Tag: Partha Chatterjee

Partha Chatterjee

  • Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ফের ধেয়ে এল ‘চোর, চোর’ স্লোগান। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে এর সঙ্গে যুক্ত হল, “এই পার্থ কত খেলি”? জাতীয় বাক্যও। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থকে হাজির করানো হয় আদালতে। আদালতে ঢোকার সময় বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। সাংবাদিকদের রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন শুনিয়ে চলে যান আদালতে। কটাক্ষ-বাণ আছড়ে পড়ে আদালত থেকে বেরোনোর সময়। আগে থেকেই কোর্ট লক-আপের বাইরে হাজির ছিলেন দুই ব্যক্তি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ…

    পার্থকে বেরোতে দেখেই ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এঁদেরই একজন ছড়ার সুরে প্রশ্ন করেন, “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি”? এসব বাক্য-বাণের মধ্যেই পার্থকে গাড়িতে তুলে দেন পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এদিন ছিলেন এক প্রবীণও। কসবা বিধানসভা এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, “দেশের কী করে উন্নতি হবে। চোর কোনও দিন বলবে না, আমি সাধু নই। বলবে আমি ভাল”। তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অত কোটি টাকা কোথায় গেল”? এক বিক্ষোভকারী বলেন, “পার্থকে এখানে নিয়ে আসুন। ওকে চুলের মুঠি ধরে বেঁধে রেখে দেব”।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার পার্থকে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ভেসে এসেছে কটূক্তি। ২৩ মার্চ আদালতে হাজির করানোর সময়ও পার্থকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। সেদিনও বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেছিলেন, “ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত”।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    অথচ, রবীন্দ্রজয়ন্তীর ঠিক আগের দিন বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। এদিন আদালতে ঢোকার আগে একগাল হেসে তিনি আওড়ান সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের দুটি লাইন। বলেন, “আমি শুধু একটা কবিতার লাইন বলব। মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা”। এদিন পার্থের মুখে শোনা গিয়েছে অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি (Partha Chatterjee) বলেন, “১০০ শতাংশ সফল এই কর্মসূচি। নবজোয়ারে জনজোয়ার এসেছে”। এর আগেও একবার তিনি বলেছিলেন, “আমি চাই অভিষেক সফল হোক”। এহেন মেজাজে মসী লেপে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। পার্থকে এদিনও একবার শুনতে হল ‘চোর, চোর’ স্লোগান।

    পার্থর রবীন্দ্রজয়ন্তীর আনন্দ কি ফিকে হয়ে গেল না?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদের শিরোনামে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার তাঁর দুটি বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের অন্য একটি দল তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের (TMC) পার্থ সরকার ওরফে ভজার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুজনের বাড়িতেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের রেশ ধরেই চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ আমলার বাড়িতেও হানা…

    এর পাশাপাশি সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে বেহালার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটেও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। তিনি সরকারি আমলা। পার্থর দফতরে স্পেশাল ডিউটি অফিসার হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নিউ বারাকপুরের জগদীশচন্দ্র রোডে। বৃহস্পতিবার সেখানেই হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের এই হানার আগে ইডি অভিযান চালিয়েছিল সুকান্তর বাড়িতে। একাধিকবার ইডির তলব পেয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এবং সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বাড়িতেই অভিযান চালাল সিবিআই। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নয়া তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার পরেই হানা সুকান্তর বাড়িতে। এদিন সকালে সিবিআই একযোগে অভিযান চালায় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। একটি দল যায় কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে। এই কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তাপস মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ ভজার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার উঠে এসেছে এই তৃণমূল নেতার নাম। লোকনাথ আবাসনে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করে ইডি। ওই চার্জশিটে নাম ছিল আমলা সুকান্তের। নাম ছিল শিক্ষাসচিব, আইএএস মণীশ জৈনেরও। চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, শিক্ষাক্ষেত্রে পাকা চাকরির আশ্বাস দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদাভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হত। আর সেটা করা হত শুধু টাকা নেওয়ার জন্য। ইডির আরও অভিযোগ, মূলত পার্থর নির্দেশেই সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করতেন মণীশ, সুকান্তর মতো আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আংটি বিতর্কে সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লেন সংশোধনাগার সুপার। জেলে ঢোকার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফোলা ছিল। আর সেই কারণেই তাঁর আঙুল থেকে আংটি খোলা সম্ভব হয়নি! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আংটিকাণ্ড নিয়ে বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। জেল সুপারের জবাব শুনে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারকের প্রশ্ন, ৯ মাসেও কেন সেই আংটি খোলা গেল না। বিচারক বলেন, ‘‘৯ মাসে আপনি যেটা করতে পারলেন না আদালতের তরফে ৯ মিনিটে তা করে ফেলা গেল।’’

    সওয়াল ইডির

    আংটি বিতর্কে আদালতে জোরালো সওয়াল করে ইডি। ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘রাজ্যে কারা আইনে বলা আছে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আইজি কারা বা এডিজি কারা অভিযুক্তকে রাজ্যের মধ্যে বা ভিন রাজ্যের জেলে স্থানান্তরিত করা যায়’। একজন বন্দীর আঙুলে আংটি (Partha Ring) থাকে কী করে? সম্প্রতি আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আংটিগুলি আঙুলে ধারন। সাফাই দিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। প্রশ্ন ওঠে কারা আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে পার্থর আঙুলে আংটি রাখার অনুমতি কীভাবে দিল জেল কর্তৃপক্ষ? এই ঘটনায় আদালতে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করেন বিচারক। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার আদালতে হাজির হন জেল সুপার। 

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    অসন্তোষ আদালতের

    সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত জেল সুপারকে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেন উত্তর লিখতে। জেলারের উদ্দেশে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনি কি নিজেই কারা আইন (Partha Ring) তৈরি করছেন?” আংটিকাণ্ড নিয়ে জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে পার্থের জেলে প্রবেশের সময়ের রেজিস্ট্রার খাতা খতিয়ে দেখেন বিচারক। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপার প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, ‘‘উনি এমন একজন জেল সুপার, যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করেন উনি। ২০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। যার জেরে ওঁকে অন্যত্র বদলি করা যায় না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত রক্ষাকবচ হিসেবে হাতে ছিল দুটি আংটি। খুলে ফেলতে হয়েছে তাও। সোমবার শূন্য হাতেই দেখা গেল তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ প্রেসিডেন্সি জেলে আসার আগে পর্যন্ত পার্থের হাতের দশ আঙুলে ছিল অন্তত ৮টি আংটি। সেগুলির সিংহভাগই সোনায় বাঁধানো কোনও না কোনও মূল্যবান পাথরের। বাকি পাথরগুলি রূপোয় মোড়ানো। সম্প্রতি সেই আংটির সংখ্যা কমে হয়েছিল দুই।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    সোমবার দেখা গেল পার্থর হাতে শোভাবর্ধনকারী সেই আংটি দুটিও নেই। হাতে আংটি থাকায় গত সপ্তাহেই বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন পার্থ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির সময় সেগুলি নজরে পড়ে বিচারকের। তার পরেই তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। সেই সময় বিচারককে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে যে দুটি আংটি রয়েছে, সেগুলি শারীরিক সুস্থতার কারক। তাই তিনি পরে রয়েছেন। আংটি নিয়ে ইডির আইনজীবী পার্থকে প্রভাবশালী বলে কটাক্ষ করেন। তার পরেই সে দুটি খুলে ফেলেন তৃণমূল নেতা পার্থ। তার পর এদিনই প্রথম পার্থকে দেখা গেল আংটিবিহীন অবস্থায়।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে (Partha Chatterjee)। পরে তাঁকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। এখনও রয়েছেন সেখানেই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্থর ‘কপাল’ যত খুলেছে, ততই আঙুল হয়েছে রত্নখচিত। বাঁ হাতে ছিল কালো ব্যান্ডের দামি ঘড়ি। ডান হাতে নানা রংয়ের সুতোর তাগা। গ্রেফতার হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার পার্থকে দেখা গিয়েছে ঘড়ি-আংটি-তাগা শোভিত হয়ে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই পুড়েছে পার্থর কপাল। একে একে খুইয়েছেন ঘড়ি, তাগা, আংটি… সব।

    আরও পড়ুুন: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা ছিল পার্থর (Partha Chatterjee)। এসেওছিলেন। তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পার্থদা, আংটি পরলেই প্রভাবশালী?  জবাবে কোনও কথা বলেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কেবলই মৃদু হেসেছেন। নেড়েছেন আংটিবিহীন শূন্য হাত। যে হাতের আট আঙুলে তখনও রয়ে গিয়েছে আংটি পরার দাগ, অতীতের স্মৃতি চিহ্ন হয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক কত, জানাল ইডি! পার্থ-অর্পিতা-মানিকের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ আদালতে

    SSC Scam: চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক কত, জানাল ইডি! পার্থ-অর্পিতা-মানিকের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে (SSC Scam) চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা করেছেন অনেকে। শুধু শিক্ষা নয়, চাকরি বিক্রি হয়েছে পুরসভা, দমকল থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে। চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক ঠিক কত? তা জানতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত  নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কত টাকা মিলেছে শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট পেশ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। 

    ইডির রিপোর্ট

    ইডির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হিসেব। ইডি জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৫ কোটি আট হাজার টাকা মূল্যের সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও ৪৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ছিল।

    আরও পড়ুন: ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    মানিকের সম্পত্তি

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই  বিপুল সম্পত্তি গুলির মালিক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সম্পত্তি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং কিছু অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে রেখেছিলেন। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য একাই প্রায় ২৯ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও সাত কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায় যা মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর পরিবারের নামে ছিল।

    আরও পড়ুন: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    দুর্নীতির টাকা নানা জায়গায়

    দুর্নীতির বহর যেভাবে প্রতিদিন প্রকাশ্যে আসছে তাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল বাস্তবে তার দ্বিগুণ হতে পারে। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা বাংলা চলচ্চিত্র জগতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিনোদন জগতের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যাক্তিকে জেরা করে এমন তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি ইডির। আদালতে ইডি জানায়, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র নগদেই ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতার। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। প্রসঙ্গত গত বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। চাকরি প্রার্থীদের নথিও পাওয়া যায়। অন্যদিকে ৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেলবন্দি আসামি আংটি পড়তে পারেন না। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কতটা প্রভাবশালী ভাবুন! এখনও হাতে রয়েছে আংটি। ইডির (ED) আইনজীবির এই সওয়ালের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সির জেলসুপারকে চলতি মাসের ২৬ তারিখে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত।

    আরও পড়ুন: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    আংটি তত্ত্ব…..

    বুধবার পার্থর একটি মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন ইডির (ED) আইনজীবী পার্থর আঙুলের দিকে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দেখা যায় পার্থর আঙুলে বেশ কিছু আংটি। বিচারক পার্থর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি তো জেলবন্দি। আপনার হাতে এতগুলো আংটি কেন? আপনি জানেন না যে, জেলবন্দিদের হাতে আংটি রাখা যায় না?” জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, ‘এগুলো সোনার আংটি নয়। আমি স্বাস্থ্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো ধারণ করি।

    ইডি-র (ED) আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে আইনজীবী বলেন, পার্থকে যখন নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করানো হয়েছিল তখন এগুলো খোলা হয়নি। কারণ জেলার ও ডেপুটি জেলারের দায়িত্ব এগুলো দেখার। আঙুলে থাকা আংটিগুলিকে অস্ত্র করে আদালতের সামনে পার্থর প্রভাবশালী হওয়ার তত্ত্ব ফের তুলে ধরেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিবিআই-এর একটি দল। সিবিআই আধিকারিকরা আপাতত পুড়ে যাওয়া নথিতে কখনও বালি, কখনও নিজেদের বোতল থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। জ্বলন্ত কাগজ ধরতে গিয়ে হাত পুড়ছে আধিকারিকদেরও। 

    কী ঘটেছিল

    স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি বোঝাই কাগজপত্র নিয়ে যান ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই খবর পায় সিবিআই। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সেগুলো নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত কোনও নথির হতে পারে। কারণ যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, স্থানীয় এলাকায় তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    নথি উদ্ধারের চেষ্টা

    আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে বালি ফেলে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন সাত থেকে আট জনের সিবিআই আধিকারিকের দল। গোটা বাগানবাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নথিতেই হয়তো কোনও বড় ‘ক্লু’ ছিল, সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল। সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েছে, লরি লরি কাগজ এনে জমা করা হয়েছে বাগানবাড়িতে। যে বাগানবাড়িতে নথি পোড়ানো হয়েছে, তার মালিকানা হিসাবে নাম উঠে আসছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল ও রাকেশ রায় চৌধুরীর। বাগানবাড়ির চতুর্দিকে কালো ছাই পড়ে রয়েছে। সেখান থেকেই ঝলসে যাওয়া কাগজের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করছেন আধিকারিকরা। পুড়ে যাওয়া এই নথির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সম্পর্ক থাকতে পারে,বলে মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে গিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    CBI Special Team: আসছেন ৭ অভিজ্ঞ অফিসার! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) গড়তে চলেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে পাঠানো হচ্ছে সাত জন সিবিআই আধিকারিককে। এর মধ্যে এক জন এসপি, তিন জন ডিএসপি, দু’জন ইন্সপেক্টর, এক জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। 

    কেন এই দল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে সাত জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে (CBI Special Team) কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। শীঘ্রই এই সাত আধিকারিককে নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩০মে পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দু’মাসের জন্য এই সাত আধিকারিককে কলকাতার সিবিআই দফতরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় বিচারকের সামনে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। তদন্ত কবে শেষ হবে? বার বার সিবিআইকে বিচারকের এই প্রশ্নর মুখে পড়তে হয়। তাই এবার তদন্তে গতি আনতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    কারা আছেন দলে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে নয়াদিল্লিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে আসছে। সামনে আসছে আরও নতুন নতুন নাম। আর সেই কারণেই তদন্তের সুবিধার্থে আরও আধিকারিকদের কলকাতায় পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসের তরফে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিউ দিল্লি ইও-৩-এর এসপি কল্যাণ ভট্টাচাৰ্য, বিশাখাপত্তনম ডিএসপি সিবিআই এসিবি-এর সঞ্জয় কুমার সামল, ভুবেনশ্বর সিবিআই সিএসপি ইও -৭-এক গিরিশ কুমার প্রধান, রাঁচি ডিএসপি ইওবি সিবিআই কৃষ্ণ কুমার সিং, ভুপাল সিবিআই-এর এসিবি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার প্যাটেল, বিশাখাপত্তনমের এসিবি সিবিআই ইন্সপেক্টর অজয় কুমার তুম্মলা, ধানবাদ এসিবি সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর অবিনাশ কুমার। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Recruitment Scam) সিবিআই ও ইডি সমান্তরাল ভাবে তদন্ত করছে। যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেকটাই। সেসবকে এক সুতোয় বাঁধতে সিবিআই -এর (CBI Special Team) এই দল, বলে অনুমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমরা হলাম ছোট চোর, ইনি বড়’’! দুই ছিঁচকের বিদ্রুপে অতিষ্ট পার্থ, জানালেন নালিশ

    Partha Chatterjee: ‘‘আমরা হলাম ছোট চোর, ইনি বড়’’! দুই ছিঁচকের বিদ্রুপে অতিষ্ট পার্থ, জানালেন নালিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখ আমরা হলাম ছোট চোর আর ইনি বড়ো চোর! দুই ছিঁচকে চোরের এমন বিদ্রুপে রেগে লাল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গত ফেব্রুয়ারিতেই তাঁকে ‘মোটা টুকি’ বলে বিদ্রুপ করার অভিযোগ উঠেছিল দুই ছিঁচকে চোরের বিরুদ্ধে। ফের আবার তাঁকে জেলের ভিতর উত্যক্ত করা শুরু করেছে ছোটখাটো চোরেরা। এমনকী এই অভিযোগও উঠেছিল যে পার্থর দিকে মলভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল জঙ্গি মুসা। আর এবার ফের তাঁকে লক্ষ্য করে টিপ্পনি কাটল ছিঁচকে চোরের দল। অভিযোগ, পার্থকে ‘বড় চোর’, ‘চাকরি চোর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।

    জেলের ভিতরে বাইরে কটাক্ষ শুনে যাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁকে ঘিরে এহেন অত্যাচার দ্রুত বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শুধু কটাক্ষই শুনতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতের এজলাসে ইডি অথবা সিবিআইয়ের কটাক্ষ, আদালতের বাইরে সাধারণ মানুষের চোর চোর স্লোগান তো রয়েছেই। এবার জেলের ভিতরেও যেন ব্যঙ্গবিদ্রুপ তাঁর নিত্যসঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ পার্থ (Partha Chatterjee)। যদিও বিষয়টি নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এবার থেকে পাহারা দেবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী যতীন

    জেল সূত্রে খবর, বাঁশদ্রোণীর এক কুখ্যাত আসামী এবার থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) সেলের সামনে পাহারা দেবে। ছিঁচকে চোরদের উপদ্রব ঠেকাবে। সূত্রের খবর, যতীনের সঙ্গে তার এক আত্মীয় কয়েকদিন আগেই দেখা করতে জেলে এসেছিল। সেসময় যতীন তাকে নিজের মুখেই বলেছে একথা।

    কয়েকদিন আগেই ইডি বলেছিল উনি হলেন দুর্নীতির মাস্টার 

    দিনকয়েক আগেই আদালতে পার্থকে (Partha Chatterjee) উদ্দেশ্য করে ইডি বলেছিল, “উনি হচ্ছেন দুর্নীতির মাস্টার। আর কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছাত্র।” এবার আদালতে ইডির পাশাপাশি জেলেও অন্যান্য চোরদের কাছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জানা গেছে, গত সপ্তাহেই পার্থকে ‘বড় চোর’ বলে ডেকে খেপিয়ে দেয় দুই ছিঁচকে। শুধু তাই নয়, ওঁর সেলের সামনে গিয়ে ‘চাকরি চোর’ বলেও ডাকা হয়। যদিও এই ঘটনায় সেইসময় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কিছুই বলেননি বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share