Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকার এক কদমও এগোয়নি। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে।” ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই হাতিয়ার করেন সে রাজ্যের কংগ্রেসের দুর্নীতিকে।

    লাল ডায়েরির প্রসঙ্গ

    তিনি বলেন, “লাল ডায়েরির কথা শুনেছেন? লোকে বলে যে ওই ডায়েরিতে কংগ্রেসের দুর্নীতির সব কথা লেখা রয়েছে। আমাকে বলুন, ডায়েরির গোপনীয়তা কি প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়? …অসাধুদের কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? …কংগ্রেস সরকার কি ডায়েরির গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসতে দেবে? সত্য প্রকাশ্যে আনতে গেলে আপনাদের বিজেপি সরকার গঠন করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার অবস্থা বেদনাদায়ক…দুর্নীতি ও হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস রাজস্থানকে দেশের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। নারী ও দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজস্থানকে এক নম্বরে পরিণত করেছে। কংগ্রেস মাদক ব্যবসাকে ছাড় দিয়েছে।”

    ‘স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়’

    তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের কাছে আপনার স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। একদিকে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছি এবং অন্য দিকে আমরা রেকর্ড সংখ্যায় আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল ভালবাসে ভোটব্যাঙ্ক।” তিনি বলেন, “রাজস্থানকে উন্নয়নশীল দেশের ইঞ্জিন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি। পর্যটনে রাজস্থানকে ১ নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার করছে বিজেপি। বিজেপি যদি রাজস্থানে সরকার গড়ে, তাহলে পর্যটনে রাজ্যটি হবে এক নম্বর।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির ওপর ওঁর অনেক ভরসা রয়েছে। সেজন্য ওঁর মনে হয়েছে, মোদি আসছেন, সব হয়ে যাবে। আমিও ওঁকে বলছি, আপনি বিশ্রাম করুন। এবার আমরা সামলে নেব।”

    আরও পড়ুুন: সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দেশ পাচ্ছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তেলঙ্গনায় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ পেতে চলেছে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার ভোটমুখী তেলঙ্গনার মহবুব নগরে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘সম্মক্কা সরাক্কা সেন্ট্রাল ট্রাইবাল ইউনির্ভাসিটি’। উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পরম শ্রদ্ধার দেবী সম্মাক্কা ও সরাক্কা। তাঁদের নামেই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে মুলুগু জেলায়।

    কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুলুগু জেলায় কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে। যার নাম হবে উপজাতিদের দেবী সম্মক্কা ও সরাক্কার নামে। এজন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁদের ভালবাসার জন্য তেলঙ্গনাবাসীকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।” এর পাশাপাশি নিজামাবাদে একটি ন্যাশনাল টারমারিক বোর্ড গঠনের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন তিনি।

    ট্রেন যাত্রার সূচনা

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন। ট্রেনটি চলবে হায়দ্রাবাদ-রাইচুর-হায়দ্রাবাদ রুটে। কৃষ্ণ স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। এই ট্রেনটির মাধ্যমে মহবুবনগর এবং নারায়ণপেত জেলার সংযোগ স্থাপন হবে। ট্রেনটি চালু হলে ছাত্রছাত্রী, নিত্যযাত্রী, কর্মী এবং স্থানীয় হ্যান্ডলুম ইন্ডাস্ট্রির কর্মীদের সুবিধা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড অতিমারির পরে হলুদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বেড়েছে। বিশ্ববাজারেও হলুদের চাহিদা বেড়েছে। সেই কারণে হলুদের দিকে আমাদের বেশি করে নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    উৎপাদন থেকে রফতানি সব দিকেই নজর দিতে হবে। হলুদ চাষিদের প্রয়োজন ও ভবিষ্যৎ সুযোগের কথা ভেবে কেন্দ্র জাতীয় হলুদ বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া ইকনমিক করিডরের শিলান্যাসও করেন। অনুষ্ঠানে মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উৎসবের ঋতু শুরু হয়ে গিয়েছে। নবরাত্রি উৎসব দোরগোড়ায়। সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে আমরা শক্তিপূজার যাথার্থতাকেই মান্যতা দিয়েছি।” হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিল্ডিংয়েরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    PM Modi: স্বচ্ছতা অভিযানে ঝাঁটা হাতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, পথে নামলেন শাহ-যোগী-নাড্ডাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। রবিবাসরীয় সকালে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নিজেই যোগ দিলেন স্বচ্ছতা অভিযানে। রাত পোহালেই গান্ধী জয়ন্তী। তার আগের দিন স্বচ্ছ ভারত অভিযানে কোমর কষে নেমে পড়েছিলেন তিনি।

    স্বচ্ছতা অভিযানে প্রধানমন্ত্রী 

    এদিন ঘণ্টাখানেক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্টও করেছেন তিনি। ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা।” ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হাতে গ্লাভস পরে সাফাই অভিযানে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়ু হাতে নিয়ে ঝাঁটও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একটি বাগানে তাঁর সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানে দেখা গিয়েছে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়াকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা 

    চার মিনিট একচল্লিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিও-র ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ যেহেতু ভারতের লক্ষ্য স্বচ্ছতা, তাই অঙ্কিত বাইয়ানপুরিয়া ও আমি একই কাজ করেছি। কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয়, আমরা ফিটনেস ও সুস্থতাকেও মিশ্রিত করেছি। সবটাই স্বচ্ছ ও সুস্থ ভারতের ভাবনা।” গত রবিবার মন কি বাতের অনুষ্ঠান থেকেই ১ অক্টোবর ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি জানিয়েছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    স্বচ্ছতায় এক ঘণ্টা শ্রম দিয়ে নিজের এলাকার নদনদী, নালা-জলাশয় পরিষ্কারের মাধ্যমে গান্ধীজিকে ‘স্বচ্ছাঞ্জলি’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দেন তিনি। এদিনের অভিযানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরাও শামিল হন। গুজরাটের আমেদাবাদে স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    আরও পড়ুুন: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই কর্মসূচি পালন করেছেন দিল্লিতে। সীতাপুরে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদে আসীন হন মোদি। তার পর থেকে ফি বছর ১ অক্টোবর স্বচ্ছ অভিযান কর্মসূচি পালন করে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দুর্ভিক্ষ রোখার জন্য এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষ দিক থেকে ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ষাটের দশকে ভারতে উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তার পিছনে বড় অবদান ছিল প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বাড়িতে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বামীনাথনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল সাইটে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল।”

    স্বামীনাথনের বড় হওয়া

    স্বামীনাথনের জন্ম ১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায়। ১১ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। জেনারেল সার্জেন এমকে সাম্বসিবনের ছেলে স্বামীনাথন ১৫ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয় জুলজির হাত ধরে কেরলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান।

    স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত 

    বিদেশে পড়াশোনায় একটা বড় সময় কাটালেও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত স্বামীনাথনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ। দেশের মানুষের মুখে খাবার যোগাতে তিনি কৃষি গবেষণায় মন দেন। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ, মূলত পাঞ্জাবে তিনি আমূল পরিবর্তন আনেন। কৃষিবিজ্ঞানী হিসাবে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। 

    স্বামীনাথনের গবেষণা

    দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল। টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশে। এই সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি গবেষণা এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের দায়িত্বও সামলান।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    স্বামীনাথনকে সম্মান

    কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় স্বামীনাথনকে। পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে পর পর দু’বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইস্টাইন অ্যাওয়ার্ড। কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরেও দেশ-বিদেশের একাধিক পরিবেশগত এবং কৃষি সংক্রান্ত সংস্থায় পরামর্শদাতা কিংবা সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি (6G Technology) টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ (ITU)। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

    ৬জি ভিশন নথি

    তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি (6G Technology) ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে।

    এই স্বীকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম

    ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

    ৬জি প্রযুক্তি (6G Technology) সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুুন: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, “স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MS Swaminathan Passes Away: প্রয়াত সবুজ বিপ্লবের জনক এমএস স্বামীনাথন, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    MS Swaminathan Passes Away: প্রয়াত সবুজ বিপ্লবের জনক এমএস স্বামীনাথন, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন (MS Swaminathan Passes Away)। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের চেয়ারম্যান হিসেবে।

    পুরস্কার ও সম্মাননা

    তিনি ধানের একটি নয়া জাতের উদ্ভাবন করেছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭২ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। ১৯৬৭ সালেই পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন স্বামীনাথন। পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পান ১৯৮৯ সালে। ১৯৭২ সালে পান রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে।

    দেশ-বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ও সাম্মানিক ডিগ্রি দিয়েছেন তাঁকে (MS Swaminathan Passes Away)। ১৯২৫ সালের ৭ অগাস্ট ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কুম্বাকোনামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বামীনাথন। অল্প বয়সে পিতৃহারা হন। তার পর থেকে থাকতেন এক কাকার কাছে। ছোট থেকেই কৃষিতে আগ্রহ ছিল স্বামীনাথনের। বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তর দেখে কৃষিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। পরে বিপ্লব ঘটান কৃষিক্ষেত্রে।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা 

    স্বামীনাথনের (MS Swaminathan Passes Away) প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “ডঃ এমএস স্বামীনাথনজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি অত্যন্ত সঙ্কটময় সময়ে কৃষিতে তাঁর যুগান্তকারী কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে এবং আমাদের দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। কৃষিতে তাঁর বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডঃ স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনের শক্তিশালা এবং অনেকের জন্য একজন লালন-পালনকারী পরামর্শদাতা। গবেষণা ও পরামর্শদানের প্রতি তাঁর অটল প্রতিশ্রুতি অগণিত বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবকের ওপর একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গিয়েছে।” স্বামীনাথনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন যন্ত্রমানবের, জল-খাবার পরিবেশন করল রোবট!

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন যন্ত্রমানবের, জল-খাবার পরিবেশন করল রোবট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী যেতেই ধীর পায়ে এগিয়ে এল ধোপদুরস্ত এক মহিলা। স্বাগত জানালেন তাঁকে। পরে তাঁকে যে চা-জলখাবার এগিয়ে দিল, তারও শরীর আগাগোড়া সাদা প্লাস্টিকের তৈরি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) যারা আপ্যায়ন করল, তারা কেউই মানুষ নয়, যন্ত্রমামব। এদিন দীর্ঘক্ষণ এই না-মানুষদের সঙ্গেই কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যন্ত্রমানবদের সঙ্গে তাঁর এই সময় কাটানোর ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি।

    সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারি

    দু’ দিনের সফরে গুজরাট গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার তিনি যান গুজরাট কাউন্সিল অফ সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারিতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলও। এই গ্যালারি দেখে যারপরনাই খুশি প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি রোবট চা-জলখাবার খেতে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি লিখেছেন, “গুজরাট সায়েন্স সিটিতে অসাধারণ রোবটিক্স গ্যালারি। রোবট আমাদের চা-ও পরিবেশন করেছে, সেই ছবিটি দেখতে ভুলবেন না।”

    ভাইব্র্যান্ট গুজরাট

    চা-জলখাবারের পাশাপাশি একটি রোবটকে প্রধানমন্ত্রীকে জলের বোতল এগিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। এদিন রোবট গ্যালারির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। গ্যালারিতে সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা রোবট ও রোবটের যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করেন তিনি। একটি রোবটের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। 

    রোবটিক গ্যালারি গুজরাটের সায়েন্স সিটিতে নয়া সংযোজন। প্রায় ১১ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে এর বিস্তার। ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সামিটের দু’ দশক উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই গ্লোবাল সামিটের সূচনা করেছিলেন মোদি (PM Modi)। তার পর থেকে প্রতি বছর রাজ্য সরকার আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের।  

    আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    গুজরাটে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামে গ্রামে ওয়াইফাই পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রকল্পও। গুজরাটের ছোটা উদয়পুর জেলায় ৫ হাজার ২০৬ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। দাহোদে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নবোদয় বিদ্যালয় ও ১০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি এফএম স্টেশনেরও উদ্বোধন করবেন তিনি।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    PM Modi: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন হা-চাকরি দশা, তখন রোজগার মেলা করে তরুণদের হাতে চাকরি তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার তিনি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে। এর মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১ হাজার চাকরিপ্রার্থীও রয়েছেন।

    বাংলায় হা-শিল্প দশা

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে ল্যাজেগোবরে দশা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। শিল্প না থাকায় নিয়োগ বন্ধ বললেই চলে। নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ ফেঁসে যাওয়ায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগও সেভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় কয়েক মাস ছাড়াই হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে চাকরি তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশজুড়ে ৪৬টি জায়গায় রোজগার মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারেও একটি ক্যাম্প করা হয়েছিল।

    নিয়োগপত্র পেলেন ৫১ হাজার

    এই রোজগার মেলা থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের তরুণদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এদিন যাঁরা চাকরি পেলেন তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারি প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি, জটিলতা রোধ করেছে। বাড়িয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বাচ্ছন্দ্য।” মাস তিনেক আগেও রোজগার মেলার মাধ্যমে ৭০ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার ২০টি রাজ্যের ৪৩টি জায়গার তরুণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন নিয়োগপত্র দিলেন ৫১ হাজার জনকে।

    আরও পড়ুুন: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বেশি তরুণের কর্মসংস্থান হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই মতো রোজগার মেলার মাধ্যমে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের হাতে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার শপথ নিয়েছে ভারত। আগামী কয়েক বছরেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। ভারতের জিডিপি দ্রুত বাড়ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে চলেছে ভারত। উৎপাদন ও রফতানি ক্ষেত্রে ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে ভারতে যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়নি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৯ বছরে কীভাবে প্রশাসনিক কাজকর্ম অনায়াস হয়েছে, তা তো দেশবাসী চোখেই দেখেছেন।”

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস দেউলিয়া এবং মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে।” সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশজুড়ে নেতিবাচকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগে বিজেপির তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভে’র।

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস 

    এই মহাকুম্ভেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “আমাকে বলুন, কংগ্রেস আপনাদের জন্য কী ভাল কাজ করেছে। এই দল এটা নিশ্চিত করেছে যে আপনি ও লোকেরা যাতে অনুন্নয়নে আটকে থাকেন, জীবিকার অভাবে দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে ডুবে থাকেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস দেউলিয়া ও মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে। আর বিজেপি সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”

    ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস ৫০ বছর আগে দারিদ্র দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মধ্যপ্রদেশকে কি আপনারা আবার কংগ্রেস আমলের মতো অসুস্থ রাজ্যে পরিণত করতে চান? আপনাদের রাজ্যে আবার দুর্নীতিবাজদের লুটপাট দেখতে চান?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে বিজেপি সরকার অগ্রাধিকার দেবে। যদি বিজেপি ক্ষমতায় থাকে এবং মোদির নেতৃত্বে থাকে, তবে আপনাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আক্রমণ শানান বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে দলটি একদিন সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করতে চেয়েছিল, এবার কিন্তু আইনটির জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থনের মুখে তাঁদের অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মহিলা সংরক্ষণ বিল কেন পাশ করেনি? অন্য জোটের শরিকদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অহংকারী জোটকে নেতৃত্ব দিতে চায় কংগ্রেস। এই দলের হতাশা স্পষ্ট এবং এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং যুবক ও মহিলাদের বিভ্রান্ত করবে। কংগ্রেস সেই দল যারা দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে দেখতে চায়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: শতাব্দী, রাজধানীর জায়গা নেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কেন জানেন?

    Vande Bharat Express: শতাব্দী, রাজধানীর জায়গা নেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে হলে এতদিন ভরসা ছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস কিংবা রাজধানী এক্সপ্রেস। এবার এই ট্রেনগুলোর জায়গা নিতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এতদিন সব মিলিয়ে ২৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলত। রবিবার আরও ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    জানা গিয়েছে, যাত্রীদের রেলযাত্রা সুখকর করতে আগামী চার বছরে অন্তত ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল। খুব শীঘ্রই চলবে দেশের প্রথম স্লিপার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অত্যাধুনিক এই ট্রেন তৈরি হচ্ছে প্রোটোটাইপ ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার চলবে মুম্বই দিল্লি রুটে। রাজধানী কিংবা শতাব্দী এক্সপ্রেসে যেসব সুযোগ-সুবিধা মেলে না, সেগুলো মিলবে বন্দে ভারত স্লিপারে। এটি হবে সম্পূর্ণভাবে শক প্রুফ। তাই যাত্রীদের কোনও ঝাঁকুনি লাগবে না।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বৈশিষ্ট্য 

    অলোক কুমার মিশ্র, ডিরেক্টর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজার (মেকানিক্যাল), কাইনেক্ট স্পেশাল পারপাস ভেহিকল, আরভিএনএল বলেন, স্লিপার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি (Vande Bharat Express) ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটবে। ০ থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে লাগবে ৬০ সেকেন্ডের কম সময়। সর্বোচ্চ গতি হবে ২০০ কিমি। রাজধানী কিংবা শতাব্দীও ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছোটে। তবে সেখানে গতি বাড়াতে হয় ধীরে ধীরে। কম্পন কিংবা শক না থাকায় বন্দে ভারতের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি। রেলওয়ে ট্র্যাক এবং কোচের ক্ষতিও হবে কম। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দরজা স্বয়ংক্রিয়। ট্রেনে রয়েছে জিপিএস, ফায়ার সেন্সর এবং ওয়াইফাইয়ের মতো ব্যবস্থা। প্রত্যেক সিটে থাকবে চার্জিং পয়েন্ট। যাত্রীদের জন্য কোচে থাকবে টিভিও।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    অলোক জানান, প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি (Vande Bharat Express) হবে ১৬ কোচের। পরে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে করা হবে ২৪ কোচ। ১৬ কোচের ট্রেনটির ১১ এসি তিন কোচ, চার এসি দুই কোচ এবং ১ এসি ফার্স্ট ক্লাস কোচ থাকবে। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচ হচ্ছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায়। পুরো ট্রেনটিই তৈরি হচ্ছে ভারতে। বন্দে ভারতের ভাড়া রাজধানী কিংবা শতাব্দীর চেয়ে ঢের বেশি। রেলমন্ত্রক মনে করছে, আরও বেশি করে বন্দে ভারত চালালে লাভের অঙ্ক বাড়বে। তাই চেয়ার কারের পাশাপাশি স্লিপার ও জেনারেল ক্লাসের বন্দে ভারত চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল। আপাতত স্লিপার ক্লাসের ট্রেনই বেশি করে চালানোর চেষ্টা চলছে বলে রেল সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share