং রিপোর্ট নবান্ন পাঠায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দিলেন বোস। ঘটনাচক্রে, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ পালন করতে না চাইলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে পারেন। তার পরেই রাতে জানা গেল, রাজীবের যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।

    রাজভবন-আদালতের এই জোড়া চাপের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আদৌ রাজীব সিনহা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে ডাকা বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যোগ দেননি বলে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, এমনটাও জানা গিয়েছে।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই কাজের যোগ্য যে উনি নন, প্রথম দিন থেকেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রস্তুতি ছাড়াই উনি ভোট ঘোষণা করেছিলেন। তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন খুন হচ্ছে। রাজ্যপালের যা কর্তব্য মনে হয়েছে করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ লেগেই রেয়েছে। জেলায় জেলায় যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না পাওয়ার অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে মেমারি-১ ব্লক  সভাপতি নিত্যানন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিক্ষুব্ধরা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এমনিতেই দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তারপর দলের এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

    বিদ্রোহী কর্মীদের দাবি

    বিদ্রোহীদের একাংশের দাবি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটকের সম্মতিতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কর্মীরা। অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলন বা উপঢৌকনের বিনিময়ে তালিকায় পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ। দলে যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এমন দুর্নীতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় আরেকটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও মলয় ঘটকের নেতৃত্বে।

    পুরনো কর্মীদের টিকিট দেয়নি দল

    জানা গিয়েছে, মেমারি-১ ব্লকের ২১২টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন রয়েছেন, যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সেই হিসাবে তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাঁদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতীক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই আদি ও নব্য তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) পড়ে কিনা, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share