Tag: Paschim Medinipur

Paschim Medinipur

  • Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ স্কুলের ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে থমকে যাচ্ছেন। একজন বা দুজন নয়, স্কুলের আশপাশে থাকা অনেকেই সেই আওয়াজ নিজের কানে শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা শংকরী বিদ্যায়তন হাইস্কুলে। কোনও বাচ্চা আটকে রয়েছে ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন অনেকে। কিন্তু, স্কুল গেটের তালা খুলে সকলেই হতবাক। কোনও কান্নার আওয়াজ নেই। কোনও বাচ্চাও নেই। ঘটনায় চমকে যান অনেকেই। তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এল কোথা থেকে? সেই উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Paschim Medinipur)

    স্কুলের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কোতোয়ালি থানার পুলিশ আসে। দীর্ঘক্ষণ স্কুলে খোঁজাখুঁজির পরও স্কুলের ভেতর কোনও বাচ্চার উপস্থিতি নজরে আসেনি পুলিশ ও এলাকাবাসীদের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় এলাকাবাসী ও পুলিশ কর্মীরা। স্কুলের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা বিকেলের পর থেকেই ওই স্কুলের ভেতর থেকে একটা আওয়াজ পাই। আওয়াজটা শুনে মনে হবে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আমরা ভাবি, কোনও বাচ্চা হয়তো বন্ধ স্কুলের মধ্যে আটকে পড়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ডেকেও খোঁজ হয়। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি।  আদৌ কোনও বাচ্চার কান্নার আওয়াজ নাকি অন্য কিছু সে সম্বন্ধে পরিষ্কার কোনও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশও। ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে বিকেলের দিকে একবার খবর দেওয়া হয়। আমি স্কুলের একজনকে নিয়ে এসে তালা খুলে সমস্ত জায়গায় খুঁজে দেখি। কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর আমি ফিরে যাই। ফের সন্ধ্যার পর এরকম আওয়াজ পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশের সঙ্গেও আরেক দফা স্কুলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। স্কুলের বন্ধ ঘর থেকে কেন ওই আওয়াজ এল তা বুঝতে পারলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় ঘটা করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মহকুমা বা গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে নীল-সাদা রং করে ঝাঁ চকচকে করার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংয়ের ভিতরে রোগীদের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা বলে কিছু নেই। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ করছেন। এই সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন। জেলার অধিকাংশ গ্রামীণ হাসপাতালেই এই এক চিত্র। রোগী বাঁচাতে পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিষেবা না পাওয়া রোগীর পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে অমিল স্যালাইন, তাই বাধ্য হলেই হাসপাতালের বাইরে ওষুধ দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। এই গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য শয়ে শয়ে রোগী আসেন। কিন্তু, এই হাসপাতালে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অমিল রয়েছে স্যালাইন পরিষেবা। ইমের্জেন্সি বিভাগে থাকা চিকিৎসকরা রোগীর প্রয়োজন মতো পরিজনদের লিখে দিচ্ছেন স্যালাইনের কথা। রোগী বাঁচাতে দোকানে ছুটছেন রোগীর পরিজনেরা। চড়া দামে দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনছেন তাঁরা, সেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আর এতেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা। চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে পাওয়ার কথা স্যালাইন, সেই স্যালাইন কিনা কিনে আনতে হচ্ছে দোকান থেকে।

    কী বললেন বিএমওএইচ?

    স্যালাইন সরবরাহ নিয়ে সংকট যে তৈরি হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার অন্য হাসপাতালের মতো এই হাসপাতালে স্যালাইনের জোগান নেই। রোগীদের গাঁটের টাকা খরচ করে যাতে স্যালাইন কিনতে না হয় সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের যাতে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু মহিলার, নড়চড়ে বসল পুরসভা

    Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু মহিলার, নড়চড়ে বসল পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের সূতিতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) আরও একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উষারানি দাস। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুর পুরসভার চিরিমারসায় এলাকায়। এই প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

    পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর (Paschim Medinipur)

    এমনিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় প্রায় ৪০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। এরমধ্যে মেদিনীপুর পুরসভায় প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। কিন্তু, পুরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কোনও উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এমনকী কত আক্রান্ত সেই তথ্য পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দিন দিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরমধ্যে ওই মহিলার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুদিন আগেই ওই মহিলা জ্বর নিয়ে মেদিনীপুরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রাতেই তাঁর হয়। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত এক সপ্তাহে বেড়েছে। আর ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু টনক নড়িয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। পুরসভার বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুরসভার কোথাও না কোথাও খামতি রয়ে গিয়েছে। শহরের ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার হয় না।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    যদিও কাউন্সিলর থেকে পুরসভার চেয়ারম্যান সকলেরই দাবি, নিয়মিত ওয়ার্ড পরিষ্কার করা হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার রাখা হয়। কিন্তু, মানুষের সচেতনতার অভাবেই পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: সমবায়ে চাষিদের কোটি কোটি টাকা বড়লোকদের পকেটে, কী করছে প্রশাসন?

    Paschim Medinipur: সমবায়ে চাষিদের কোটি কোটি টাকা বড়লোকদের পকেটে, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিল তিল করে জমানো টাকা, গ্রামের সমবায়ে গচ্ছিত করে রেখেছিলেন গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া এলাকাবাসী। কিন্তু, বছরের পর বছর গড়ালেও গচ্ছিত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন সমবায়ের গ্রাহকরা। অপরদিকে, সাধারণ মানুষের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা, হিমঘরের মালিকদের ঋণ দিয়েছে সমবায় সমিতি। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা- ১ নম্বর ব্লকের শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে।  টাকা কবে মিলবে জানেনা কেউ। চরম দুশ্চিন্তায় দিন গুণছেন আমানতকারীরা।

    প্রতারিত গ্রাহকদের কী অভিযোগ? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা- ১ নম্বর ব্লকের শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা রেখে টাকা ফেরত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। তাঁদের বক্তব্য, দ্রুত প্রশাসন আমাদের গচ্ছিত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। জানা গিয়েছে, কৃষি প্রধান এলাকার মানুষের কথা ভেবে সমবায় সমিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সমবায় সমিতির টাকা রেখেই প্রতারিত হতে বসেছেন গ্রাহকরা। এই সমবায় সমিতিতে এলাকার প্রায় দুই হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নিজেদের জমানো অর্থ একটু একটু করে সেখানে তাঁরা সঞ্চয় করতে শুরু করেছিলেন। প্রতারিত গ্রাহকরা বলেন, হঠাৎ করেই আমরা জানতে পারলাম, সমবায় সমিতির বন্ধের মুখে। কারণ, এলাকার বেশ কয়েকজন হিমঘর মালিক এই সমবায় সমিতি থেকে কোটি কোটি  টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আর সেই ঋণের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় কারণ দেখিয়ে সমিতি আমাদের গচ্ছিত টাকা ফেরত দিতে পারছে না। টাকা ফেরত এর দাবিতে আমরা সমবায় সমিতি বার বার গিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    কী বললেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক?

    যদিও এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা-১ নম্বর ব্লকের সমবায় পরিদর্শক অর্পিতা চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে ঋণ পরিশোধ না করায় আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।  সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, না অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতির। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিবাদ রয়েছে। মূলত অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও  অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি  তথা ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল খানের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। জানা যায়, দলীয় নির্দেশকে মান্যতা না দিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা ইসমাইল অনুগামীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে প্রধান নির্বাচিত করেন। মূলত নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তারপর থেকেই এলাকায় রয়েছিল চাপা উত্তেজনা। আর মঙ্গলবার ইসমাইল অনুগামীরা নির্দলের জয়ী সদস্যকে নিয়ে এলাকায় একটি মিছিল করেন। আর সেই মিছিলের পরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলি দখলের অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভগবম্তপুর দুই পঞ্চায়েত এলাকার কল্লা, খুড়শি, ভগবন্তপুরে  তিনটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। তিনটি কার্যালয় দখলের অভিযোগ জয়ী নির্দল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলল নির্দল কর্মীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তালা দেওয়ার ঘটনায় নির্দলদের মদত দেওয়ায় নাম জড়াল। এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের যে দুটি দলীয়  বুথ কার্যালয় ও একটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই কার্যালয়ে তালা দিয়ে দিয়েছে নির্দল কর্মীরা। এলাকার কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কিছু নেতাদের মদতে এই কার্যালয়গুলিকে দখল করে নিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের অঞ্চল  সভাপতি?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, নির্দলের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের একাংশ বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূলের একটি অংশের সমর্থনে এই এলাকায় নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তারা মিছিল করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

    কী বললেন অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি?

    তৃণমূলের সহ সভাপতি ইসমাইল খান বলেন, নির্দলরা কেউ ছিল না। সকলেই দলের কর্মী। অঞ্চল সভাপতি দলীয় কার্যালয় তালা দিয়েছিলেন। কর্মীরা তা মানেনি। তালা ভেঙে দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে ঢুকেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না পসন্দ আইপ্যাকের খামবন্দি প্রধানের নাম। সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটেই তালা ঝোলালো তৃণমূলের যুব সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) যুব-মাদার তৃণমূলের মধ্যে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতৃত্বের দাবি, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে প্রধানকে। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির সাফ জবাব, দলের নির্দেশ মানতেই হবে, না হলে দল ছাড়তে হবে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটে তালার উপর চেন জড়িয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়ে, তাকে ঘিরেই তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় তৃণমূলের রাজনগর এলাকার যুব নেতার দাবি, ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হোক এবারের প্রধান। অন্যদিকে দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বলেন, দলের যে নির্দেশ তা মানতেই হবে। দল ভোটাভুটিকে অনুমোদন করে না।

    তৃণমূল যুব সম্পাদকের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) যুব সম্পাদক প্রবীর মাল বলেন, অঞ্চলের কোর কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আঁতাত করে এক তরফা নিজেদের কাছের মানুষকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই আমরা এই চাপিয়ে দেওয়া প্রধান অর্চনা সামন্তকে মানছি না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে রীতিমতো লুকিয়ে এই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দলে গণতন্ত্র নেই।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    ব্লক সভাপতি (Paschim Medinipur) সুকুমার পাত্র বলেন, সকলের সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে। দাসপুর, চন্দ্রকোনাতে ভোটাভুটিতে নির্বাচন হলেও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তা হবে না। কারণ দলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। দল যেভাবে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বলবে, আমরাও ঠিক একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যেহেতু এই পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষণ রয়েছে, তাই বোর্ডের প্রধান মহিলাকে করা হয়েছে। আর যাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ভোটাভুটি বা নাম প্রস্তাব করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে খড়্গপুর আইআইটির মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে খড়্গপুর আইআইটির মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি খড়্গপুরের (Paschim Medinipur) নবনির্মিত মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের পরিষেবা সম্প্রতি চালু হয়েছিল। তবে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশের দৌরাত্ম্যে এই পরিষেবাও সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল। বলা ভালো, শাসক দলের চাপে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ।

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    প্রধান অভিযোগ হল, হাসপাতালের (Paschim Medinipur) ঠিকা কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজে ঢোকাতে হবে। আর কাজে বাধা দেওয়ার ফল ভুগতে হল স্থানীয় রোগীদের। মঙ্গলবার আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল ( বি.সি রায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) এর ‘আউটডোর’ (বহির্বিভাগ) পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।

    হাসপাতালের বক্তব্য

    খড়্গপুর (Paschim Medinipur) আইআইটির নবনির্মিত এই মেডিক্যাল কলেজ বা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিলন বক্সী, রূপচাঁদ মুর্মু, শারাফত আলি সহ আরও কিছু ব্যাক্তিরা কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, তাঁদের লোককে কাজে যোগদান করাতে হবে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া কিছু প্রার্থীদের বাদ দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। পাল্টা কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনে এই ধরনের অনৈতিক দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে যাঁরা ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ পেয়েছেন, তাঁরাই কাজ করবেন। আইআইটি খড়্গপুরের রেজিস্ট্রার অমিত জৈন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “স্থানীয়রা দিনের পর দিন, আমাদের ওই হাসপাতালে কর্মরত ঠিকা কর্মীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। এমনকি তাঁদের গায়ে হাতও তোলা হয়েছে। এই হাসপাতাল তো জাতীয় সম্পত্তি। তাকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য সাফাই কর্মীরা আসতে না পারায় বন্ধ করা ছাড়া উপায় ছিলো না!” আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশ-প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানিয়েও কাজ না হওয়ায়, শেষে হাসপাতালের বহির্বিভাগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দন সিংহ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আইআইটি (Paschim Medinipur) কর্তৃপক্ষ স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাজে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েও, তা পূরণ করেননি! আর, এই সমস্ত অশান্তির কারণেই আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও, এই বিষয়ে জেলা পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমি কিছুই জানি না। কারণ, আমরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে, বিষয়টি খোঁজ নেব এবং দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে আউটডোর পরিষেবা চালু করার আবেদন জানাব কর্তৃপক্ষের কাছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে পিংবনিতে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওবিসিতে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে কেবল মাত্র ভোটের অঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তোপ মমতাকে

    পিংবনির সভা থেকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগলেন। এই আক্রমণের প্রধান তির ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘রানিমা হেলিকপ্টারে করে জঙ্গলমহলে কুম্ভকার-দলিতরা কেমন আছেন, তা দেখতে এসেছেন। সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করছেন। আপনারা না চিনলেও আমি পিসিকে হারে হারে চিনি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা খুঁজে পাননি। কীভাবে লালগড় যেতে হয়, সেই রাস্তাটাও জানতেন না। ২০০৯ সালে আমি রাস্তা চিনিয়েছিলাম।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হারিয়েছি নন্দীগ্রামে, আদালতে ফাইনও জমা করেছিলেন তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে যদি প্রাক্তন না করতে পারি, ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই আমরা। আপনার আদরের দুলালটি জেলে যাবে। বালি, পাথর, গরুর পর এখন ব্যালট খায় তৃণমূল।’’

    ওবিসিদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    পিংবনি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এই রাজ্যে তোষণ ও দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ওবিসিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওবিসিতে বিশেষ ধর্মের মানুষকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণ নীতিকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এই ওবিসিদের মধ্যে আছেন কুড়মি, কুম্ভকার, স্বর্ণকার। কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত।‘‘ চাকরি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মুখ্যমন্ত্রীর মারাং প্রকল্পের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর কথিত অলচিকি ভাষা আদতে লিপি। তাই শুভেন্দু বলেছেন, ওসব ভুলভাল, মারাং কী জিনিস মমতা জানেন না, আদতে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষিত। রাজেশ মাহাতো বিক্রি হতে পারেন, তবে মাহাতো সমাজ বিক্রি হওয়ার লোক নয়। কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।‘‘

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Paschim Medinipur: হুইল চেয়ারে বসেই ‘ড্রাগন বোট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে’ ঘাটালের অপূর্ব

    Paschim Medinipur: হুইল চেয়ারে বসেই ‘ড্রাগন বোট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে’ ঘাটালের অপূর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। ভগবান সহায়, হয়নি। পরে অসুস্থতায় মৃত্যু একরকম নিশ্চিত, এমনটা ভেবেছিলেন চিকিৎসকরাও। কিন্তু বেঁচে আছেন অপূর্ব সামন্ত। তখন কোনও স্বপ্নই ছিল না তাঁর চোখে। পরিবারের লোককে চিকিৎসক বলেই দিয়েছিলেন, হাতে বেশি সময় নেই। ভগবানকে ডাকার পাশাপাশি, ছেলে যা যা ভালবাসে, সে সব খাওয়ানোর কথাও বলেছিলেন। দিয়েছিলেন শেষ দিনগুলি সুখে কাটানোর পরামর্শও। যাঁর সম্পর্কে এই সব পরামর্শ, সেই অপূর্ব সামন্তও তখন নিজের মৃত্যুই চেয়েছেন। কিন্তু এখন ঘাটালের (Paschim Medinipur) সেই যুবক অপূর্ব স্বপ্ন দেখান অনেককে। হুইল চেয়ারে বসেই দেশকে সম্মানিত করার স্বপ্ন দেখেন নিজে। এবার প্রথম বিদেশেও যাচ্ছেন স্বপ্ন সফল করতে।

    চোখেমুখে দেশের জন্য পদক জেতার স্বপ্ন (Paschim Medinipur)

    আগামী সোমবার থেকে তাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে ‘ড্রাগন বোট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ’। তাতে ভারতীয় প্যারা দলের প্রতিনিধি অপূর্ব। তিনি বললেন, ‘‘আপাতত আমার একটাই স্বপ্ন। দেশের হয়ে পদক জয়।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহর থেকে অনেকটাই দূরে দাসপুরের দুবরাজপুর গ্রামে বাড়ি অপূর্বর। ২০১৭ সালে মারাত্মক বাইক দুর্ঘটনা। বাইকের হ্যান্ডেলটা ভেঙে ঢুকে গিয়েছিল কোমরে। প্রথম বার সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরলেন। কিন্তু মেরুদণ্ডের আঘাত শয্যাশায়ী করে দেয়। দিনের পর দিন বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে ‘বেড সোর’ হয়ে যায়। এক সময়ে পিঠে ‘সংক্রমণ’ হয়ে যায়। তখনই জবাব দিয়ে দেন স্থানীয় (Paschim Medinipur) চিকিৎসকরা। আর অপূর্ব কোনও রকমে বাইরের দিকে চেয়ে থাকতেন এক ফালি জানালা দিয়ে। জানালা নয়, অপূর্ব প্রথম বার আলো দেখতে পেয়েছিলেন ফেসবুকে। তাঁর শরীরের অবস্থার কথা জেনে ফেসবুকেরই এক বন্ধু জানান, চিকিৎসা আছে। সঠিক জায়গায় গেলে চিকিৎসা করানো যায়। একটু একটু করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন অপূর্ব। তাইল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে অবশ্য তাঁর চোখেমুখে অনেক স্বপ্ন। আগে হুইল চেয়ারে ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। বাস্কেটবল, ভলিবলও খেলেছেন। কিন্তু এখন ড্রাগন বোটই তাঁর মূল খেলা।

    হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেন (Paschim Medinipur)

    ড্রাগন বোট খেলা এখনও ভারতে তেমন জনপ্রিয় না-হলেও দিন দিন তা বাড়ছে বলে দাবি করলেন অপূর্ব। তিনি জানালেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা হয় বিহারে। সেখানে বাংলার প্যারা দল চ্যাম্পিয়নও হয়। এবার ভারতীয় প্যারা দলে অপূর্ব-সহ রয়েছেন পাঁচ জন। তবে তিনিই একা হুইল চেয়ারে বসা প্রতিনিধি (Paschim Medinipur)। কলকাতায় এক বার একটি প্যারা ম্যারাথনে যোগ দিতে এসেছিলেন অপূর্ব। সেই সময়ে আলাপ হয় কলকাতার নিউরো রিহ্যাব চিকিৎসক সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরে অপূর্বর প্রশিক্ষণ থেকে এই বিদেশযাত্রায় পাশে রয়েছেন সুপর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘অপূর্ব খেলাধুলোর চেয়েও বড় যে কাজটি করে, তা হল হুইল চেয়ারে বসে হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। খুবই বড় একটা কাজ। ও শেখায়, হুইলচেয়ারে বসেও কী ভাবে ব্যালান্স রেখে খেলাধুলো করা যায়, কী ভাবে সব কাজ স্বনির্ভরতার সঙ্গে করা যায়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share