Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল”, বললেন আবেগতাড়িত মোদি

    PM Modi: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল”, বললেন আবেগতাড়িত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল।” মঙ্গলবার নয়া সংসদ ভবন পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়ায় শুরু হয়েছে রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন। তার আগে সংসদের সেন্ট্রাল হলের বিশেষ অনুষ্ঠানে গৌরবোজ্জ্বল সংসদীয় ইতিহাসকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বললেন, “ভারতের নতুন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে মনে করাবে নতুন সংসদ ভবন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথাও।

    আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প

    তিনি বলেন, “ভারতকে পূরণ করতে হবে আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প। আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিতে আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। এক সময় আমাদের আত্মনির্ভর হওয়ার ধারণার সমালোচনা করা হয়েছে। এখন সবাই এর অনুকরণ করছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে আমাদের ত্রুটিশূন্য হতে হবে। নয়া শিক্ষানীতিকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।” এদিনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইতিমধ্যেই ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থব্যবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। এবার দেশ পরিণত হবে তৃতীয় অর্থব্যবস্থায়।” তিনি বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়রা সারা পৃথিবীর ক্রীড়াক্ষেত্রে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমাদের এখন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের যুবশক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

    ‘বিচার পেয়েছেন মুসলিম মা-বোনেরা’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ পৃথিবীতে স্কিলড ম্যানপাওয়ারের চাহিদা খুব বেশি। ভারত সারা পৃথিবীর এই চাহিদা পূরণ করবে। এজন্য স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর আমরা সব চেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি।” খানিক আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ ভবনেই বিচার পেয়েছেন মুসলিম মা-বোনেরা। এই ভবনেই ন্যায় পেয়েছেন রূপান্তরকামীরা। মনে রাখার মতো অনেক কিছুই হয়েছে এই ভবনে।”

    তিনি বলেন, “রাজনীতির কথা ভেবে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আজ সময়ের দাবি এমন ভারত তৈরির যার জ্ঞান, শিক্ষা, আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে গুরুত্ব পাবে। সামাজিক ন্যায় আমাদের প্রথম শর্ত। সব মানুষের জন্য সামাজিক ন্যায় জরুরি। রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও সামাজিক ন্যায় জরুরি।”

    আরও পড়ুুন: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারত নতুন চেতনায় জেগে উঠেছে। অমৃতকালের ২৫ বছরে ভারতকে এখন আরও বড় ক্যানভাসে কাজ করতে হবে। ছোটখাটো বিষয়ে জড়িয়ে পড়ার সময় আমাদের চলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বে আজ ভারতের স্বনির্ভর মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেহরুর ‘স্ট্রিট উইথ ডেস্টিনি’ বক্তৃতাকে স্মরণ করেছেন। এজন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Parliament Special Session: পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন! গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু নতুনের

    Parliament Special Session: পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন! গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু নতুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল একটা অধ্যায়। পুরনো সংসদ ভবনে অধিবেশন শেষ। এদিন সকালে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করজোড়ে শাসক, বিরোধী-সহ সকল সাংসদের কাছে গিয়ে অভিবাদন জানান তিনি। সাংসদরাও পাল্টা করজোড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানিয়ে আজ, গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন পার্লামেন্টের জয়যাত্রা। 

    বিদায়ী ফটোসেশন

    এদিন সকাল ১১টায় পুরানো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বসে যৌথ অধিবেশন। এটাই এই সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, স্পিকার ওম বিড়লা-সহ শাসক ও বিরোধী দলের সব সাংসদরা এই যৌথ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। বেলা পৌনে ১০টা নাগাদ পুরানো সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর স্পিকার ওম বিড়লা, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, শাসক ও বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে বসে ছবি তুললেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থান সংকট হওয়ায় নীচে বসতেও পিছুপা হননি সাংসদরা।

    নতুনের বন্দনা

    সংবিধানের একটি অনুলিপি নিয়ে পুরনো সংসদ ভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে অনুসরণ করবেন এনডিএ সাংসদরা। দুপুর ১টা বেজে ১৫ থেকে শুরু হবে লোকসভার অধিবেশন। দুপুর ২টো বেজে ১৫ থেকে অধিবেশন শুরু হবে রাজ্য়সভার। লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়া সংসদভবনের সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্তির কথা জানানো হয়েছে। যুগ্ম সচিব সিদ্ধার্থ মহাজন স্বাক্ষর করেছেন তাতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে পূরনো সংসদভবনের পূর্ব দিকে ১১৮ নম্বর প্লটের সংসদভবনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের সংসদভবন ঘোষণা করা হল। নতুন এই সংসদ ভবনের নাম রাখা হয়েছে, ‘পার্লামেন্ট হাউজ অফ ইন্ডিয়া’। 

    আরও পড়ুন: নয়া ভবনে সাংসদদের উপহার দেবে মোদি সরকার, কী কী থাকছে গিফটব্যাগে?

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে এবং পুরানো ভবনে বিদায় জানানোর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে ভাষণ দেন। সংসদের ইতিহাস উল্লেখ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি উভয় সংসদ ভবনের ৭৫ বছরের যাত্রার কথা উল্লেখ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ী পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পার্লামেন্টের কর্মীদেরও তাঁর ভাষণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    কী বললেন সাংসদেরা

    এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তারপর দীর্ঘদিনের সাংসদ হিসাবে যৌথ অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন মানেকা গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাতেও তিনি সংসদের সদস্য ছিলেন। পুরানো ইতিহাস তুলে ধরে মেনকা গান্ধী বলেন, বিজেপির সাংসদ হিসাবে তিনি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পে দেশজুড়ে মহিলাদের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে বলে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। সূত্রের খবর, মনমোহন সিং এবং মানেকা গান্ধীকে নয়া সংসদ ভবনের যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আজ সংসদে পেশ হতে পারে মহিলা সংরক্ষণ বিল। গতকালই বিলটিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রায় ১৮০টি লোকসভার আসন বাড়ানো নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে বলেও সাংসদ সূত্রে খবর। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Union Cabinet Meeting: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা জানেন?

    Union Cabinet Meeting: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তার মধ্যেই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Union Cabinet Meeting) বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শুরু হয়েছে এদিন সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ।

    বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কারা?

    তবে ঠিক কী কারণে এদিনের বৈঠক, বৈঠক শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত তা জানতে পারেননি মন্ত্রিসভার সিংহভাগ সদস্যই। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী প্রমুখ। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে রবিবার হয়েছে সর্বদল বৈঠক। ওই বৈঠকে যে আটটি বিল পেশ করা হবে, বিরোধীদের (Union Cabinet Meeting) তা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এর মধ্যে অবশ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বিলটিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ায় আপাতত পেশ হচ্ছে না সেটি। এই বিলগুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।  

    স্মৃতিমেদুর প্রধানমন্ত্রী 

    এদিন বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫ বছরের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি তাঁর পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের কথা বলেন। তাঁর কথায় উঠে আসে একে একে জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, নরসিমহা রাও, মনমোহন সিংহ প্রমুখের নাম (Union Cabinet Meeting)। খানিক স্মৃতিমেদুর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেহরুজির মধ্যরাতের ভাষণ চিরকাল আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এই হাউসেই অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু দেশ থাকবে।”  

    আরও পড়ুুন: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০-এর সাফল্য কোনও দলের নয়। এটি দেশের সাফল্য। এই সম্মেলনে দেশের বৈচিত্র্যের উদযাপন হয়েছে।” চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান তিনি। চন্দ্রযান ৩ ও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জেরে দেশের মধ্যে একটি নতুন আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী (Union Cabinet Meeting)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের (Indi Alliance) নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই জোটের অন্দরেই বেঁধেছে বড় গোল।

    কটাক্ষ সেলিমের

    দিন দুই আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসেছিল ইন্ডি জোটের। কমিটির ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল সিপিএমের জন্য। যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, জোটে থাকলেও, তৃণমূল থাকায় সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না তারা। ইডির তলব পাওয়ায় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর জন্য। তাতেও বেজায় চটেছিল সিপিএম। করেছিল কড়া সমালোচনাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, “অভিষেক জেলে গেলেও পাকাপাকিভাবে আসন ফাঁকা থাকবে কি?”

    চোরেদের ধরার দাবি অধীরের

    ইন্ডি জোটে রয়েছে কংগ্রেস (Indi Alliance)। তবে অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে বেসুরো বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ করেছে। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরেদের ধরা হোক, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা হোক।” দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ঝালদা পুরসভার রাশ ‘কেড়ে’ নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার জেরে ওই পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের শরিক তৃণমূলের এহেন ‘আগ্রাসনে’র জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গ কংগ্রেস। যদিও হাইকমান্ডের নির্দেশ তারা মানছেন সাপের ছুঁচো গেলার মতো।

    আরও পড়ুুন: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রায় একই অবস্থা বঙ্গ সিপিএমেরও। তৃণমূল বিরোধিতাই যাদের রাজনীতির অভিমুখ, ঘাসফুলের সঙ্গে একাসনে বসতে তাদের যে আপত্তি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের যেমন অহিনকুল সম্পর্ক, কেরল সিপিএমের ক্ষেত্রে আবার শত্রু হল কংগ্রেস (Indi Alliance)। তাই সে রাজ্যের সিপিএম চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করুক দল। দুই রাজ্যের এহেন বাধ্যবাধকতায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। তাই পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত,  জোটে থাকলেও, সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না সিপিএম। জোটের অন্দরে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ায় ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) যে প্রথম জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বোধহয় খুব একটা ভুল বলেননি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • PM Modi: ৭৪-এ পা প্রধানমন্ত্রীর, গত পাঁচ বছর কীভাবে তিনি পালন করেছিলেন জন্মদিন?

    PM Modi: ৭৪-এ পা প্রধানমন্ত্রীর, গত পাঁচ বছর কীভাবে তিনি পালন করেছিলেন জন্মদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৪ বছরে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিনভর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন তিনি। কংগ্রেসের তরফে তাঁকে  জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ একাধিক শীর্ষস্তরের নেতা। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন নেতাও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

    ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’র সূচনা 

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সরকার সূচনা করতে চলেছে ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’র। তাঁত ইত্যাদি শিল্পের মতো পূর্বপুরুষের পেশা যাঁরা ধরে রেখেছেন, মূলত তাঁদের জন্যই চালু হচ্ছে ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’। ‘আয়ুষ্মান ভব’ বলে একটি নয়া স্বাস্থ্য শিবিরও চালু হতে চলেছে আজ থেকে।

    কীভাবে জন্মদিনটি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী?

    যাইহোক, এখন দেখে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছর ধরে কীভাবে জন্মদিনটি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। গত বছর ৭২তম জন্মদিনে নাবিমিয়া থেকে আনা চিতা ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের বিশেষ খাঁচায়। ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে ওই কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীকে সেদিন একটি টুপি পরে ক্যামেরা হাতে দেখা গিয়েছিল।

    ৭১তম জন্ম দিনে একটি বিশেষ অভিযানে ভারত পূর্ণ করেছিল ২.২৬ কোটি কোভিড টিকাকরণ। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার আগের বছর ‘সেবা শপথ’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল বিজেপি। সেবার দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিলি করা হয়েছিল। আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরেরও। ২০১৯ সালের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজ্য গুজরাটে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ দেখতে গিয়েছিলেন। এই সফরে তিনি করেছিলেন ‘মা নর্মদা পূজন’। সর্দার সরোবর বাঁধের কন্ট্রোল রুমও দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    ‘দত্তাত্রেয় মন্দির’ দর্শনের পর কেভাদিয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। এর আগের বছরের জন্মদিনটি প্রধানমন্ত্রী কাটিয়েছিলেন তাঁর সাংসদ ক্ষেত্র বারাণসীতে। দু’ দিনের সফরে মন্দির নগরীতে গিয়েছিলেন তিনি (PM Modi)। ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। ছ’ ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর বাবার নাম দামোদর দাস মোদি। মা হিরাবা মোদি। টানা ১২ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৪ সালে হন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ ইন্ডি জোটের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।

    ট্যুইট-বার্তা খাড়গের

    এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।” শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও।

    শুভেচ্ছা নীতীশ কুমারেরও 

    ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশ কুমারও। এই নীতীশ কুমারই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপি বিরোধী সেই জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)।

    ট্যুইট-বার্তায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”

    এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করি।”

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ ইন্ডি জোটের প্রায় সব নেতাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির নেতারাও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি! পিছনে ফেললেন কোন কোন বড় নেতাদের?

    PM Modi: জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি! পিছনে ফেললেন কোন কোন বড় নেতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর একটি সমীক্ষা অনুসারে জনপ্রিয়তার নিরিখে ৭৬ % মানুষের সমর্থন রয়েছে মোদির ঝুলিতে। বিশ্বের তাবড়-তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষস্থান পেলেন তিনি। তাঁর ধারে-কাছে নেই জো বাইডেন, ঋষি সুনকের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রনেতারা। এটা দেশবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা ও তাঁর প্রতি জনগণের আস্থার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি বলে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সমর্থন

    গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং ট্র্যাকার-এর রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৭৬ শতাংশ মানুষ। তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৮ শতাংশ মানুষ। আর ৬ শতাংশ মানুষ কোনও মতামত জানাননি। জনপ্রিয় নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলাইন বারসেট এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তাঁদের প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ৬৪ শতাংশ ও ৬১ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: ৫৪০০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত ‘যশোভূমি’, রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কী এক বৈশিষ্ট্য?

    আর কে কোথায়

    জনপ্রিয়তার নিরিখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ দ্য সিলভা ৪৯ শতাংশের সমর্থন পেয়ে রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। ৪৮ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে ইটালির প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেয়েছে ৪০ শতাংশের সমর্থন। তিনি আছেন সপ্তম স্থানে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন অষ্টম স্থানে। তিনি পেয়েছেন ৩৯ শতাংশের সমর্থন। ৩৮ শতাংশের সমর্থনে আয়াল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর নবম স্থান পেয়েছেন। দশম স্থানে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পেয়েছেন ৩৭ শতাংশের সমর্থন। ঋষি সুনকের রেটিং ২৭%, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমর্থন ২৪ শতাংশ। প্রথম দশে স্থান হয়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। স্থান হয়নি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ-র।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    Lok Sabha Elections 2024: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। এই নির্বাচনে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। সম্মেলনের আয়োজক দেশের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বনেতারা। সম্মেলনের সফল নেতৃত্ব দেওয়ায় বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজেপি। সেখানেই জি২০-কে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। সেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিতে। নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আমজনতাকে জানাতে হবে, নরেন্দ্র মোদির জমানায় অতীতের তুলনায় ভারত বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য জি২০-কে যে প্রচারে তুলে ধরার প্রস্তাব (Lok Sabha Elections 2024) গৃহীত হয়েছে, তা স্বীকার করছেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা নিয়ে প্রচারের প্রয়োজন নেই। গোটা দেশ দেখেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা কীভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়েছেন। ভারত যে বিশ্বের দরবারে গুরুত্ব পাচ্ছে, এটা তো অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। যাঁরা এসেছিলেন, সকলেই মোদিজির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। আর এই গর্ব তো শুধু বিজেপির নয়, গোটা দেশের।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সেই ছোটবেলা থেকে আমরা বলে এসেছি ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে। অতুলপ্রসাদ সেনের সেই বাণী যে এতদিন পরে সফল হয়েছে, তারই প্রমাণ দেখা গিয়েছে জি২০ সম্মেলনে। শুধু সরকারের কর্মসূচি না রেখে, রাজনীতিতে আটকে না রেখে মোদিজি যেভাবে এই সম্মেলনকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন, মানুষের সম্মেলন করে দিয়েছেন, দেশ তো তা মনে রাখবেই। ভারত যে বিশ্বগুরু, তা এবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের বলার দরকার নেই, বাকিরাই সেটা বলবে।” বিজেপি সূত্রে খবর, দলের লক্ষ্য হল, যাঁরা জি২০ সম্মেলন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন, তাঁদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে গোটা বিশ্বে বড় (Lok Sabha Elections 2024) জায়গা পেয়েছে ভারত। মোদিকে সকলে মেনে নিয়েছেন ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

    এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মাসখানেক আগেই হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৪ সালের এপ্রিলে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাসেই শুরু হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচন-পর্ব। শেষ হয়ে যাবে এপ্রিলের প্রথম দিকেই। এপ্রিলের চাঁদিফাটা রোদ্দুর থেকে ভোটকর্মী ও ভোটারদের স্বস্তি দিতেই নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) এগিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি বিজেপির

    BJP: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যাতে দলীয় সাংসদরা উপস্থিত থাকেন তাই হুইপ জারি করল বিজেপি (BJP)। সব মিলিয়ে তিন লাইন লেখা। তাতে বলা হয়েছে, ‘লোকসভার সব বিজেপি সদস্যকে জানানো হচ্ছে যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সেগুলি সংসদে পাশ করানোর জন্য ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন বসছে। আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এই পাঁচ দিনই আপনারা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লোকসভায় উপস্থিত থাকবেন এবং সরকারের অবস্থান  সমর্থন করবেন।’

    বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছে বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ছাড়াও (BJP) আরও যে তিনটি বিল পেশ করা হবে সেগুলি হল, অ্যাডভোকেটস (সংশোধনী) বিল, ২০২৩, দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যালস বিল, ২০২৩ এবং পোস্ট অফিস বিল, ২০২৩। অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভায় ৭৫ বছরের সংসদীয় যাত্রার বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংবিধান সভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সংসদের সাফল্য, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশনের আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেখানেও এই অ্যাজেন্ডা নিয়ে হবে আলোচনা।

    সংসদের বিশেষ অধিবেশন

    সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি বলে দিন কয়েক আগে ইন্ডি জোটের (INDIA) তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তার জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ঠিক সময়েই জানানো হবে অ্যাজেন্ডা। শেষমেশ বুধবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দু’টি করে গুরুত্বপূর্ণ বিল (BJP) পেশ করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

     

  • PM Modi: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

    PM Modi: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্মের ওপর খোলাখুলি আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এই সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায় ওরা।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডি’কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বিনার এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিরোধী জোট সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করতে চাইছে। এই জোট সনাতন ধর্মের জন্য বিপজ্জনক। স্বামী বিবেকানন্দ, লোকমান্য তিলকরা যে ধর্ম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন, এবার সেই ধর্মকে মুছে ফেলতে চান ইন্ডি জোটের সদস্যরা।”

    “ওরা দেশের বিভাজন চায়”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী জোট এ ব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ওরা শেষ করতে চায়। ওরা দেশের বিভাজন চায়।” তিনি (PM Modi) বলেন, “সম্প্রতি ওরা মুম্বইয়ে বৈঠক করেছে। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক কৌশল ও অহঙ্কারী জোট কীভাবে চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে। গোপন অ্যাজেন্ডা নিয়েও তাঁদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কৌশল হল ভারতের সংস্কৃতিকে আক্রমণ করা। তাঁরা ভারতীয়দের বিশ্বাসকে শেষ করে দিতে চায়। যে বিশ্বাস ভারতে হাজার হাজার বছর ধরে একতা দিয়েছে।”

    “সনাতন-বিরোধীদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে”

    সনাতন ধর্মকে যাঁরা মুছে ফেলতে চাইছেন, তাঁদের এই মনোভাব যাতে না থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সনাতন ধর্মাবলম্বী-বিরোধীদের সম্পর্কে জনগণকে সতর্কও করে দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি সনাতন ধর্মকে ‘কুষ্ঠ ও এইচআইভির মতো রোগ, যা সামাজিক ব্যাধি হিসেবেও পরিচিত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ডিএমকে নেতা এ রাজা। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিনও সনাতন ধর্মকে নির্মূল করার ডাক দিয়েছিলেন।

    তিনি বলেছিলেন, “কিছু জিনিসের প্রতিবাদ করা যায় না। সেগুলির অবলুপ্তি ঘটানো দরকার। আমরা ডেঙ্গি, মশা, ম্যালেরিয়া কিংবা করোনার বিরোধিতা করি না। আমরা সেটি নির্মূল করি। ঠিক সেভাবেই আমাদের সনাতন ধর্মকে অবলুপ্ত করতে হবে। সনাতন শব্দটা এসেছে সংস্কৃত থেকে। এটা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরুদ্ধে।” ডিএমকে ইন্ডি-জোটের সদস্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ইন্ডি-জোটকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share