Tag: Partha Chatterjee

Partha Chatterjee

  • Partha Chatterjee:  ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    Partha Chatterjee: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চোর, চোর স্লোগান শুনলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থকে তোলা হয় আদালতে। গাড়ি থেকে পার্থ নামতেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয়, চোর, চোর। ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।

    এই পার্থ (Partha Chatterjee) চোর…
    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন আলিপুর সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ সহ সাতজনের। পার্থকে আদালতে নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে চেক কাটা পাঞ্জাবি পরা পার্থ নামতেই জনতা স্লোগান দিতে থাকে, এই পার্থ চোর, এই চোর পার্থ। মাথা নিচু করে হেঁটে পার্থ (Partha Chatterjee) সোজা ঢুকে যান আদালতে। এই সময় জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও জোকা ইএসআই হাসপাতালে কিংবা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে পার্থকে দেখে চোর স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। এদিন আলিপুরও দেখল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    এদিন জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি পার্থর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা চালান করার অভিযোগও করেন। এর আগে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এদিন দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা (Partha Chatterjee) বলেন, চোর হলে এক জায়গায় পাঁচবার জিততাম না। সৎ না হলে আমাকে মানুষ পাঁচ বার জেতাতেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা আমাকে জানেন তাঁরা আমায় চোর বলবেন না। বেহালার মানুষ আমাকে চোর বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, চুপ থাকব। কিন্তু চুপ থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায় এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) চাপাতে চেয়েছেন বিরোধীদের ঘাড়ে। উপস্থিত জনতার মুখে চোর স্লোগান শুনে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা বলেন, আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না। এদিন পার্থর সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হয় বারাসতের শিক্ষক তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অন্যতম চাঁই তাপস মণ্ডলকে। অয়ন শীলকে নিয়ে প্রশ্ন করায় তনি বলেন, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করুন।ও সব জানে। সুবীরেশ সহ বাকিদেরও এদিন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    Partha-Arpita: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। গতকাল জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁদের। সেখানে ভার্চুয়াল শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন পার্থ এবং অর্পিতা। শুনানি শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দু’জনকেই জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে এই শুনানির সময় পার্থ-অর্পিতাকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। তার বদলে পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে ‘প্রেমালাপ’ করতে দেখা যায়। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

    ভার্চুয়াল শুনানিতে কী বললেন অর্পিতা?

    প্রায় ৮ মাস হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছেন অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha-Arpita)। সেখানে বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতা জানান, তিনি নির্দোষ। বিনা অপরাধে তাঁকে ৮ মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক মর্যাদাহানি হচ্ছে। বিচারকের উদ্দেশে অর্পিতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনার কি মনে হয় না, একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক স্টেটাস (মর্যাদা) নষ্ট হচ্ছে?” অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।”

    আরও পড়ুন:গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। গতকাল তাঁকে আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেশ করা হলে তিনি জামিনের আবেদন করেননি (Partha-Arpita)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পার্থর আইনজীবী আবেদন করেন যাতে চিফ মেডিকেল অফিসার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মেডিকেল চেক-আপ করে। ৭-৮ দিনের মধ্যে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট করার আবেদন জানান তিনি৷ কিন্তু ইডি’র আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, যে এইমসের কথা বলা হচ্ছে সেখানে পার্থকে সুস্থ বলা হয়েছিল। তারপরই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিকে পার্থ-অর্পিতার তরফে জামিনের আবেদন না করায় তাদের আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির আরও একটি ঘটনা চর্চায় উঠে এসেছে। তা হল পার্থ এবং অর্পিতার একে অন্যের উদ্দেশে করা অঙ্গভঙ্গি। এক সময় আদালতের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ ও অর্পিতাকে। সেই সময় ‘চোখে চোখে কথা’ বলেন পার্থ-অর্পিতা, সূত্রের খবর (Partha-Arpita)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি। যেমন বহিষ্কার করা হয়নি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দলে। তবে এঁদের মতো ‘কপাল’ নয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের। মঙ্গলবার তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    তৃণমূলের (TMC) শাস্তির খাঁড়া…

    এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই দুই নেতার বহিষ্কারের খবর জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শশীর পাশে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শশী বলেন, আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। শশী বলেন, তৃণমূল (TMC) কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে। তিনি বলেন, এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    শশীর দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করতে করে না। শশী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে, তাতে আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস (TMC) থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। শশী বলেন, কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তার দায় দলের নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। সম্প্রতি এমনই তথ্য ইডির হাতে এসেছে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং আরও বেশ ক’কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি (ED)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতাকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপর ধাপে ধাপে ইডি ও সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ধরা পড়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি-র বেশ ক’জন কর্তা। মিলেছে অগাধ সম্পত্তির হদিশ। স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে ১৫০ কোটির ঘর! গত সেপ্টেম্বরেই আদালতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইডি। 

    বিপুল সম্পত্তির হদিশ

    সম্প্রতি হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে, আদালতে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রিমান্ড লেটারে তাদের দাবি,  পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের কাছ থেকে টাকা ও অলঙ্কার বাবদ বাজেয়াপ্ত সম্পদ এবং যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এক যোগে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইডির তদন্তেই ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।  ইডির অন্যতম আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    এখন ইডির নজরে রয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগাধ সম্পত্তি। তদন্তকারীদের দাবি, শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এখন শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, দুর্নীতির টাকা শান্তনু কোন ‘প্রভাবশালী’দের দিতেন, তদন্তে তা জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bibhas Adikari: আশ্রম উদ্বোধনে এসেছিলেন পার্থ! টানা পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি-জেরার পর মুখ খুললেন বিভাস

    Bibhas Adikari: আশ্রম উদ্বোধনে এসেছিলেন পার্থ! টানা পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি-জেরার পর মুখ খুললেন বিভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে এসেছে নয়া মোড়! কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতি-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনজনের মুখেই শোনা গিয়েছে বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) নাম।  আর এবারে তাঁকেই তলব করেছিল ইডি। আজ টানা পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশির পর বিভাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর ফ্ল্যাটে ইডি কিছুই পায়নি। ফ্ল্যাটে সিল করার পরই যখন ইডির কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়, তখন ইডি আধিকারিকরা জানান, তাদের কাছে খবর ছিল এই ফ্ল্যাটে একাধিক ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা রয়েছে। যদিও পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশিতে কিছুই মেলেনি। বিভাস অধিকারীর দাবি, ইডি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যা যা নথি চেয়েছে সব দেওয়া হয়েছে।

    কী কী বললেন বিভাস?

    কার্তিক বসু স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর পর তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে অস্বীকার করেন নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি। কোনও ঘোষণা ছাড়াই তাঁর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে তিনি ইডির কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাটটি খুলে দেওয়ার জন্য। সেই আর্জি মেনে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফ্ল্যাটটি খুলে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    বিভাসের (Bibhas Adhikari) নলহাটির আশ্রমে একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের যাতায়াত ছিল। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ‘সুসম্পর্ক’ থাকার দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিভাস (Bibhas Adhikari) বলেন, “২০১৫ সালে আশ্রম উদ্বোধনের জন্য আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছিলেন। তার থেকে সবাই ভাবে আমার সঙ্গে নাকি তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। এমনকী লেনদেনও হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আমার কোনও যোগ নেই। আপনারা তাপস ছাড়া কুন্তল ঘোষ সহ যাদের কথা বলছেন, তাঁদের আমার ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করুন, আমাকে চেনে না পর্যন্ত। আমিও ওদের চিনি না।” বিভাসের দাবি, “আমি পাপী হলে শাস্তি পাব। সত্য বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তা হলে আমার কিছু হবে না।”

    বিভাসকে তলব ইডির

    সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১টায় বিভাসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল (Bibhas Adhikari)। কিন্তু সেখানে তাঁকে জেরা না করে মঙ্গলবার দুপুরে বিভাসকে নিয়ে যাওয়া হয় কার্তিক বোস স্ট্রিটের তাঁরই ফ্ল্যাটে। সেখানে সিল ভেঙে ভেতরে ঢোকে ইডি। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিভাসকেও সেখানে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর কার্তিক বসু স্ট্রিটে বিভাসের ফ্ল্যাট

    সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর গত ১৫ অক্টোবর কার্তিক বোস স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। তার পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেয়। তখন থেকে বন্ধ ছিল ফ্ল্যাটটি। ইডি সূত্রে তখন জানা গিয়েছিল, যে ওই ফ্ল্যাটের মালিক বিভাস (Bibhas Adhikari)। বিভাস অধিকারী ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি ছিলেন। আর এই অ্যাসোসিয়েশনেরই অফিস এই ফ্ল্যাট। একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই ফ্ল্যাটে মাঝেমাঝেই আসতেন বিভাস। নীলবাতি লাগানো গাড়ি করে সেখানে এসে পৌঁছতেন তিনি। রাতের দিকে বড় বড় ব্যাগ নিয়ে আসতেন তিনি। এছাড়াও তাঁর গাড়িতে বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক তোলা হত। তাঁর সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরাও থাকতেন। ওই ফ্ল্যাটে আরও কিছু মানুষের আনাগোনা ছিল। পরে সেখানে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বোর্ড সরিয়ে লাগানো হয় সৎসঙ্গের বোর্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে থেকেও কার্যত জামাই আদর পাচ্ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিবও। তাই তাঁকে খাতির করা হচ্ছিল জেলেও। গারদে যেখানে অন্য বন্দিরা মেঝেয় ঘুমোন, সেখানে পার্থর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিছানার। তার ওপর পাতা হয়েছিল নরম গদি। সেলের ভিতরে গা এলিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইজি চেয়ারেরও। সেলে থেকে মোবাইল ফোনের সুবিধাও ভোগ করেছেন এই ‘হেভিওয়েট’ বন্দি। সে খবর কানে যায় ইডির কর্তাদের।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আচমকাই প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুঁ মারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। তখনই দেখেন, জেলের সেলে পার্থ রয়েছেন রাজার হালে। সেলের মধ্যেই পাচ্ছেন ভিভিআইপির মর্যাদা। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল পার্থর সেল থেকে খাট-বিছানা, ইজি চেয়ার সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি পার্থর সেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাস-ব্যসনের যাবতীয় উপকরণ। যার জেরে আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই পার্থকে রাত কাটাতে হবে সেলের মেঝেতেই।

    আরও পড়ুুন: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বার কয়েক সিবিআই-ইডি হেফাজত ঘুরে বর্তমানে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলে আসার পর থেকে আদৌ ভাল নেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তিনি শিকার হচ্ছেন সহবন্দিদের কটূক্তির, কখনওবা হচ্ছেন নিগৃহীত। গত সপ্তাহেই পার্থর পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোর তাঁকে টিটকিরি দিয়ে মোটা টুকি বলেছিল। জঙ্গি মুশা পার্থকে নিশানা করে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। যা এড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

    এদিকে, শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা তাঁর ইচ্ছায় সম্মতিও জানিয়েছেন বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক সময় ব্যায়াম বিশারদ তুষার শীলের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতেন পার্থ। জেলেও সেই সুযোগ তিনি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ ব্যায়াম করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। মঞ্জুর হয়েছে তাঁর সেই আবেদনই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • Partha Chatterjee:  ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। মাসের পর মাস খারিজ হয়ে যাচ্ছে জামিনের আবেদন। এই দুঃখের মধ্যেও নতুন জ্বালাতনে পড়েছেন পার্থ। আগে দলের ভিতরে নিজের দেহের ওজনের কারণে মস্করার শিকার হতেন। তবে তা হত আড়ালে। কিন্তু এখন টিটকিরি শুনতে হচ্ছে জেলের মধ্যেও। তাও আবার ছিচকে চোরেদের কাছে। দুই ছিঁচকে চোর নাজেহাল করে তুলেছে পার্থর জেল-জীবন।   

    গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলিপুর প্রেসিডেন্সির জেলে নিজের সেল থেকে বের হন না তিনি। কিন্তু নিজের সেলের ভিতরেও দুদণ্ড শান্তি নেই! দিনেরবেলায় যখন বিশ্রাম নিচ্ছেন কিংবা পায়চারি করছেন, ঠিক তখনই ভেসে আসছে ‘মোটু টুকি, মোটু টুকি’ ডাক। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিনিয়ত চলছে এমনটা। ঘটনায় রেগে আগুন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee)। তাঁকে কি না বডি শেমিং! অভিযোগ জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে।   

    এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে পার্থর (Partha Chatterjee) পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোরই ‘মোটা মোটা’ বলে জ্বালাচ্ছে তাঁকে। শেষ অবধি ওই দু’জনকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।

    মুসা অধ্যায় 

    এদিকে কয়েক দিন আগেই জঙ্গি মুসার তাড়া খেয়ে জেলের ভিতর পড়ে গিয়ে থুতনি ফেটে গিয়েছে তাঁর! তাতেও রক্ষা নেই। এ আবার এক নতুন জ্বালা (Partha Chatterjee)। জানা গিয়েছে, ঠোঁট কেটে গেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। আঘাত লেগেছে থুতনিতেও। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম জেলে গিয়ে দেখেও আসেন তাঁকে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মুসা পার্থর দিকে তাক করে মলভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। এরপরই পালাতে গিয়ে মুখে, কাঁধে চোট পান তিনি। আঘাত পেয়েছেন ঠোঁটেও।

    আরও পড়ুন: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    গ্রেফতারির পর থেকেই বার বার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একেবারে শুরুর দিয়ে তাঁকে দেখা মাত্রই কিছু বন্দি অনবরত “চোর, চোর’’ বলে টিপ্পনি কাটত। তখনও জেল কর্তৃপক্ষ উৎপাত করা ওই বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘটল এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড! জেলের ভিতরে পড়ে গিয়ে চোট পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠোঁটে চোট পেয়েছেন পার্থ। এর পর আজ, বুধবার এসএসকেম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম দেখেও আসেন তাঁকে। ফলে জানা গিয়েছেস তাঁর শরীর ঠিকঠাকই আছে এখন। তবে কীভাবে পড়ে গেলেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তাড়া খেয়েছেন জঙ্গি মুসার। সেই তাড়া খেয়ে জেলের ভিতরেই পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় অবাক সকলেই।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। ওই একই জেলে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দি, কুখ্যাত জঙ্গি মুসা। সেই মুসার তাড়া খেয়েই নাকি জেলের ভিতরে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। সে সময়ে বারবার পার্থকে অনুরোধ করা হয়, ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু পার্থ নাকি ঢুকতে বিলম্ব করছিলেন। তখনই আচমকা জঙ্গি মুসা পার্থর দিকে তেড়ে গিয়ে মগ ছুড়ে দেন। তখন ভারী শরীর নিয়ে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠোঁটে চোট পান। তখন সবাই তাঁকে ধরে তোলেন। বড় বিপদ না ঘটলেও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর পর এসএসকেএম থেকে একটি টিম এসে দেখে যান তাঁকে। তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই দুজনকে নিয়েই ঘটে নাটকীয় কাণ্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বার বার শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু প্রকাশ্যে আসেনি তাঁর পরিচয়। এবার কালীঘাটের কাকুর নাম ফাঁস করে দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। তাপসের দাবি, কালীঘাটের কাকুর নাম সুজয় ভদ্র। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গাড়িতে ওঠার সময়ই তাপসকে প্রশ্ন করা হয় কালীঘাটের কাকু কে? হেসে তাপস  উত্তর দেন, ‘সেটা কুন্তল বলবে’। আপনি জানেন না? ‘নামটা জানি, নামটা বলেছে.. কী যেন সুজয় ভদ্র নাকি’। কে সুজয় ভদ্র? হাত নেড়ে তাপসের জবাব, ‘আমি চিনি না, চিনি না।’

     কে সুজয় ভদ্র

    এর আগেও তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকের নাম সামনে এনেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছিল হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর বলেছিলেন, গোপাল দলপতি সব জানেন। সেই গোপালই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন এই কাকুর কথা। কুন্তলের সঙ্গে নাকি যাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার কোনও এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়ের। তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    কালীঘাটের কাকুর বাড়ি 

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন নাম কালীঘাটের কাকু। সুজয় ভদ্র নামে যে ব্যক্তিকে কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকু বলে ডাকতেন, তিনি কিন্তু আদপে কালীঘাটের বাসিন্দা নন। সূত্রের খবর, এই সুজয় ভদ্র-র বাড়ি  বেহালায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে। বেহালা পশ্চিম বিধানসভার ফকির পাড়ায় তাঁর বাড়ি। ১৭বি/১, রাধারাণি। এই হচ্ছে বাড়ির ঠিকানা। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কাকু, কাকুর ভাইপো, কাকীমা, মাসিমা, পিসিমা, ভাইপো সবার নামই এবার সামনে আসছে।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share