Tag: PM Modi-Sashi Tharoor

  • Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শশী বলছেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরপেক্ষ অবস্থানের বিরোধিতা করে চরম ভুল করেছিলেন তিনি। সেকথা মনে পড়লে মাথা নত হয়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi-Sashi Tharoor) নীতি একেবারে সঠিক বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শশী সম্প্রতি ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে একটি আলোচনা সভায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ থাকার মোদির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন।

    রাইসিনা ডায়লগে শশী

    রাইসিনা ডায়ালগে একটি প্যানেল আলোচনায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, এই অবস্থান ভারতকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যে দুটি দেশ ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। শশী বলেন, “যুদ্ধ শুরুর সময় আমিই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানাদারি নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকার সমালোচনা করেছিলাম। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি দেখে নিজেই লজ্জিত বোধ করি সেদিনের আচরণের জন্য। সেদিন বিরোধিতার জন্য নিজেকেই ঢোঁক গিলে নিতে হচ্ছে।” শশী থারুরের এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এটা দেখে ভালো লাগছে যে, কংগ্রেসের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মান্যতা দিচ্ছেন। স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রের বিদেশনীতিকে প্রশংসা করার জন্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে তাঁর দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলেও আশা বিজেপি নেতাদের।

    মোদি-নীতির প্রশংসা

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বুধবার বলেছেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির “স্বাভাবিক প্রকাশ”। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিবেদী মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাক্ষাৎ করেছেন। ত্রিবেদী বলেন, “শশী থারুর আজ রাইসিনা ডায়ালগে যা বলেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অসাধারণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক নীতির স্বাভাবিক ফল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কেউ এটি বুঝতে পারবেন। মোদি একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উভয়ের সঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কথা বলেছেন এবং উভয়ের কাছ থেকে সমান গুরুত্ব পেয়েছেন।” ত্রিবেদী আরও বলেন, “শশী থারুরের মন্তব্য মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।” থারুরের মন্তব্যকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দেখছে, বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদির কূটনীতি ভারতকে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে। মোদির নীতির ফলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতা ও প্রভাব বেড়েছ। থারুরের মন্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

    রাহুলকে আক্রমণ

    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দূরদৃষ্টি বিরোধী দলের নেতারাও প্রশংসা করছেন, স্বীকার করছেন। রাহুল গান্ধী, চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতা ও রঘুরাম রাজনের মতো লোকেরাও এখন তাঁদের কথা নিজেরাই গিলে নিচ্ছেন। অর্থনীতি, ইউপিআই, উৎপাদন শিল্প এবং আরও বহু কিছুতে দেশের অবস্থান নিয়ে তাঁরা অতীতের মন্তব্য নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “থারুরের একের পর এক মন্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের ভিতরে বিদ্রোহের ছুরির ফলা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেস এবার হয়তো দলীয়ভাবে জানাবে শশী থারুর যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। যদিও সংসদে এই বিষয়ক আলোচনায় থারুরকেই দল দায়িত্ব দিয়েছিল।”

LinkedIn
Share