Tag: Partha Chatterjee

Partha Chatterjee

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থর জামিনের আর্জি, হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?  

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থর জামিনের আর্জি, হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি। বৃহস্পতিবার আলিপুর সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত পার্থর। এদিনও জামিনের আবেদন করেন তিনি। যদিও জামিনের আবেদন খারিজ করে পার্থ সহ বাকিদের ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত…

    এদিন দুপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় পার্থকে। সবুজ পাঞ্জাবি ও ধূসর জ্যাকেট পরিহিত পার্থকে বেশ বিধ্বস্ত লাগছিল। জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে বেরনোর সময় এবারও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিবারের মতো। রাজ্য সরকার যে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে, এদিন সে খবর দেওয়া হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে (Partha Chatterjee)। তার পরেই এক সাংবাদিক বলেন, অর্পিতা বলেছেন সব টাকা গয়না আপনার। একের পর এক খবর এবং প্রশ্ন শুনে প্রথমে একটু থমকে যান পার্থ। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা সবাই ভাল থাকুন।

    এর আগেও বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পার্থ। কখনও বলেছেন, আসল দুর্নীতি কে করেছে, তা প্রকাশ্যে আসবে। কখনও বলেছেন, তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। তবে এখন তো সেই অর্থে কোনও উৎসবই নেই। ভ্যালেন্টাইনস ডে-ও গত হয়েছে। তার পরেও কেন শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? তাহলে কি পার্থ বোঝাতে চাইলেন, তিনি ভাল নেই?

    ভাল না থাকারই কথা। মাস সাতেক হল পার্থ রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন এ নিয়ে সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন অনেক মাস হল। এর পরেই বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে, এরকম বলা যায় না।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে কান্নায় ভেঙে পড়তে, কখনও আবার নীরব থেকেছেন এজলাসে। এদিনও ফের জামিনের জন্য কাতর আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের বহিষ্কৃত মহাসচিবকে। আদালত থেকে জেলের কুঠুরিতে ফিরে যাওয়ার আগে করলেন শুভকামনাও।

     

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আবারও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ সাতজনকে পেশ করা হয় আদালতে। তার পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না।

    সিবিআইয়ের তদন্ত…

    এদিন আলিপুরে জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থের। তাঁর মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও কিছু অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে তো আর বলা যায় না। আর কতদিন সময় লাগবে? এই সময় পার্থর আইনজীবী বলে ওঠেন, এ তো তারিখ পে তারিখের মতো চলছে।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) ছাড়াও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এদিন শুনানি ছিল অন্যান্য অভিযুক্ত যেমন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের মামলারও। তখনই বিচারক তদন্তকারী অফিসারদের কাছে জানতে জান, চার্জশিটে লিখেছিলেন, বাকি অভিযুক্ত এবং প্রার্থীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কিন্তু তাঁরা কোথায়? প্রায় দু মাস হয়ে গেল, আমি জয়েন করেছি। অনেক দিন তো হল। আমি জানি, এটা একটা বড় কাজ। প্রায় ৩৫০জন রয়েছেন। কিন্তু কারও স্টেটমেন্ট কি নেওয়া হয়েছে? কারও জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন? কোনও ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়েছেন? এর পরেই তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। অন্তত একটা ১৬৪ (জবানবন্দি রেকর্ড) করান। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে অভিযুক্তদের আটকে রাখা যায় না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে।

    এই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই সূত্র পেতে সময় লাগছে। তাছাড়া, অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পরেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কীভাবে ওএমআর শিটে কারচুপি হবে, কোন ওএমআর শিট কার কাছে যাবে, সব ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, তদন্তে সরকারি কর্তাদের পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের নামও উঠে এসেছে। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। অপরাধের গুরুত্ব দেখে সবাইকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। প্রমাণও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বিক্রির কোটি কোটি কালো টাকা (Black Money) সাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক ভুয়ো কোম্পানিকে। বেনামি সম্পত্তি কেনা, বিনিয়োগ, টাকা পাচারের মতো কাজে এই সব কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। আরও দাবি, চাকরি বিক্রির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল তৈরিতেও। পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল। এই বাবলি চট্টোপাধ্যায় পার্থের প্রয়াত স্ত্রী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই স্কুলেই অভিযান চালায় ইডি। তখনই ইডি দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে তৈরি স্কুলে। কালো টাকা এভাবেই করা হয়েছে সাদা।

    বিসিএম…

    বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। স্কুলটির চেয়ারম্যান পার্থের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। চার্জশিটে ইডির দাবি, স্কুলের জন্য জমি কেনা ও ভবন নির্মাণের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাইয়ের মাধ্যমে। পার্থর এই জামাইকেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জমি কেনার পর থেকে নির্মাণসামগ্রী কেনা, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সবই করা হয়েছে কাঁচা টাকায়।

    আরও পড়ুুন: ফের অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! লুক আউট নোটিশ জারি ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে

    এদিকে, নিয়োগ তদন্তে ইডির নজরে একটি ধূসর ডায়েরি। গত বছর ১৫ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা রয়েছে ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য দেওয়া টাকার হিসেব। প্রাইমারির জন্য ৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে তাতে। ইডি সূত্রের দাবি, এই টাকা দেওয়া হয়েছিল যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে। টাকার অঙ্কের পাশে রিসিভড লেখার নীচে তারিখ দিয়ে কুন্তলের সই রয়েছে। আপার প্রাইমারির হিসেব রয়েছে তার পরের পাতায়। ডায়েরিতে লেখা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপার প্রাইমারিতে চাকরির জন্য কুন্তলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখানেও স্বাক্ষর রয়েছে কুন্তলের। সই মেলাতে হস্তলিপি বিশারদদের সাহায্য নিতে চলেছে ইডি। ধূসর ওই ডায়েরি থেকে এও জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের অনলাইন ট্রানজাকশনের মাধ্যমেও কুন্তলের কাছে গিয়েছিল কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: সব টাকা, সোনার গয়না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে জানালেন অর্পিতা

    Partha Chatterjee: সব টাকা, সোনার গয়না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে জানালেন অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব টাকা, সোনার গয়নার মালিক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পাহাড়, ড্রয়্যার ভর্তি সোনার গয়না কোনও কিছুই তাঁর নয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের (ED) জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।

    চার্জশিটে ইডির দাবি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়, পার্থর (SSC Case)। আদালতে ইডি (ED) জানিয়েছে, অর্পিতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন পার্থ। কেনা হয়েছিল প্রচুর বেনামি সম্পত্তি। ভুয়ো সংস্থার নামে চাকরি বিক্রির কালো টাকা সাদা করা হতো। অর্পিতার নামে থাকা ৩২টি জীবনবিমার নমিনি ছিলেন পার্থ। অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল, তাও নাকি ছিল পার্থর, জানিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট   

    গত বছরের ২৩ জুলাই টালিগঞ্জ এবং ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা ও গহনা উদ্ধার করা হয়। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রথমে একাধিক বার এই টাকা ও গহনা তাঁর নয় বলে দাবি করেন অর্পিতা। ২০২২-এর ৪ অগাস্টের বয়ানে তিনি দাবি করেন, নিজের এবং মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথমে তিনি সত্যি কথাটা বলেননি। অর্পিতা এরপর দাবি করেন, তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল নগদ ও সোনা-গহনা উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক পার্থ। তাই পার্থই বলতে পারবেন, বিপুল এই টাকা কোথা থেকে এসেছে।

    জেলেই পার্থ

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবারও আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর্থিক দুর্নীতিতে  যুক্ত থাকার প্রমাণ আছে কেস ডায়েরিতে,জানায়  আদালত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, গ্রেফতারির সময় নিজের  প্রভাব বোঝাতে পার্থ বলেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কাছের। আদালতে দাঁড়িয়ে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্রেফতারির সময় ইডি’র কাছে নিজেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের nearest ও dearest বলে দাবি করেছিলেন। এমনকী, নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে ইডির আধিকারিকদের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন!ED সূত্রে দাবি, চারবার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেকথা অ্য়ারেস্ট মেমোতেও উল্লেখ করে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি

    Recruitment Scam: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। এদিন পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে এমনটাই বললেন ইডির আইনজীবী। শুধু তাই নয়, পার্থকে কটাক্ষ করতে বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ইডির আইনজীবী  ফিরোজ এডুলজি। এদিন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন করা হয়। আর জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, “পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যেমন বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন তেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।” আজ জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যাহার করে নেন পার্থর আইনজীবী। রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

    বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ এনে পার্থকে খোঁচা ইডির আইনজীবীর

    মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই দু’টি তারিখের উল্লেখ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। প্রথমটি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। যে দিন জন্মেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্য তারিখটি ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর। যে দিন জন্মেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “ওই দু’দিন দু’জন মহান পুরুষ জন্মেছিলেন। এক জন বিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্য জন কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক জন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অন্য জন ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।”

    পার্থর আইনজীবী কী বললেন?

    বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গের জবাবে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, “বিদ্যাসাগর অসামান্য কাজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু পার্থ কী করেছেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিয়েছেন?” পার্থর জামিনের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী জীবনকৃষ্ণ শ্রীবাস্তব দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭২ বছর বয়স। তাঁর নানা অসুখ রয়েছে। তাছাড়া তিনি এখন আর প্রভাবশালী নন। ইডি তাঁকে এমন সব ধারায় অভিযুক্ত করেছে যার তদন্ত করার অধিকার ইডির নেই। সেই সব ধারা থেকে পার্থকে নিষ্কৃতি দিতে আদালতে আবেদন জানান তার আইনজীবী। তার পর তা প্রত্যাহারও করে নেন তিনি। এদিন শুনানিতে এই সময় আদালতে ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং পার্থ।

    ইডির আইনজীবীর পাল্টা জবাব

    পার্থর আইনজীবীর এই সমস্ত কথা বলার পরই ইডির আইনজীবী ঈশ্বচন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ও তাঁকে কটাক্ষ করেন। এছাড়াও এডুলজি পার্থকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে বলেন, “প্রথম দিন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাব খাটাচ্ছেন। যেদিন পার্থকে গ্রেফতার করা হয় সেইদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি কতটা প্রভাবশালী সেটা বোঝাই যাচ্ছে।”

  • SSC Scam: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন, ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন জেলেই

    SSC Scam: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন, ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবেন জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের নির্দেশে পার্থকে আরও ১৪ দিন কাটাতে হবে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। কেবল পার্থ নন, তাঁর মতো নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) সিবিআইয়ের মামলায় অন্য অভিযুক্তদেরও ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে। এদিন পার্থের আইনজীবী আদালতে বলেন, জামিন দিয়ে দেখুন, উনি নিয়ম ভাঙলে না হয় আবার ব্যবস্থা নেবেন।

    বন্দি পার্থ…

    বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। প্রতিবারই কোনও না কোনও যুক্তি দেখিয়ে হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে সিবিআই। এদিনও পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, পার্থর বিরুদ্ধে প্রত্যেক বারই নতুন সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই সূত্রের বিষয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের সম্পর্কও পাওয়া যাচ্ছে। এখন তদন্তও সঠিক পথে চলছে। তাই পার্থকে হেফাজতেই রাখা প্রয়োজন।

    লিফটের উপমা…

    এদিন সিবিআইয়ের তদন্তের (SSC Scam) অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। লিফটের উপমা দিয়ে তিনি বলেন, লিফট উপরের তলায় নিয়ে যায়, জানি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগই যদি না থাকে তবে গন্তব্যে পৌঁছবেন কী করে? প্রত্যুত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, একটু সময় লাগছে, কিন্তু দ্রুত অগ্রগতি হবে।

    কুন্তল ঘোষকে…

    এদিন পার্থকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, কুন্তল ঘোষকে চেনেন? গোপাল দলপতিকে? প্রশ্ন শুনে এদিনও নীরব রইলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে কয়েকটি নাম। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল। এঁদের নাম তদন্তকারীদের দিয়েছেন বিধায়ক তৃণমূলের তাপস মণ্ডল। তাপস আবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। তিনি পার্থেরও ঘনিষ্ঠ। তাই পার্থকে এ প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়েছে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির (ED) হাতে। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্মতিক্রমেই বিক্রি হত প্রশ্নপত্র। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্রের খসড়া জেনে আগেভাগেই তা চাকরিপ্রার্থীদের জানিয়ে দিতেন ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তদন্তে নেমে ঠিক এমনই কিছু তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক টেটসহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার খসড়া প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পৌঁছে যেত ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের কাছে। টাকার বিনিময়ে সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্রি করতেন কুন্তল। প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হচ্ছে সেকথা জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুন্তলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে তাঁরা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    আরও পড়ুন: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    ইডির দাবি, যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা যাতে চাকরি পান, তার জন‌্য পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সাহায‌্য চেয়েছিলেন কুন্তল। পার্থর সঙ্গে কুন্তলের বেশ কিছু হোয়াটসঅ‌্যাপের চ‌্যাটে উঠে এসেছে এই তথ‌্য। কুন্তল যে স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের খসড়া দেখেছেন, তা পার্থও জানতেন। এভাবে আগাম প্রশ্ন জেনে সেইমতো চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার জন‌্য তৈরি হতে বলতেন কুন্তল। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ সামনে আসার পর গোটা নিয়োপক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ যদি প্রশ্নপত্র কিনে প্রস্তুত হয়ে এসে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন সেটা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। কোন কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন কুন্তল, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।

    গোপালই টাকা সাদা করত

    সম্প্রতি জেরায় কুন্তল জানিয়েছিলেন তিনি নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এরপরই হইহই পড়ে যায় সর্বত্র। কারণ কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম কেউ পার্থকে টাকা দিয়েছেন বলে মুখ খোলেন। কুন্তল জেরার মুখে বারবার  চিটফান্ড (Chitfund) কর্তা গোপাল দলপতির নাম নিয়েছেন। গোপাল নামে ওই ব‌্যক্তির কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলও। কুন্তল ও তাপসের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলার ঘটনায় মূল লিঙ্ক গোপাল। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন গোপাল। কুন্তল ও তাপসের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতির কাছে। সেই বিপুল কালো টাকা সাদা করতে চিটফান্ড ও একাধিক বেসরকারি সংস্থায় লগ্নি করে গোপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Fhosh)। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন নাম আনছেন কুন্তল, দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে খবর, চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি গোপাল দলপতির কাছে কোটি কোটি টাকা যেত (Gopal Dalapati)। তার পর OSD মারফত সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। শুক্রবার জেরার মুখে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল নাকি এমনই দাবি করেছেন।

    কাকে আড়ালের চেষ্টা

    ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়,  দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফাণ্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই!

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও গোপালের কথা বললেও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ। শান্তনু কত টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, তিনি ঠিক বলতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যে লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিটকার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা। শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির অনুমান, জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির জেরায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। পার্থর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সব টাকার হিসেব বুঝে নিতেন আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ৮ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি।

    কী জানা গেল? 

    ইডিসূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha) জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নিয়োগের জন্য টাকা নিতেন। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা আরও একবার প্রমাণিত হল। অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা আধিকারীকরা হিসেব করে নিয়ে  যেতেন। ইডি জেরার মুখে তৃণমূলের এই যুবনেতা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয়, পার্থর সেক্রেটারির হাত দিয়ে তিনি ১৫ পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে কুন্তল ঘোষকে (Kuntal on Partha) নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় সাংবাদিকদের কুন্তল বলেন, বড় মাথা ধরা পড়বে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আকাশ ছোঁয়া ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কে সেই ষড়যন্ত্র করেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। গতকাল কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি দিনেই শান্তুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।

    ইডির জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে গিয়েছেন একদা মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনিই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal on Partha) নাম উল্লেখ করেন। তাপসের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম  করে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, নীলাদ্রি নামে এক জনের কাছে সেই টাকা রাখতে দেওয়া হয়েছিল। কুন্তল ঘোষের ঘর থেকে উদ্ধার কালো ডায়রিতেও টাকার হিসেব লেখা রয়েছে। সাঙ্কেতিয় ভাষায় লেখা রয়েছে কার কাছে কত টাকা তিনি নিয়েছেন। সেই  সাঙ্কেতিক নাম গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    এরপরেই গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। কুন্তলের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর এক যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকেও। তাপস মণ্ডলই প্রথম কুন্তলের নাম সামনে এনেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি শুনেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটা সম্ভব নয় বলে সাফ বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share