Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রায়ই বলেন, ‘‘আমাদের দুটি অপরিসীম শক্তি আছে। একটি হল জনসংখ্যা এবং অপরটি গণতন্ত্র। পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি যুবক এখন রয়েছেন ভারতে। সরকার সম্পূর্ণভাবে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়।’’ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রূপায়ণের ফলে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে গেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিকে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তির ওপর এবং বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৯ বছরে রেকর্ড সংখ্যায় আইআইটি, আইআইএম, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশ জুড়ে স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এখনও অবধি ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবক স্কিল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই রোজগার মেলার আয়োজন করেছে। ১০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের যুবসমাজকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহ দিতে আনা হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট। কর্মসংস্থান তৈরির বদলে ছোট বড় উদ্যোগপতি নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্র। যাতে বর্তমান যুবসমাজ চাকরিমুখী হওয়ার থেকে চাকরিদাতা হতে পারে। এই উদ্দেশ্যে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে ২০১৬ সাল থেকে।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, যুব সমাজের জন্য মোদি সরকারের (PM Modi) প্রয়াস  

    ১) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুব অ্যাথলেটিকদের তুলে আনা হচ্ছে খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রচেষ্টার ফল ভারত দেখেছে টোকিও অলিম্পিকে, ২০২১ সালে। এর ফলে অলিম্পিকে ৭টি মেডেল পায় ভারত।

    ২) প্রায় ৪০ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হল। শিক্ষাকে সময়োপযোগী এবং কর্মমুখী করে তোলার এক অনবদ্য প্রয়াস মোদি সরকারের।

    ৩) যুব উদ্যোগপতি বানাতে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট  চালু করা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকেই।

    ৪) ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবককে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীনে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

    ৫) গত ৯ বছরে নতুন সাতটি আইআইএম চালু করা হয়েছে।

    ৬) প্রধানমন্ত্রী শ্রী যোজনার আওতায় ১৪,৫০০ স্কুলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

    ৭) ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২৩ লক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাকরি তৈরি করা গেছে, স্টার্ট আপ প্রজেক্টের মাধ্যমে।

    ৮) অধিক সংখ্যায় AIIMS তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশে যার সংখ্যা ২৩টি।

    ৯) ৭ টি নতুন আইআইটি তৈরি হয়েছে। সারা দেশে আইআইটির সংখ্যা এখন ২৩। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছিল ১৬ টি আইআইটি। অন্যদিকে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছে ৭ টি আইআইটি।

    ১০) পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৪৬৬। অন্যদিকে বিগত ৯ বছরে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৬২৩। বর্তমানে মোট আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ৫২ হাজার ১৩৯।

    ১১) পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৪১ টি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। ৯ বছরের মোদি সরকারের জমানায় কলেজের বাড়ানো হয়েছে ৭০০টি। বর্তমানে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১,৩৪১।

    ১২) সারা দেশে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৭২৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। মোদি জমানায় গত ৯ বছরে আরও ৩৯০ টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১,১১৩।

    ১৩) ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে দেশের কমনওয়েলথ গেমসে (২০২২) ৬১টি মেডেল এনেছেন আমাদের যুব ক্রীড়াবিদরা।

     

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সরকারের ৯ বছর! বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের সূচনা মোদির

    BJP: সরকারের ৯ বছর! বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে বুধবারই রাজস্থানের আজমিরের ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। চলবে এক মাস। ৫৪৩ টি লোকসভা এলাকায় পৌঁছাবে এই অভিযান।

    জন সম্পর্ক অভিযানের খুঁটিনাটি

    ৩১ মে থেকে শুরু হয়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এমনটাই জানা গেছে বিজেপি (BJP) সূত্রে। মোদি সরকারের ন’বছরের সাফল্য গাথা তুলে ধরবে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, মহা-জনসম্পর্ক অভিযানে হবে ৫১টি মহামিছিল। ৫০০ র বেশি স্থানে জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। ৬০০ সাংবাদিক সম্মেলন হবে পাঁচশোর বেশি লোকসভা কেন্দ্রে। ৪ হাজার বিধানসভা কেন্দ্রকেও স্পর্শ করবে এই জনসংযোগ অভিযান। ৫ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করবে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বলছে বিজেপি (BJP)?

    মহা-জনসম্পর্ক যাত্রার কনভেনারের দায়িত্বে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। তিনি বলেন, ‘‘২৮৮ জন প্রথম সারির বিজেপি নেতা এবং ১৬ লক্ষ পার্টির কার্যকর্তাকে নিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি বুথে পৌঁছাবে আমাদের মহা-জনসম্পর্ক যাত্রা। সেখানে আমাদের কর্মীরা বার্তা দেবেন কীভাবে দেশের জন্য উন্নয়ন করেছে ৯ বছরের মোদি সরকার।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই মহা-জনসম্পর্ক যাত্রায় আমাদের পার্টি নেতৃত্ব এক হাজারেরও বেশি বিশিষ্ট পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। শিক্ষক, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সমেত সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে সেমিনার করা হবে।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, দরজায় দরজায় প্রচারের কাজ চলবে ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে। দলের যুব শাখা মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়ার কথা তুলে ধরবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতিটি বুথে যাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। দলের ৩০০ জন সাংসদ এবং ১৪০০ র ওপর বিধায়কই এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী নতুন ভোটারদের নিয়েও সম্মেলন করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলি, যারা বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, তাদের কাছেও পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফর শেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। এদিন বিমানবন্দরের পা রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের পর্যটকের কাশ্মীর দেখা উচিত”, বললেন জি২০-র প্রতিনিধিরা

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করতে দেখা যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘জনগণ আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি কোভিড ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে দিয়েছি। এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই, এই ভূমি হল গৌতম বুদ্ধের। এই ভূমি হল মহাত্মা গান্ধীর। আমরা আমাদের বিরোধীদেরও খেয়াল রাখি। আজকে সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যখন আমি আমার দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমি বিশ্বের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। আমার এই আত্মবিশ্বাস আসে। কারণ আমি জানি, আপনারা একটা সরকার গঠন করেছেন, যে সরকারের সঙ্গে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জনসমর্থন রয়েছে। আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য আসেননি, এসেছেন দেশের জন্য।’’

    অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণও টানেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী সিডনির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদাহরণ টানেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্য়ান্থনি আলবানিজই উপস্থিত ছিলেন না, দর্শকাসনে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও সমস্ত বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বার্থে। এটাই গণতন্ত্রের শক্তি।’’ অনেকে মনে করছেন, এভাবেই বিরোধীদের ঠুকলেন তিনি।

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন মোদি। প্রথমে তিনি জাপানে যান জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে পাপুয়া নিউগিনি ও শেষে অস্ট্রেলিয়া যান। প্রতিটি দেশেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। পাপুয়া নিউগিনি ও ফিজির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার। শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের হিরোসিমায় জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি (PM Modi)। খাদ্য নিরাপত্তা, রাসায়নিক সার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ওই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক সারের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা অবলম্বন করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ওপরও জোর দেন তিনি।

    জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১০টি পয়েন্টের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে ছিল খাবার নষ্ট হওয়ার প্রসঙ্গও। রায়াসনিক সার নিয়ে মেরুকরণের কথাও বলেন। তুলে ধরেন খাদ্য শস্য হিসেবে মিলেটের উপকারিতা এবং প্রাসঙ্গিকতার কথা। উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন তিনি। সওয়াল করেন ডিজিটাল হেল্থ কেয়ারের পক্ষে। উন্নত বিশ্বের (G-7) দেশগুলির মডেল অনুসরণ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। ভোগবাদে প্রাণিত উন্নয়নের মডেলও বদলে গিয়েছে।

    রাসায়নিক সার প্রসঙ্গে কী বললেন মোদি?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজের একটি মানুষও, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকও যেন প্রতিদিন মুখে দু মুঠো অন্ন তুলতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্বে রাসায়নিক সারের জোগান আরও শক্তপোক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক যেসব বাধা আসবে, তা দূর করতে হবে। আমাদের সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    এদিন প্রধানমন্ত্রী খাবার নষ্টের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, খাবার নষ্ট বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের সমবেত দায়িত্ব। বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা আমাদের করতেই হবে। জি-৭ (G-7) এর সদস্য দেশগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান। বিশ্বের ধনীতম দেশগুলি জি-৭ এর সদস্য। এ বছর জি-৭ সম্মেলেন আয়োজক দেশ জাপান। সেই জাপানের তরফ থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারত এবং আরও সাতটি দেশকে। এদিন গণতন্ত্র, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারে প্রযুক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া (BJP) ঝড়। শনিবার ফল বের হয় ওই নির্বাচনের। তার পরেই যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এই ফলই তার প্রমাণ। ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কর্মী এবং পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ১৭টি পুরসভার মধ্যে মেয়র পদে জিতেছে ১৭টিতেই। অযোধ্যা, ঝাঁসি, বরেলি, মথুরা-বৃন্দাবন, মোরদাবাদ, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, শাজাহানপুর এবং গাজিয়াবাদে জয়ী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    উত্তরপ্রদেশে দলের এই বিরাট জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব বিজেপির তরফে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। নির্বাচনের আগে ১৩ দিনে ৫০টি জনসভা করেছেন তিনি। বস্তুত এ রাজ্যে বিজেপির প্রচারের মুখ ছিলেন তিনিই। তাই প্রধানমন্ত্রীও তাঁর প্রশংসা করেছেন। দু দফায় হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। ভোট (PM Modi) হয়েছে মেয়র, নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন এবং নগরপালিকা পরিষদ চেয়ারপার্সন বাছাই করতে। সর্বত্রই ক্লিন বোল্ড হয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মূলত দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

    একটি হল, উত্তরপ্রদেশে অপরাধী এবং মাফিয়াদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টি হল, অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত, ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে ১৭টি মেয়র পদে। নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪টি আসন গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। নগর পালিকা পরিষদ নির্বাচনে ১৯৯টি আসনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রাজ্যের যে ১৭টি নগর নিগমে বিজেপি (PM Modi) জিতেছে সেগুলি হল রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর শহর গোরক্ষপুর এবং অযোধ্যা। সাহারানপুর, আগ্রা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলি, শাহজাহানপুর এবং আলিগড়ও রয়েছে এই তালিকায়। এই নগরনিগমগুলির মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরেটর পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনও গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: কর্নাটক (Karnataka) ক্যাডারের আইপিএস (IPS) অফিসার প্রবীণ সুদ (Praveen Sood) হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) নয়া ডিরেক্টর। রবিবার এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সিবিআইয়ের বর্তমান প্রধানের। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নয়া সিবিআই প্রধান নির্বাচন। সেই জন্যই শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন সিবিআই প্রধান পদে তিনজনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছিল। এঁরা হলেন, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান।

    সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর…

    বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে সিবিআই ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। ২৫ মে শেষ হতে চলেছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বসেছিল বৈঠক। রবিবার ঘোষণা করা হল প্রবীণের নাম।

    বস্তুত সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন প্রবীণ। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রবীণ আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী। ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার তিনি। এর আগে টানা তিন বছর ধরে কর্নাটকের ডিজিপি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের মে মাসে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিবিআই ডিরেক্টর মনোনীত হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে হবে কমপক্ষে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দুর্নীত ও অর্থনৈতিক নানা অপরাধ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করেন সিবিআই প্রধানকে। এই পদে কাউকে মনোনীত করা হয় দু বছরের জন্য। পরে প্রয়োজনে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে তাঁর মেয়াদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদান (Sudan Crisis) থেকে ভারতীয়দের (India) উদ্ধার কাজ শুরু হল। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রপ্রসাদ জয়সওয়াল, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। তার পরেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২টি দেশের ৬৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও রয়েছেন।

    দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে (Sudan Crisis) উদ্ধার কাজ…

    সৌদি আরব মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ জন সৌদি নাগরিক নিরাপদে পৌঁছেছেন। কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, কানাডা এবং বুরকিনার ৬৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদানে (Sudan Crisis) যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের আকস্মিকভাবে সরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। সেনাবাহিনী ও আধাসেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। দু পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০০ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের জেরেই সুদানে (Sudan Crisis) শাসন ক্ষমতা হাত বদল হয়েছিল। সেবার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। ডাগলো ছিলেন সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর আরএসএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ ও ডাগলো কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রশি, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানা গিয়েছে, সুদানে বিপন্ন ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে তৎপর প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে সুদানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন। দক্ষিণের এই রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারক কারা, সোমবার তার তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। ১০ মে হতে চলেছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই কোমর কষে নামছে পদ্ম শিবির। জানা গিয়েছে, তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতানেত্রীর। এদিন যে ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির, তা থেকে স্পষ্ট, কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    উত্তর ভারতে একের পর রাজ্য দখল করতে সক্ষম হলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্ম শিবির। কর্নাটককে (Karnataka Assembly) বলা হয় দক্ষিণের গেটওয়ে। তাই কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে কোমর বেঁধে নামছেন বিজেপি নেতারা। তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীশ গড়করি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রমুখের। তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের নামও। বিজেপির ওই তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহান, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, কেএস এসারাপ্পাও রয়েছেন ওই তালিকায়। বর্তমানে কর্নাটকে (Karnataka Assembly) প্রচারে রয়েছেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। দু দিনের সফরে কর্নাটকে রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে গিয়েছেন নাড্ডা। ২১ এপ্রিল থেকে তিনদিনের কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যে দুটি রোড শোয়ে অংশ নেবেন শাহ। গত মাসে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন শাহও। এদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই এবং ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের। প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। ভোট হবে এক দফায়। ফল বেরবে ১৩ মে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ফিরল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্মৃতি! ফের সরকারি অনুষ্ঠানে দেওয়া হল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তার জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে’র যাত্রার সূচনা করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে। রাজ্যপালের অনুরোধে দিলেন বক্তৃতাও। তবে সেটাও করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিসদৃশ আচরণে তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে এদিন ভোরে মা হীরাবেন মোদি প্রয়াত হওয়ায় ভার্চুয়ালি ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। সেই সময় দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। দর্শকদের থামানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    রেলের পদস্থ আধিকারিকরাও চেষ্টা করেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মঞ্চে ওঠেননি। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মা হীরাবেন মোদির উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা। আলাদা করে উল্লেখ করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর কথাও। এদিন ভার্চুয়ালি এই মেট্রোর সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা স্বয়ং। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠতেই দর্শক আসনে থাকা দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। ক্ষোভে সেদিন বক্তৃতা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gujarat Election: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    Gujarat Election: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ১৮২। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১৫৭টি আসনে (Gujarat Election) এগিয়ে পদ্ম প্রার্থীরা। এ থেকে স্পষ্ট এবারও গুজরাটের রশি যেতে চলেছে বিজেপির (BJP) হাতে। গতবার ১২৭টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি।

    রেকর্ড…

    এতদিন রেকর্ড ছিল ১৪৭টি আসনে জয়ের। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের (Congress) মাধব সিং সোলাঙ্কির নেতৃত্বে কংগ্রেস পেয়েছিল ওই সংখ্যক আসন। এতদিন সেটাই ছিল গুজরাটের সর্বকালীন রেকর্ড। এবার সে সব রেকর্ড ছাপিয়ে নয়া রেকর্ড গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম-শিবির।

    শুধু তাই নয়। এই নিয়ে টানা সাতবার ক্ষমতা দখল করল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে টানা গুজরাটের কুর্সিতে রয়েছে বিজেপি। তার আগে ১৯৯৫ সালে ক্ষমতায় এসেছিল পদ্ম শিবির। তবে সেবার সরকার টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পদ্ম শিবিরকে। সপ্তমবারের জন্য গুজরাটের তখতে যে বিজেপিই ফিরছে, সে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। একাধিক একজিট পোলেই সেই ইঙ্গিত ছিল। দিনের শেষে তা উৎসবে পরিণত হয়।

    উৎসবের মেজাজ বিজেপি সদর দফতরে

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে গেরুয়া-ঝড়ের গতি। রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে উৎসবের মেজাজ। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে সন্ধে আটটায় বার্তা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। আর তার আগে সাজো সাজো রব দিল্লিতে বিজেপি অফিসের বাইরে। নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। গেরুয়া পতাকা, গান-বাজনা সবই চলছে। সব মিলিয়ে যেন এক উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে দিল্লিতে বিজেপির সদর অফিসের সামনে।

    ত্রিমুখী লড়াই

    গুজরাটে (Gujarat Election) এবার লড়াই হয়েছে ত্রিমুখী। বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির ছিল কংগ্রেসের পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও। দিল্লি পুরভোটে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে আপ। তবে দিল্লিতে ছাপ ফেলতে পারলেও, গুজরাটে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হতে হয়েছে কেজরির দলকে। এদিন বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ১৮২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে কেজরির দল। 

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election) হয়েছে দু দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১ ডিসেম্বর। পরের দফার ভোট হয়েছে ৫ তারিখে। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৩.১৪ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.১১ শতাংশ। গুজরাটে ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ রাজ্যেই দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতায় বসেছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা। তা সত্ত্বেও ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রীর পাশ থেকে সরে যাননি গুজরাটবাসী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যার ফসল এখনও ঘরে তুলছে গুজরাট বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share