Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “ভারতের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে চন্দ্রযান, জি২০ সম্মেলন”, ‘মন কি বাতে’ বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    PM Modi: “ভারতের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে চন্দ্রযান, জি২০ সম্মেলন”, ‘মন কি বাতে’ বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চন্দ্রযানের পর জি২০ সম্মেলনের সাফল্য ভারতীয়দের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে। ভারত মণ্ডপম নিজেই সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা সেখানেই সেলফি তুলে গর্বের সঙ্গে পোস্ট করেছেন।” রবিবার ‘মন কি বাতে’ কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ ছিল সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার। এদিন সম্প্রচারিত হয় ‘মন কি বাতে’র ১০৫ তম পর্ব। এই পর্বে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রযান-৩ ও জি২০ সম্মেলনের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

    চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণ 

    এ মাসেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারত। সফল অবতরণ হয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়িয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে ইসরোকে। ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও তুলেছে। চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণ এবং চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের অনুসন্ধানের জন্য ইসরোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের ভিডিও ইউটিউবে একই সঙ্গে দেখেছেন ৮০ লক্ষ মানুষ। প্রসঙ্গত, এটাও একটা রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়ায় ইসরোকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ইউটিউব কর্তা স্বয়ং।

    জি২০-এর সাফল্যও

    এদিন ‘মন কি বাতে’ জি২০-এর সাফল্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই মেগা সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিশ্বের মহা শক্তিধর কয়েকটি দেশের প্রধানরাও। বছরভর জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। সেগুলিও শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নে। এসব কারণেই খুশি প্রধানমন্ত্রী। জি২০তে আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়া ও ভারত-মধ্য প্রাচ্য- ইউরোপ করিডরের বিষয়টিরও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি বীরেনের

    জি২০ সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতারা মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে গিয়েছিলেন। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাপুর ভাবনায় গোটা বিশ্ব কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা প্রমাণ করেছে এই ঘটনা।” ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে শান্তিনিকেতনের। এদিন সে প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানে গুরুদেবের গর্ব মিশে রয়েছে বলে আমি মনে করি।” আগামী রবিবার ১ অক্টোবর দেশবাসীকে স্বচ্ছ অভিযানে শামিল হওয়ার ডাকও ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠানে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তাঘাট, স্কুল প্রাঙ্গন, খাল-বিল, নদী-সরোবরের মতো জায়গা পরিষ্কারে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, এভাবেই প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে গান্ধীজিকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটের মুকুটে আর একটি পালক। বারাণসীতে নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, রজার বিনির মতো প্রাক্তন তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাদেবের শহরে এই স্টেডিয়ামটি ভগবান শিবকেই উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি তুলে দিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এই স্টেডিয়ামের হাত ধরে উত্তরপ্রদেশ পেল তৃতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কানপুর, লখনউয়ের পর বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটির নাম করা হবে কাশী স্টেডিয়াম। বারাণসীতে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস হলো তা পূর্বাঞ্চলের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ হবে বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ক্রিকেটে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগ রয়েছে। নতুন দেশও ক্রিকেটে আসছে। মহাদেবের শহরে স্টেডিয়ামটিও তাঁকেই উৎসর্গ করা হলো। কাশীতে এই স্টেডিয়ামটি হওয়ায় ক্রীড়াবিদরাও উপকৃত হবেন। পূর্বাঞ্চলের উজ্জ্বল নক্ষত্র হবে স্টেডিয়ামটি।” খেলাধুলো সম্পর্কে ধারণা বদলানোর ফলেই বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সাফল্য আসছে বলেও দাবি মোদির। ক্রীড়াবিদদের যেভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তার সুফল মিলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    এদিন স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অগণিত মহিলা। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানোর বিষয়টিও। এদিন এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসের পাশাপাশি ১৬টি অটল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আরও একবার বারাণসীতে আসার সুযোগ পেলাম। কাশীতে এসে যে আনন্দ অনুভব করি, তা কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। চাঁদে শিবশক্তি পয়েন্ট রয়েছে। কাশীতেও।”  এদিন সে কথা মনে করিয়ে চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীকে জার্সি উপহার

    স্টেডিয়ামের শিলান্যাসে উপস্থিত যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেনারসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্য়াস করলেন। উত্তরপ্রদেশে বিসিসিআই-এর প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম এটি। আমি রাজ্যের সকলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চাই।’

    এদিন সচিন তেন্ডুলকর নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি তুলে দেন। সদ্য প্রকাশিত বিশ্বকাপের জন্য নতুন ওডিআই জার্সি তুলে দেওয়া হয়। জার্সির পিছনে লেখা ছিল নমো ও জার্সির নম্বর ১ ।

  • Women Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

    Women Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহিলাদের জীবন আরও সহজ করতে, তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নের যে গ্যারান্টি মোদি দিয়েছিল, এটা তার প্রমাণ।” লোকসভার পর রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill) পাশ হওয়ার পর একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। পরে সেটি পাঠানো হয় রাজ্যসভায়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেও পাশ হয় বিলটি। তিন দশক ধরে চেষ্টা চালানোর পর শেষমেশ সংসদে পাশ হল বিলটি। তার পরেই বিজেপির সদর দফতর সহ সর্বত্র শুরু হয়েছে উদযাপন।

    ‘স্বপ্ন সত্যি হয়েছে’

    মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill) পাশের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীকে অভিনন্দন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দেশের নাগরিকরা এই বিলের অপেক্ষায় ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা গোটা দেশের জন্য একটা বিশেষ সময়। আজ মহিলাদের আত্মবিশ্বাস আকাশ স্পর্শ করছে। দেশের মা-বোন-মেয়েরা উদযাপন করছেন। আমাদের আশীর্বাদ করছেন।” তিনি বলেন, “কোটি কোটি মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ করার সুযোগ আমরা পেয়েছি। বিজেপি রাষ্ট্রকে সবার আগে মনে করে। বিজেপি কর্মী হিসেবে, দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।”

    ‘এটি কোনও সামান্য আইন নয়’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম কোনও সামান্য আইন নয়, এটা নতুন ভারতের নতুন সূচনা। অমৃতকালে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে অনেক বড় ও মজবুত পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, “মহিলাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে বিজেপি তিন দশক ধরে এই বিল (Women Reservation Bill) আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছিল। আজ আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একাধিক বাধা ছিল, কিন্তু যখন উদ্দেশ্য পবিত্র হয়, প্রয়াসে পারদর্শিতা থাকে, তখন সব প্রতিবন্ধকতা পার করা যায়।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি দেশের সব মহিলাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। গতকাল ও তার আগের দিন আমরা নয়া ইতিহাস তৈরির সাক্ষী থেকেছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে কোটি কোটি মানুষ এই ইতিহাস তৈরির সুযোগ দিয়েছেন। এমন কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা দেশের ভাগ্য বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।” বিল (Women Reservation Bill) পাশের পর এদিন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে প্রবীণ এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে ঝুঁকে প্রণামও করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।  

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • LIC: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    LIC: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিন্দকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি (LIC)! কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে মোদি সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে বলে নানা সময় বাজার গরম করার চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা। সস্তা জনপ্রিয়তায় ভর করে ভোট-বৈতরণী পার হতে লাভজনক এই সংস্থাকেই ধুঁকছে বলে দেগেও দিয়েছেন তাঁরা। এহেন এলআইসি লাভের কড়ির একটা অংশ তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের হাতে। এলআইসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি বৃহস্পতিবার ওই চেক তুলে দেন। যার অর্থমূল্য, ১,৮৩১.০৯ কোটি টাকা।

    ৬৭ পূর্ণ এলআইসির

    চলতি বছর ৬৭ পূর্ণ করল এলআইসি। ১৯৫৬ সালে মাত্র ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই সংস্থা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ এলআইসির সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৪০.৮১ লাখ কোটি টাকার লাইফ ফান্ডও। দু’দশক আগে ইন্স্যুরেন্স সেক্টর খোলে এলআইসি। তার পর থেকে ইন্স্যুরেন্সের সিংহভাগ বাজার রয়েছে এলআইসির পকেটে।

    এখনও দেশের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের জন্য ভরসা করেন এলআইসির ওপর। লাভের কড়ি সরকারকে দেওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি, নিজেদের হাতে থাকা সান ফার্মার দু’ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে এলআইসি। এজন্য এলআইসির হাতে এসেছে ৪,৬৯৯ কোটি টাকা।

    এলআইসি কর্মীদের জন্য সুখবর 

    এলআইসির (LIC) বাড়বাড়ন্তে খুশি কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এলআইসি এজেন্টদের গ্র্যাচুইটির সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে। এলআইসি কর্মীদের ৩০ শতাংশ হারে ফ্যামিলি পেনশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। পুনরায় নিযুক্ত হওয়া এলআইসি এজেন্টরা রিনিউয়াল কমিশনের সুবিধাও পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

    সংসদে নানা সময় এলআইসির প্রশংসা শোনা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। তিনি নিজেও টাকা রেখেছেন এলআইসিতে। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন দু’টি পলিসিতে। ২০১০ সালে তিনি একক প্রিমিয়াম বাবদ দিয়েছিলেন ৪৯,৬৬৫ টাকা। ২০১৩ সালে অন্য একটি পলিসিতে একক প্রিমিয়াম (LIC) বাবদ তিনি দিয়েছেন ১,৪০,৬৮২ টাকা।

    আরও পড়ুুন: স্পেনের পর ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Reservation Bill: মোদি সরকারের চালে মাত বিরোধীরা, লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল

    Women’s Reservation Bill: মোদি সরকারের চালে মাত বিরোধীরা, লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫৪-২ ভোটে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা বিলটি। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৫৪ জন। বিলে সংশোধন চেয়ে ভোট দিয়েছেন দু’জন।

    এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত

    মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন সিং মেঘওয়াল। বিলে বলা হয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেই লক্ষ্যে ১৫ বছরের জন্য মহিলাদের জন্য লোকসভা, রাজ্যসভায় আসন সংরক্ষণের সীমাবদ্ধ অনুশীলন চালু হচ্ছে। বিল অনুযায়ী, প্রতিটি নির্বাচনে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে।

    কী বললেন অমিত শাহ?

    বিলটি (Women’s Reservation Bill) প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “সাধারণ, তফশিলি জাতি এবং উপজাতি – তিনটি বিভাগেই মহিলাদের সংরক্ষণের সুবিধা দেবে এই বিলটি।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর জনগণনা ও লোকসভা এবং বিধানসভার সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরেই বিলটি বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচনের পর দ্রুত জনগণনা ও সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হবে। এই বিলের ফলে সংসদে মহিলাদের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে।প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের আদমসুমারির পরেই বিল কার্যকরের কথা বিলের প্রস্তাবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২০২৯ সালের আগে বিলটি কার্যকরের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    গত আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে আটকে ছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। সংসদে প্রথম প্রাইভেট মেম্বারস বিল হিসেবে মহিলা সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সাংসদ সিপিআইয়ের গীতা মুখোপাধ্যায়। সেটা ১৯৯৬ সাল। ওই বছরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সরকার বিলটি (Women’s Reservation Bill) সংসদে পেশ করতে প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বিলটি পেশ করে। যদিও রাজনৈতিক বিরোধিতার জেরে পাশ করানো যায়নি। ২০০৬ সালে ইউপিএ সরকার ফের বিলটি পেশ করে সংসদে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে সেবারও পাশ করানো যায়নি বিলটি। ২০২৩ সালে লোকসভায় পাশ হল বিলটি। রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললেই তৈরি হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুুন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম দিনেই ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখ পার

    PM Modi: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম দিনেই ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখ পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আর এক দিনেই ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লক্ষ। ভারত সহ দেড়শোটিরও বেশি দেশে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল পরিষেবা চালু করেছে মেটা। তাই অচিরেই যে প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে,  তা সহজেই অনুমেয়।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল কী?

    প্রশ্ন হল, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল কী? হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল হল একটি ওয়ানওয়ে ব্রডকাস্টিং চ্যানেল, যাতে অ্যাডমিন মেসেজ, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারবেন। এই চ্যানেলের অপশনটি মিলবে হোয়াটসঅ্যাপের আপডেটস অপশনে। সেখানে আপনি চ্যানেল দেখে ঠিক করতে পারবেন, কাকে আপনি ফলো করতে পারবেন, আর কাকে পারবেন না। এগুলি সাধারণ চ্যাট বা গ্রুপের চেয়ে আলাদা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল খুঁজে পেতে হলে আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএসে হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে আপডেট ট্যাবে যেতে হবে। তার পর সেখান থেকে নরেন্দ্র মোদি চ্যানেল খুঁজে বের করতে হবে। তার পরেই সেটিকে ফলো করা যাবে।

    ‘আমি শিহরিত’

    নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে একটি ছবি শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবিটি নয়া সংসদ ভবনের ভিতরে তোলা। ছবির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটিতে আসতে পেরে আমি শিহরিত। আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগের আরও এক ধাপ কাছাকাছি এসে গেলাম। সঙ্গে থাকুন। নতুন সংসদ ভবন থেকে একটি ছবি দিলাম…।” জানা গিয়েছে, যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার হবেন, তাঁরা তাঁর প্রতিটি আপডেট সরাসরি ওই চ্যানেলে দেখতে পাবেন। তাঁর প্রতিটি মেসেজ, প্রতিটি আপডেটে রিঅ্যাকশনও জানাতে পারবেন তাঁরা।

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই জন্যই তিনি চালু করেছেন ‘মন কি বাত’। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তিনি বরাবর সক্রিয়। বিশ্বের সব রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এবার যে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে এবার সুর নরম করল কানাডা (Canada)। ভারতের কড়া বার্তার পর উল্টো কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ট্রুডো। জানালেন, কোনও ‘উসকানি’ দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য করেননি তিনি।

    উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়

    সোমবার কানাডার (Canada) বিদেশমন্ত্রী ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভারতের সম্ভাব্য যোগ থাকতে পারে। কিন্তু, এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ট্রুডোর দাবি, তিনি ভারতকে প্ররোচনা দিতে চাননি বা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাননি। তবে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে পুরোপুরি চটানোরও সাহস দেখাতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ভারত সরকারের। আমরা সেটাই করছি। আমরা কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না বা (সংঘাত) বাড়াতে চাই না। পুরো বিষয়টি যাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একেবারে সঠিক পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কী নিয়ে সম্পর্কের অবনতি

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জুন কানাডায় (Canada) একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় হরদীপ সিং নিজ্জরের দেহ। এর পিছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল কানাডা। এক হিন্দু পুরোহিত, সাধারণ হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল হরদীপ। তার বিরুদ্ধে এনআইএ চারটি মামলা রুজু করেছে। মাথার দাম ১০ লাখ টাকা। কানাডায় খালিস্তানি সংগঠনের অন্যতম প্রথমসারির নেতা ছিল হরদীপ। সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় কানাডা। এই ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। খলিস্তানি ভোটব্যাঙ্ককে প্রসন্ন রাখতে ট্রুডোরা যে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেটার মুখোশ খুলে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতে কর্মরত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই কানাডার শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার বিষয়টি সামনে আসে। অবশেষে ভারতের চাপে আসল সত্যি সামনে আনার কথা বলল কানাডা। 

  • Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন চাঁদে যাচ্ছে, তখন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান।” কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি এক সময় শাসন করেছেন পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) আরও বলেন, “ভারত চাঁদে যাচ্ছে। ভারতে হয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। অথচ পাকিস্তান এক বিলিয়ন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে।”

    ‘পাকিস্তান ধার মেটাতে পারছে না’

    দেউলিয়া হতে বসা দশা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে বন্ধু দেশগুলির দোরে দোরে ঘুরছে পাক সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে নওয়াজ বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেজিং গিয়েছিলেন। আরব দেশগুলিতে গিয়েছিলেন। ভিক্ষের বাটি নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। ফান্ডের জন্য তিনি ভিক্ষে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান তার ধার মেটাতে পারছে না, এটা অত্যন্ত হতাশার।” পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ (Nawaz Sharif) ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে লন্ডনে নির্বাসিত রয়েছেন। সেখান থেকেই তোপ দাগেন পাক সরকারকে।

    শরিফের নিশানায় আর কারা?

    প্রাক্তন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআইয়ের তৎকালীন ডিজি তথা গুপ্তচরদের মাথা ফৈয়জ হামিদকেও আক্রমণ শানিয়েছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তানের মসনদে বসিয়েছিলেন এঁরাই।

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে চলতি বছরই। সে দেশের তদারকি সরকার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে সেনাবাহিনীর শিলমোহর মিললেই হবে নির্বাচন। সূত্রের খবর, এহেন পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন নওয়াজ। মাস কয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায়, দেশে ফিরতে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন নওয়াজ (Nawaz Sharif)। জল্পনার কারণ ছিল, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর লন্ডনে গিয়ে দেখা করেন নওয়াজের সঙ্গে। পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় দু’ জনের।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরের বছর ডিসেম্বরে আচমকাই লাহোরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বাড়িতে হাজির হন মোদি। মোদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও, পাকিস্তান অটল থাকে স্বধর্মে। মোদি পাকিস্তান ছেড়ে দেশের ফেরার দিন কয়েক পরেই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Reservation Bill: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Women’s Reservation Bill: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভগবান হয়তো নারীদের অধিকার দেওয়া ও ক্ষমতা দেওয়ার মতো পবিত্র কাজের জন্য আমাকে বেছে নিয়েছেন।” মঙ্গলবার নয়া সংসদ ভবনে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill) করতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিলটির নাম ‘নারী শক্তি বন্দন’। লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

    ‘ঈশ্বর আমাকে সুযোগ দিয়েছেন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদে আগেও আলোচনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ও প্রথম এবং তারপরেও কয়েকবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছে। কিন্তু তা পাশ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না। তাই বিষয়টি অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল। আজ ঈশ্বর আমাকে সুযোগ দিয়েছেন বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”

    তিনি বলেন, “আবারও আমাদের সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। গতকালই (সোমবার) মন্ত্রিসভা নারী সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে। নারী শক্তিকে নীতি প্রণয়নের সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। এর উদ্দেশ্য হল, লোকসভা ও বিধানসভায় নারীদের অংশগ্রহণ সম্প্রসারণ করা। এই বিল বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মহিলা জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই এই বিল (Women’s Reservation Bill)।”

    ‘একটি পবিত্র সূচনা’

    তিনি বলেন, “একটি পবিত্র সূচনা হচ্ছে, তারপর সর্বসম্মতিক্রমে আইন তৈরি হলে এর শক্তি বহুগুণ বেড়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খেলা থেকে স্বনির্ভর প্রকল্প বা স্টার্টআপ – বিশ্বের সব ক্ষেত্রেই দুনিয়া মহিলাদের অবদান দেখছে। দেশের বিকাশযাত্রায় নয়া স্বপ্ন ছুঁতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি। মহিলাদের নেতৃত্বেই উন্নয়নে জোর দিতে হবে। সব দেশের বিকাশযাত্রায় এমন এক মুহূর্ত আসে, যখন ওই দেশ গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, আজকের দিনে আমরা সবাই গর্বের ইতিহাস রচনা করেছি। নতুন ভবনের প্রথম অধিবেশনের প্রথম ভাষণে আমি গর্বের সঙ্গে বলছি, আজকের এই মুহূর্ত ইতিহাসে স্মরণীয় মুহূর্ত। আমাদের সবার কাছে এটা গর্বের।”

    তিনি বলেন, “আজ যখন মহিলারা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন, নেতৃত্বেই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? নীতি নির্ধারণে আমাদের দেশের মহিলা সমাজ আরও বেশি যোগদান করুন। এই বিল (Women’s Reservation Bill) আইনে পরিণত হলে আমাদের গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে।

  • India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিযুক্ত কানাডার আধিকারিককে বরখাস্ত করল বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। ৫ দিনের মধ্যে ওই কূটনীতিককে ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ওই কূটনীতিক ভারতের অভ্যন্তরে বেশ কিছু কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন বলে অভিযোগ। দাবি, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ওই কুটনীতিক।

    কেন বরখাস্ত করা হল?

    খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা মামলায় ভারতের যোগ থাকার অভিযোগ তুলেছে কানাডা সরকার। একইসঙ্গে কানাডার ভারতীয় শীর্ষ কূটনৈতিককে বরখাস্ত করেছে ট্রুডো প্রশাসন। এরই জবাব দিল ভারত, মনে করছে কুটনীতিক মহল। মঙ্গলবার সকালে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। দিল্লির সাউথ ব্লকে কানাডার রাষ্ট্রদূত হাজির হলে সে দেশের এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

    ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে তাঁকে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কানাডার কূটনীতিকরা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেও জড়িত এই কূটনৈতিকরা। ফলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    দেশ সবার আগে

    এই ইস্যুতে এবার মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সব সময় বিশ্বাস করে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের লড়াই আপসহীন হতে হবে। বিশেষ করে যখন সন্ত্রাস ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের দেশের স্বার্থ এবং উদ্বেগ সর্বদা সর্বাগ্রে রাখতে হবে।’ সম্প্রতি অপারেশন ব্লু স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটনে ‘শোভাযাত্রা’ বের করেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই প্যারেডে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছিল। যা নিয়ে ভারত সরকারের তরফে কড়া ভাষায় বার্তা দেওয়া হয়েছিল কানাডাকে। তবে কানাডা সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে দাবি করেছিল, সেই ঘটনা নাকি জাতিবিদ্বেষী নয়। এরপর থেকেই ক্রমে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-কানাডার সম্পর্ক। গতকাল, নিজ্জরের হত্যায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, যাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share