Tag: paytm scan code to accept bribe

paytm scan code to accept bribe

  • Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই কোড স্ক্যান করে টাকা দেওয়াটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, এমনটা বলা যেতেই পারে। তবে এবারে এই কিউআর কোড স্ক্যান করেই ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক আদালত কর্মীর বিরুদ্ধে। এককথায় বলতে গেলে ঘুষ নেওয়ার আধুনিক পদ্ধতি হল এটি। তবে এই খবর জানাজানি হতেই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভাইরাল ছবিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের। আর এই ছবিতে দেখা যায়, আদালত কক্ষের ভেতরেই আদালত কর্মীর ইউনিফর্মের উপরে কোমরের দিকে সাঁটানো পেটিএম-এর কিউআর কোড। আর সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে অনেক আইনজীবীকেও দেখা গেল টাকা দিতে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই কর্মীকে গতকাল সাসপেন্ড করলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই কর্মচারীর নাম রাজেন্দ্র কুমার। কিউআর কোড স্ক্যান করে ঘুষ নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক। এরপর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ওই কর্মচারীকে সাসপেনশনের নোটিশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও অভিযুক্ত কর্মীকে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড অবস্থায় তাঁকে হাইকোর্টের অ্যাকাউন্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। আবার পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রয়াগরাজ ছাড়তেও পারবেন না তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর এই বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এসেছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি অজিত কুমার পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে। এরপরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন ও তাঁকে সাসপেন্ড করেন।

    সরকারি দফতরে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও ঘুষ আটকানো যায় না। নিত্যনতুন পদ্ধতিতে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলতেই থাকে। এবার তারই প্রমাণ মিলল এই এলাহাবাদ হাইকোর্টে। তবে কেন তিনি অনলাইন ঘুষ নেওয়ার কথা ভাবলেন, এই নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেছেন, নগদ টাকা ঘুষ হিসেবে নিলে সম্ভবত ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই হয়ত তিনি এই অভিনব পন্থায় ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে বিচারপতির নজরে এসেই গেল তাঁর ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিনব পন্থা।

LinkedIn
Share