Tag: parliament

parliament

  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Kalyan Banerjees Mimicry: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংসদ। তা সত্ত্বেও তিনি করেছেন ‘অসংসদীয়’ আচরণ। দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছেন। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছেন। এহেন সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjees Mimicry) সমালোচনায় মুখর বিজেপি। মঙ্গলবারই তৃণমূলের এই সাংসদকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ বলে অভিহিত করেছেন নেটিজেনরা।

    কল্যাণের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ড

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘মুর্খো কি সর্দার’ তকমা পেয়েছেন কল্যাণ। ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন বিগত ২০ বছর উনিও এ ধরনের অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    ধনখড়কে প্রধানমন্ত্রী ফোনে বলেন, “মন থেকে আমি মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনও অপমানের কাছে আমি মাথা নোয়াব না। কোনও অপমানই আমার পথ পরিবর্তন করতে পারবে না। এঁরা সংবিধান রক্ষায় আমায় রুখতে পারবে না।”

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সংসদ চত্বরে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। তবে তাঁদের অভিব্যক্তি মর্যাদা ও সৌজন্যের নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। যে সংসদীয় ঐতিহ্যের জন্য (Kalyan Banerjees Mimicry) আমরা গর্বিত ও যা ভারতের জনগণ আশা করে, সেটি বজায় থাকা উচিত।”

    আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প, রায় মার্কিন আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    Menstruation Leave: অফিসে ঋতুকালীন ছুটি কাম্য নয়! সংসদে এর ব্যাখ্যা দিলেন স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের জায়গায় মহিলাদের বেতনযুক্ত ঋতুস্রাবকালীন ছুটির কোনও প্রয়োজন নেই, অভিমত কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি জানান, ঋতুস্রাব মহিলাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এটি কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। ঋতুস্রাবের জন্য বিশেষ ছুটি মঞ্জুর করার করা উচিত নয়।

    কোন প্রশ্ন সাপেক্ষে উত্তর

    ঋতুমতী মহিলারা ঋতুচক্রের সময় নানা শারীরিক কষ্ট সহ্য করেন। মহিলাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই একাধিক দেশে চালু করা হয়েছে মেনেস্ট্রুয়েশন লিভ (Menstruation Leave) বা ঋতুকালীন ছুটি। ভারতেও কি এই ছুটি চালু করা হবে? কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)-র কাছে এই প্রশ্নই রেখেছিলেন আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা (Manoj Kumar Jha)। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “ঋতুমতী মহিলা হিসাবে, ঋতুস্রাব ও ঋতুচক্র নারী জীবনের অত্যন্ত সাধারণ একটি অংশ। আমাদের এমন ইস্যু তৈরি করা উচিত নয় যেখানে তাদের সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে শুধুমাত্র একজনের নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, যার ঋতুস্রাব হয় না।”

    আরও পড়ুন: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    অকপট স্মৃতি

    মাসিক ছুটির ফলে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য হতে পারে বলে স‌ংসদে সকলকে সতর্ক করেন স্মৃতি। ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব কথা বিবেচনা করে স্মৃতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক জাতীয় নীতি প্রণয়ন করার কথা ঘোষণা করেন। এই নীতির লক্ষ্য হবে দেশবাসীকে ঋতুস্রাবের বিষয়ে আরও বেশি সজাগ করা, ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক করা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখিত জবাবে বলেন, “অল্প সংখ্যক মহিলা অত্যাধিক ডিসমেনোরিয়া বা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ঋতুচক্র ও তার সঙ্গে জড়িত কার্যকলাপকে আড়ালে রাখা হয়। সামাজিক ছুৎমার্গের কারণে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। সাধারণ কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়, যা শেষ অবধি হেনস্থা ও সমাজে বিতাড়িত করার পর্যায়ে পৌঁছয়। যখন কোনও কিশোরী শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগতই না হয়, তখন বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adhir Ranjan Chowdhury: দুঃখ প্রকাশ অধীর চৌধুরীর! সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি

    Adhir Ranjan Chowdhury: দুঃখ প্রকাশ অধীর চৌধুরীর! সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। বুধবারই কমিটির বৈঠক বসে এবং সেখানেই বহরমপুরের সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির এই বৈঠকে হাজির ছিলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) নিজেও।

    চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড হন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। কংগ্রেসের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নীরব মোদির সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে ধৃতরাষ্ট্র বলেও কটাক্ষ করেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। ১০ অগাস্ট তাঁর এই সংসদীয় আচরণের জন্য স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেই স্পিকার ওম বিড়লা অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করেন। সাসপেন্ডের সময় জানানো হয়, লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি অধীরের বিষয়ে রিপোর্ট যতক্ষণ না জমা দিচ্ছে, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।

    ১৮ অগাস্ট হয় কমিটির প্রথম বৈঠক

    ১৮ অগাস্ট হয় কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রিভিলেজ কমিটি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্য শুনেই সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, সাসপেনশনের সময় ওয়াক আউট করেছিলেন কংগ্রেসের সাংসদরা, সেখানে ছিলেন অধীর চৌধুরী নিজেও। পরে অবশ্য অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) জানিয়েছিলেন, স্বাধিকার রক্ষা কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠালে তিনি অবশ্যই যাবেন। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তরফ থেকে এদিন বিজেপি সাংসদ সুনীলকুমার সিংহ জানিয়েছেন, অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বৈঠকে বলেছেন, কাউকে আঘাত করা তাঁর মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল না। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্যে কেউ আঘাত পেলে তিনি তাঁর জন্য দুঃখিত। এরপরেই সর্বসম্মতিতে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানলেই আমরা বুঝতে পারি। সমগ্র এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি ছিল। প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nalanda University) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানান বিবাদ আছে। প্রাচীন ভারতের ১৬ টি মহাজনপদের অন্যতম শক্তিশালী জনপদ মগধের রাজধানী রাজগৃহ, যা বর্তমনকালের রাজগীর। সেই রাজগীরের কাছেই এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এসেছিলেন শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এখানে অধ্যাপক হিসাবে বহুদিন কাজ করেন। 

    কেমন ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়?

    এটি ছিল একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়  (Nalanda University)। এখানে সবরকম সুযোগসুবিধা পাওয়া যেত। এখানে ছিল এক মস্ত বড় গ্রন্থাগার, যার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই গ্রন্থাগারটি ছিল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিশাল গ্রন্থাগার, যেখানে অজস্র বইয়ের সমাহার ছিল। দূর দূর থেকে ছাত্ররা ছুটে আসতেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিন, কোরিয়া, তিব্বত, সুমাত্রা ইত্যাদি দেশ থেকে দলে দলে ছাত্ররা আসতেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হত। সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এটি। ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বখতিয়ার খিলজি এই মহাবিহার ধ্বংস করেন, যার ধ্বংসাবশেষ ১৯৯৫ সালে খনন করা হয়। বেদ, ‘হেতুবিদ্যা’ (ন্যায়শাস্ত্র), ‘শব্দবিদ্যা’ (ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব), ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ (ভেষজবিদ্যা), জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য গ্রন্থ (অথর্ববেদ) ও সাংখ্য দর্শন সম্মন্ধে এখানে শিক্ষাদান করা হত। গবেষণা অনুযায়ী আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নগর-পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হত।

    নালন্দার পুনরুজ্জীবন, আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাদান

    প্রথমে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ২০০৬ সালে নালন্দাকে (Nalanda University) আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তার বছর চারেক বাদে অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বিল, যেখানে প্রস্তাব রাখা হয় নতুন আকারে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তাতে পড়ানো হবে ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, পররাষ্ট্রনীতি, পরিবেশবিদ্যা বা বৌদ্ধ দর্শনের মতো নির্বাচিত কিছু বিষয়। যাতে নালন্দা আবার সেই আগের মতো এক উচ্চশিক্ষা দানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তার জন্য গড়ে তোলা হয় ‘নালন্দা মেন্টর গ্রুপ’-যার নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর অমর্ত্য সেন আচার্যের পদে মনোনীত হন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ আবার তার শিক্ষাদান শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, দেশ বিদেশ থেকে আসছে ছাত্ররা, এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে। 

    কী কী বিষয় এখন পড়ানো হয়?

    বর্তমানে এখানে (Nalanda University) ৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পড়ানো হয়। সেগুলি হল-হিন্দু স্টাডিজ, বিশ্ব সাহিত্য, Sustainable Development, বাস্তুশাস্ত্র ও পরিবেশ বিদ্যা, ইতিহাস, বুদ্ধিস্ট স্টাডি এবং দর্শন। 
    তাছাড়া এই বিষয় গুলিতে PhD ও করানো হয় এখান থেকে। আবার ধীরে ধীরে পুরনো জায়গা ফিরে পাচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের গর্ব, ভারতবাসীর গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সপ্তদশ লোকসভার এই টার্ম দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গেমচেঞ্জার ছিল। সংবিধান মানুষকে যে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে, এই লোকসভা তা বাস্তবায়িত করেছে।” দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে’

    তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পেয়েছে। ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে। এই কাজ আমরা করে দেখিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। দেশমাতৃকা অনেক আতঙ্কবাদীর কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা এই সদনেই আইন তৈরি করেছি। এতে দেশের সেনার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তিন তালাকের মতো নিকৃষ্ট বিষয় থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিয়েছে লোকসভার এই টার্ম। যা চিরকাল লেখা থাকবে ইতিহাসে।”

    ‘নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে দেশে রিফর্ম, পারফর্ম ও ট্রান্সফর্ম হয়েছে। এই সপ্তদশ লোকসভায় দেশে একাধিক উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে দেশে সংশোধন হয়েছে। আর এর ফলেই দেশের রূপান্তর হচ্ছে। দেশে এক নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি গলি, পাড়ার ছেলেমেয়েরাও বলছে আগামী পঁচিশ বছরে দেশ বিকশিত ভারত হবে। আমরা কেউ কেউ সেই বিকশিত ভারত তৈরির স্বপ্ন নিজেদের সঙ্কল্প হিসেবে তৈরি করে ফেলেছি। যাঁরা সেই সঙ্কল্পে নেই, তাঁরা নিজেদের জীবদ্দশায় সেই বিকশিত ভারতের সাফল্য অনুভব করতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে হয়তো একটু টেনশনে রয়েছেন ভোট নিয়ে। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই নির্বাচনেও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট থাকবে। মজাদার আক্রমণ হয়েছে। আমি আরও আনন্দিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। লড়াইয়ের মোকাবিলা করেছি।” তিনি বলেন, “রাম মন্দির নিয়ে বক্তব্যের যে প্রস্তাব আজ এই সংসদ ভবনে রাখা হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করতে আরও সাহায্য করবে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এসেছে জি-২০ সম্মেলনে ভারতের সাফল্য, নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের প্রসঙ্গও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    Loksabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদ্যি বাজতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Elections 2024)! নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভার। এই মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মার্চের ১০ তারিখের মধ্যেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতে পারে। উনিশের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। সেবার ভোট হয়েছিল সাত দফায়। নির্বাচন-পর্ব শেষ হয়েছিল ১৯ মে। ফল প্রকাশ হয়েছিল ২৩ মে।

    নির্বাচনের ঢাকে কাঠি!

    সূত্রের খবর, রাজ্যে এসে নির্বাচন কমিশনার একাধিক বৈঠক করবেন। পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। নির্বাচনের (Loksabha Elections 2024) সময় আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাঝ-এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই মতোই প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    আব কি বার ৪০০ পার!

    দিন দুই আগে সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেওছিলেন, বিজেপি একাই পাবে ৩৭০টি আসন। এনডিএ পার করবে ৪০০-র গণ্ডী। অবশ্য এই প্রথম নয়, মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে আয়োজিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলেন, এবার (Loksabha Elections 2024) ৪০০-র বেশি আসন পেতে হবে। তার পরেই প্রচারের সুর বেঁধে ছিল বিজেপি-‘আব কি বার চারশো পার।’

    আরও পড়ুুন: প্রকাশ করা হবে ইউপিএ জমানার ‘কেলেঙ্কারি’, বাড়ছে বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ

    কেন্দ্রের শাসক দলের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন ছন্নছাড়া দশা বিরোধী শিবিরে। অথচ মাস ছয়েক আগেই বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডি’। তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হয়েছে ‘ইন্ডি’র অন্দরের ফাটল। কখনও আসন রফা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী মুখ কাকে করা হবে, তা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, বাংলায় ন্যায় যাত্রায় এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। উত্তরপ্রদেশে আবার ১৬টি আসনে একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, যিনি কিনা ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যতম মূল উদ্যোক্তা, তিনি তো ফিরে এসেছেন এনডিএ শিবিরে (Loksabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

     

  • Budget Session: প্রকাশ করা হবে ইউপিএ জমানার ‘কেলেঙ্কারি’, বাড়ছে বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ

    Budget Session: প্রকাশ করা হবে ইউপিএ জমানার ‘কেলেঙ্কারি’, বাড়ছে বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। অধিবেশন চলার কথা ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পর্যন্ত। সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি, শনিবার পর্যন্ত। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, বাজেট অধিবেশন বাড়ানো হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    শ্বেতপত্র প্রকাশ

    ইউপিএ সরকারের আমলের আর্থিক অনিয়ম শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র সংসদে পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কারণেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের। শ্বেতপত্রটির মাধ্যমে ইউপিএ আমলের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, সেই সময়ের ভারতের অর্থনৈতিক দুর্দশা ও অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাবগুলি বিস্তারিত তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। বাজেট অধিবেশন (Budget Session) শুরু হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হয় অন্তর্বর্তী বাজেট। যেহেতু লোকসভা নির্বাচন রয়েছে এ বছর, তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, পেশ করা হয়েছে ভোট অন অ্যাকাউন্ট বা অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। ওই দিন পেশ হয়েছে রেল বাজেটও।

    কংগ্রেসকে নিশানা

    সংসদে রাষ্ট্রপতির বৃক্তৃতার ওপর জবাবী ভাষণ দিতে গিয়ে সোমবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জমানায় কাজের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কংগ্রেস ভাবতেই পারবে না কী গতিতে কাজ হয়েছে। এই সরকার ১০ বছরে যে কাজ করেছে, কংগ্রেসের তা করতে লাগবে ১০০ বছর।” ইউপিএ জমানার সঙ্গে এনডিএ জমানার তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “ভারত যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে আমাদের তৃতীয় মেয়াদে ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। এটা মোদির গ্যারান্টি।”

    আরও পড়ুুন: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে সংবিধান (তফশিলি জনজাতি) নির্দেশিকা (সংশোধন) বিল, ২০২৪ ও সংবিধান (তফশিলি জাতি ও তফশিলি জনজাতি) নির্দেশিকা (সংশোধন) বিল, ২০২৪। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপক প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয় সংসদে (Budget Session)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Budget Session 2024: “৩৭০ ধারা নিয়ে শঙ্কা এখন ইতিহাস”, বাজেট ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি

    Budget Session 2024: “৩৭০ ধারা নিয়ে শঙ্কা এখন ইতিহাস”, বাজেট ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৩১ জানুয়ারি, বুধবার শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন (Budget Session 2024)। চলবে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশনেই ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দ্বিতীয় মেয়াদে এটাই মোদি সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশন। প্রথা মেনে এদিন সংসদের উভয় কক্ষেই ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বক্তৃতায় শোনা গিয়েছে মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা।

    গরিবি হটাও স্লোগান

    রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজ আমরা যে অর্জনগুলি দেখতে পাচ্ছি, তা গত দশ বছরের অনুশীলনের সম্প্রসারণ। আমরা ছোটবেলা থেকেই গরিবি হটাও স্লোগান শুনে এসেছি। আজ, আমাদের জীবনে প্রথমবারের মতো আমরা দারিদ্র দূরীকরণ দেখছি।” তিনি বলেন, “এশিয়ান গেমসে ভারত ১০০টিরও বেশি পদক জিতেছে। দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আরটিআই ফাইল করা মানুষের সংখ্যা ৩.২৫ কোটি বেড়ে হয়েছে ৮ কোটিরও বেশি। এই অর্জনগুলি দেশের দশ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল।” রাষ্ট্রপতি বলেন, “৩৭০ ধারা নিয়ে শঙ্কা এখন ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে দেশে রয়েছে এক লাখেরও বেশি স্টার্টআপ। জিএসটি দিচ্ছেন এ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।”

    ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এখন ইতিহাস

    তিনি (Budget Session 2024) বলেন, “বিশ্বে গুরুতর আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও দ্রুত উন্নতি করছে ভারত। আমার সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিলও এনেছে। এগুলি এমন আইন, যা একটি উন্নত ভারতের অর্জনের জন্য শক্তিশালী উদ্যোগ। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এখন ইতিহাস।” রাষ্ট্রপতি বলেন, “গত বছর ছিল ভারতের জন্য ঐতিহাসিক অর্জনে ভরপুর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত সফলভাবে অবতরণ করেছে। জি২০-র সাফল্য সমগ্র বিশ্বে ভারতের ভূমিকাকে শক্তিশালী করেছে। সরকার লাখ লাখ যুবককে সরকারি চাকরি দিয়েছে। নারী শক্তি আইন লোকসভা, রাজ্যসভায় মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াবে। বহু বছর ধরে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতীক্ষা ছিল। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণ হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    রাষ্ট্রপতি বলেন, “২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে। তিন তালাকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। উজ্জ্বলা প্রকল্পে ২.৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। দরিদ্রদের সস্তায় রেশন দিতে ২০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আয়ুষ্মান যোজনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিডনির রোগীদের জন্য  ডায়ালিসিসের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Parliament Winter Session: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’! কল্যাণের আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    Parliament Winter Session: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’! কল্যাণের আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে নকল করে বিতর্কে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেবল (Parliament Winter Session) কণ্ঠস্বর নকলই নয়, কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করতে দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরের এই আইনজীবী সাংসদকে। পুরো ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ডিং করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের কয়েকজন নেতা।

    কল্যাণের কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি

    দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের উদ্দেশে কল্যাণের কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় দেশজুড়ে। এক নেট-নাগরিক লিখেছেন (Parliament Winter Session), ‘ভারতের উপরাষ্ট্রপতিকে মিমিক্রি করা হচ্ছে। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মিমিক্রি করছেন আর রাহুল গান্ধী তার ভিডিও করছেন।’ অন্য একজন আবার লিখেছেন, ‘মুর্খো কা সর্দার ও নফরত কা দালাল এই ভিডিও রেকর্ডিং করছেন।’

    উপরাষ্ট্রপতির প্রতিক্রিয়া 

    ঘটনায় মুখ খুলেছেন ধনখড় স্বয়ং। তিনি বলেন, “আমি কৃষক ছিলাম। একজন এমপি, চেয়ারম্যানকে নকল করছেন। অপর মেম্বার ভিডিও করছেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিও পোস্ট করছেন। আপনারা অপমান করেছেন। আমার কৃষক ব্যাকগ্রাউন্ডকে অপমান করেছেন আপনারা। কোনও সাংসদের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।” 

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন সাসপেন্ড করা হয় ৪৯ জন সাংসদকে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকেই সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। অভিযোগ, সেই সময় ধনখড়কে নিয়ে ‘মিমিক’ করেন কল্যাণ।

    আরও পড়ুুন: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    রাজনীতির পাশাপাশি কল্যাণ একজন আইনজীবীও। এক সময় দুঁদে আইনজীবী ছিলেন ধনখড়ও। পরে হন বাংলার রাজ্যপাল। তারও পরে দেশের উপরাষ্ট্রপতি। পদাধিকার বলে যিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও। এহেন এক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে মিমিক করায় বেজায় চটেছে দেশের শিক্ষিত সমাজ। এদিকে, এদিনই সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে বিরোধীদের বিক্ষোভের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদে বিরোধী সাংসদদের আচরণ খুবই দুঃখজনক। তাঁদের আচরণ থেকে মনে হয় যারা সংসদের নিরাপত্তা ভেঙেছে, তাদের সঙ্গে (Parliament Winter Session) বিরোধী দলের সমর্থন রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share