Tag: Paschim Medinipur

Paschim Medinipur

  • BJP: বিজেপি করার অপরাধে বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি করার অপরাধে বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের কালগাং এলাকায়। অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে এদিন সকালে উত্তম পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালায় এলাকার জনা কয়েক তৃণমূল কর্মী। এরপর উত্তম পণ্ডিতের মাংসের দোকান ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর দল বেঁধে হামলা করার প্রতিবাদ করতে গেলে উত্তম পণ্ডিতের বাবা কাজল পণ্ডিতকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম  অবস্থায় কাজলবাবুকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মী?

    বিজেপি (BJP) কর্মী উত্তম পণ্ডিত বলেন, ‘বিজেপি করি এটাই আমার অপরাধ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রচুর হুমকি দিয়েছে ওরা। হুমকি উপেক্ষা করেই দলের হয়ে কাজ করেছি। এর আগেও একাধিক সময় আমার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এবার ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর  এবারও আমাকে শিক্ষা দিতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাকে না পেয়ে আমার বাবাকে বেধড়ক পেটায়। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এসব করছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ, এরকমভাবে হামলা চালানো তৃণমূলের কালচার নয়। তবুও, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রং না দেখে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতেও পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমরা কোনওভাবে এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিংলা (Paschim Medinipur) থানা এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দু’জনের ফাঁসি এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ মে এক ২১ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর, অন্তর্বাস গলায় জড়িয়ে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার দিনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং দু’ বছর পর আজ আদালতে শাস্তি ঘোষণা হল।

    কীভাবে শাস্তি ঘোষণা হল (Paschim Medinipur)?

    ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে দু’জনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি কুসুমিকা দে (মিত্র)। ধর্ষণ করে খুনের আসামীদের নাম হল, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু (তখন বয়স ২৭), পিংলার তেমাথানির তপতী পাত্র। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের সাপেক্ষে মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনানো হয় আদালতের তরফ থেকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হওয়ায় এই রায়ে খুশি মৃতের পরিবার। পিংলায় (Paschim Medinipur) ধর্ষণকাণ্ডে মৃত তরুণীর বাবা চাষ করেন আর মা আশা কর্মী। তরুণীর মা বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশুনা করত মেয়ে। ডেবরা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল আমার মেয়ে। মৃতের মা আরও জানান, মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না। কিন্তু দোষীরা শাস্তি পেল, এতে কিছুটা খুশি।

    সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবাশিষ মাইতি বলেন, “২০২১ সালের পিংলা থানার ঘটনায় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন। এই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মামালায় অভিযুক্ত এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটির দিনই পিংলা (Paschim Medinipur) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে দোষীরা” ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    Gold Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জটে আটকে ঘাটালের সোনার হাব তৈরির কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার। জমি জটে আপাতত থমকে গেল দাসপুরে নির্মীয়মাণ সোনার হাবের (Gold Hub) কাজ। খেলার মাঠ ও শ্মশান বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা। ফলে, এই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। দ্রুত জট কেটে মিলবে সমাধান, আশাবাদী প্রশাসন।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ?

    কয়েক বছর আগে খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাসপুরে গোল্ড হাব (Gold Hub) গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই শুরু হয় জমি চিহ্নিতকরণ সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া। দাসপুর-২ নম্বর ব্লকের ফরিদপুর মৌজায় চিহ্নিত করা হয় জমি। ১ একর  ৮০ শতকের এই জমি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে হস্তান্তর করা হয়। ভবন তৈরির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। চলতি বছরের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি গোল্ড হাবের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাস কয়েক আগে শুরু হয় কাজও। তবে এরই মাঝে বেঁকে বসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, সরকারি এতবড় প্রকল্প করার আগে জমিটিতে কী হয়, তা প্রশাসনের কর্তাদের নজরে এল না। আসলে গোল্ড হাবের জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, খাতায়-কলমে সেই জমির চরিত্র শ্মশান। জমির একাংশ খেলার মাঠ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দুর্গাপুজো সহ গ্রামের একাধিক অনুষ্ঠান হয় এই জমিতেই। এই কারণেই গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনও জমিতে সোনার হাব তৈরির দাবি তোলা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে গোটা বিষয় নিয়ে।

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, প্রথম দিকে এনিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এখন অভিযোগ এসেছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই জট কেটে গোল্ড হাব (Gold Hub) তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • Paschim Medinipur: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কোর্স শুরু এবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে

    Paschim Medinipur: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কোর্স শুরু এবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের দরবারে পথ চলা শুরু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের। আর সেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ইতিমধ্যেই কাজে লাগাতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় দেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সহ সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি যাবতীয় ক্ষেত্রেই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এবার পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) শুরু হল সেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (AI) কোর্স। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬ মাসের এই কোর্স শুরু করতে চলেছে পড়ুয়াদের জন্য।

    কীভাবে পড়ানো হবে এই কোর্স (Paschim Medinipur)?

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই কোর্সে ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিএই (CCAE) ডিপার্টমেন্টে সান্ধ্যকালীন ক্লাসে এই কোর্স চালু হবে। কোর্সের মেয়াদ রাখা হয়েছে ছয় মাস এবং কোর্স ফি তিন হাজার টাকা। প্রথম পর্বের চল্লিশটি আসন নিয়ে এই কোর্স শুরু হবে। এরপর আস্তে আস্তে পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই কোর্সের আসন সংখ্যা বাড়বে বলেই জানিয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Paschim Medinipur)। অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র গৃহীত হবে। এই বছর পুজোর আগেই এই কোর্স চালু হতে চলেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে। আর সেই কোর্স নিয়ে ইতিমধ্যে ফর্ম ফিলাপে এগিয়ে এসেছে পড়ুয়া সহ শিক্ষকরা। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করলেই এই কোর্সে আবেদন করা যাবে। এই কোর্স আগামী দিনের যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলেই দাবি শিক্ষক সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে বলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ব্যবহার করছে গোটা বিশ্ব। জঙ্গলমহলের (Paschim Medinipur) পিছিয়ে পড়া মানুষ যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জ্ঞানকে শিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করেন, তাহলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগামী দিনে বিশ্বের সঙ্গে তাঁরাও পায়ে পা মিলিয়ে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবেন। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, পরিবেশ, বিজ্ঞান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি সহ কর্পোরেট জগতেও এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারে কাজ হবে অত্যন্ত সহজ এবং খুব দ্রুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) সদর ব্লকের মালিদা গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের শাসক শিবিরকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও খড়্গপুরে চায়ে পে চর্চায় যোগদান করে বিভিন্ন বিষয়ে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

    কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার সম্পর্কে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ মালিদা গ্রামে (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হিংসার কথা সবিস্তারে শোনেন। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সবরকম সাহয্যের আশ্বাস দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি। পিনকন চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় এই তৃণমূল নেতার। তার মোবাইল থেকে একাধিক প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। এই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকবার বিদেশে যাত্রা করছে। এমনকি বিদেশে যাতায়াত করার সময় কয়েকবার আর্থিক লেনদেনে ধরাও পড়েছে। তৃণমূলের অন্যতম রাখব বোয়াল এই ব্যক্তি। অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে। ধরা যখন পড়েছে আরও অনেক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে।

    চায়ে পে চর্চাতে কী বললেন?  

    মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চার মধ্যে সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট, গণনার দিন ব্যালট ছিনতাই সব রকম অপকর্ম রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল করছে। শুধু এই করেই ক্ষান্ত হয়নি। গণনার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এমনকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও ঘরছাড়া হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে সবদিক থেকে হরণ করছে তৃণমূল।

    বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, গত ১৯ এর লোকসভার আগেও বিরোধীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন, মাছ ভাত খাইয়েছেন, কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি বরং একডজন সিট কমে গেছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সিপিএম আজ অপ্রাসঙ্গিক। সবটাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছেন। কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কেউ কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এতো তৃণমূল বিরোধী মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হলেন। কিন্তু কোনও জাতীয় দলের নেতারা কিছু বলছেন না এই বৈঠকে! নিজের দলের মানুষরাই মারা যাচ্ছেন। অথচ দলের নেতারা নির্বাক! অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। এই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল চোরদের বাঁচানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন আর বাকিরা নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন মোদির বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের নামে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ তৈরি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রাতের অন্ধকারে পরকীয়া! তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মার, মাথায় ঢালা হল ঘোল

    Paschim Medinipur: রাতের অন্ধকারে পরকীয়া! তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মার, মাথায় ঢালা হল ঘোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) এক তৃণমূল নেতা। গভীর রাতে, গ্রামের মানুষজন এই তৃণমূল নেতা এবং গৃহবধূ যুগলকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার মাথায় ঘোল ঢালা হয়েছে বলে জানা যায়। দীর্ঘক্ষণ পর খবর পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ওই যুগলকে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নিজনাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডীপুর এলাকায়। জানা যায়, চন্ডীরপুর এলাকার তৃণমূল নেতা অনন্ত দোলই, গ্রামের এক বছর ২৬ এর গৃহবধুর সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দু’জনই পরিবার থাকা সত্ত্বেও এই পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে!। এরপর সেই পরকীয়ার জন্য গ্রামে এক গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রথমে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় এবং এরপর তৃণমূল নেতার মাথায় ঘোল ঢেলে দেয় গ্রামের মানুষজন। আর সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে অনেকেই ছবি সহ ভিডিও সামজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেয়। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতে। শাসক দলের নেতার এই আচরণে এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে।

    ভিডিওতে কী রয়েছে?

    ভিডিওটি ৪৮ সেকেন্ডের। গোটা ভিডিওটি রাতের অন্ধকারে করা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাছের এক দিকে তৃণমূলের ওই নেতাকে দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে এবং ঠিক গাছের উল্টো দিকে আরেকটি দড়ি দিয়ে বিবাহিত ওই মহিলাকে বাঁধা রয়েছে। মহিলা নিজের মুখ চুল দিয়ে ঢেকে রেখেছে এবং তৃণমূল নেতার মাথায়, শরীরে ঘোলের অবশেষ লেগে রয়েছে। পাশ থেকে এক গ্রামবাসীকে বলতে শোনা যায়, কেন অন্যের বৌকে নিয়ে পরকীয়া করছো! উত্তরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার (Paschim Medinipur) কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় (Paschim Medinipur)। দাঁতনের তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র নন্দী। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। উল্লেখ্য, দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই ফলাফলের পর এই বিজেপি নেতাকে (Paschim Medinipur) মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর বলেন, আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের উপর আক্রমণ করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০-১২ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতীর দলকে নেতৃত্ব দেয় এলাকার তৃণমূল নেতা বিমল ভদ্র। তিনি আরও বলেন, প্রথমে হুমকি দিয়ে বলে যায় বাড়িতে (Paschim Medinipur) যে তাঁর স্বামী যেন এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে দেখা করেন। ভোটে কেন বিজেপির এজেন্ট হয়ে ছিলেন! আর এটাই বিজেপি কর্মীর প্রধান অপরাধ।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) এক বিজেপি নেতা বলেন, পূর্ণ চন্দ্র নন্দী হলেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে ১০৬ বছরের বৃদ্ধ বাবা এবং তাঁর মা ক্যান্সার আক্রান্ত। অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়েছিলেন। গতকাল রাত ৯ টায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রচুর মারধর করে। বর্তমানে উনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই জেলায় কোথাও কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। আর এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র, শাসক দলের নেতার মারে গুরুতর আহতও সে। মামা বিজেপি করে, তাই স্কুলছাত্র ভাগ্নেকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করায় টিউশনের শিক্ষকদেরও হুমকি দেয় তৃণমূলের কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে খবর। আর এই খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকায়। বাঁকা এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ ঘোষ একজন বিজেপির কর্মী। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বুধবার সকালে টিউশন পড়তে যায়। টিউশন পড়তে গেলে তাঁর ভাগ্নেকে তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল ও তোতন কারক ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মামা ঘটনাস্থলে এলে মামাকেও মারধর করা হয়। বিজেপি নেতা এবং ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। পরে এই ঘটনার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন সকলেই।

    আক্রান্ত ছাত্রের বক্তব্য

    শিবনাথবাবুর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বলে, আমি ছোটবেলা থেকে মামাবাড়িতে (Paschim Medinipur) থেকে পড়াশুনা করি। মামা বিজেপি পার্টি করেন। আমি টিউশন পড়তে গেলে সেখানে কয়েকজন এসে আমার মামাকে ডাকতে বলে। এরপর আমাকে চড় থাপ্পড় এবং চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে। আমার বই নিয়ে যাওয়ার ব্যাগটাও ছিঁড়ে দেয়, এমনকি হুমকি দেয় পড়াশুনা বন্ধ করে দেওয়ার। শেষে আমার গলা টিপে ধরে ওই লোকগুলি। বিপ্লব আরও বলে, এইভাবেই আমাকে মেরে আহত করে দেয়। মারের কারণ হিসাবে বিপ্লব জানায়, মামা কেন বিজেপি করে! এটাই মূল বিষয়। সে আরও বলে, যারা মারধর করে প্রত্যকেই তৃণমূল করে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি নেতা শিবনাথ ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিলেও, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনার (Paschim Medinipur) ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও একজন ছাত্রকে এইভাবে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।

    অপর দিকে অভিযুক্ত তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, আমি কেন বাচ্চা ছেলেদের মারধর করব! আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, বিজেপির লোকজন মিথ্যা কথা বলছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ধমক দিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। শুধু তাই নয়, বোর্ড গঠনের জন্য বাড়ি-গাড়ি দেওয়ারও প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন,পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপালী বাজারে পৌঁছে যান খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী ও একজন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। ঠিক তার পরেই বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল প্রলোভন দিচ্ছে বলে বিস্ফোরক হন বিজেপির এই বিধায়ক।

    কত আসন?

    গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতে (Paschim Medinipur) মোট আসন সংখ্যা ২৪ টি। তৃণমূল কংগ্রেসর ১১ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজেপির জয়ী হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। আর রয়েছেন সিপিএমের ১ জন এবং নির্দলের ১ জন প্রার্থী।

    কেন প্রলোভন?

    নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Paschim Medinipur) এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। যে দল বোর্ড গঠন করুক না কেন, অন্য দল থেকে নিজেদের দলে ২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থীকে যোগ দেওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারবে। এছাড়াও গোপালীতে বিজেপির ১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ কী?

    খড়গপুর (Paschim Medinipur) সদরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এখানে এসে আমরা সবাই শপথ নিলাম। চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়েছি। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী গতকাল রাত থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে গাড়ি-বাড়ি-টাকা দেবে বলে। কিন্তু চোরেদের দলে আমরা যাব না। ওরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছে, আমরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছি। বোর্ড গঠনের জন্য আমাদের দল ভাঙতে ওরা এই পথ নিয়েছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। হিরণ আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে! এটাই তো নির্বাচন কমিশনারের চরিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের সঙ্গে উনি মদ্যপান করতে বসে যান। এই নির্বাচন কমিশনার কী করবে! পা চাটবে। এই কমিশনার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটে কাজে লাগায়নি‌।

    উল্টো দিকে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পালে হাওয়া নেই, তাই এমন অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur)। নির্বাচনী প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এলাকায় দল আরও শক্তিশালী বলে দাবি বিজেপির। অপর দিকে রাজ্যপালকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে অনৈতিক বললেন দিলীপ।

    যোগদান বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য

    যোগদান সভায় (Paschim Medinipur) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল থেকে প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, চার নম্বর কুণালপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দে সহ ২৭ জন অঞ্চল নেতৃত্ব সভায় এসে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুমাস ধরে বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর এদিন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগদান করানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল অনেকটাই শক্তিশালী বলে দাবি করলেন বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস বলেন, বর্তমান শাসকদল দুর্নীতিগ্রস্থ। আমাদের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়নি শাসক দল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের দলের মধ্যে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমাদের উপেক্ষা করেন। তাই আমরা আজ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের শিয়ারা গ্রামে বিজেপির নির্বাচনী গ্রামসভা আয়োজিত হয়েছিল। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালকে ঘিরে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা অনভিপ্রেত। বিক্ষোভ দেখিয়ে কী হবে! রাজ্যপাল ভোট দেবেন না যেমন, ঠিক তেমনি তিনি ভোট নেবেনও না। এমনকী ভোট পরিচালনাও করবেন না তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, অত্যাচার হয়েছে এমন সাধারণ মানুষের পাশে উনি দাঁড়াচ্ছেন। আর তাই রাজ্যপালকে তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share