Tag: paschim burdwan

paschim burdwan

  • Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙার একাধিক বাসিন্দা। তালিকায় নাম দেখে তাঁরা খুশিও হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে। শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) রায়ডাঙার প্রায় ২০ জন বাসিন্দা পুরসভায় চিঠি দেন। তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় আমাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে পুরসভা পরিদর্শন করে। এর পরে পুরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাড়ির নির্মাণকাজও শুরু হয়। কিন্তু, একতলার কিছুটা দেওয়াল গাঁথার কাজ হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আসলে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকার চারজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সবার কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। তাঁরা দাবি মতো সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তারপর থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। এমনকী বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সেই হুমকি সত্যি হল। সরকারি প্রকল্পের কাজ কাটমানি না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাঙা টালির চালের ঘরে বসবাস করি। পাকা বাড়ি পেলে নিশ্চিন্ত হব। কাটমানি দিতে পারিনি বলে আমাদের বাড়ি হবে না।” পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি পুলিশকে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির প্যারেডে যোগ দেবেন আসানসোলের সোনিয়া

    Asansol: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির প্যারেডে যোগ দেবেন আসানসোলের সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে প্রতি বছর প্যারেড হয়। ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারিও সেই রীতি মেনে প্যারেড হবে। এবার সেই প্যারেডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের (Asansol) সোনিয়া বাউরি। তিনি  রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি জামুড়িয়া থানার চাঁদা স্কুলপাড়া এলাকায়। ন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিস (এনএসএস) করা কলেজ পড়ুয়া সোনিয়া বাউরি রাজ্যের যে আটজন প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দিল্লিতে সুযোগ পেয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম।

    কী বললেন সোনিয়া? (Asansol)

    জানা গিয়েছে, সোনিয়া বাউরি এনএসএস কর্মী হিসেবে গত ১৪ নভেম্বর একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে যান। ১৫ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে তাঁর ১০ দিনের প্রশিক্ষণ হয়। মোট ৪৪ জন সেখানে ছিলেন। ২৫ নভেম্বর তিনি আসানসোলে (Asansol) ফিরে আসেন। দিনকয়েক আগে সোনিয়া জানতে পারেন দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেডে এনএসএস কর্মী হিসেবে অংশ নেওয়ার তিনি সুযোগ পেয়েছেন। সোনিয়া বলেন, ‘এই কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় জানতে পারি যে, এখানে এনএসএসের একটা ইউনিট রয়েছে। পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক কাজ করার আগ্রহ থেকে ওই ইউনিটে ভর্তি হই। সেখানে প্রথমে কলেজ স্তরে সিলেকশন হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সিলেকশন হওয়ার পরে ভুবনেশ্বরে যাই। খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। যে কাজ দিয়েছে, সেই কাজ মন দিয়ে করেছি। এতবড় সুযোগের বিষয়টি আমি ওখানে কিছু জানতে পারিনি। দিন কয়েক আগে আমাকে মেল করে এই সিলেকশনের কথা জানানো হয়। এমন সুযোগ পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। সবসময় টিভিতে দেখেছি। এবার তাতে অংশ নিতে চলেছি।’

    গর্বিত পরিবারের লোকজন

    সোনিয়ার ২৬ জানুয়ারি প্যারেডে অংশগ্রহণের খবরে তাঁর পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠী সবাই গর্বিত। তিনি পড়াশুনা করেন মামারবাড়ি থেকে। পরিবারের সদস্যদের বত্তব্য, মেয়ে নিজের যোগ্যতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজপথে হাঁটবে ভেবে গর্বে মন ভরে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চাঁদ বাউড়ি। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার পোতনা গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কোথা থেকে উদ্ধার হল দেহ?

    গত ১১ জুলাই গণনার দিন চাঁদবাবু নামে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মী বাজার করতে বুদবুদে গিয়েছিলেন। বাজারে পুলিশ জমায়েত দেখে লাঠিচার্জ করেছিল। তবে, বাজার করার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, এতদিন তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার গভীর রাতে বুদবুদ জাতীয় সড়কের বাইপাসে জঙ্গল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে, পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে। পরে, দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ভাই ফাগন বাউড়ি বলেন, ভোট গণনার দিন দাদা বাজারে এসেছিলেন। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। আমরা বহু জায়গায় খোঁজ করেছি। বুদবুদ বাজারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল বলে শুনেছি। সেই লাঠির আঘাতে দাদা জখম হয়েছিল কি না জানি না। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন যে দাদাকে এভাবে খুন হতে হল বুঝতে পারছি না। তবে, পুলিশ একটু উদ্যোগী হলে আমার দাদাকে খুঁজে পাওয়া যেত। পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গলসি-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ওই তৃণমূল কর্মীর কীভাবে মৃত্যু হল তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভার জন্য দেওয়া হয়েছিল বাস। তবে, পাঁচটি বা দশটি বাস নয়, সবমিলিয়ে সাড়ে তিনশো বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও প্রাপ্য টাকা পাননি পশ্চিম বর্ধমানের সাড়ে তিনশো মিনিবাসের মালিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় দরবার করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Mamata Banerjee)

    এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাস মালিকরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন’মাস ধরে তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।

    বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের কী বক্তব্য?

    মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য প্রায় শতাধিক বাস নেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দিন দশেকের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও তা আর হয়নি। এমনিতেই মিনিবাস পরিষেবা ধুঁকছে। তার উপরে সরকারি কর্মসূচিতে মিনিবাস দিয়েও পাওনা না পেলে আমরা কী করব?

    জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, ‘আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।’ তবে পরিহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পবিহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share