Tag: Partha Chatterjee

Partha Chatterjee

  • Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির (Arpita Mukherjee Properties) খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে ইডি-র (ED) কাছে এখন ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা। তাঁকে ক্রমাগত পালা পালা করে জেরা করে চলেছেন ইডি-র দুঁদে অফিসাররা। আর সেই জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে তদন্তকারী দল। 

    গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রের দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি-বাড়ি ও অফিস সংক্রান্ত একাধিক দলিল। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। সেগুলিকে নিয়ে অর্পিতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হচ্ছে। ইডি-র আরও দাবি, নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অর্পিতা। জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সেই সম্পত্তির হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    যার প্রেক্ষিতে, আজ অর্পিতার কোথায় কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তার হদিশ পেতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। একটি দল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছে। রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই এই মুহূর্তে তালাবন্ধ। কাছেই, বেলঘরিয়া দেওয়ান পাড়ায় রয়েছে পৈতৃক বাড়ি। সেখানে থাকেন তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    ইডি-র আরেকটি দল তখন হানা দিয়েছে কসবার রাজডাঙায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিসেও। সেখানেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানতে পেরেছেন, এই সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

  • SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার কাণ্ড সিবিআই (CBI) দফতরে। হেসেই লুটোপুটি তদন্তকারীরা। এমনও হতে পারে? কিন্তু এমনই হয়েছে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) তদন্তে নেমে দুদফায় জেরা করা হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। পার্থবাবু তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন, তিনি অজ্ঞ, এসএসসি চাকরি কীভাবে হয়েছে তা কিছুই জানেন না। কারণ এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা, মন্ত্রীকে কিছু জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না হাসির কারণ। তদন্তকারীরা দলিল-দস্তাবেজ খুলে বসতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নন, সব জানেন স্কুল শিক্ষাসচিব (State education secretary)। এত কাণ্ড যে হয়েছে তা তাঁর জানাই ছিল না।

    পার্থবাবুর মুখে একথা শুনে মুচকি হাসি দেখা যায় তদন্তকারীদের মুখে। আপাতত দুদফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তার মাঝেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আরও তথ্য। সে সব সামনে রেখে ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হবে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতির খবর যাঁরা রাখছেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য এও দাবি করছেন, এসএসসি দুর্নীতির যাবতীয় দায় শিক্ষাসচিবের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার্থবাবু আসলে শিক্ষা দফতরের বর্তমান হর্তা-কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কারণ আদালতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির আসা ইস্তক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তা হল, তাঁর আমলে এসব কিছু হয়নি। এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সরকার বেনিয়মের প্যানেল বাতিল পর্যন্ত করতে উদ্যত হয়েছিল। যা এক প্রকার নিয়োগে দুর্নীতি মেনে নেওয়ারই সামিল। এর অর্থ বর্তমান শিক্ষা দফতরের কর্তারা দুর্নীতির দায় পুরনো মন্ত্রী-আমলাদের উপরই চাপিয়ে দিতে চাইছেন বলে বোকাসোকা মানুষেরাও বুঝতে পারছেন। 

    সেই কারণেই কি সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে নিজের দায় ঝেরে ফেলে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) সরকারি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী? তদন্তকারীদের একাংশ সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ যে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন পার্থবাবু। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী বদলানোর সঙ্গেই দায় কেউ বয়ে নিয়ে যান না, সেই পদে যাঁরাই বসে থাকেন তাঁদেরও সমান দায়ভার থেকে যায়। বিকাশ ভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানেও এ কথা পৌঁছেছে। তিনি ‘কাগজপত্র’ সামলাতে বিশেষ সতর্কতাও নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    তবে শুধু পার্থবাবু নন, নিয়োগ সংক্রান্ত তদারক কমিটির সদস্যরাও সিবিআইয়ের ‘বন্ধু’ হওয়ার চেষ্টাই করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে তাঁদের সকলের আকুতি, সহযোগিতা করছি, কিন্তু আমাদের যেন বেশি টানাটানি না করা হয়। সরকারের আইনজীবীরা বার বার সিবিআইয়ের তলব পাওয়া অফিসারদের পাখি পড়া করে পাঠাচ্ছেন, কোনও প্রশ্নেরই যেন জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, কিন্তু তদন্তের শুরুতে তাঁরা সেই চেষ্টা করলেও কাগজপত্র সামনে আনতেই তাঁদের ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাধ্য ছাত্রের মতো।

    যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আদালত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদৌ কি কিছু হবে? এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য পুলিশের দারোগাদের তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি দিয়ে। তার পর নথি সংগ্রহ শুরু হয়। সিবিআই তদন্তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তদন্ত শেষ করে গ্রেফতারি হয়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত পরীক্ষার্থীকে বিচার দেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। সেই কাজ নিখুঁতভাবে করতে একটু সময় লাগবে।’

    (স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী কমিটির সামনে কী বলেছেন তা মাধ্যম আগামীকাল জানাবে।) 

     

  • Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে (SSC scam) ইডি’র (ED) হাতে গ্রেফতারির সময় অ্যারেস্ট মেমোয় (Arrest Memo) মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যা নিয়ে তোলপাড় তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতি। শুধু নাম লেখাই নয়, গ্রেফতারির রাতে ২টো থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত চার বার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন পার্থবাবু। এখানেই শেষ নয়। পরের দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েও দেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

    ইডির জেরার মুখে পার্থবাবু যে দিব্যি সচেতন রয়েছেন তা তদন্তকারী সংস্থা আদালতেই জানিয়েছে। তল্লাশি ও জেরা পর্বে পার্থবাবুর আইনজীবীও সঙ্গে ছিলেন। ফলে অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম জুড়ে দেওয়া নেহাৎই কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষ। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, স্ত্রী ও মা মারা যাওয়ার পর নাকতলার বাড়িতে একাই থাকতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মেয়ে-জামাই বিদেশে থাকেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া তাঁর নিকটতম আর কেই বা আছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ডাকেই তো তিনি চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দলের মহাসচিব, ফলে দল এসএসসি কেলেঙ্কারির পর তাঁকে ছেড়ে দিতে চাইলেও তিনি তো দল ছাড়তে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলে তাঁর একমাত্র যোগসূত্র রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যারেষ্ট মেমোয় তাঁর নাম সেই কারণেই দিয়েছেন বলে পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আইসিসিইউ রোগী! পার্থকে দেখে বিস্মিত হৃদরোগ চিকিৎসকদের একাংশ

    অনেকে আবার এরমধ্যে রাজনীতিও খুঁজছেন। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে যে কোটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল তা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। কয়েক জন বিধায়কের প্যাডে সই করা চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা আদালতে পর্যন্ত জমা পড়েছে। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে যা হয়েছে তা দলের সর্বোচ্চস্তরের সিদ্ধান্ত ছিল। গত নভেম্বরে যখন প্রথম কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে তখনই পার্থবাবু অশণি সঙ্কেত দেখেছিলেন। দলও সেই সময় থেকে পার্থবাবুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। এমনকি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও পার্থবাবুর ভূমিকা সেভাবে চোখে পড়েনি।

    তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে পার্থবাবু দলের অন্দরে বার্তা দেন, যদি এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে দল তাঁর পাশে না দাঁড়ায় তা হলে তিনিও মুখ খুলতে বাধ্য হবেন। এর পর দলের তরফে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতে বলা হয়। ঘটনাচক্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের উপর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ গিয়ে বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেয়। সেই কমিটির সামনে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব জানিয়ে দেন, সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্ত বজায় রাখে।

    আরও পড়ুন: কেন অমর্ত্য সেন নিচ্ছেন না বঙ্গবিভূষণ? বিদেশে থাকার জন্যই কি, না অন্য কারণ?

    পার্থবাবু ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন চাকরি চুরির মামলায় তাঁর পরিণতি ভাল হবে না। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেও রেখেছিলেন, যদি দলের সমর্থন না থাকে, তা হলে মুখ খুলতে বাধ্য হব। তাঁর কাছেও যে নবান্ন (Nabanna) থেকে পাঠানো তালিকা রয়েছে সে কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনেককেই। গ্রেফতারির পর অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম লিখে মহাসচিব শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়েই নেননি, উল্টে পাল্টা চাপও তৈরি করেছেন। যার মোদ্দা কথা হল, শিক্ষক নিয়োগের কোটা পদ্ধতিতে টাকা তোলার সিদ্ধান্ত ছিল দলগত, তাই গ্রেফতারির নথিতেও সেই দাগ যেন রেখে গেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, জেনে বুঝে কেউ ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে। তবে অজান্তে ভুল করলে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অ্যারেস্ট মেমোয় মমতা জেনেবুঝে ভুল, নাকি অজান্তে ভুল তা ইডি যখন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে তখনই স্পষ্ট হবে।

  • SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাঘববোয়ালদের ধরতে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছে।  পাশাপাশি, পিংলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও ইডি অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের মামার বাড়িতে যান ইডির ৭ অফিসার। কৃষ্ণ প্রসাদ অধিকারীর খিরিন্দার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। 

    একইসঙ্গে ইডি (ED) হানা দিয়েছে তৃণমূলেরই (TMC) মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির (Paresh Adhikary) বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরেশ অধিকারীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা।

    এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই তিন জায়গা ছাড়াও রাজ্যের আরও দশ জায়গায় এদিন হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান ইডি অফিসাররা। 

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

    রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ। তার পরেই এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়ায় পৌঁছতে সিবিআই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। জেরা করা হয়েছে বাম দল থেকে তৃণমূলের আসা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারিকেও।

    এই মামলায় তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। তারা মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এজন্য দুটি এফআইআর রুজুও করেছে ইডি। এ ব্যাপারে একাধিক আবেদনকারী ও সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এ থেকেই ইডির ধারণা, এই মামলায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, গেলই বা কোথায়, লাভের অঙ্ক কার ঘরেই বা উঠল, ঘটনার নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা এসবই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। গত কয়েক দিনে এনিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তার পরেই এদিন রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। ইডিরই আর একটি দল গিয়ে হাজির হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ৯০ জন আধিকারিক দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে হানা দিয়েছেন রাজ্যের ১৩টি জায়গায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তদন্তকারীরা। এদিন শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে যান এক মহিলা সহ ইডির সাতজন আধিকারিক। শান্তি প্রসাদের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

     

  • Arpita Mukherjee: পণ্ডিতিয়া রোডে ফোর্ট ওয়েসিস-এর বন্ধ ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডি-র, তালা ভেঙে চলছে তল্লাশি

    Arpita Mukherjee: পণ্ডিতিয়া রোডে ফোর্ট ওয়েসিস-এর বন্ধ ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডি-র, তালা ভেঙে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চেষ্টা করেও হয়নি। বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road) অভিজাত ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis)-এর বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকল ইডি (ED)। চলছে তল্লাশি।

    মঙ্গলবারও আবাসনের ৬ নম্বর টাওয়ারের ৫০৩ নম্বরের ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তদন্তাকারীরা। কিন্তু দরজা খুলতে পারা যায়নি। শেষে একটি নকল চাবি তৈরি করে, এমন একজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অনেক চেষ্টাতেও শেষে তিনি দরজা খুলতে পারেননি। ওই দিন বিষয়টি রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশকে জানিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পেরে তা ‘সিল’ করে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। 

    বৃহস্পতিবার সকালে ফের স্থানীয় থানায় গিয়ে কথা বলে ইডি। তারপর পণ্ডিতিয়ার ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি দরজা, একটি স্টিল ও একটি কাঠের। স্টিলের দরজাটি ‘মেড-ইন-চায়না’। শেষে দরজা ভেঙেই এই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটেই রয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া সোনার দুল, ১১টি সোনার বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    সূত্রের খবর, প্রথমে ওই ফ্ল্যাটে সরাসরি প্রবেশ করতে পাচ্ছিলেন না ইডির আধিকারিকরা। কারণ ওই ফ্ল্যাটটি সরাসরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নেই। আগের যেকটি ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিয়ে ছিল সেগুলি অর্পিতার নামে ছিল। এই ফ্ল্যাটটি অন্য এক মহিলার নামে রয়েছে। এই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ইডি। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। 

    যদিও, এই ফ্ল্যাটের সঙ্গে অর্পিতার ভালো যোগসূত্র রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই আবাসনের ডেভলপারের সঙ্গে কথা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নামে বরাদ্দ করার কথা হয়। ৫০৩ নম্বর ওই ফ্ল্যাটটি অন্য একজনের নামে হলেও তার দেখাশুনো করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।

    আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    ইডি ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার মতো অর্পিতার ‘যোগ’ থাকা এই ফ্ল্যাটেও কি মিলবে নগদ টাকা! উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর!

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) দফায় দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তে ময়দানে নামতে চলেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। ফলে, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও যে বাড়তে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    কিন্তু, ইডি কেন তদন্ত করছে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত। তা হল, এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা কার কার কাছে পৌঁছেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় সিবিআই (CBI) দফতরে ইমেল করা হয়। তাতে সিবিআইয়ের কাছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দায়ের করা ৪টি এফআইআরের কপি ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা যা উঠে এসেছে তা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট আকারে চেয়েছে ইডি। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। ইতিমধ্যেই, দুই মন্ত্রী এবং এসএসসি-র নিয়োগ কমিটির আধিকারিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। এবার অর্থের তছরূপ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি (ED)। 

  • SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) বা এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) সামনে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়ে এসেছেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা ছিল না। যিনি এসব জানতেন, তিনি হলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন (Manish Jain)। মাধ্যম গতকালই জানিয়েছিল, শিক্ষাসচিব তদন্ত কমিটির সামনে কী বলেছেন তাও জানানো হবে। মাধ্যম জেনেছে, শিক্ষাসচিবও তদন্ত কমিটির সামনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বেসর্বা ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। সব সিদ্ধান্তে তিনিই সিলমোহর দিয়েছিলেন। বরং তাঁর (মনীশবাবুর) কোনও ক্ষমতাই ছিল না।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teachers Recruitment scam) তদন্তে বর্তমান শিক্ষাসচিব যাবতীয় দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। অনেকের মতে, হাইকোর্টের সামনে অনিয়মের অভিযোগ স্পষ্ট। সিবিআই সক্রিয়। ফলে পিঠ বাঁচাতে মন্ত্রী বা আমলা কেউই আর দায় নিতে রাজি নন। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেরা মুক্তি পেতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের চোরাস্ত্রোতের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সরকারের প্রভাবশালীরা এখন বলির পাঁঠা খুঁজছেন। সর্বোচ্চ স্তরের ইঙ্গিত না থাকলে বর্তমান শিক্ষাসচিব কখনই লিখিতভাবে তদন্ত কমিটির সামনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উপর সব দায় চাপিয়ে দিতেন না।

    আরও পড়ুন: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    কোথায়, কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বিকাশ ভবনের খবর, ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি তার লিখিত পরীক্ষা হয়। স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দিতে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর কমিশনের ওয়েবসাইটে প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে ৩৯২৪ জনের নাম নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয় ৯৮৪৭ জনকে। 

    কোনও পরীক্ষার প্যানেল সাধারণত এক বছর ভ্যালিড থাকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে গ্রুপ-ডির প্যানেল ২০১৯-এর ৪ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে ভ্যালিড ছিল। কিন্তু তার পরেও নিয়োগ চলতে থাকে। এ সব নানা গরমিল নিয়েই আদালতে মামলা হয়। আদালত বিচারপতি রণজিৎ বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। তদন্ত করে দেখতে বলে পুরো বিষয়টিকে। গত ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বিচারপতি বাগ তাঁর ৬৮ পাতার মূল রিপোর্টটি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা করেন। সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের  (Justice Abhijit Gangyopadhyay) রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।

    সূত্রের খবর, বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির (Ranjit Bag Committee) কাছেই লিখিতভাবে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন জানিয়ে দেন, নিয়োগের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতে সিদ্ধান্তগ্রহণের কোনও ক্ষমতাই ছিল না। শুধু তাই নয় গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যে মাথায় প্রশাসনিক কমিটি বসিয়ে নিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাও বাগ কমিটিকে জানিয়ে দেন মনীশ জৈন। সেই সিদ্ধান্তও যে পার্থবাবুই নিয়েছিলেন তাও স্পষ্ট করে দেন স্কুল শিক্ষাসচিব। বিচারপতি বাগ হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় শিক্ষা সচিবের দেওয়া বয়ান ও নথির কথা উল্লেখ করেছেন। কমিটির মতেও নিয়োগের ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ছিলেন সর্বেসর্বা।

    কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বাগ কমিটির রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষাসচিব মন্ত্রী পরিষদের কার্য পরিচালনা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের নানা ফাইলের নোটশিট পেশ করেছেন। শিক্ষাসচিব জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারা মেনে রাজ্য মন্ত্রিসভার কার্য পরিচালনার জন্য ‘রুলস অব বিজনেস’ তৈরি হয়। সেই রুলস অব বিজনেস-এর ১৯ ধারায় বলা রয়েছে, কোনও মন্ত্রী স্ট্যান্ডিং অর্ডার দিয়ে ঘোষণা করবেন দফতর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় তাঁর নজরে আনতে হবে। সেই নির্দেশিকা প্রকাশ হলে দফতরের আমলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে স্বাধীন থাকেন। শুধুমাত্র মন্ত্রীর উল্লেখিত বিষয়গুলি ছাড়া সব সিদ্ধান্ত আমলারাই নিতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমলাদের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেননি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত মন্ত্রীমশাই নিয়েছেন বলে অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন মনীষ জৈন। কেবল তাই নয়, পার্থবাবু যখন নিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ততদিনে গ্রপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অবৈধ প্যানেল থেকে নিয়োগ করার জন্য পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও মনীশ জৈন বাগ কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারই পরিণতিতে সিবিআই (CBI) তদন্ত। সেই তদন্তের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবুর বয়ান, তিনি অজ্ঞ, সব জানেন মনীশ জৈন।   

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: মিলল না রক্ষাকবচ। হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ফের একবার ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    সিবিআই হাজিরা এবং হেফাজত এড়াতে সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন পার্থ। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, বা তাঁকে যাতে সিবিআই হেফাজতে না নেয় তার জন্যই আর্জি পেশ করা হয়েছিল।  একইসঙ্গে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ থেকে মন্ত্রীপদ ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশের বিষয়টি বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন জোড়া আবেদন খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। ফলে, প্রয়োজনে সিবিআই হেফাজতে নিতে পারবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। 

    বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুনানির সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ারও পরামর্শ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুরে আদালতের এই কড়া নির্দেশের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় সিবিআই-এর মুখোমুখি হন পার্থ, চলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থ। সেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সিদ্ধান্ত অনুসারে মামলাটি যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বে়ঞ্চে। সেখানে গৃহীত হয় মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি না হয়ে, তা হয় শুক্রবার।

    এদিন পার্থর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণই বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। সেই অংশটি নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপত্তি মানল না। আদালতের তরফ থেকে বলা হল, এই অংশটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এই অংশটি বাদও যাচ্ছে না। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    এরইমধ্যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের একবার তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে দিনটা জানায়নি সিবিআই৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আরও তথ্য জানতে চায় সিবিআই। প্রথমবার বয়ানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। তথ্য খতিয়ে দেখার পর যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে তারই উত্তর চাইবে সিবিআই। তাই তাঁকে ফের তলব৷

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হাজিরা থেকে ‘রক্ষাকবচ’ পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও তিনি আবেদন করেছেন বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। ফলে, আজ শুক্রবার, দুই আদালতে জোড়া শুনানির সম্ভাবনা। 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উপরে উঠে আসে। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল৷ এই প্রেক্ষিতে, তাঁকে সিবিআই অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানোর জন্য পার্থবাবু বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলা ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে, সেদিন সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    সূত্রের খবর, বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির  সঙ্গে তাঁর বক্তব্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। পার্থ বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে কোনও রকম অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে পুনরায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে। ঘন ঘন ডাকা হতে পারে তাঁকে ৷ এমনকী প্রয়োজন পড়লে তৃণমূল মহাসচিবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ কড়া ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে করা তাঁর আবেদন শোনেনি কোনও বেঞ্চই৷ ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সেই শুরু। মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে। সেখানে পার্থর আইনজীবীর তরফে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হলে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সাফ জানান, কোনওভাবেই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। তিনি জানান, শুক্রবার মামলাটি শুনতে পারেন। আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির পরামর্শ আগামীকাল (অর্থাৎ শুক্রবার) চেষ্টা করুন। 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে তিনি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কখনোই ‘পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁকে। 

    এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা। ফলে আগামীদিনে সেই পদক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন পার্থ। তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলাটির শুনানি হতে পারে। ফলে আজ পার্থর এই জোড়া আবেদনের ফল কী হয় সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের৷

     

  • Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment scam) স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের (Mamata govt) তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    বুধবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক।  তিনি বলেন, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো এখন পরিস্কার। দুর্নীতির মূলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার সুপারিশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন, তা এবার তাঁকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। জানান, মেয়ের চাকরি-সহ তিন শর্তে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পরেশ অধিকারী যোগদানের সময়ে তিনটি শর্ত রেখেছিলেন। প্রথম, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। তৃতীয়ত, চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হচ্ছে তাঁকে।’’

    শুভেন্দুর মতে, কোনও আদর্শগত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি। দেওয়া-নেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিনিময়ের ভিত্তিতে পরেশের এই যোগদান তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া হয়নি। নিয়মের বাইরে গিয়ে পরেশের মেয়েকে নিয়োগ মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। সেতুবন্ধনের কাজটি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

     

LinkedIn
Share