Tag: Partha chatterjee benaami properties

Partha chatterjee benaami properties

  • Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক ৫০ কোটি নগদ টাকা। এছাড়া, কলকাতা ও শহরতলিতে ছড়িয়ে থাকা নামে-বেনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের একাধিক ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এবার ইডি নজরে বিভিন্ন জায়গায় থাকা পার্থ-অর্পিতার জমি (Partha Arpita Land Assets)।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Arpita) জেরা করে যেমন কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক ফ্ল্যাটের খবর মিলেছে, তেমনই বেশকিছু জমির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমি অর্পিতা ও তাঁর আত্মীয়দের নামে রয়েছে। যেমন, শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ৩টি বাড়ি ও গেস্ট হাউস এখন ইডির নজরে। গোয়ালপাড়, ফুলডাঙা ও উত্তরপল্লিতে এই বাড়ি ও গেস্ট হাউস রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তাঁরা মাঝে মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসতে দেখেছেন। অপা, ইচ্ছে, তিতলি ও লাবণ্য— শান্তিনিকেতনের কাছে এই ৩টি বাড়ি ও গেস্টহাউসের মালিক কে? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিকে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়েল এস্টেট সংস্থার নামেও বেশকিছু জমি কেনা হয়েছিল। অর্পিতার নামে টেক্সটাইল সংস্থার হদিশ মিলেছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া বেশকিছু সোনার বার পাচার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  ইডি সূত্রে দাবি, কালো টাকা সাদা করতেই সোনার বারগুলি নগদে কেনা হয়েছিল। কে বা কারা সেগুলি কিনেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু সোনার বার পাচারও হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস। 

    এরইমধ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনা বাড়াল পিএইচডি বিতর্ক (Partha PhD Controversy)। অনিয়মের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইডি গাইড ও কো-গাইডকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

    আরও পড়ুন: চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

  • Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আবাসনেই চারটি ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটিই বেনামি (Benaami)। কিন্তু আবাসনের সকলেই জানতেন চারটি ফ্ল্যাটের মালকিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির তদন্তে সব তথ্যই জমা পড়েছে। যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছে বা নথিভূক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসূত্র কী তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, পুরো আবাসনে একমাত্র এই চারটি ফ্ল্যাটে কারা আসছেন, কোনও গাড়ি ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে তা নিরাপত্তা রক্ষীরা রেকর্ড রাখতে পারতেন না। কোনও এক অজানা হাত আবাসনের নিরাপত্তা সুপারভাইজারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে ‘মাই গেট’ অ্যাপ (My Gate App) থেকে এই চারটি ফ্ল্যাটকে বাদ রাখা হয়েছিল। ইডির তদন্তে সেই প্রসঙ্গটিও আতসকাচের নীচে চলে এসেছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে চারটি ফ্ল্যাট ছিল। টাওয়ার-২’তে ১এ নম্বরের ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং কল্যাণ ধরের নামে। টাওয়ার-২তে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দুটি রয়েছে অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টসের নামে। একই টাওয়ারে ১৯আই নম্বরের ফ্ল্যাটটি আশুতোষ শি এবং শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নামে নথিভূক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    ইডি (ED) জেনেছে, বিভিন্ন জনের নামে ফ্ল্যাটগুলি কেনা থাকলেও আসলে সেগুলির নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্পিতা। তদন্তকারীদের সামনে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বেনামি মালিকদের সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সেই সূত্রেই বেলঘরিয়া, চিনার পার্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে লুকনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে ইডি।

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেনামি ফ্ল্যাট কেনা টাকা ঘোরানোর সহজ পথ। কিন্তু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্ল্যাট রাখার মধ্যে অপরাধমূলক মানসিকতা রয়েছে। ইডির দাবি, বহুতল আবাসনের সুরক্ষার জন্য ‘মাই গেট’ নামে অ্যাপ খুবই উপযোগী এবং জনপ্রিয়। এই অ্যাপ আবাসিকদের কাছে থাকে। কোনও ভিজিটর ফ্ল্যাটে আসতে চাইলে মাই গেট অ্যাপের মাধ্যমেই আবাসনের গেট থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি চান। এটা অনেকটা ব্যাঙ্কিং ওটিপি পাঠানোর মতো। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনুমতি দিলে তবেই আবাসনের ভিতর কোনও ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন বা গাড়ি ঢুকতে পারে।

    ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?
     
    তদন্তে নেমে ইডি যখন মাই গেট অ্যাপে অর্পিতার চারটি ফ্ল্যাটে ভিজিটরদের রেকর্ড চান, তখন নিরাপত্তা সুপাইভাইজার জানান, ওই চারটি ফ্ল্যাটে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, কোন গাড়িতে আসছেন তা রেকর্ড রাখা বা জানার অধিকার তাঁদের ছিল না। অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বলে আসলে যা বলা হচ্ছে তা যে আসলে বেনামি তা এবার স্পষ্ট। ইডির তদন্ত শুরু এখান থেকেই। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) টাকা নাকি তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলের কিছু অংশ মিলেছে ডায়মন্ড সিটির (Diamond City) ফ্ল্যাট থেকে। তা হলে পার্থ-অর্পিতাতেই (Partha-Arpita) তদন্ত থামছে না। আরও উপরে উঠবে সেই তদন্ত, এমনই আভাস।

LinkedIn
Share