Tag: Panchayat vote

Panchayat vote

  • Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্য কি বারুদ আর বোমার স্তূপে পরিণত হল? এগরার খাদিকুলের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর যে হারে বিভিন্ন জায়গায় বোমা ও বাজির মশলা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্নটা ভেসে আসছে। আরও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? এগরার (Egra) ঘটনায় তো পুলিশের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে, তারা মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেবুঝেও এই ধরনের কাজে কোনও বাধা দেয়নি। পুলিশ ঘটনার পর গ্রামে গেলে তাদের ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। আরও মজার বিষয় হল, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা এগরা থানার আই সি-কে সরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 

    পুকুর থেকে উদ্ধার বাজি-বারুদ

    এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১২ জনের। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরলেও এখনও এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তার পর বস্তা নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির সামগ্রী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২নং ব্লকের (Egra) দেশবন্ধু অঞ্চলে সাহাড়দা গ্রামে রবিবার রাতে একটি পুকুর থেকে ৮ বস্তা বারুদ ও নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তারপর সোমবার সকালেও ফের পুকুর থেকেই আরও ৭ বস্তা বাজি-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। ১৫ বস্তা বারুদ ও বাজি জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষ? কী বলছেন উপপ্রধান?

    এখানকারই বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি বললেন, কচুরিপানার ভিতর থেকে বারুদ, বোমা এবং বাজি বানানোর নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ ঘিরে রেখে প্রথমে পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসে এগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে এল এসব? অশোকবাবুর মতে, কাছেই রুকনিপুরে আতশবাজির কারখানা আছে। এগরার ঘটনার পরই সেখানকার লোকজন এখানে এসে এসব ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শান্ত গ্রামকে তারা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই এসব করছে। এতে তৃণমূলের মদত আছে বলেই তিনি মনে করেন। ওই গ্রামে এর আগেও বাজি বিস্ফোরণে অনেকে মারা গিয়েছিল। অন্যদিকে, দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলোক মহাপাত্র বলেন, এটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করারই চেষ্টা। না হলে কেউ মাঠে-ঘাটে এভাবে ওসব ফেলে রেখে যায়? তিনি সরাসরিই বলে দেন, এটা বিজেপি করেছে। না হলে বিজেপির লোকজন ওখানে সকাল সকাল পৌঁছে যায় কী করে?

    পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত?

    তৃণমূলের উপপ্রধান যাই বলুন, অভিজ্ঞ মহল বলছে, এ যেন পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত। রাজ্যে যে সব জায়গা ঝামেলা-গণ্ডগোলে সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকে, সেই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা ভোটের আগেই খবরের শিরোনামে। বিরোধীরা বলছে, এখন যে সব বোমা ফাটছে (Egra), বোমার মশলা উদ্ধার হচ্ছে, সে সবই আসলে মজুত করে রাখা ‘সম্পদ’। ভোটে এসবের সদ্ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে যাওয়াটাই কাল হয়েছে। বিরোধীদের টাইট দেওয়ার জন্য তিল তিল করে জমানো এই সম্পদ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে অনেকেই। এদের ‘যত্ন-আত্তি’ করে রাখতে গিয়েই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিপত্তি। কোথাও ছাদে বোমার গায়ে রোদের তাপ লাগাতে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে, কোথাও তৈরির সময়ই প্রচণ্ড গরমের তাপে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে। আবার এগরার (Egra) ঘটনায় দেখা গেল, বিপদ আঁচ করে কেউ বা কারা বস্তা বস্তা বাজি, মশলা, বিস্ফোরক পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। যে সব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে তো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল। এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় সিভিক পুলিশ। তাহলে এদের কেউই জানতে পারল না? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। এমন প্রশ্নও উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল হিলিতে। দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে চিঠি অঞ্চল সভাপতির। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুরে। দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার না করলেও দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হিলির ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল। যদিও বিষয়টি দলীয় কাজিয়া নয়, পারিবারিক সমস্যা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি, দাবি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকারের।

    দণ্ডিকাটা কাণ্ডেরই জের?

    রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি ব্লকে যেন ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। আর যাকে ঘিরেই হিলিতে কার্যত প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কাজিয়া। সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার করে ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডলকে বেশ কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলের সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। যিনি প্রাক্তন মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেন এলাকায়। দলের বহুদিনের পুরনো কর্মীর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতাও তাঁর অনেক বেশি থাকায় এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। কিন্তু দণ্ডিকাটা কাণ্ডের জেরে মহিলা নেত্রীর ক্ষমতা ক্রমশ তলানিতে চলে যেতেই দলের ভিতরে কার্যত চাপে পড়ে যান অঞ্চল সভাপতি, এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর। যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অপর গোষ্ঠী। যাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা একপ্রকার শূন্য থাকলেও বর্তমানে দলের লবিবাজিতে তারাই প্রধান্য পেতে থাকে।

    বিগত বেশ কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা প্রাধান্য পেতেই দলের প্রতি আস্থা হারান প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্ৰধান তথা অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলে দলীয় সূত্রের খবর। আর এরপরেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা লিখিতভাবেও জানিয়েছেন ব্লক সভাপতিকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যাকে ঘিরেই হিলিতে একপ্রকার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীবাজি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে যা আরও বড় মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বলল বিবদমান দুপক্ষ (TMC)?

    ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, পদত্যাগ নয়, দলের (TMC) কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি ব্লক সভাপতিকে। পারিবারিক বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। হিলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকার বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা নয়। পারিবারিক একটি দুর্ঘটনার কারণেই কিছুটা সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আপাতত ১১ জনের একটি কমিটি করে দল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলে। যে কমিটিতে তাঁকেও রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সালানপুর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম তীব্র জলকষ্টে ভুগছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ, আর সেই সঙ্গেই শুরু হয়েছে জলের জন্য হাহাকার। বাসিন্দারা বলছেন, জেলায় এই সমস্যা শুধু এই বছরের নয়, প্রত্যেক বছরের। পানীয় জলের (Drinking water) সংকটের এমন ভয়াবহ দৃশ্যই উঠে এসেছে সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত কল্যা পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ায়। যদিও কল্যা পঞ্চায়েতকে কাজের নিরীখে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই পঞ্চায়েতের আদিবাসী গ্রামেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা। অনেকের প্রশ্ন, কীভাবে জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত হল ওই পঞ্চায়েত, যেখানে একটি গ্রাম এমন তীব্র জলকষ্টে ভুগছে! তাছাড়া এই এলাকায় সেরকম কোনও উন্নয়নও হয়নি বলে অভিযোগ।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে পিএইচই দফতর থেকে পানীয় জলের (Drinking water) ট্যাপকল বসানো হয়েছে। কিন্তু তাতে নেই জল। এমনকী গ্রামে থাকা একটি নলকূপও দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জলের এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, মাঝে মধ্যে কোনও কোনও দিন একটি ট্যাংকারে করে জল দিয়ে যায়। তাতে কি জলের সমস্যা মিটবে? পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান গ্রামের মহিলারা। দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    সর্বত্র জানিয়েও সমাধান অধরা

    গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, “পঞ্চায়েত, প্রশাসনিক অফিস সব জায়গায় এই জলকষ্টের (Drinking water) কথা জানানো হয়েছে। কারও দিক থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। নেতাদেরও দেখা মেলে শুধুই ভোটের সময়। আর মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এবার নেতাদের দেখা মিলবে। তবে জল পাব কিনা, তার কোনও ঠিক নেই। এই গ্রামেরই এক মহিলা বললেন, এমনই শোচনীয় অবস্থা যে বলার নয়, পুকুরেও জল নেই। কোথাও জানাতে বাকি নেই। কিন্তু কেউই ফিরে তাকাচ্ছে না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিনই আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা দিয়ে এই মামলায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা, সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছরের জুন মাসের ৮ তারিখে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস (Panchayat Vote)। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে, কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথ পালন না করায় ফের অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। তখনই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন ক্ষমা চাইলেন রাজীব।

    হলফনামায় কী বললেন রাজীব? 

    হলফনামায় রাজীবের বক্তব্য, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। হাইকোর্টে এদিন রাজীবের হলফনামা গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি মস্করা করেই বলেন, ‘‘হলফনামায় কী দিয়েছেন? কোনও ভাবে আদালত অবমাননা হয়নি? সব কিছু ঠিকঠাক করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন— হলফনামায় এ সবই লিখেছেন তো? দেখি কী রয়েছে?’’ আইনজীবী উত্তরে জানিয়েছেন, কোনও ভুল হয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Panchayat Vote) অন্য পক্ষ রাজীবের হলফনামার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দিতে চায়। তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৩ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করে আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। রাজীব ক্ষমা চাওয়াতে কার্যত তা বিরোধীদের কাছে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) সরাসরি তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি রাজীব। রাজ্যে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তখনও নির্বিকার ছিলেন বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। অবশেষে আজকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনার দিন ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবরদান গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক ব্যক্তির হাত। ওই ব্যক্তির নাম গুরুপদ ভূঁইয়া (৬৪)। ব্যক্তির পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে বাঁশ বাগানে বাঁশ কাটতে গিয়েই এই বিপত্তি। সে সময় বাড়ির অদূরে একটি কাঠ রাখার জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে । তাতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। গুরুপদর বাম হাতের কব্জি সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায়। এছাড়াও কপাল এবং মাথাতে গুরুতর আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ এসে প্রায় ৬টি বোমা উদ্ধার করেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    কী বলছে গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে?

    গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বাবা বাঁশ কাটতে গিয়েছিল, সেখানেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাবার বাম হাতের কব্জি পুরো উড়ে গিয়েছে। মাথাতেও আঘাত লেগেছে।’’ যদিও তাঁর বাবা কোনও রকম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে।

    ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস চলছে    

    ভোটের (Panchayat Vote) আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ২ মাস আগে ময়নার বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেসময় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বার বার বিস্ফোরণও হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকায়। মঙ্গলবার গণনার দিনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটল সেখানে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকার দখল নিতে বার বার ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি পাকাচ্ছে শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাকচা-সহ ময়নার নানা জায়গায় অশান্তির খবর মিলেছে। গণনার দিনও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না।

    আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলপির দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজ হালদারের খুনের ঘটনায় এবার তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে কুলপির দৌলতপুরে নির্দল প্রার্থী গৌতম ব্যানার্জির প্রচারে (Panchayat Vote) বেরিয়েছিলেন আলফাজ হালদার। সেই সময় চুনফুলির মোড়ের কাছে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় আলফাজের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই বুথেই এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরউদ্দিন হালদার।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আলফাজ

    স্থানীয় মানুষদের দাবি, নুরউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের একটা পারিবারিক বিবাদ ছিল এবং আলফাজ এলাকায় একজন ভালো কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত ছিল। সেই রাত্রে তৃণমূল প্রার্থী নুর উদ্দিন হালদারের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় আলফাজকে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় আলফাজ হালদারের। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    গ্রেফতার খুনীরা…

    বৃহস্পতিবার আলফাজের মৃত্যুর পরে রাতেই কুলপি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতরা খাজমুর হালদার, আম্মাদুল্লা হালদার, আমিরুল হালদার, মনোয়ার হোসেন হালদার। দৌলতপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত কংগ্রেস নেতা আলফাজ হালদারের দেহ আজ ময়না তদন্তের পর দৌলতপুর গ্রামে নিয়ে আসা হবে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের মুখে বাড়ির মধ্যে মিলল পিস্তল, পাইপগান, কার্তুজ! কীসের ছক?

    Panchayat Vote: ভোটের মুখে বাড়ির মধ্যে মিলল পিস্তল, পাইপগান, কার্তুজ! কীসের ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশি হানা উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপুকুরে। তাতেই উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী অফিসারদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) বাকি আর দু’দিন। তার আগে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের শিলিগুড়ি শাখার এই অস্ত্র উদ্ধার আবারও প্রশ্ন তুলে দিল, আদৌ ভোট শান্তিতে হবে তো! অস্ত্র উদ্ধারে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রৌঢ়কে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম এমডি আলম। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    কী কী অস্ত্র উদ্ধার হল?

    পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া এলাকার গোয়ালপুকুর থানার লাড়ুখোয়া এলাকার একটি বাড়িতে এদিন হানা দেয় এসটিএফ। তাতে ওই বাড়ি থেকে পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি ওয়ান শটার বন্দুক এবং ১৮০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ। ধৃত ব্যক্তি লাড়ুখোয়া এলাকারই বাসিন্দা।

    কী বলছে এসটিএফ?

    এসটিএফ-এর ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এসটিএফের শিলিগুড়ি শাখার তরফে গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে পাঞ্জিপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। তাতে মহম্মদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, কী জন্য তা মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনই এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও আমরা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছি। তদন্ত করছি। আর কে জড়িত আছে বা কোথায় পাচার হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।’’ জানা গিয়েছে, বুধবার ধৃতকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে জানান এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) বাকি মাত্র আর পাঁচদিন। ভোট ঘিরে একাধিক মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। এমনই একটি অভিযোগ জমা পড়ে কোর্টে যে  শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও ভোট গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ এনিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ নির্দেশ দিল, যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম, তাঁদের কোনওভাবেই ভোটের পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিল রাজ্যের শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সোমবার মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এদিন  কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘এই ভোটের কাজে প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা উচিত নয় কমিশনের।’’

    ভোট কর্মীর অভাব

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে শাসক দল, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। একাধিক বিষয়ে মামলা জমা পড়েছে আদালতে। এর মধ্যে ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন করেছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। ভোট যদি একদফায় হয় তবে তা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে শুক্রবারের মধ্যেই বুথে বুথে পোলিং অফিসার পাঠাতে হবে কমিশনকে। কমিশনের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে সরকারি কর্মীর নাকি পর্যাপ্তভাবে মিলছে না। তাই, নির্বাচনের কাজে শারীরিক প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদেরও পোলিং অফিসার করার কথা চিন্তা করে কমিশন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে তা আর সম্ভব হলনা।

    ৮০ শতাংশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদেরও ভোট কর্মী করেছিল কমিশন

    ভোট কর্মী হিসেবে ডাক পাওয়া সরকারি শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পোলিং অফিসার করতে চেয়ে এর আগেও লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদের। এ বারও সেই একইকাজ করা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ৬০, ৭০ এমনকি ৮০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে পোলিং অফিসার করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে প্রথমে তাঁরা স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হন। কিন্তু এখানে সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না তাঁরা। কারণ, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানানো সত্ত্বেও পোলিং অফিসারের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি পাননি সরকারি শিক্ষকেরা। সোমবার অবশ্য আদালত সেই সমস্যার সমাধান করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ফের গুলি চলল দিনহাটা ও গোসাবায়, আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না রাজ্যবাসীর

    Panchayat Vote: ফের গুলি চলল দিনহাটা ও গোসাবায়, আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না রাজ্যবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) অশান্তি অব্যাহত, প্রতিদিনই ঝরছে রক্ত। ইতিমধ্যে ঝরে পড়েছে ১১টি তাজা প্রাণ। এবার গুলি চলল উত্তরের দিনহাটায় এবং দক্ষিণের গোসাবায়। দক্ষিন ২৪ পরগনার গোসাবার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলি এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তৃণমূল কর্মী আলাউদ্দিন মোল্লা। অন্যদিকে দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থীর ভাই শাহিনুর হক।

    গোসাবার ঘটনা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি জেলায় জেলায়। গুলি বোমার লড়াইয়ের জেরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ভাঙড়, ক্যানিং, চোপড়া, দিনহাটার নাম।  রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত থেকে রাজভবন। জানা গিয়েছে, ভোট ঘোষণার দিন থেকেই রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তপ্ত ছিল গোসাবার পাঠানখালি বটতুলি এলাকা। মঙ্গলবার সেখানে ফের হিংসা ছড়ায়। হঠাৎ করে গুলি চলার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় মানুষজন বেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলে। গুলি চালানোর সময় গুলির আঘাতে জখম হয়েছে এক অভিযুক্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাইফুদ্দিন মোল্লা নামের একজন দুষ্কৃতী এই  গুলি চালায়। 

    দিনহাটার ঘটনা

    অন্যদিকে ফের রাজনৈতিক হিংসা ছড়াল দিনহাটায়। এবার সেখানে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থীর ভাই শাহিনুর হক। জানা গিয়েছে দিনহাটা গিতলদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোড়াম এলাকায় গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী। তিনি শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) পদপ্রার্থী বিজলী খাতুনের ভাই। জানা গিয়েছে, রাত্রি এগারোটা নাগাদ প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর অতর্কিতে আক্রমণ হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গীতলদহ। সকালেই  এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবু হক নামে একজন নিহত হন এই ঘটনায়। জখম হন পাঁচ জন। তাঁদেরকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের হিংসা ছড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: রাজ্যে আসছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী, কমিশনকে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    Panchayat Vote: রাজ্যে আসছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী, কমিশনকে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ কোম্পানির পরে আসতে চলেছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী। আগেই জানা গিয়েছিল মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী ধাপে ধাপে আসেব। সেই মতো এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী অবিলম্বে বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাবে। ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন হবে, তা নিয়েই একটা জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। অমিত শাহের মন্ত্রক এনিয়ে কমিশনকে চিঠিও পাঠায়। জানা গিয়েছে, সোমবার বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটা প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দিয়েছে কমিশন। সেই তালিকা অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ারের জন্য ৬ কোম্পানি, বাঁকুড়ায় ২৪ কোম্পানি, বীরভূমে ১৯ কোম্পানি, কোচবিহারে ১৪ কোম্পানি, কোচবিহারের ১৪ কোম্পানি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬ কোম্পানি, দার্জিলিংয়ে ৫ কোম্পানি, হুগলি ১২ কোম্পানি, হাওড়ায় ১০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে।

    বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কবে মিলবে?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই যেন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলা। শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। ভোট ঘোষণার পর থেকে ঝরেছে ১০টি তাজা প্রাণ। মঙ্গলবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা। এমতো অবস্থায় মালদায় বাহিনীকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য প্রশাসনের ওপর ক্রমশই ভরসা হারচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের ধারণা, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীই মানুষকে ভোটাধিকার দিতে পারে।’’ সূত্রের খবর, বাহিনী ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি ও সিআরপিএফের ডেপুটি কম্যান্ড্যান্টের সঙ্গে কমিশন চার দফা বৈঠকও করে।  বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কবে মিলবে? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেটা বুধবার স্পষ্ট হতে পারে। ওই দিন বাহিনী সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে।

    কী বলছে বিজেপি?

    বাহিনী ইস্যুতে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাহিনী বিষয়ে জটিলতা থাকল কী থাকল না তা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত নয়। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই শাসক দল নিজের কাজ দেখিয়েছে। ওদের লক্ষ্যই হল লুঠ করা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করা। এর জন্যই রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছিল না। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাকী ৪৯৫ কোম্পানি বাহিনী যদি কেন্দ্র দিয়েও দেয় তাহলে তা কি দ্রুত মোতায়েন সম্ভব?’’ একদফার ভোট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। শমীকের কথায়, ‘‘একদিনে ভোট (Panchayat Vote) করিয়ে মানুষকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ক্ষমতা এই নির্বাচন কমিশনের আছে? এগারো দিনে ৯ জন খুন হয়ে গেল। এই হচ্ছে এই রাজ্যের পরিস্থিতি।’’ 

    আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share