Tag: Paschim Medinipur

Paschim Medinipur

  • Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যানের অনুগামীদের সঙ্গে সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)-র অনুগামীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা প্রকাশ্যে চলে আসে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। গন্ডগোলের জেরে মিটিং কার্যত ভেস্তে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে প্রতিবারের মতো এবারও শিশুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ কমিটি গঠনের জন্য এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পরে তাঁরা মিটিং থেকে বেরিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ কর সহ একাধিক পদাধিকারী ও তাঁদের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার সভাপতি পদটি মহকুমা শাসক সামলান। কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে থাকেন দেব। মিটিং শুরু হওয়ার পর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই, নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে নেই দীপক অধিকারীর নাম। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদের প্রতিনিধি রামপদ মান্নাও। সাংসদের নাম বাদ যাওয়ায় বাড়ে উত্তেজনা। দীপক অধিকারীর নাম কেন বাদ গেল তা জানতে চান বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন। শঙ্কর দলুই ব্যাখ্যা দিতে গেলে শুরু হয় বাদানুবাদ। শাসকদলের তাবড় তাবড় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই চলে তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি।

    সাংসদ অনুগামীর কী বক্তব্য?

    সাংসদ দেব-এর অনুগামী রামপদ মান্না বলেন, দেবকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘাটালের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। ঘাটালের মানুষ চোরকে মেনে নেবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিজেপির সভা এবং পদযাত্রার অনুমতি দিল না খড়্গপুর (Paschim Medinipur) পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একই দিনে তৃণমূলের সভা রয়েছে তাই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য এই অনুমতি না দেওয়ায় বিজপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, তৃণমূল বিজেপির শক্তিকে ভয় পাচ্ছে তাই পুলিশকে দিয়ে পদযাত্রার অনুমতি বাতিল করেছে। আগামী লোকসভার ভোটে বিরোধীদের আটকাতে কি তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করছে? উঠছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির অবশ্য দাবি অনুমতি না দিলেও সভা আমরা করবই।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বরে কলকাতায় অমিত শাহের সভাকে পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয়নি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে এবং অবশেষে বিচারপতির নির্দেশে সভার অনুমতি মেলে। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধীদের সভা করার অনুমতি না দিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডল বলেন, “গত ২১ নভেম্বর পুলিশের কাছের রুটের পদযাত্রার কথা বলে আবেদন করা হয়। খড়্গপুরের বারবেটিয়া এলাকায় একটি সভা এবং পদযাত্রার কথা আবেদন করা হয়। সময় হিসাবে উল্লেখ করা হয় দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পদযাত্রার রুট হিসাবে বলা হয়, রিলায়েন্স মোড় থেকে লোকাল থানা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশ রবিবার জানিয়ে দেয় সেইদিন তৃণমূলের সভা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে আইসি প্রসিড লিখলেও পরে জানিয়ে দেন সভার অনুমতি সম্ভব নয়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলর সহ-সভাপতি দেবশিস চৌধুরি বলেন, “আমাদেরও ওই দিন একটি সভা রয়েছে। আমাদেরও অনেক সময় নানা প্রকার অনুমতি দেয় না পুলিশ। ফলে পুলিশকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। পক্ষপাতের তেমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই মদের কারবার বন্ধ করতে এসে, এক নাবালককে ব্যাপক মারধের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায়। আবগারি পুলিশ অবৈধ চোলাই মদের ঠেক উচ্ছেদের সময়, অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয় জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়। আর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র এলাকা।

    রাজ্যজুড়ে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানুষকে অতিরিক্ত হয়রানি করে। আর এমন ঘটনার কথা আগেও সংবাদ শিরনামে আসে। পুলিশ সিভিল ড্রেসে মানুষকে নানা হুমকি এবং আইনি জটিলতায় মিথ্যা মামাল দেওয়ার অভিযোগেও বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এবার চোলাই উদ্ধারের নামে এক নাবালককে মারধরের ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Paschim Medinipur)?

    স্থানীয় (Paschim Medinipur) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হরিশপুর পোলগড়া এলাকায় চোলাই মদের উদ্ধারে হানা দেয় আবগারি পুলিশ। এখানেই এক নাবালক ছাত্রকে পুলিশের দ্বারা লাঠি দিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ফলে নাবালক ব্যাপক ভাবে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ওই নাবালক, স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার ফলে, এলাকার মানুষ আবগারি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করে এবং এরপর রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ এলাকায় নামানো হয়।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    আজ সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় জনতা পোলপাড়া (Paschim Medinipur) এলাকায় রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে, চলার পথকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেন। সমস্ত গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে, পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য হল, “পুলিশ এলাকায় চোলাইয়ের তল্লাশি করছেন ঠিক আছে, কিন্তু তাল্লাশির সময় সিভিল ড্রেসে এসে অকারণে মারধর করলে মানুষ তা মেনে নেবো না। একই সঙ্গে যারা এলাকায় এই চোরাকারবারি করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। যদি পুলিশ সিভিল ড্রেসে এসে তল্লাশি করেন, তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবই। বিনা কারণে পুলিশ এলাকার মানুষকে মারধর করলে, আমরাও চুপ করে বসে থাকবো না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত ঘাটালে সাংসদ দেব-এর নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শংকর দোলুই। যা নিয়ে জেলা জুড়ে সমস্ত মহলে সমালোচনা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Medinipur)

    বুধবার বিকেলে ঘাটালে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শঙ্কর দলুই। গলায় প্রকাশ্যে হুমকি। তিনি বলেন, দলের সাংসদকে নিয়ে বিজেপি যা করেছে তা লজ্জার। সাংসদের নামে এভাবে পোস্টার দেওয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা রাস্তা নেমেছে। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে। আর নয়। এরপর যদি তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা কর, তাহলে এবার বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দিতে বাধ্য হব। আর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ঘাটালের একসময়ের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হন। আর  তারপর থেকেই শাসকদলের রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)  জেলা পরিষদের আসনে জয় লাভের পর ফের স্বমহিমায় ফের বিজেপিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও এই বিষয়টিকে কোনওরূপ পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কোপাট বলেন, কেন্দ্র সবসময় উন্নয়নের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের টাকা মেলা-খেলায় নষ্ট করছেন। আমরা চাই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হোক। আর বিজেপিকে এরকম হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই গত বিধানসভায় এই এলাকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে। লোকসভা ভোটেও আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোতাখালি এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম বাবলু দোলই। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘনরামপুর বুথে ৬ টি বুথকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল, ভোতাখালি ২৮২ নং বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি বাবলু দোলই ঘনরামপুর বুথে মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় রাস্তায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এবং কেনো এলাকায় বৈঠক করছিল তা জানতে চায়? এরপরই উভয়ের মধ্যে বচসা থেকে বিজেপির বুথ সভাপতির উপর চড়াও হয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জখম বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে বিজেপির চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কনভেনার রাজীব পাল বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাদের বুথ সভাপতির উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপিকে এভাবে আটকানো যাবেনা,বুথ সভাপতি হাসপাতাল থেকে ফিরলেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে, তৃণমূলের দিকে তোলা বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বান্দিপুর-২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নীলকমল পন্ডিত। পাল্টা তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। বাড়ি ফেরার পথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করেন। তাদের উপর চড়াও হয় ওই বুথ সভাপতি। স্থানীয় মানুষ তাকে ধরে দুতিন থাপ্পড় দিয়ে সরিয়ে দেন। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নই। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপির বুথ সভাপতি, দাবি তৃণমূল নেতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। একইসঙ্গে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে কয়েক কোটি টাকা লুট  করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আশিসকুমার দত্ত নামে সোনার দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দোকানের এক কর্মীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোকানের মালিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Dacoits)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানের মালিক আশিসবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। খড়গপুরে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন তিনি এসে দোকান খোলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরে। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে একজন আশিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।  ডাকাতিতে (Dacoits) বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশান উঠতে শুরু করে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার? (Dacoits)

    খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ডাকাত দলের সদস্যদের। ভিনরাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বাড়ি বিহারের  বৈশালী এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের খপ্পড়ে সাধারণ মানুষের প্রতারিত (Fraud) হওয়ার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। এবার সাইবার অপরাধীদের কবলে খোদ ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার। সিম ক্লোন করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ওই ম্যানেজার। তমলুক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা ওই ম্যানেজারের নাম শচীনলক্ষ্মণ রাউত। তমলুকের পাদুমবসান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তমলুক শাখায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে কর্মরত তিনি। প্রায় ৬ বছর ধরে তমলুকেই থাকেন।

    ঠিক কীভাবে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটল? (Fraud)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে সতর্ক ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তমলুক শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার। হঠাৎ মোবাইলে তাঁর ফোন আসে। অপরপ্রান্ত থেকে শচীনলক্ষ্মণকে বলা হয়, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হতে চলেছে। এমনকী, ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জও বলবৎ করা হচ্ছে বলে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। যদিও তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শচীন ফোনটি কেটে দেন। তবে, ফোন কাটতেই পরপর দু’টি ওটিপি আসে শচীনের নম্বরে। অভিযোগ, মুহূর্তে শচীনের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোট দু’দফায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। প্রতারিত (Fraud) হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    কী বললেন প্রতারিত হওয়া ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার?

    রিলেশনশিপ ম্যানেজার শচীন বলেন, এটা অবাক করার বিষয়। আমি শুধু ফোনটা ধরেছি। প্রতারকদের কোনওরকম তথ্য শেয়ার না করলেও অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গেই ওই আমার মোবাইলের সিম ক্লোন করে এই প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে তমলুকে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কোনও তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই নজর রয়েছে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব

    ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের আগর গ্রামে একটি চাষি পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিতদের (Fraud) বক্তব্য, ৬ মাস আগে জমি রেজিস্ট্রি করেছিলাম। কাউকে কোনও তথ্য দিইনি। আচমকা মোবাইলে মেসেজ আসে। সেটি খুলে দেখি অ্যাকাউন্ট টাকা উধাও কেন এরকম ঘটল তা বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে প্রথম দিনেই একটি রাউন্ডে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠলেন পিংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। ফাইনাল খেলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের মেয়ে হলেন প্রণতি নায়েক। গত ২০২১ সালের ২৫ জুলাই মাসে টোকিওতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল তিনি। এবার খেলছেন এশিয়ান গেমসে। পরিবার এবং এলাকাবাসীরা তাঁর ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে অত্যন্ত আশাবাদী।

    আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলবেন (Paschim Medinipur)

    চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) প্রণতি। সোমবার সকালে একটি রাউন্ডে ওমেন্স আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ভল্টে জেতার পরেই ৯ টা নাগাদ ফোন করেন পিংলার বাড়িতে। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক এবং মা প্রতিমা নায়েকের সাথে কথা বলেন। আগামী বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ম্যাচ।

    পরিবারের বক্তব্য

    বাবা পেশায় বাসের চালক ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর হল সেই কাজ তিনি আর করেন না। এদিকে মা গৃহবধূ (Paschim Medinipur)। প্রণতিরা তিন বোন। মেয়ের সাফল্যে বাবা শ্রীমন্তবাবু বলেন, “মেয়ে এদিনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর ফোন করেছিল। আমাদের দুজনের সাথেই কথা হয়েছে। মেয়েকে সাবধানে থাকতে বলেছি আর মনোযোগ দিতে বলেছি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিকে। প্রণতি জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবে। আমরা আশীর্বাদ যেমন করেছি, তেমন অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। এই খেলার ফাইনাল প্রতিযোগিতা নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী । একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক প্রণতি, এটাই আমরা চাই।”

    মায়ের বক্তব্য

    ফাইনাল খেলার উচ্ছ্বাসে আশাবাদী মা প্রতিমা নায়েক (Paschim Medinipur) বলেন, “ছোটবেলা থেকেই প্রণতির, খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। মামী, প্রণতিকে হাত ধরে ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে মেয়ে এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।”

    মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা আরও বলেন, “অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও মেয়ে এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক প্রণতি।” মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে বাবা-মায়ের। ভালো কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পরিস্থিতি ভয়াবহ! ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত ২

    Paschim Medinipur: পরিস্থিতি ভয়াবহ! ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্যে। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দু;জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৪ জন। উল্লেখ্য, মাত্র দু’দিন আগেই দক্ষিণ দমদমের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে রাজ্যে। অন্যদিকে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলির স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ। ঠিকমতো মশা মারার স্প্রে, তেল এবং জঞ্জাল পরিষ্কার করছে না পুরসভা। পুরসভার চেয়ারপার্সনও মেনে নিয়েছেন, নিযুক্ত কর্মীরা ঠিক করে সাফাইয়ের কাজ করছেন না। নজর রাখছেন না এলাকার কাউন্সিলাররাও।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গিতে মৃত ২ (Paschim Medinipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চারদিন ধরে জ্বর নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খড়্গপুর শহরের খরিদা বাঙালপাড়া এলাকার রুনিতা মল্লিক নামে এক গৃহবধূ। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার ভোরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবারেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও মৃত্যু হয়েছে আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর। জেলায় ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। এলাকায় ডেঙ্গির আতঙ্কে সাধারণ মানুষের জনজীবন এখন দুর্বিপাকে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ তুলছেন পুরসভার বিরুদ্ধে। এদিকে ডেঙ্গি মৃত্যুর ঘটনায়, শুক্রবার সকালেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিছন্নতা খতিয়ে দেখতে আসেন মেদিনীপুর পুরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

    পুরসভার বক্তব্য

    খড়্গপুর পুরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, “ডেঙ্গির মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় স্প্রে করার জন্য লোক নিয়েছি আমরা। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সব সময় কাজ করছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লোক দেওয়াও হয়েছে। মশা মারার জন্য স্প্রে করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু যাঁদের স্প্রে করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঠিক মতো কাজ করছেন না। এলাকার কাউন্সিলাররাও এই বিষয়ে ঠিকঠাক নজর রাখছেন না।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে দলের সিংহভাগ সদস্যের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধান হওয়ার পর থেকে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেননি। এরমধ্যেই তৃণমূলের ওই প্রধানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর-১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় লাভ করে শাসক দল তৃণমূল। তবে প্রধান নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই কোন্দলে জড়ায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠী। দলের তরফে কমল জানা নামে একজন সদস্যের নাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান হিসেবে চান কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়াকে। দলের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ভোটাভুটিতে কমল জানাকে পিছনে ফেলে প্রধান হন কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়া। তবে, প্রধান পদে নির্বাচিত হলেও নিজেরই দলের বেশ কিছু কর্মীর দাপটে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। অবশেষে রবিবার রাত থেকে শুরু হয় নাটক। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আটটা থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত প্রধান কার্তিকবাবু। প্রধানের অনুগামীদের দাবি, অপহরণ করা হয়েছে তাদের নেতাকে। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। যদিও রাত ১২টার কিছু পরেই আচমকাই বাড়িতে এসে হাজির হন প্রধান। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছে অনেকে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিকবাবু বলেন, কারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জানি না। কেন আমাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হল তা জানি না। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই, পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকেও দিন কয়েকের মধ্যেই ইস্তফা দেব। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধানের এমন দাবিকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল প়ড়েছে এলাকায়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্ত বলেন, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সন্ত্রাস থেকে বাদ পড়ছে না দলের নেতারাই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আতঙ্কে ওই প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য থেকেও পদত্যাগ করবেন। এই ঘটনা দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে এনে দিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির কথাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরেই পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ভাবনা কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়ার। আর কোনও কারণ নেই। অপহরণের ঘটনাও ঠিক নয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share