Tag: Paris Olympic

Paris Olympic

  • Olympics inauguration 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনে প্যারিসের চমক, নৌকোয় হবে চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠান

    Olympics inauguration 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনে প্যারিসের চমক, নৌকোয় হবে চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই সরকারিভাবে শুরু হবে “দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ”। অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী (Olympics inauguration 2024) অনুষ্ঠান মানে গানের আসর, চড়া আলোর ঝলকানি ও আতসবাজির প্রদর্শনী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন খেলার আসর অলিম্পিকের। সেইন নদীর তীরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিস অলিম্পিক্সের উদ্বোধন হবে। প্যারিস তাঁর নিজস্ব ছাপ রাখবে এই অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যেই ফুটবল, রাগবি সহ একাধিক ইভেন্টের মাধ্যমে ২৪ জুলাই শুরু হয়েছে প্যারিস অলিম্পিক গেমস। প্যারিসের কেন্দ্রে স্যেন নদীতে নৌ-প্যারেডে অংশ নেবেন সারা বিশ্ব থেকে আসা অ্যাথলিটরা। ১০,৫০০ অ্যাথলিটরা প্যারেড করবেন এদিন। স্যেন নদীর তীরে ইতিহাসের অংশ হিসেবে থেকে যাবে এই অনুষ্ঠান। কারণ এই প্রথম স্টেডিয়ামের বাইরে হচ্ছে কোনও অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সাহিত্য, সংস্কৃতির নগরী প্যারিস হয়ে উঠেছে এখন ক্রীড়ার নগরী। অনন্য এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের রোশনাই ছড়িয়ে যাবে গোটা প্যারিসে। স্যেন নদীর তীর আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে।

    নৌকোয় হবে রিভার প্যারেড (Olympics inauguration 2024)

    প্রতিটি দেশের জন্যই থাকবে আলাদা নৌকা। এই নৌকোয় ক্যামেরা থাকবে, যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ টেলিভিশন এবং অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রিয় অ্যাথলিটদের দেখতে পারবেন। আইফেল টাওয়ারের পূর্বকোণায় অস্টারলিটজ সেতু থেকে নৌকা ও বার্জে করে সেইন নদীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ নাগাদ ভারতীয় (India) সময় রাত ১১:০০ টা নাগাদ নৌবহরে তাঁরা পৌঁছবেন ত্রোকাদেরয়। সেখানে উদ্বোধনী (Olympics inauguration 2024) অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। মূলত চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠান হবে নদীবক্ষে। স্বচ্ছ জলে রঙিন সাজে সজ্জিত নৌকায় অ্যাথলিটদের উজ্জ্বল উপস্থিতি সকলের নজর কাড়বে।

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সে অন্য দেশের হয়ে নামছেন ৫ ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তাঁরা কারা?

    খোলামেলা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    সাধারণত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট সংখ্যক অতিথি থাকেন। কিন্তু প্যারিসে (Olympics inauguration 2024) সেই বাঁধা ছক ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। যত সম্ভব বেশি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আসর। এছাড়াও ৮০ টি জায়েন্ট স্ক্রিন এবং প্রচুর সংখ্যক স্পিকার থাকবে যা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রতিটি দৃশ্য সাধারণ দর্শকের কাছে পৌঁছে দেবে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে অলিম্পিক্সের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ। প্যারিস ও আশেপাশের অঞ্চল ছাড়া ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা পর্যটকদের জন্য হবে উন্মুক্ত।

    ভারত ৮৪ তম প্যারেড নেশন (India)

    প্যারেড নেশন হিসেবে ৮৪ তম স্থানে রয়েছে ভারত (India)। সর্প্রথম গ্রীস। সবশেষে ভাসবে ফ্রান্সের নৌকো। তাঁরাই সর্বশেষ (Olympics inauguration 2024) প্যারেড নেশন। ফ্রান্সের আগে প্যারেড নেশন হিসেবে অংশ নেবে আমেরিকা। কারণ ২০২৮ সালে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে অলিম্পিক গেমসের আসর বসবে।  ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে “শ্যেফ দ্য মিশন” হচ্ছেন শুটিং বিভাগে পদক বিজেতা গগন নারং। এবং ভারতের পতাকা বহন করবেন পি ভি সিন্ধু এবং টেবিল টেনিস খেলোয়াড় শরথ কমল। এ বছর ১১৭ জন ভারতীয় অ্যাথলিট অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ১৪০ জন সাপোর্ট স্টাফ। সবমিলিয়ে ২৫৭ জন ভারতীয় জায়গা পেয়েছেন গেমস ভিলেজে। এবারের অলিম্পিক্সে বিভিন্ন খেলায় ৩২৯টি মেডেল দেওয়া হবে।

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ফিনিশিং লাইন এখনও অনেকটা দূরে। সাফল্যের শেষ স্টপেজ কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) সোনার পোডিয়াম নয়। সেটা অতীত। চাঁদের পাহাড় অলিম্পিক্স। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক গেমস (Paris Olympics) এরিনায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই এখন আশু লক্ষ্য বাংলার ভারোত্তলক অচিন্ত্য শিউলির (Achinta Sheuli)। মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন বাংলার সফল ভারোত্তলক।

    চরম দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা অচিন্ত্য জীবনে ধীরে-চলো নীতিতেই বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “Slow and Steady wins the race: সোনা তো দূর-অস্ত, আগে তো যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে (2024 Paris Olympic Games) খেলতে গেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (World Championship) ভালো ফল করতে হবে। সেখানেই মিলবে অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র।”

    বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে তাহলে প্রধান প্রতিপক্ষ কে? বন্ধু জেরেমি? মানতে নারাজ ২০ বছর বয়সি হাওড়ার ছেলে। তাঁর কথায়, “এটা কোনও সমস্যা নয়। বরং এই লড়াই দুজনকে আরও ভালো খেলতে উৎসাহ দেবে। বেশ মজাও হবে। আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করব। আবার একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুজনেই জিততে চাই। যে ভালো পারফরম্যান্স করবে সেই অলিম্পিক্সে সুযোগ পাবে। যোগ্যতম জায়গা করে নেবে। আমাদের বন্ধুত্ব একরকমই থাকবে।”

    এক ফ্রেমে জেরেমি ও অচিন্ত্য

    কমনওয়েলথের আসর থেকে দুজনেই সোনা এনে দিয়েছেন। দুই বন্ধুরই পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক গেমস। কিন্তু নিয়মের ফাঁদে যে কোনও একজনই অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। জেরেমি (Jeremy Lalrinnunga) কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন পুরুষদের ৬৭ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে। আর অচিন্ত্য ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে।  প্রসঙ্গত যে ৬৭ কেজি বিভাগে লড়াই করেন জেরেমি সেই বিভাগটি তুলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ওয়েটলিফটিং ফেডারেশন। ফলে ১৯ বছর বয়সি জেরেমিকে এবার থেকে লড়তে হবে ৭৩ কেজি বিভাগে। ফলে অলিম্পিক গেমসের জন্য ‘সম্মুখ সমরে’ দুই বন্ধু।

    নিজের লক্ষ্যে অবিচল অচিন্ত্য বলেন, “প্রতিপক্ষ যে-ই হোক আমি নিজের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কমনওয়েলথে মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলেছিলাম। এবার টার্গেট ৩৪০ কেজি ওজন তোলা। সে জন্যই আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছি। সেখানে আমার সঙ্গে দিদি মীরাবাঈ (Mirabai Chanu), জেরেমি সকলে থাকবে। নিজের ভুল-ত্রুটিগুলি শুধরে নেওয়া যাবে।”

    আরও পড়ুন: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    বুধবারই ভারতের সিনিয়র ভারোত্তলকদের বিশেষ অনুশীলনের জন্য আমেরিকা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় এক মাসের মতো স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের তত্ত্বাবধানে শিবির হবে তাঁদের। আমেরিকার সেইন্ট লুইসে তাঁদের বিশেষ ট্রেনিং দেবেন ড.অ্যারন হরশিগ। ২০২০ থেকে তাঁর অধীনে ট্রেনিং নিয়েছেন মীরাবাঈ চানু। সেখানেই এবার নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন অচিন্ত্য, জেরেমিরা। তাই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামছেন না তাঁরা।

    হাওড়ার দেউলপুরে মাটির বাড়িতে বেড়ে ওঠা। মা জরির কাজ করে সংসার চালান কোনওক্রমে। সাপ্তাহিক রোজগার পাঁচশো টাকা। তা-ও নিয়মিত নয় সেই কাজ। দাদা এখন দমকল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। ছোট থেকেই লড়াই করে বড় হয়েছেন অচিন্ত্য। তাঁর লড়াই সকলকে প্রেরণা যোগাবে বলে ট্যুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অচিন্ত্য বললেন, “মোদিজি অসাধারণ। কমনওয়েলথ গেমসে নামার আগে তাঁর ফোন মনের জোর অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেনার চাকরি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। পুষ্টিকর খাবার খেতে সাহায্য করেছে। সাফল্যের জন্য পরিশ্রম যেমন জরুরি, তেমন দরকার ধৈর্যও । শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, তার সঙ্গে ধৈর্য না থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন।”

LinkedIn
Share