Tag: Pervez Musharraf

Pervez Musharraf

  • John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কীভাবে ওয়াশিংটন কোটি কোটি ডলার সাহায্যের বিনিময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল, তা ফাঁস করে দিলেন জন কিরিয়াকু (John Kiriakou)। তাঁর দাবি, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখত। কিরিয়াকু সিআইএতে ১৫ বছর কাজ করেছেন। এর মধ্যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, পারমাণবিক কূটনীতিতে সৌদি প্রভাব এবং দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তনশীল ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে একাধিক খোলামেলা মন্তব্যও করেছেন।

    মার্কিন বিদেশনীতির সমালোচনা (John Kiriakou)

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতিতে বেছে নেওয়া নৈতিকতারও সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন স্বচ্ছন্দ্যে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে এবং গণতান্ত্রিক আদর্শের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কিরিয়াকু বলেন, “পারভেজ মোশারফ পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন বিশাল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে মূলত তাঁকে কিনেই নিয়েছিল। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একনায়কদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসে। সেখানে জনমত বা গণমাধ্যম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমরা আসলে মোশারফকে একরকম কিনেই নিয়েছিলাম।” কিরিয়াকু বলেন, “আমরা লাখ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছিলাম – সামরিক ও অর্থনৈতিক এবং তার বদলে মোশারফ আমাদের যা খুশি, তা-ই করতে দিয়েছিলেন।”

    মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন

    প্রাক্তন সিআইএ কর্তা আরও বলেন, “মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে আমেরিকার পাশে দাঁড়ালেও, গোপনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল-কায়েদাকে নিয়ে মোটেই চিন্তিত ছিল না, তারা চিন্তিত ছিল ভারতের ব্যাপারে। মোশারফ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করতেন, অথচ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতেন (Pakistan)।”

    বড় নীতিগত ভুল

    কিরিয়াকু (John Kiriakou) জানান, সৌদি আরব হস্তক্ষেপ করায় আমেরিকা পাকিস্তানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানকে নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। সৌদিরা পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করেছিল। তিনি বলেন, “যদি আমরা ইজরায়েলের মতো পথ অবলম্বান করতাম, তাহলে আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ ছিল। কিন্তু সৌদিরা এসে বলল, ‘দয়া করে তাঁকে ছেড়ে দিন। আমরা একিউ খানকে পছন্দ করি। আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করছি।’” একে তিনি একটি বড় নীতিগত ভুল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “হোয়াইট হাউস সিআইএ এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন তারা খানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে। এটা নিশ্চিতভাবেই সৌদিদের চাপের কারণেই হয়েছিল।”

    বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে!

    কিরিয়াকুর (John Kiriakou) দাবি, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খানকে রক্ষা করার কারণ তাদের নিজস্ব পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি ইঙ্গিত দেন, রিয়াধ দীর্ঘমেয়াদে একটি সমান্তরাল পারমাণবিক সক্ষমতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল। তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই ভাবতাম, সৌদিরাও কি নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করছে না?” তিনি এই পর্যবেক্ষণকে সাম্প্রতিক সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন। তাঁর ইঙ্গিত, রিয়াধ হয়তো এখন তাদের বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে (Pakistan)।

    আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামি

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামির সমালোচনা করে বলেন, “ওয়াশিংটন বেছে বেছে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়, অথচ স্বচ্ছন্দে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে। আসলে আমরা নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বাতিঘর হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসি। কিন্তু এটি সত্য নয়। আমরা যা করি, তা আমাদের তাৎক্ষণিক স্বার্থেই করি।”

    মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক লেনদেনভিত্তিক

    তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে (John Kiriakou) সৌদির সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপেই লেনদেনভিত্তিক। তিনি বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বিদেশনীতি খুবই সহজ। আমরা তাদের কাছ থেকে তেল কিনি, আর তারা আমাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে।” কিরিয়াকু মনে করিয়ে দেন, এক সৌদি প্রহরী তাঁকে বলেছিল, “তুমি ভাড়াটে কর্মচারী। আমরা টাকা দিয়ে তোমায় এনেছি, যাতে তুমি এসে আমাদের রক্ষা করো।” কিরিয়াকু বলেন, “বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য এখন পরিবর্তনের পথে। কারণ সৌদি আরব, চিন ও ভারত নিজেদের কৌশলগত ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে (Pakistan)।” তিনি বলেন,
    “আমরা তেলের সমুদ্রে বসে আছি। আমাদের আর সৌদিদের প্রয়োজন নেই। তারা এখন তাদের সম্ভাবনা বিবেচনা করে চিন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে। আমরা আসলে বিশ্ব পরিচালনার এক নয়া রূপান্তর প্রত্যক্ষ করছি (John Kiriakou)।”

  • India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধেই পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পরাজয় নিশ্চিত। এমনই অভিমত আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন আধিকারিক জন কিরিয়াকুর। দেড় দশক সিআইএ-র হয়ে কাজ করেছেন কিরিয়াকু। সম্প্রতি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবে যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের ভালো কিছু হবে না। কারণ প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধে ভারতের কাছে তাদের হার হবে। তাই ভারতকে ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে পাকিস্তানের লাভ কিছু নেই।’’ একসময় পাকিস্তানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এই আধিকারিক।

    ষড়যন্ত্র বন্ধ করুক পাকিস্তান

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই মার্কিন আধিকারিক দাবি করেছেন, পাকিস্তানের উচিত ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। পাকিস্তান যতই পরিকল্পনা করুক না কেন, যে কোনও ধরনের গতানুগতিক যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের কাছে খুব খারাপ ভাবে হারবে। তাঁর মতে, ইসলামাবাদের উচিত কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফলে পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছুই হবে না। একইসঙ্গে কিরিয়াকু যোগ করেছেন, “আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না, কেবল গতানুগতিক যুদ্ধের কথা বলছি। ভারতকে বারবার উস্কে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।”

    ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, বরাবরই পাকিস্তানকে যুদ্ধে টেক্কা দিয়েছে ভারত। তবে গত এক দশক ধরে ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি। ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এ বালাকোট স্ট্রাইক ও সব শেষে সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তানকে উচিত জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও সিধে হয়নি পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও চোরাগোপ্তা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এমন প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বার্তা দিলেন প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিক। কিরিয়াকুর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে পারবে না পাকিস্তান। বরং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে আখেরে পাকিস্তানেরই ক্ষতি বেশি হবে।

    পাক পরমাণু ভান্ডারের চাবি পেন্টাগনের হাতে

    ২০০১ সালে ভারতের (India Pakistan Relation) সংসদে হামলার পরই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবধারিত হয়ে উঠেছিল বলেও এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন সিআইএ কর্তা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে একটা টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, সে কথাও স্বীকার করেছেন কিরিয়াকু। তবে সেই সময় আল-কায়দা, আফগানিস্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি বলেও দাবি মার্কিন গোয়েন্দাকর্তার। দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের চাবিকাঠি পেন্টাগনের হাতে তুলে দিয়েছেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ।

    ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো

    প্রসঙ্গত, সিআইএ-র গুপ্ত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ২০১২ সালে কিরিয়াকুকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সরকার। বিচারে ৩০ মাসের জেল হয় তাঁর। কিন্তু তার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। আমেরিকা এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের নাজেহাল দশা করেছিল ভারত। এই আবহে পরমাণু বোমা হামলার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। পালটা জবাবের বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো হয়ে পড়ে। এর জেরে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান। এই সবের পরও পাকিস্তান দাবি করছে, তারা নাকি ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতে ‘জিতেছে’।

    ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল

    এই আবহে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pakistan Relation) নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু। তাঁর দাবি, ভারত ও পাক যুদ্ধ হলে পাকিস্তান কোনওদিন জিততে পারবে না। এরই সঙ্গে জন কিরিয়াকু দাবি করেন, ২০০১ সালে যখন ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা হয়, তার ২-৩ সপ্তাহ পরেই তিনি পাকিস্তানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি জানান, আমেরিকা ভেবেছিল, ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা করবে। এবং তাঁর কথায়, ভারত সেই সময় পাকিস্তানের ওপর হামলা করলে তা ন্যায্য হত। এরপর ২০০৮ সালেও মুম্বই হামলার পরেও আমেরিকা মনে করেছিল যে ভারত হামলা চালাবে পাকিস্তানের ওপর। জন কিরিয়াকুর কথায়, ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল। তবে পাকিস্তান বারবার ভারতকে খোঁচালে তারা যোগ্য জবাব পাবে।

    মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা

    মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন অফিসার জন কিরিয়াকু আরও দাবি করেন, প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের জমানায় পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। সিআইএ-র সন্ত্রাসবিরোধী ডেস্কের প্রাক্তন আধিকারিক কিরিয়াকু এক সময়ে ছিলেন পাকিস্তানেও। গত জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ইসলামাবাদের যাবতীয় পরমাণু হাতিয়ার পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েক বছর আগেই পাক সরকার একজন মার্কিন জেনারেলের হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’কিরিয়াকু মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে জেনারেল পারভেজ মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা। তিনিই পরমাণু অস্ত্রের চাবি এক মার্কিন জেনারেলের হেফাজতে দিয়েছিলেন।’’ প্রায় ১৫ বছর সিআইএ-র নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কিরিয়াকুর কথায়, ‘‘আমরা পাক পরমাণু অস্ত্র কিনে নিয়েছিলাম।’’

  • Pervez Musharraf: কেরলে পারভেজ মোশারফকে নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে গিয়ে চরম বিপাকে বাম ইউনিয়ন

    Pervez Musharraf: কেরলে পারভেজ মোশারফকে নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে গিয়ে চরম বিপাকে বাম ইউনিয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান! তাও আবার ভারতের মাটিতে। এমনই বেনজির চিত্র সামনে এসেছে, দেশের কমিউনিস্ট শাসিত রাজ্য কেরল থেকে। এই ঘটনাকে অনেকেই বাড়াবাড়ি বলছেন। সে রাজ্যের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারীদের একটি ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয় ২৭ জুলাই। ঘটনাক্রমে, ২৬ জুলাই ছিল কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Bank of India) স্টাফ ইউনিয়ন আসলে বামপন্থী প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের একটি শাখা। পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধা জানানোর এই অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল শনিবার। 

    অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদও

    পরবর্তীকালে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জেরে এই কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় বামপন্থী সংগঠন। প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই কেরলের পলি জর্জনগরে এই সম্মেলন (Bank of India) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, পারভেজ মোশারফকে (Pervez Musharraf) শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ কেসি বেনুগোপালও। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অভিনেতা, গায়ক, নৃত্যশিল্পী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা জানানোরও কথা ছিল। এরই মাঝে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, নাম রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টেরও। সেখানেই শুরু হয় বিতর্ক। আন্দোলনে নামে কেরলের রাজ্য বিজেপি।

    দেশদ্রোহী বামপন্থী সংগঠন

    সমাজ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। নেটাগরিকরা আওয়াজ  তুলতে থাকেন, একজন পাকিস্তানি ডিক্টেটর যিনি ভারতের ওপর আক্রমণ করেছিলেন, তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য (Pervez Musharraf) জানানো হবে! এর পাশাপাশি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক অফিসার্সও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কার ভয়েস নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় এবং সেখানে লেখা হয়, ‘‘ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওই কর্মচারী ইউনিয়ন হল আসলে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন-এর একটি শাখা। এই অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্য়াসোসিয়েশন চিরকালই দেশদ্রোহী কাজের সঙ্গে যুক্ত। ইতিহাসে তার প্রমাণ বার বার মিলেছে। কখনও তারা হামাস জঙ্গিদের সমর্থন করেছে, কখনও বা ভারত-চিন সংঘাতে সেনাবাহিনীকে রক্তদানেরও বিরোধিতা করেছে।’’

     
     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pervez Musharraf Death: দুবাইয়ের হাসপাতালেই প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    Pervez Musharraf Death: দুবাইয়ের হাসপাতালেই প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল আগেও একবার। তবে সেটা ছিল নিছকই গুজব। এবার আর গুজব নয়, নিখাদ সত্য। ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ (Pervez Musharraf Death)। মাস কয়েক ধরে ভর্তি ছিলেন দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট।

    পারভেজ…

    ১৯৪৩ সালের ১১ অগাস্ট অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে (Delhi) জন্ম পারভেজের। পরে পাকিস্তানে চলে যায় তাঁর পরিবার। করাচির সেন্ট প্যাট্রিকস হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিতে যান লাহোরের ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে। কলেজের পাঠ চুকিয়ে পারভেজ যোগ দেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে। পরে হন সেনা প্রধান এবং শেষমেশ দেশের ক্ষমতা দখল। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাকিস্তানের শাসক। ২০১৯ সালে দেশদ্রোহিতার দায়ে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। পরবর্তীকালে অবশ্য বাতিল হয় মৃত্যুদণ্ড।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর দুবাইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি (Pervez Musharraf Death)। কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অন্যতম মাথা ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে পারভেজকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়ই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পাক সেনারা।

    আরও পড়ুুন: মার্কিন সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    গত বছরের ১০ জুন পারভেজের (Pervez Musharraf Death) পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তিনি এমন রোগে ভুগছেন ও ভোগান্তির এমন স্তরে এসে পৌঁছেছেন যে তাঁর পক্ষে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা আর সম্ভব নয়। তাঁর অর্গ্যান ম্যালফাংশন করছে। ভেন্টিলেশনেও সব সময় কাজ হচ্ছে না। সেই কারণে পারভেজের পরিবারের তরফে শুভাকাঙ্খীদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল এই বলে যে পারভেজ দুরারোগ্য রোগে ভুগলেও, তিনি যেন বাকি জীবনটুকু যন্ত্রণাবিহীনভাবে বেঁচে থাকতে পারেন, তাঁরা যেন সেই প্রার্থনা করেন ভগবানের কাছে। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের এক প্রবীণ নেতা ফাওয়াদ হুসেন ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, মুশারফের মনে সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানই ছিল অগ্রাধিকার। তাঁর চিন্তা ও দর্শন ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Pervez Musharraf: মৃত্যু হয়নি, তবে আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই মুশারফের, দাবি পরিবারের

    Pervez Musharraf: মৃত্যু হয়নি, তবে আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই মুশারফের, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল আচমকাই বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফের (Parvez Musharraf) মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুর খবর গুজব বলে খারিজ করে দেওয়া হয় মুশারফের পরিবারের তরফে। 

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    পারভেজ মুশারফের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে লেখা হয়, অসুস্থতার (Amyloidosis) কারণে তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মুশারফ। মুশারফ কঠিন শারীরিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আরোগ্য লাভ আর সম্ভব নয়। তার  অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও ঠিকমতো কাজ করছে না। পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধানের জীবনের জন্যে সবার কাছে শুভ কামনা প্রার্থনা করেছে তাঁর পরিবার। 

    [tw]


    [/tw]

    মুশারফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এপিএমএল) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, “প্রাক্তন সামরিক শাসককে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক অথবা তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখার খবরটি সঠিক নয়।” দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, অ্যামাইলয়ডোসিসে আক্রান্ত পারভেজ মুশারফের চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। 

    আরও পড়ুন: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    কী এই অ্যামিলয়ডোসিস?

    যুক্ত রাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, শরীরে অ্যামিলয়ড নামে এক বিরল প্রোটিন বাড়তে শুরু করলে সেই অবস্থাকে অ্যামিলয়ডোসিস বলে। হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি, শরীরের যেকোনও জায়গায় বৃদ্ধি পেতে পারে এই প্রোটিন।  

    কীভাবে হয় এই রোগ?

    বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এই রোগ। কারও কারও ক্ষেত্রে জিন মিউটেশনের ফলে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারণ আজানা।

    রোগের লক্ষণ?

    দুর্বলতা, দ্রুত ওজন হ্রাস, পেট-হাঁটু-গোড়ালি-পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ বেগুনী হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এই রোগের লক্ষণ।

    চিকিৎসা

    এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। কেমো থেরাপিতে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়।

     

     

     

LinkedIn
Share