Tag: PM Modi

PM Modi

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    Narendra Modi: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে একটা নতুন পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। মহিলা, যুবরা বিজেপি-র প্রতি ভরসা রেখে সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্নকে সফল করতে মরিয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    পবনপুত্র হনুমানের প্রসঙ্গ

    পবনপুত্র হনুমানের প্রসঙ্গ তুলে এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, পরিবারবাদ থেকে শুরু করে দুর্নীতি বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যেখানে কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে কড়া পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার। বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দীর্ঘ ভাষণ দেন মোদি। সেখানে বারবার রামায়ণ ও হনুমানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তীর জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের থেকে শুরু করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, “হনুমানজীর মধ্যে অসীম শক্তি ছিল। কিন্তু তাঁকে মনে করিয়ে না দিলে সেই শক্তি ব্যবহার করতে পারতেন না তিনি। ২০১৪-র আগে ভারতের অবস্থাও ছিল ঠিক তেমনই।” সমুদ্রের মতো বিশাল প্রতিবন্ধকতা যে ভারত পার করতে সক্ষম, তা তাঁর সরকারের আমলেই গোটা বিশ্ব জানতে পেরেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি হনুমানজীর উদাহরণ দিয়ে পার্টি কর্মীদের নিঃস্বার্থভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে বলেছেন তিনি।

    বদলা হুয়া ভারত

    এদিন রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় গোটা দেশের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বসে সেই ভাষণ শোনেন সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। মুরলীধর সেন লেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোভিডের পর মোদিজির সিদ্ধান্ত যে কত ভাল ছিল, সেটা মানুষ আজ বুঝছে। এই প্রথম, আমেরিকার থেকে আমাদের মুদ্রাস্ফীতি কম। মোদির নেতৃত্বে এখন এটা বদলা হুয়া ভারত’।

    কাশ্মীরে ৩৭০ এখন ইতিহাস

    ২০১৪-য় শুধু সরকার বদল হয়নি। ভারতের মানুষ ভারতের পুনর্জাগরনের শঙ্খনাদ করেছে বলেও জানিয়েছেন মোদি (Narendra Modi)। তাঁর কথায়, ৪৭ সালে ইংরেজ চলে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে তাঁদের মানসিকতাকে রেখে গিয়েছিল। কিছু মানুষ এই দেশের সত্তাকে নিজেদের পারিবারিক হক ভাবতেন। দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে গিয়েছেন, বছরের পর বছর। মোদি জানিয়েছেন, ‘আমি যখন লালকেল্লা থেকে স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলাম, তখন কী কী না বলেছিল। আমি যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলাম, তখন এরা পুরো শক্তি প্রয়োগ করে মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল’। কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদশাহী মানসিকতার মানুষেরা কখনও ভাবেননি আর্টিকল ৩৭০ ইতিহাস হয়ে যাবে। কাশ্মীর, উত্তরপূর্বে শান্তি থাকবে। তিনি বলেন, বিরোধীরা বিজেপিকে ঠেকাতে না পেরে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: ‘আপনি আমাকে ভুল প্রমাণিত করলেন…’ ! প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতঙ্গ শিল্পী রশিদ আহমেদ কাদরি

    নয়া ইনোভেশনকে আনতে হবে

    মোদি (Narendra Modi) এদিন আরও বলেন, “৬-৭ বছর বাদে ভারতীয় জনতা পার্টির ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তখন পার্টির রূপ কি হবে, পার্টির লক্ষ্য কী হবে তা এখন থেকেই স্থির করতে হবে। নয়া ইনোভেশনকে আনতে হবে। নতুন ভাবতে হবে। আমার পরামর্শ হল, আমরা পার্টিতে টেকনোলজি আনতে পারি। আমরা টেকনোলজি সেল তৈরি করতে পারি সব জায়গায়। টেকনোলজিতে এক্সপার্ট ছেলেদের যুক্ত করি যাতে তাঁরা নতুন নতুন টেকনোলজির খোঁজ দিতে পারেন আমাদের। কীভাবে সেই টেকনোলজি সাধারণের কাছে পৌঁছনো যায়, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।”

    ইন্টেলেকচুয়াল সেল তৈরি করতে হবে

    মোদি (Narendra Modi) আরও জানিয়েছেন, “আমার ইচ্ছা যুব, মহিলা কর্মীরা অন্য দেশের রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করুন। আইডিয়া শেয়ার করুন। সাংসদদের অনুভব যাতে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বেশি ভাগ করে নিতে পারেন, সেটা দেখতে হবে। আমাদের ফিউচার রেডি হতে হবে। নতুন ইন্টেলেকচুয়াল সেলও তৈরি করা যেতে পারে। বিদগ্ধ মানুষদের নিয়ে সেমিনার করা যেতে পারে। লোকে এখন থেকেই বলছেন ২০২৪ সালে বিজেপি-কে কেউ হারাতে পারবে না। সেটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সব মানুষের মন জিততে হবে। শুধু ভোটে জিতলেই হবে না। মানুষের মনও জিততে হবে।” তাঁর কথায়, “পার্টি প্রতিষ্ঠার শুরুর দিনগুলিতে অনেক কিছুই অজানা ছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। দিনকে দিন সেই আস্থা আরও দৃঢ় হচ্ছে। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে মজবুত করে যাচ্ছে বিজেপি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    Changu Lake: সিকিমে তুষার ধসে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও, সমবেদনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে দুই বাঙালি সহ সাতজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। মঙ্গলবার দিনভর উদ্ধারকাজ চালানোর পর রাতে এনডিআরএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কোনও পর্যটক বরফের নিচে চাপা পড়ে নেই। তাই বন্ধ করা হচ্ছে উদ্ধার কাজ। এদিনের তুষার ধসে যে দুই বাঙালির মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন কলকাতার বাসিন্দা বছর আটত্রিশের প্রীতম মাইতি এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা বছর সাতাশের সৌরভ চৌধুরী। আর বাকি পাঁচ পর্যটকের মধ্যে তিনজন নেপালের বাসিন্দা, দুজন উত্তর প্রদেশের।

    সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ধসে ক্ষতি…

    মঙ্গলবার পর পর দু বার ধস নামে সিকিমের ছাঙ্গু (Changu Lake) রোডে ১৭ মাইল এলাকায়। পাহাড়ের ওপর থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বরফের স্রোত। সেই সময় পাহাড়ের ঢালে দাঁড়িয়ে যাঁরা প্রকৃতির শোভা উপভোগ করছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাপা পড়ে যান তুষারের নিচে। পরে সেনা নামিয়ে সামাল দেওয়া হয় পরিস্থিতি। তুষারধসের জেরে কেবল পর্যটকরাই নন, বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যে অঞ্চলে ধস নেমেছে, তার আশপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরাত জোরে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, তুষারের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় হাত-পা নাড়ানোর সুযোগটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে অন্যান্য পর্যটক, সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় তাঁদের।

    মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সিকিমে (Changu Lake) তুষার ধসে চাপা পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। উদ্ধারকার্য চলছে। ধসের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী মোট ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে খোঁজ নেওয়া হয়েছে সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সিকিম সরকার উত্তর ও পূর্ব সিকিমের পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • PM Modi: ‘নয়া হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘নয়া হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া হুমকির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত সশস্ত্র বাহিনীর (Armed Forces)। শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) অমীমাংসিত সীমানায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ওই কথাগুলি বলেন তিনি। এদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কম্বাইন্ড কমান্ডারর্স কনফারেন্সে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমস্যার মোকাবিলায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সুসজ্জিত করেছে। স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার তিনদিনের কম্বাইন্ড কমান্ডারর্স কনফারেন্সে অপারেশনাল তৎপরতা রিভিউ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    শনিবার শেষ হয় ওই অনুষ্ঠান। সেখানেই কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) তিন দিনের কনফারেন্সে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সে সম্পর্কে অবগত করেন ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। জাতি গঠনে সেনার ভূমিকা কী, মানবিক সাহায্য কীভাবে করতে হয়, বন্ধু দেশগুলির কাছ থেকে কীভাবে বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ পাওয়া যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে তিন দিনের ওই কনফারেন্সে। জানা গিয়েছে চলতি বছর স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনাকে নিয়ে কয়েকটি মাল্টি লেয়ার কনফারেন্সও হবে। সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ে চিনা সেনা। তা নিয়ে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। ভারত চিন সংঘর্ষে চিনের বেশ কয়েকজন জওয়ান নিহত হন। ভারতেরও কয়েকজন জওয়ান শহিদ হন। পরে অবশ্য চিনা সেনাদের মেরে তাড়িয়ে দেন ভারতের সেনা জওয়ানরা। পরে সংসদে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, আমাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করা থেকে চিনা সেনাকে আটকে দিয়েছে ভারতীয় সেনা (PM Modi)। ওদের ছাউনি থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।

    আরও পড়ুুন: প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন অয়ন, আদালতে দাবি ইডির

    সংঘাতে দুই দেশেরই একাধিক জওয়ান জখম হয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চিনা সেনা এক তরফা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থা পাল্টে দিতে চেয়েছিল। ভারতীয় সেনা তা হতে দেয়নি। প্রসঙ্গত, ওই সময় দু তিনবার যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছিল ভারত। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনা ছাউনির দিকে এগিয়ে আসছিল চিনা ড্রোন। ওই ড্রোন যাতে আকাশসীমা লঙ্ঘন না করে, তাই সুখোই-৩০ এমকেআই নামিয়েছিল ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    PM Modi: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করার জন্য সরব হওয়ায় আম আদমি পার্টি (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দেশের একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দরকার, এই প্রচার শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এমন প্রচারের পাশাপাশি তাঁর ডিগ্রির প্রমাণ চেয়ে জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি…

    এদিন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন খারিজ করে দেয় চিফ ইনফর্মেশন কমিশনের অর্ডার। তাদের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারকে। একই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গুজরাট ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারদেরও। গুজরাট হাইকোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই মর্মে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। কেজরিওয়ালই প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন। এরপরই চিফ ইনফর্মেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়।

    আরও পড়ুুন: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দেওয়া তথ্য অনুসারে ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। মাস্টার্স করেছেন ১৯৮৩ সালে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এই ক্ষেত্রে কোনও জনগণের স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জন প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। আরটিআইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ ছাড়া কোনও কিছু জানতে চাওয়া অযৌক্তিক বলেও জানিয়েছিলেন তুষার মেহতা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে আইনজীবী পার্সি ক্যাভিনা বলেন, এই আবেদন মোটেই শিশুসুলভ কৌতুহল নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছি। মার্কশিট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Parliamentary Party: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    BJP Parliamentary Party: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতাদের কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার নয়া দিল্লির পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে বিজেপির সংসদীয় দলের (BJP Parliamentary Party) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তিনি এই বার্তা দেন বলে সূত্রের খবর। ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান সাংসদরা। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান ‘কাজের কথা’য়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের বলেন, বিজেপি যেভাবে একের পর এক রাজ্যে জিতছে তাতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এর ফলে বিজেপির ওপর বিরোধী দলগুলির আক্রমণ আরও বাড়বে। সেই জন্যই দলীয় নেতাদের কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ…

    তিনি (BJP Parliamentary Party) বলেন, সময় যত গড়াবে বিজেপির ওপর রাজনৈতিক হামলা ততই বাড়বে। তাঁর কথায়, বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা যত উজ্জ্বল হবে, বিরোধীরা ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে। সূত্রের খবর, অরাজনৈতিক অথচ সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে জোর দিতে বলা হয়েছে বিজেপি সাংসদদের। পরিবেশ রক্ষার ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দেশজুড়ে সংস্কৃত সংস্কৃতি পালন করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসের শেষ রবিবার সম্প্রচারিত হবে মন কি বাতের ১০০তম পর্ব। সে ব্যাপারেও ব্যাপক প্রচার করতে বলা হয়েছে। দলীয় সাংসদদের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যে ২১০০ শোভাযাত্রা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের, অংশ নেবে বিজেপিও

    বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে শুরু করে আম্বেদকর জয়ন্তী পর্যন্ত প্রত্যেক সাংসদকে নিজেদের এলাকায় সরকার ও দলের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হলে সরকারের সব কাজ জনগণের কাছে পৌঁছানোয় জোর দিতেও বলেন তিনি। দলীয় শক্তি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। 

    রাহুল গান্ধী ইস্যুতে একজোট হচ্ছেন বিরোধীরা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে সংসদে যেমন সোচ্চার হচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদরা, তেমনি সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে আয়োজিত বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমন আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক (BJP Parliamentary Party) যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    PM Modi: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বাংলার বিজেপি (BJP) সাংসদদের। সেই মতো দিল্লি গিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বাংলার সাংসদদের ওই বৈঠক হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল হওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় শাহি সাক্ষাৎ হতে পারে বিজেপির বঙ্গ সাংসদদের। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ কারণেই মঙ্গলবার রাতে বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বাংলার সাংসদরা বারবার বলছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর সামনে জবকার্ডের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার দুর্নীতির বিষয় সহ নানা বিষয় বিশদে তুলে ধরব।

    দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সেই মতো পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। মোদিকে (PM Modi) মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও জোর কদমে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বুথস্তরের সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে, তারও দিশা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এসব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে। তবে শাহের সঙ্গে বৈঠক হবে স্থির হওয়ায় এগুলো নিয়েই আলোচনা হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতি নিয়েও হতে পারে আলোচনা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নানা বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয় শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে। এদিকে, ২৯ মার্চ বুধবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে পাল্টা ধর্নায় বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপিও। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসবে পদ্ম শিবির। ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাই শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় ফিরে আসবেন বিজেপি সাংসদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মোদির ডাকে সুকান্তর নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা, কথা হবে বাংলা নিয়ে?

    Sukanta Majumdar: মোদির ডাকে সুকান্তর নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা, কথা হবে বাংলা নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাই বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে তাঁর কাছে সময় চেয়েছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ সেই সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলার সাংসদরা বারবার বলছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সময় দিয়েছেন। আমরা তাঁর সামনে জবকার্ডের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার দুর্নীতির বিষয় সহ নানা বিষয় বিশদে তুলে ধরব। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, মোদিজি আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনও পরামর্শ দিলে সেটা আমাদের কাছে নির্দেশ। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সেটা পালন করি। এবারও এই কৌতূহল নিয়ে যাব যে তিনি কোন পথনির্দেশ করেন।

    দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে সরকার গড়তে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সেই মতো পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। বিভিন্ন লোকসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। মোদিকে মুখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও জোর কদমে প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বুথস্তরের সংগঠন কীভাবে সাজাতে হবে, তারও দিশা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    পদ্ম (Sukanta Majumdar) শিবির সূত্রে খবর, এমন বৈঠক এর আগেও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের দলীয় সাংসদদের সঙ্গে করেছেন একাধিক বৈঠক। এই বৈঠকে সাংসদদের কর্তব্য নিয়েও বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের এলাকায় দলীয় সংগঠন আরও মজবুত করতে কী করণীয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, কীভাবে নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সে ব্যাপারে উপদেশ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার কোনও সংসদ ক্ষেত্রে কী প্রয়োজন, তা নিয়েও কথা বলতে পারেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘অঙ্গদান করুন’, ৯৯তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘অঙ্গদান করুন’, ৯৯তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সম্প্রচারিত হল মন কি বাতের (Mann Ki Baat) ৯৯তম পর্ব। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও অল ইন্ডিয়া রেডিওয়। প্রধানমন্ত্রীর এই পর্বের ভাষণের ফোকাস ছিল অঙ্গদানের ওপর। দেশবাসীকে মরণোত্তর অঙ্গদানে উদ্বুদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি মাসের শেষ রবিবার মন কি বাতের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ছিল এই অনুষ্ঠানের ৯৯তম পর্ব। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণত ৯৯ কে কঠিন মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে যেহেতু এটা ভারতবাসী এবং তাঁদের মন কি বাতের অনুষ্ঠান, তাই এটা আমার কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রেরণার উৎস।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সোজা চলে যান অঙ্গদানের বিষয়ের আলোচনায়। তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রযুক্তির অগ্রগতির জেরে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে বর্তমানে অঙ্গদান একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুর পরে কেউ দেহদান করলে তাঁর অঙ্গে সুস্থ জীবন পান ৮ থেকে ৯ জন। তিনি বলেন, এটা খুশির খবর যে বর্তমানে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে দেশে বাড়ছে অঙ্গদানের হার। ২০১৩ সালে দেশে অঙ্গদান হয়েছিল ৫ হাজার। ২০২২ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার।

    যাঁরা মরণোত্তর অঙ্গদান করেছেন, এদিন মন কি বাতের অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মরণোত্তর অঙ্গদান করে যাঁরা অন্যকে সুস্থ জীবন দিয়েছেন, এদিন তাঁদের পরিবারকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ফের কর্ণাটকে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা! কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের

    ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে মাত্র ৩৯ দিন বয়সী কন্যার দেহ দান করেন সুখবীর সিংহ সান্ধু। নিজের সদ্যোজাত কন্যা যাতে মৃত্যুর পরেও অন্যের দেহে বেঁচে থাকতে পারে, তাই মেয়ের দেহদানের সিদ্ধান্ত নেন সুখবীর। এদিন তাঁর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ৩৯ দিন বয়সী আবাবাত কৌরকে দেশ মনে রাখবে সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাত্রী হিসেবে। এদিন আরও অনেক অঙ্গদাতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে আহ্বান জানান মরণোত্তর দেহদানের। প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল সম্প্রচারিত হবে মন কি বাতের ১০০তম পর্ব। দেশবাসীর কাছে সেদিনের আলোচনার বিষয়বস্তুর ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার সকাল থেকে রাহুলের ট্যুইটারে তাঁর ছবির নীচে লেখা রয়েছে, এটি রাহুল গান্ধীর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের (Congress) সদস্য। লেখা হয়েছে, ডিস’কোয়ালিফায়েড এমপি (অপসারিত সাংসদ)। এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছে কংগ্রেস।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ওই জনসভায় তিনি (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, মোদি পদবিধারীরা কেন চোর হন। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করেন সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির পূর্ণেশ মোদি। তার জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। করা হয় জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। মুক্তি দেওয়া হয় জামিনে। কারাদণ্ড হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলার কথা। যদিও রাজঘাটে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। রাজঘাট এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    আরও পড়ুুন: ফের কর্ণাটকে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা! কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের

    এদিকে মোদি পদবি নিয়ে কেবল রাহুলই (Rahul) নন, ২০১৮ সালে প্রায় একই রকম ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী খুশবু সুন্দর। তাঁর ট্যুইট-বার্তার নির্যাস, মোদি মানেই দুর্নীতি। তাঁর ওই মন্তব্যে একই বন্ধনীভুক্ত হয়েছিলেন নীরব, ললিত এবং নরেন্দ্র মোদি। পরে খুশবু বিজেপিতে যোগ দেন। এবার খুশবুর সেই ট্যুইট-বাণই হাতিয়ার করতে চলেছে কংগ্রেস। খুশবুর পুরানো ট্যুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ লেখেন, মোদিজি এবার কী আপনার কোনও শিষ্য খুশবু সুন্দরের নামে মানহানির মামলা করবেন? এখন তো তিনি বিজেপির সদস্য। দেখা যাক…।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share