Tag: pancreatic cancer

pancreatic cancer

  • Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। প্রত্যেক বছরেই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত এক দশকে জীবন যাপনের ধারার জেরে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার কিংবা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপন এই সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে।

    ভারতীয়দের জন্য কতখানি বিপজ্জনক?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্যান্সার আক্রান্ত ভারতীয়দের মৃত্যুর তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। রোগ সম্পর্কে অসচেতনতার জেরেই এই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ভারতে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সতর্কতা বাড়লে তবেই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।

    কেন ভারতে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বাড়ছে?

    মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে!

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মদ্যপান। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের মধ্যে মদ্যপানের অভ্যাস বেড়েছে। বিশেষত কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই অভ্যাস বেশি দেখা যাচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও উৎসবেই মদ্যপান উদযাপনের রেওয়াজ হয়ে উঠছে। নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস অন্ত্র এবং লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করলে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ধূমপান ঝুঁকি বাড়াচ্ছে!

    ধূমপানের অভ্যাস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তামাক সেবনে অভ্যস্ত হলে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হয়। শ্বাসনালী, ফুসফুসের পাশপাশি অগ্নাশয়ের উপরেও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। কিশোর বয়স থেকেই এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার তার মধ্যে অন্যতম।

    ওবেসিটি বিপজ্জনক!

    অতিরিক্ত ওজন কিংবা ওবেসিটিকে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে ওবেসিটি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। হৃদরোগ, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, বন্ধ্যাত্বের পাশপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাবারের জেরেই এই ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার ফলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের জন্য বাড়তি বিপদ!

    ভারতকে ডায়াবেটিসের ‘ক্যাপিটাল’ বলা হয়। ভারতীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিস উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। মূলত খাদ্যাভাস এবং জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তার গভীর প্রভাব পড়ে। তাই ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তার জেরেই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস সুস্থ থাকতে বিশেষ সাহায্য করে‌। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। পাশপাশি মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাসকেও সম্পূর্ণ বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়িয়ে যেতে হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পেটে মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা। ওষুধ না খেলেও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই মাঝেমধ্যে হতে থাকা যন্ত্রণা হঠাৎ ভোগান্তি বাড়ায়। অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, রক্তপাতের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ পরীক্ষা করে অধিকাংশ সময়েই জানা যায়, রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। 
    নভেম্বর মাস প্যানক্রিয়েটাইটিস ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)। জীবন যাপনের একাধিক বদল এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগের জটিলতা বাড়াচ্ছে অসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গ অবহেলা করেন। ফলে, যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই সতর্কতা আর সচেতনতা, এই দুই দাওয়াই রুখতে পারে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার।  

    কেন বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার? (Pancreatic Cancer) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খাবার খাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সকালের জলখাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারী খাবার খাচ্ছেন না। দুপুরে লাঞ্চ করছেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লাঞ্চের মেনুতে থাকছে কোনও রেস্তোরাঁর খাবার। দীর্ঘ ব্যবধানে এই খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়ার জেরে দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি হজমের লাগাতার গোলমাল হয়। এর জেরেই অন্ত্রে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Pancreatic Cancer)। 
    এর পাশপাশি, কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা প্রসেসড খাবার খেলে পাকস্থলী, অন্ত্রে আরও ক্ষত তৈরি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে বিরিয়ানি, মোগলাই, চাইনিজ খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। পাশপাশি বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রসেসড খাবার খেলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সব্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাবারের মধ্যে সমতা নেই। সবুজ সব্জিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান। যেগুলো অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল এবং সব্জি না খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া অগ্নাশয়ের জন্য ভালো নয় বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    পাশপাশি মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মাত্রায় নিয়মিত মদ্যপান অগ্নাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Pancreatic Cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। 
    পাশপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমাতে হবে। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। এতে হজমের সমস্যা কমবে। পাকস্থলী, অন্ত্র এবং অগ্নাশয় সুস্থ থাকবে। ফলে, যে কোনো রকম রোগ (Pancreatic Cancer) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। নিয়মিত সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার, ডিম, দুধ, রুটি, সব্জি, খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া অনিয়মিত হলে সঙ্গে রাখতে হবে ফল, ড্রাই ফ্রুটস। যাতে পেট ভর্তি থাকে। খেজুর, কিসমিস, পেস্তা, আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সবসময় খাওয়া সম্ভব হয় না, তাঁরা সঙ্গে এই জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন। 
    পাশপাশি বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় প্রসেসড খাবার নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই ধরনের খাবার এড়ানো দরকার। নিয়মিত বাড়ির তৈরি কম তেলমশলার খাবার মেনুতে রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share