Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সয়েছেন দীর্ঘ জেল যন্ত্রণা। বিদেশে কারাবাসের যে যন্ত্রণা তা ভাষায় বলে বোঝানো যায় না কাউকে। শেষমেশ মিলল মুক্তি। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন যে আট কর্মীকে বন্দি করেছিল কাতার, তাঁদের দেওয়া হয়েছে মুক্তি।

    “ভারত মাতা কি জয়”

    দেশে ফিরে তাঁরাই সমস্বরে বললেন, “ভারত মাতা কি জয়।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নামেও জয়ধ্বনি দেন তাঁরা। সোমবার ভোরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘কাতারে আটক আট ভারতীয় নাগরিক, যাঁরা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কাজ করছিলেন, তাঁদের মুক্তিকে ভারত সরকার স্বাগত জানায়। এঁদের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছেন। এই নাগরিকদের মুক্তি ও দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তের আমরা প্রশংসা করি।’

    কূটনৈতিক সাফল্য মোদির

    গত ডিসেম্বরে কাতারি আদালত আল দাহরা গ্লোবাল মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই আট ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড রদ করে। পরিবর্তে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কাতারে ধৃত নৌবাহিনীর এই (PM Modi) কর্মীরা হলেন, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাসিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের আদালত এঁদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলে, ভারত সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়। তার পরেই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দেওয়া হয় কারাদণ্ড। শেষমেশ মেলে মুক্তি। আটজন ছাড়া পেলেও, ভারতে ফিরেছেন সাতজন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর এক কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ ছাড়া আমাদের এখানে এসে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। ভারত সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” অন্য এক মুক্তি পাওয়া প্রাক্তন নৌবাহিনীর আধিকারিক বলেন, “আমি স্বস্তি বোধ করছি। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে আমি যারপরনাই খুশি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি (PM Modi) হস্তক্ষেপ না করলে, মুক্তি মিলত না। কৃতজ্ঞতা জানাই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে। মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর আর এক প্রাক্তন কর্তা বলেন, ভারতে ফিরতে আমাদের প্রায় আঠারো মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়া এটা সম্ভব হত না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ আসনের গণ্ডী  ছাড়াবে।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “বিরোধী দলগুলির নেতারাও বলছেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আসন পাবে ৪০০-র বেশি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলায় উপজাতি সম্প্রদায় আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার যেন প্রতিটি বুথে বিজেপির পক্ষে অতিরিক্ত ৩৭০টি ভোট পড়ে। তাহলেই লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হবে ৩৭০টি আসনে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এখন বিরোধীরাও বিজেপি সম্পর্কে বলতে শুরু করেছেন ‘আব কি বার চারশো পার’।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিশ্চিত যে বিজেপির পদ্ম চিহ্ন একাই ৩৭০ আসনের গণ্ডী ছাড়াবে।”

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি ঝাবুয়ায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে আসিনি। এসেছি, তাঁরা যে বিপুল ভোটে বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের জয়ী করেছেন, সেবক হিসেবে তাঁদের ধন্যবাদ দিতে।” প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে মধ্যপ্রদেশে কাজ করছে। এদিন জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।”

    আরও পড়ুুন: “আমরা চুড়ি পরে বসে নেই”, প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিরোধী কংগ্রেস দরিদ্র, কৃষক ও উপজাতিদের উপেক্ষা করেছে। কংগ্রেস গ্রাম, দরিদ্র ও কৃষকদের কথা মনে করে কেবল নির্বাচনের সময়। কংগ্রেসের লক্ষ্যই হল লুট এবং বিভাজন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভোটের জন্য সিকল সেল অ্যানিমিয়ার প্রচার করছি না, আমরা এটা করছি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আহার অনুদান যোজনায় উপকৃত হয়েছেন প্রায় দু লক্ষ মহিলা। এই প্রকল্পে পিছড়ে বর্গ সম্প্রদায়ের মহিলাদের পুষ্টি দানের লক্ষ্যে প্রতি মাসে খরচ করা হয় দেড় হাজার টাকা।” এদিন তিনি (PM Modi) ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের হাতে জমির অধিকারের রেকর্ডও তুলে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Acharya Krishnam: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, বহিষ্কৃত কংগ্রেসের আচার্য কৃষ্ণম

    Acharya Krishnam: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, বহিষ্কৃত কংগ্রেসের আচার্য কৃষ্ণম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হল কংগ্রেসের আধ্যাত্মিক গুরু আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমকে (Acharya Krishnam)। ছ’ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। বহিষ্কারের পর তিনি বলেন, “কোনওরকম আপোস করব না।” শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে কৃষ্ণম লেখেন, “রাম এবং রাষ্ট্র। কোনও আপোস করব না।” রবিবার তিনি জানান, এদিন দুপুরে কল্কি ধামে তিনি খুলবেন মনের ঝাঁপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পারেন কৃষ্ণম। বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থীও হতে পারেন পদ্ম চিহ্নে।

    মোদি সকাশে কৃষ্ণম

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা (Acharya Krishnam)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেখানেই সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা খুলে যায়। তার পরেই বিষোদ্গার করেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে হাত চিহ্ন নিয়ে কৃষ্ণম প্রার্থী হন লখনউ কেন্দ্রে। চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার তাঁর কেন্দ্র ছিল উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল। দু বারই পরাজিত হন তিনি। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যখন উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ ছিলেন, তখন তাঁকে সাংগঠনিক কাজে সাহায্য করতেন কৃষ্ণম।

    দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি কৃষ্ণম নানা সময় ভঙ্গ করেছেন দলীয় শৃঙ্খলা। উত্তরপ্রদেশের সম্ভালে কল্কিধামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যাতে উপস্থিত থাকেন, তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। দল বিরোধী কথাবার্তাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তার জেরেই বহিষ্কার করা হয়েছে কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতাকে। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বালক রামেরও। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সোনিয়া গান্ধী সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি কংগ্রেসের তরফে কেউ। এনিয়েও দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কৃষ্ণম।  

    আরও পড়ুুন: মোদি ম্যাজিকেই হবে বাজিমাত, ফের ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়

    কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) কেসি বেণুগোপাল বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বারংবার দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রমোদ কৃষ্ণমকে (Acharya Krishnam) ছ’ বছরের জন্য বহিষ্কারের যে প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস পাঠিয়েছিল হাইকমান্ডকে, তার প্রেক্ষিতেই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।”

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: মোদি ম্যাজিকেই হবে বাজিমাত, ফের ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়

    PM Modi: মোদি ম্যাজিকেই হবে বাজিমাত, ফের ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই লোকসভা নির্বাচন হলে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। মোদি (PM Modi) ম্যাজিকেই হবে বাজিমাত। সম্প্রতি ‘দ্য মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় এমনই তথ্য মিলেছে। ‘দ্য মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষাটি করা হয়েছে দেশের সব লোকসভা কেন্দ্রের ৩৫ হাজার ৮০১ জন ভোটারের ওপর। সমীক্ষা করা হয়েছে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেখানেই জানা গিয়েছে, মোদি ম্যাজিকে বাজিমাতের কথা।

    রাম মন্দির

    মোদি সরকারের (PM Modi) আমলে যে সুশাসন মিলেছে, তা তো স্পষ্ট জলের মতো। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে বালক রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠাই মোদি সরকারের মাস্টার স্ট্রোক। কয়েক বছর আগে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই মতো তৈরি হয়েছে মন্দিরও। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মতে, এই বিষয়টির জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব চেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

    ভারতের মর্যাদা

    তামাম বিশ্বে ভারতের মর্যাদা বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ মানুষ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে দেওয়াও মোদি সরকারের মুকুটে আর একটি পালক যোগ করেছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী (PM Modi) ১২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এটি মোদি সরকারের একটি মাস্টারস্ট্রোক। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯ শতাংশ পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ক্রেডিট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মোদি-স্তুতিও শোনা গিয়েছে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। নোটবন্দির জন্য ৬ শতাংশ এবং কোভিড মোকাবিলায় ৬ শতাংশ মানুষ মোদি-স্তুতি করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মোদি-প্রশস্তি গেয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫ শতাংশ মানুষ।

    আরও পড়ুুন: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    দেশ যে মোদিময়, তার ইঙ্গিতও মিলেছে সমীক্ষায়। বিজেপির তরফে করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদে মোদিকে দেখতে চাইছেন ৫৫ শতাংশ মানুষ। তাঁর পরেই রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দুত্বের এই ম্যাসকটকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন পাঁচ শতাংশ মানুষ। বাংলার ভোটারদেরও সিংহভাগ অংশও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারই দেখতে চাইছেন। ইন্ডি জোটের অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠেকাতেই প্রয়োজন কেন্দ্রের কুর্সিতে বিজেপির আসাটা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দেখতে চান বাংলার ২০-২৫ শতাংশ মানুষ। আর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ওই পদে দেখতে চান মাত্র ১০-১৫ শতাংশ মানুষ (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সপ্তদশ লোকসভার এই টার্ম দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গেমচেঞ্জার ছিল। সংবিধান মানুষকে যে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে, এই লোকসভা তা বাস্তবায়িত করেছে।” দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে’

    তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পেয়েছে। ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে। এই কাজ আমরা করে দেখিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। দেশমাতৃকা অনেক আতঙ্কবাদীর কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা এই সদনেই আইন তৈরি করেছি। এতে দেশের সেনার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তিন তালাকের মতো নিকৃষ্ট বিষয় থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিয়েছে লোকসভার এই টার্ম। যা চিরকাল লেখা থাকবে ইতিহাসে।”

    ‘নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে দেশে রিফর্ম, পারফর্ম ও ট্রান্সফর্ম হয়েছে। এই সপ্তদশ লোকসভায় দেশে একাধিক উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে দেশে সংশোধন হয়েছে। আর এর ফলেই দেশের রূপান্তর হচ্ছে। দেশে এক নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি গলি, পাড়ার ছেলেমেয়েরাও বলছে আগামী পঁচিশ বছরে দেশ বিকশিত ভারত হবে। আমরা কেউ কেউ সেই বিকশিত ভারত তৈরির স্বপ্ন নিজেদের সঙ্কল্প হিসেবে তৈরি করে ফেলেছি। যাঁরা সেই সঙ্কল্পে নেই, তাঁরা নিজেদের জীবদ্দশায় সেই বিকশিত ভারতের সাফল্য অনুভব করতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে হয়তো একটু টেনশনে রয়েছেন ভোট নিয়ে। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই নির্বাচনেও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট থাকবে। মজাদার আক্রমণ হয়েছে। আমি আরও আনন্দিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। লড়াইয়ের মোকাবিলা করেছি।” তিনি বলেন, “রাম মন্দির নিয়ে বক্তব্যের যে প্রস্তাব আজ এই সংসদ ভবনে রাখা হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করতে আরও সাহায্য করবে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এসেছে জি-২০ সম্মেলনে ভারতের সাফল্য, নয়া সংসদ ভবন নির্মাণের প্রসঙ্গও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    PM Modi: “তৃতীয় দফায় আরও বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃতীয় দফায় আরও বড়সড় সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে যে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, সে ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী ২০-৩০ দিনের মধ্যে কী কী কাজ করা হবে, সে ব্যাপারে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।

    রোডম্যাপ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃতীয় টার্মে আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দারিদ্র দূর করতে এবং ভারতের বিকাশের গতি আনতে নয়া প্রকল্পে গত দেড় বছর ধরে আমি কাজ করে চলেছি।” তিনি বলেন, “আমি একটা সম্পূর্ণ রোডম্যাপ তৈরি করছি, কোন অঞ্চলে কী কাজ করা হবে, তা নিয়ে। এজন্য আমি ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। আমি এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রেস বিবৃতি জারি করিনি। এই প্রথম আমি এ ব্যাপারে কথা বলছি। কাজ চলছে। আগামী ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই রোডম্যাপ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। নয়া ভারত সুপার স্পিডে কাজ করবে। এটা মোদির গ্যারেন্টি।”

    উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত

    তিনি (PM Modi) জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য সরকার একটা ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করছে। গত দশ বছরে মোদি সরকার যেসব কাজ করেছে, অনেক ক্ষেত্রে গত ৭০ বছরেও তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালের আগে সাত দশক ধরে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার রেল লাইনে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছিল। গত ১০ বছরে সরকার ৪০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রেল লাইনে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব’’, সংসদে বললেন অমিত শাহ

    দারিদ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব কারখানা ওয়াইন ও চিজ নিয়ে থাকত যেসব কারখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশে কীভাবে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে তাঁর সরকার।” তিনি বলেন, “আমি দারিদ্র থেকে উঠে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। তাই কীভাবে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আমি তা জানি। গত দশ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে তুলে এনেছি।” প্রধানমন্ত্রী জানান, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। সুযোগ ও আয় উভয়ই বাড়ছে। দারিদ্রের হার কমছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: ‘‘রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব’’, সংসদে বললেন অমিত শাহ

    Ram Mandir: ‘‘রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব’’, সংসদে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাব আনল মোদি সরকার। এই প্রস্তাবের জন্য চার ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হবে। রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) ভারতের প্রাচীন ও মহান সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এই বর্ণনা করা হবে এই প্রস্তাবে। এক এক করে বিজেপি সাংসদরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করছেন প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। বিকাল পাঁচটায় ধন্যবাদ প্রস্তাবে দুই কক্ষে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানা গিয়েছে এই ধন্যবাদ প্রস্তাবে থিম রাখা হয়েছে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং লোকসভায় এই প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যে এই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    হাজার বছরের ইতিহাসে লেখা থাকবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনটি 

    লোকসভায় রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অমিত শাহ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘২২ শে জানুয়ারি দিনটি আগামী হাজার হাজার বছর পর ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কারণ এই দিনেই সমস্ত রাম ভক্তদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে।’’ অমিত শাহ এদিনের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘রাম জন্মভূমির ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ১৫২৮ সাল থেকে এই যুদ্ধ চলছে। প্রায় ৫০০ বছর পর আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। আমি স্মরণ করতে চাই সমস্ত যোদ্ধাদের যারা রাম মন্দির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই স্বপ্ন মোদিজির আমলেই পূরণ হওয়ার কথা ছিল। রাম মন্দির নির্মাণকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়’। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘রাম ও রামায়ণ ছাড়া দেশ কল্পনা করা যায় না। দেশের সংবিধানের থেকে শুরু করে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ভারতের স্বপ্ন পর্যন্ত রামের নামেই গড়ে উঠেছে।’’

    ৩৩০ বছর পরে আইনি লড়াই শেষ হয়েছে

    অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রামায়ণকে কখনও আলাদাভাবে দেখা হয়নি। রামায়ণ অনেক ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মে উল্লেখ আছে। রাম ও রামায়ণ থেকে আলাদা দেশ কল্পনা করা অসম্ভব। ১৫২৮ সাল থেকে এই যুদ্ধ চলছে। কয়েক দশক ধরে লড়াই চলে আসছে । ১৮৫৮ সাল থেকে আইনি লড়াই চলছিল। ৩৩০ বছর পর, আইনি লড়াই আজ শেষ হয়েছে এবং রামলালা (Ram Mandir) তাঁর গর্ভগৃহের ভিতরে বসে আছেন। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি যা বলেন তাই বাস্তবে করে দেখান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘চলিয়ে, আপকো এক পানিশমেন্ট দেনা হ্যায়’’, আট সাংসদকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ মোদির

    PM Modi: ‘‘চলিয়ে, আপকো এক পানিশমেন্ট দেনা হ্যায়’’, আট সাংসদকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘চলিয়ে, আপকো এক পানিশমেন্ট দেনা হ্যায়’’, সংসদের আট সাংসদের উদ্দেশে একথা বলে, তাঁদেরকে নিয়ে ক্যান্টিনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। শুক্রবার বিভিন্ন দলের আট সাংসদকে নিয়ে এভাবেই  মধ্যাহ্নভোজ সারলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদের ক্যান্টিনে খোশগল্প করতে থাকলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই আট সাংসদকে খাওয়ালেন বিশেষ লাড্ডুও। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ওই সাংসদরা এই আমন্ত্রণ পান বলে খবর।

    কোন কোন সাংসদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে

    প্রসঙ্গত, মধ্যাহ্নভোজের আসরে বিজেপির সাংসদরা তো ছিলেনই, ওই আট জনের মধ্যে ছিলেন অন্য দলের সাংসদরাও। জানা গিয়েছে, সংসদের ক্যান্টিনে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিত, এস ফাংগন কোনিয়াক, জাময়াং সেরিং নামগিয়াল, এল মুরুগান। ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সাংসদ রামমোহন নাইডু, বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সাংসদ রীতেশ পাণ্ডে এবং বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদ সস্মিত পাত্র।

    সাংসদরা কী খেলেন?

    জানা গিয়েছে, খাবারের তালিকায় ছিল, ভাত, ডাল, খিচুড়ি এবং রাগির তৈরি লাড্ডু। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, ৪৫ মিনিট ধরে চলে মধ্যাহ্নভোজ। সূত্রের খবর, খাবার খেতে খেতে প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাপনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) কখন ঘুম থেকে ওঠেন, কী খাবার খান, এসব নিয়েই কথোপকথন চলতে থাকে।

    মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত একজন সাংসদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সংসদের ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সৌহার্দ্য বিনিময় হয়। গল্প হয়। ভাল সময় কেটেছে।’’ উপস্থিত অন্য একজনের কথায়, ‘‘আমরা যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছিলাম, তা এক বারের জন্যও মনে হয়নি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজনকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এঁরা হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নরসিংহ রাও, দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতীয় লোক দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরি চরণ সিংহ এবং ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক এম স্বামীনাথন। স্বামীনাথন বিজ্ঞানী। কিন্তু বাকি দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দুজনেই আবার ঘোরতরভাবে বিজেপি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত করা হচ্ছে?

    ভারতরত্ন

    চরণ সিংহকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মান দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি কৃষকদের অধিকার ও তাঁদের কল্যাণের জন্য নিজের পুরো জীবন সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হোন বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোন বা বিধায়ক হোন, উনি সর্বদা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন।” কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় কঠোরভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের কৃষক ভাইবোনেদের প্রতি উনি যেভাবে নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন এবং জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর যে অবদান রয়েছে, তা দেশের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।”

    নরসিমহা রাওয়ের প্রশংসা

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাওয়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ভারতের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও আরও একজনকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এলকে আডবাণী। আডবাণী বিজেপি হলেও, বাকি দুই ভারতরত্ন-প্রাপক তো বিজেপি নন! দলীয় বৃত্তের মধ্যেই যে পুরস্কার ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যায় (নিন্দকদের এহেন বক্তব্যের সঙ্গে মাধ্যম সহমত পোষণ করে না), সেখানে বিজেপি বিরোধী দুই রাষ্ট্রনেতাকে কেন দেওয়া হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান? মোক্ষম জবাবটি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর মতে, মোদি সরকার দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশবাসীর প্রতি যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের সম্মানিত করেছে। নরসিমহা রাও সম্পর্কে নাড্ডা বলেন, “তিনি দ্রুত অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন।” আর চরণ সিংহ সম্পর্কে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রকৃত প্রতিনিধি তিনি (Bharat Ratna)।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan: ভারতরত্ন পাচ্ছেন ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক এমএস স্বামীনাথন, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    MS Swaminathan: ভারতরত্ন পাচ্ছেন ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক এমএস স্বামীনাথন, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন সবুজ বিপ্লবের জনক এম স্বামীনাথন (MS Swaminathan)। শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও এবং চৌধুরী চরণ সিংহকেও দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক নাগরিক সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমাদের দেশের কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের কল্যাণের ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদানের জন্য ডক্টর স্বামীনাথনজিকে যে ভারতরত্ন প্রদান করছে ভারত সরকার, তা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কঠিন সময় কৃষিক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে উনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডক্টর স্বামীনাথনের দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে শুধু যে ভারতের কৃষিক্ষেত্রের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, তা-ই নয়। তিনি দেশের খাদ্যসুরক্ষা ও সমৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে গিয়েছেন। তাঁকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমি সব সময় ওঁর চিন্তাভাবনা এবং পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি।”

    কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ও ভারতীয় কৃষির আধুনিকীকরণের জন্য চমৎকার প্রচেষ্টা করেছেন।” তিনি বলেন, “স্বামীনাথনের অন্তর্দৃষ্টিকে আমি মূল্য দিতাম।” গত সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি (MS Swaminathan)। দেশে দুর্ভিক্ষ রুখতে ও কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষের দিকে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করে ভারত সরকার। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন স্বামীনাথন। উন্নত বীজ এবং জলসেচের মাধ্যমে পশ্চিম ভারত, মূলত পঞ্জাবে কৃষিক্ষেত্রের আমূল সংস্কার সাধন করা হয়। খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্র নির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তা স্বীকার করেন সকলেই।

    ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন স্বামীনাথন। সেই সময় ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা দফতরের সচিবও ছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০১৩ সালে পর পর দুবার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে তাঁকে দেওয়া হয় রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথ প্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল (MS Swaminathan)।”

    আরও পড়ুুন: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share