Tag: PLA

PLA

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arunachal Pradesh: ‘‘চিনের দাবি অবৈধ’’, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অংশ, বলল আমেরিকা

    Arunachal Pradesh: ‘‘চিনের দাবি অবৈধ’’, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অংশ, বলল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতেরই অংশ, এনিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই মত আমেরিকার। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে অরুণাচল নিয়ে চিনের দাবি সম্পূর্ণ অবৈধ বলে জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও আমেরিকার এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, ভারত-চিন সীমান্ত প্রশ্নে আমেরিকার মতদানের প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অবশ্য আগেই অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিয়েছিল।

    কী বলল আমেরিকা

    ভারতীয় ভুখন্ড হিসাবে অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি মার্কিন সরকারের (US State Department) মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল (Vedant Patel) জানান, সীমান্ত পেরিয়ে কোনও ধরনের উস্কানি কিংবা একতরফা সিদ্ধান্ত বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই মার্কিন আধিকারিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার এহেন দাবি চিনের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    চিনের দাবি

    আমেরিকা অরুণাচল (Arunachal Pradesh) নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পরই চিন এর নিন্দা করে। চিনের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন-ভারত সীমান্ত প্রশ্ন দুই দেশের মধ্যে একটি বিষয় এবং মার্কিন পক্ষের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। চিন এর তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় বিরোধিতা করে।” সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চিন। শুধু তাই নয়, জায়গাটির নাম ‘জাংনান’ বলেও মন্তব্য করেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল জাং শিয়াওজাং।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    ভারতের জবাব

    অরুণাচল (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাবি কোনওভাবেই মানা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। অরুণাচলের জনগণ আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং পরিকাঠামোগত প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে থাকবেন।’’ গত ৯ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অরুণাচল প্রদেশ সফরের বিরুদ্ধে বেজিং তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। সেই আপত্তিকে ভারত বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। আর, তারপরই নানা রকম মন্তব্য করে চিন। ভারতও এর কড়া জবাব দেয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান অরুণাচলবাসী ভারত সরকারের পাশে রয়েছে। ভারত অরুণাচলের উন্নতির চেষ্টা করছে। চিন শুধুই দখল করতে চায় । যা বরদাস্ত করবে না দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: ‘‘অরুণাচল ভারতের ছিল, আছে, থাকবে’’, চিনকে কড়া বার্তা দিল্লির

    Arunachal Pradesh: ‘‘অরুণাচল ভারতের ছিল, আছে, থাকবে’’, চিনকে কড়া বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের ছিল, আছে ও থাকবে। এই বিষয়ে কোনও অযৌক্তিক দাবিকে মান্যতা দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এ নিয়ে ফের স্পষ্ট বার্তা দিল বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। আমরা চিনা সামরিক বিভাগের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি নজরে রেখেছি।’’

    কী বলেছে চিন

    অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) তাদের অংশ বলে দাবি করে বসেছে চিন (India-China Conflict)। এবার আর কূটনৈতিক স্তরের কেউ নয়। চিনের সেনাবাহিনী এই দাবি করেছে। সোমবার চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অরুণাচলকে ‘চিনা ভূখণ্ডের অংশ’ বলে চিহ্নিত করেছিল। মঙ্গলবার তার কড়া জবাব দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত ৯ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অরুণাচল প্রদেশ সফরের বিরুদ্ধে বেজিং তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। সেই আপত্তিকে ভারত বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। আর, তারপরই রবিবার চিনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে অরুণাচল প্রদেশ তাদের ভূখণ্ড। চিন অরুণাচল প্রদেশের অন্য নাম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বারবার নিজেদের ম্যাপে অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করে চিন বোঝাতে চায় যে, ওই অঞ্চল তাদের। বারবারই যার প্রতিবাদ করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: বানচাল নাশকতার ছক, ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র সীমানায় পুলিশের গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

    ভারতের জবাব

    অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি চিন। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এই দাবিকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দিল্লির তরফে বলা হয়েছে অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ভারতেরই।  বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, এই ব্যাপারে চিনকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তার ‘বাস্তব অবস্থান’ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।

    এই ব্যাপারে জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের অযৌক্তিক দাবি লক্ষ্য করেছি। এই বিষয়ে চিন বারবার ভিত্তিহীন যুক্তি দিচ্ছে। বারবার ভিত্তিহীন যুক্তি দিলেই কোনও কিছু বৈধ হয়ে যায় না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। অরুণাচলের জনগণ আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং পরিকাঠামোগত প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে থাকবেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ভারত মহাসাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজ খুঁজতে ভারতীয় নৌসেনার সাহায্য নিল চিন!

    Indian Navy: ভারত মহাসাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজ খুঁজতে ভারতীয় নৌসেনার সাহায্য নিল চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বারবার সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করলেও, বেজিং-কে মানবিক সহায়তা দিতে পিছপা হল না ভারত। বুধবারই, ভারত মহাসাগরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিনের একটি মাছ ধরার জাহাজ। জাহাজটিতে ৩৯ জন নাবিক ছিলেন বলে জানা গেছে। ‘লু পেং ইউয়ান ইউ ০২৮’ নামে ওই জাহাজে শুধু চিনা নয়, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের নাগরিকরাও ছিলেন। ডুবে যাওয়া জাহাজটির যাত্রীদর উদ্ধারের জন্য ভারত, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সহায়তা চেয়েছিল বেজিং। সময় ব্যয় না করে দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়াল ভারত (Indian Navy)।

    অনুসন্ধানে ভারতীয় নৌসেনা 

    ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) জানিয়েছে, ভারত থেকে প্রায় ৯০০ নটিক্যাল মাইল দূরে এয়ার মেরিটাইম রিকনস্যান্স ইকুইমেন্ট মোতায়েন করেছে। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নিখোঁজদের মধ্যে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর পি৮আই এয়ারক্রাফ্ট। ইতিমধ্যে জাহাজের একাধিক সমাগ্রি চিহ্নিত করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী (Indian Navy)।

    বৃহস্পতিবার (১৮ মে), ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও পি৮আই বিমান ওই অঞ্চলে একাধিকবার এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছে। বেশ কিছু বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি সম্ভবত ডুবে যাওয়া জাহাজটির অংশ ছিল। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে, কাছাকাছি থাকা পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর জাহাজগুলির অনুরোধে, ভারতীয় বিমান থেকে ঘটনাস্থলে এসএআর (SAR) যন্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য এবং দায়িত্বশীল অংশীদার হিসাবে ভারতের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর জন্য ভারতীয় নৌসেনা ওই এলাকার অন্যান্য ইউনিটগুলির সঙ্গে হাত মিলয়ে স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট প্রচেষ্টাকে সমন্বিত করেছে এবং চিনা নৌবাহিনীর রণতরীগুলিকে ওই স্থানে আসতে সাহায্য করেছে।”

    আরও পড়ুন: চার দিনের ত্রিদেশীয় সফর প্রধানমন্ত্রী মোদির! আজ যাত্রা শুরু

    সাহায্যের হাত অস্ট্রেলিয়ার

    চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম তরফে জানানো হয়েছে যে দুর্ঘটনাগ্রস্থ জাহাজের নিখোঁজ নাবিকদের মধ্যে ১৭ জন চিনের নাগরিক। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১৭ জন এবং ফিলিপিন্সের ৫ জন নাগরিক রয়েছেন। এদিনই নিখোঁজ ক্রু সদস্যদের দুই জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তবে মৃতদেহগুলি কোন দেশের নাগরিকদের, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ক্যানবেরায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান এদিন জানিয়েছেন, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ থেকে ৫,০০০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাহাজটি ডুবে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি বিমান এবং চারটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) মহাসাগরে ফের চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজ (Spy Ship)! এর আগে একবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ভারত। সেই সময়ও ভারত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫-কে। দিন কয়েকের মধ্যেই ভারত ফের অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে। সেই কারণে বঙ্গোপসাগরকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। তার আগেই ভারত মহাসাগরে ফের হাজির চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫। বারবার একই গুপ্তচর জাহাজ পাঠানোয় চিন্তা বাড়চ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করার কথা অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    নৌবাহিনীর দাবি…

    ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি, চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুন্দ প্রণালীতে রয়েছে সেটি। চলতি বছরের অগাস্টে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে যে চিনা গুপ্তচর জাহাজটি নোঙর করেছিল, এটা সেটাই। জানা গিয়েছে, এই জাহাজটির ওজন ২০ হাজার টন। এতে রয়েছে একটি বড় অ্যান্টেনা, অত্যাধুনিক সেন্সর এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। জাহাজটিতে ৪০০রও বেশি নাবিক রয়েছেন। চিনের এই জাহাজটি ইউয়ান ওয়াং শ্রেণির চারটি জাহাজের মধ্যে একটি। এই জাহাজ উপগ্রহ এবং আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারদর্শী।

    ভারত সরকারের দাবি, অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। এই পাল্লার মধ্যে চলে আসবে পাকিস্তান এবং চিন (China)। অনুমান, অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চিনে। তাই কাছ থেকে অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা ‘চাক্ষুষ’ করতে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে জাহাজটি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    যদিও গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ। তাদের দাবি, জাহাজটি গবেষণামূলক কাজের জন্য রাখা হয়েছে। তবে তাতে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ভারত। তাই অগ্নি ৫ পরীক্ষার নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়েও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, চিনের (China) পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌশক্তি গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্ব বৃহৎ। এই নৌ-বাহিনীর অধীনে রয়েছে ৩৫৫টি যুদ্ধ জাহাজ।

     

        দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Naccy Pelosi) সফর ঘিরে ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের চারপাশে অন্ততঃপক্ষে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিন (China)। চিনা ফৌজ পিপলস অফ লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে জানানো হয়েছে, সবকটি তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। জাপানও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (EEZ)। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি গিয়েছেন জাপানে। তার পরে পরেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে তারা। প্রয়োজনে জোরপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও তারা প্রস্তুত বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে চিন। এরই পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পঁচিশ বছর পরে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসেন কোনও পদস্থ মার্কিন কর্তা। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।

    এদিকে, জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রভাব পড়েছে জাপান এবং চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগে থেকে স্থির করা দু দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

     

  • Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ভিক্ষা করবে না ভারত (India)। পাকিস্তানের (Pakistan) পাশাপাশি চিনকেও (China) কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তিনি বলেছেন, শান্তির জন্য কোনও অবস্থাতেই ভারত আর পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হবে না। সতর্ক করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সামনে বন্ধুত্বের হাতও বাড়িয়েছেন ডোভাল। তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু জঙ্গিদের মদত কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। শান্তি ভিক্ষার কোনও প্রশ্নই নেই। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণে তৈরি। সময় মতো যোগ্য জবাবও দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় (Pulwama) সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরের ‘মুড’ অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডোভাল। তিন বছর আগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) চল্লিশের বেশি জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পরে ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে টেনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, “পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপকে এখন আর কেউ সমর্থন করে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) মানুষও শান্তি চায়। বনধে কাশ্মীরে কোনও প্রভাব না পড়াটা তার বড় উদাহরণ। এটা ঠিক, এখনও কিছু যুবককে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু আমরা তাদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব।”

    পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন অজিত ডোভাল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “সীমান্ত অতিক্রম করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। নিজেদের সীমায় থাকলে ভারত সকলের বন্ধু। না হলে কঠিন পদক্ষেপ নিতে ভারতও প্রস্তুত।’ 

    চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ (Border Dispute) নতুন নয়। তবে সম্প্রতি তা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। প্যাংগংয়ের হৃদের (Pangong Tso) কাছে নতুন সেতু তৈরি করছে চিন। এই প্রসঙ্গে ডোভালের বক্তব্য, “চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আমাদের এই টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। তবে ভারত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বার বার বৈঠক হয়েছে। এর পরেও যদি সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে ভারত নিজের মতো করেই জবাব দেবে।”

  • India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (East Ladakh) অব্য়াহত চিনা উস্কানি। গত মাসেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) কাছে যুদ্ধ বিমান (Fighter Aircraft) উড়িয়েছে লালফৌজ (Red Army)। এই আবহেই সামরিক স্তরে ১৬ রাউন্ডের বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। সেই বৈঠকের এক সপ্তাহই পেরোয়নি আবার প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চালাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)।

    চিনের সংবাদ মাধ্যমে এই সেনা মহড়ার একটি ৩৩ সেকেণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ প্যাংগংয়ের উপর চিনা ফৌজের জিনজিয়াং শাখার কমান্ডাররা মহড়া চালাচ্ছে। জেড-১০ আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলি এই প্রথমবার সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। আগে এই হেলিকপ্টারগুলি শুধু সেনা নিয়ে নানা প্রান্তে যাতায়াত করত।

    ভারতচিন (India China Relation) সম্পর্ক বরাবরই নাতিশীতোষ্ণ। পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে উত্তেজনা কমাতে  সেনাস্তরের ১৬তম বৈঠকেও স্থায়ী সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে ঐক্যমত ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বিবৃতিতে ভারত-চিনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজতে দু’পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা ফৌজের এই পদক্ষেপ ভালভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা অবস্থান নিয়ে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা দুই বছর কাটার পরও মেটেনি। এর আগেও একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় বসেছিল ভারত ও চিন। কিন্তু বৈঠকের পরই চিনের তরফে উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। লাদাখের ডেমচক, গোগরা, দেপ সাং-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে যেসমস্ত জায়গায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য ভারতীয় সেনার তরফে চিনকে চাপ দেওয়া হয়। যদিও চিন কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে হাঁটতে চায়নি। তবে ভারতও যে আর চিনের কাছে শান্তি ভিক্ষা করবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা যুদ্ধবিমানের কার্যকলাপ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি (Air Chief Marshal VR Chaudhari)। চিনা যুদ্ধবিমান ভারতের সীমায় এলেই, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

  • Pangong Tso Bridge: লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা! প্যাংগংয়ে চিনের নতুন সেতু নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনা

    Pangong Tso Bridge: লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা! প্যাংগংয়ে চিনের নতুন সেতু নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual Control) চিনা সেনার (Chinese army) সক্রিয় গতিবিধি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে,প্যাংগং লেকের (Pangong Tso) কাছে বড় একটি সেতু নির্মাণ শুরু করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মি (PLA)। এই সেতু দিয়ে অনায়াসে ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধের সাঁজোয়া যান চলতে পারবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। তবে চিনের (China) পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক ভারতও (India)। কোনওরকম অনুপ্রবেশ দেখলে প্রতিবেশী দেশকে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা (Indian Army) এমনটাই জানিয়েছেন নয়া সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande)।
     
    চলতি মাসের শুরুতে লাদাখ সফরে যান সেনাপ্রধান। পূর্ব লাদাখে সেনার অবস্থান এবং চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সামরিক কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সেনাপ্রধানের দাবি, সীমান্ত এলাকায় চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না। তাঁর অভিমত, ‘‘ইন্দো-চিন সীমান্তে (India China border) যে অবস্থা রয়েছে তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের সৈন্যরাও কৌশলগত সঠিক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশীর নিয়মিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকা এখন শান্ত।’’ তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনা প্রস্তুত রয়েছে তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই এলাকায় অতিরিক্ত সৈন্য এবং অস্ত্র মজুত করেছি। এর সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।’’

    সম্প্রতি লাদাখ সফরে গিয়ে প্যাংগং সো-র উপর চিনের নয়া সেতু নিয়ে সেনা-আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মনোজ পাণ্ডে। সেনা সূত্রে খবর, প্যাংগং সংলগ্ন যে এলাকা ১৯৬২ সাল থেকে চিনের দখলে, সেখানে এর আগেও ২০২১ সালের শেষের দিকে একটি সেতু নির্মাণ করেছিল পিএলএ। সেই সেতুর ঠিক পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে নয়া আরও বড় সেতুটি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এই দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে চিনা সামরিক বাহিনী। এই সেতু নির্মাণ হলে ভারত সীমান্তের কাছে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবে চিনা ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সাজোঁয়া যান।

    এদিকে ভারতও প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্যাংগং লেকের দক্ষিণাঞ্চলের কাছে পাহাড়গুলিতে ভারতীয় সেনা মোতয়েন থাকায় চিন খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে। লাদাখ সেক্টরে উপস্থিত রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বড় রেজিমেন্ট। তাই চিনের উপর ভারতও কড়া নজর রেখে চলেছে।

LinkedIn
Share