Tag: Panoli

  • Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতির জন্য তামাম ভারতে পরিচিত কংগ্রেসের ‘ডিএনএ-জাত’ তৃণমূল কংগ্রেস। ‘মাদার পার্টি’র মতো সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement Politics) তারও মজ্জাগত। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা সময় তাঁর ‘দুধেল গাই’দের সম্পর্কে প্রশস্তি গাইতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদি আঁকড়ে ধরে রাখতে তাঁর যা যা করা দরকার, তিনি তা-ই করে চলেছেন। এই যেমন, মুসলমান ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে পুণের একটি আইনের কলেজ ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmishta Panoli) জীবনকে কার্যত ‘জীবন্ত নরকে’ পরিণত করার যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তি তোলে মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ। তার পরেই প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে গুরগাঁও থেকে ওই হিন্দু ছাত্রীকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে মমতার সরকার।

    শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা (Sharmishta Panoli)

    স্থানীয় আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। শর্মিষ্ঠাকে দু’সপ্তাহের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। শর্মিষ্ঠার আইনজীবীর মতে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ভালো নেই শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘দুধেল গাই’দের গায়ে লাগায় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmishta Panoli) তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত প্রশাসন শর্মিষ্ঠাকে যেসব মুসলমান অনলাইনে ধর্ষণ, খুনের হুমকি এবং ‘সর তন সে জুদা’ (ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেব) বলে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি! একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারেন, তা মাথায় ঢুকছে না শর্মিষ্ঠার শুভাকাঙ্খীদেরও।

    ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়নি?

    মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মমতা পুলিশমন্ত্রীও। তাঁর নির্দেশে পুলিশ গিয়ে গুরগাঁও থেকে ধরে আনতে পারে বছর বাইশের ওই ছাত্রীকে (Sharmishta Panoli)। শুধু তাই নয়, তাঁর গ্রেফতারিকে ন্যায্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টাও নিরন্তর করে চলেছে। অথচ, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, সেই ওয়াজাহাত খান নিজেও হিন্দু দেবদেবী (বিশেষত অসমের কামাখ্যা মন্দির) সম্পর্কে প্রায়ই অবমাননাকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, তার পরেও দিব্যি হাত গুটিয়ে বসে থাকে মমতার পুলিশ। অথচ ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করতে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে না, সে থাকে খাস কলকাতায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওয়াজাহাতের মতো এক উগ্র মুসলমানকে গ্রেফতার না করে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের বার্তা দিলেন। যেহেতু মুসলমানদের চটালে গদি খোয়াতে হতে পারে, তাই শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হলেও, বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় (বর্তমানে বেপাত্তা) ওয়াজাহাতের মতো উগ্র মুসলমানরা! শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের তরফে (Sharmishta Panoli) মুসলমানদের এই বার্তাও দেওয়া হয় যে, ‘তোমরা আমাদের ভোটব্যাংক (Muslim Appeasement Politics)। তাই সনাতন ধর্ম নিয়ে কোনও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেও, তোমাদের কোনও ভয় নেই। কারণ, ম্যায় হুঁ না’!

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের বক্তব্য 

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত, যিনি আগেও স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন, তিনিও এবার শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অমানবিক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সে (শর্মিষ্ঠা) যদি আমার মেয়ে হত, তবে আমি এতক্ষণে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতাম এবং তাকে ত্যাগ করতাম।” তিনি বলেন, “সে শিশু নয়, ২২ বছর বয়সি একজন আইন শিক্ষার্থী। সে যা বলেছে এবং করেছে, তা সম্পূর্ণ সচেতনভাবে ডানপন্থী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে করেছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে ঋজু সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বিদ্বেষ ছড়ানো ও হয়রানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন (Sharmishta Panoli)।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ (শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার) কেবল সনাতনিদের বিরুদ্ধেই নেওয়া হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে অপমান করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটা তোষণের রাজনীতি।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি দেবী কালী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তাদের (টিএমসি) সাংসদ সায়নী ঘোষ মহাদেব নিয়ে কী পোস্ট করেছিলেন? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি (Sharmishta Panoli)।”

    তৃণমূলের মুসলিম তোষণ নতুন নয়

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলিম তোষণের ঘটনা নতুন নয়। এর শুরু হয়েছিল সে-ই ২০১১ সালে, যখন প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে মমতার সরকার। এই পার্টিই মুসলিমদের ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করতে শুরু করে (Muslim Appeasement Politics)। কলকাতা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানিক প্রতারণা’ বলে আখ্যা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের উর্দুভাষীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ বা তার কিছু বেশি। সেখানে উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে মমতার সরকার। মুসলমানদের তুষ্ট করতেই ইমাম ভাতাও চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Sharmishta Panoli)।

  • Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ (Shri Ram Swabhiman Parishad)। পরিষদের সম্পাদক সুরজ কুমার সিং এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “পরিষদ শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “শর্মিষ্ঠা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

    গ্রেফতারের দাবি (Shri Ram Swabhiman Parishad)

    তিনি বলেন, “স্কাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা – যাদের দফতর পাকিস্তানের করাচিতে – তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এমনকী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে, সার তন সে জুদা স্লোগান তোলা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি তিনি বিএনএসের ২৯৫এ ধারায় দোষী হন, তাহলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হোক। কিন্তু একজন হিন্দু হিসেবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। তাঁর কিছু হলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ দায়ী থাকবে। আজকের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু ধর্মকে অপমানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, আর নিজের লোকেরা হচ্ছে নিশানা।”

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান সুরজ। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি করাচিতে রেজিস্ট্রার্ড, যদিও এখানে (ভারতে) তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং তাঁর পরিবার ও লিগ্যাল টিমের পাশে থাকব (Sharmistha Panoli)।” প্রসঙ্গত, ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণ

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিল। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, সে গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর (Shri Ram Swabhiman Parishad) জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে (Sharmistha Panoli)।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    এই ওয়াজাহাতই অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। ট্যুইটবার্তায় সে লিখেছিল, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুশকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে (Shri Ram Swabhiman Parishad)।

    শাস্তিযোগ্য অপরাধ! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি (Shri Ram Swabhiman Parishad)। বিজেপির এক নেতা বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে (Sharmistha Panoli)। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

LinkedIn
Share