Tag: PM Modi

PM Modi

  • Manipur: মণিপুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে ট্যুইটার, কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র

    Manipur: মণিপুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে ট্যুইটার, কড়া পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে দুই মহিলাকে। তাঁদের পেছনে পেছনে চলেছেন যাঁরা ওই মহিলাদের ‘শাস্তি’ দিচ্ছেন, তাঁরা। মণিপুরের (Manipur) অসভ্য এবং বর্বরোচিত এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যথারীতি। অবশ্য ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে এই ভিডিও ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার জেরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে হল, “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।”

    ভিডিও দ্রুত সরানোর নির্দেশ

    প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ার আগেই অবশ্য পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ট্যুইটার সহ সমস্ত সমাজমাধ্যমকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই ভিডিও দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে, বুঝেই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের। তার বদলে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ যেভাবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে, তাতে প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

    ছিঃ ছিঃ ছিঃ

    ট্যুইটার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনও ভেঙেছে বলে মনে করছে সরকার। ট্যুইটার ও অন্য সমাজ মাধ্যমগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়া রুখতে চাইছে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্ত মন্ত্রক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের।

    পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

    আরও পড়ুুন: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Manipur: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এই ভাষায়ই মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিলগুলি সাংসদরা সমর্থন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘‘আজ আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত, ক্রোধে পূর্ণ। মণিপুরের যে ঘটনা সামনে এসেছে, তা কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক। অপরাধীরা অপরাধ করে নিজের নিজের জায়জায়। কিন্তু এই ঘটনায় সারা দেশ অপমানিত হয়েছে। ১৪০ কোটি দেশবাসী লজ্জিত।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মা বোনেদের রক্ষা করার জন্য আমি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, নিজেদের রাজ্যে আইনব্যবস্থা আরও মজবুত করুন। রাজস্থান, ছত্তীসগড় হোক বা মণিপুর— সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আহ্বান করছি, রাজনীতির উপরে উঠে, যে কোনও রাজ্যে আগে নারীর সম্মান রক্ষা হোক। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছেন, কোনও অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন তার সর্বশক্তি দিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নেবে।

    প্রকাশ্যে ভিডিও

    সম্প্রতি, মণিপুরের (Manipur) একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে। ওই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির একাংশ ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফা দাবি করেছে। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের পক্ষে এদিন নোটিশ দেওয়া হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায়। ট্যুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ওই ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

    লজ্জাজনক ঘটনা

    জানা গিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন।

    পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের। পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।

    প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় ঘটনার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় ও সম্পূর্ণ অমানবিক।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বাদল অধিবেশন চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। এই অধিবেশনে পাশ করানো হতে পারে ৩১টি বিল। এর মধ্যে নতুন বিল পেশ হতে পারে ২১টি।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় নিজেদের কর্মীরা মার খেলেও, বেঙ্গালুরু বৈঠকে হাজির হওয়া বাম-কংগ্রেস নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নয়া একটি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তিনি। সেখানেই আক্রমণ শানান বাম এবং কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হওয়া দলগুলিকে।

    ঠিক কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে হিংসা হয়েছে, লাগাতার খুনখারাপি হচ্ছে। এ নিয়ে এঁদের মুখ বন্ধ। কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা ওখানে নিজেদের কী করে বাঁচাবেন, ভাবছেন। কিন্তু তাঁদের নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।”  

    ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোটের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণ হেনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি!!! কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই? কী রাজনীতি রে ভাই!” সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের কর্মীদের দিকে দেখেন না বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    বছর ঘুরলেই লোকসভা (PM Modi) নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একজোট হতে চাইছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর হোটেলে আজ, মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন কংগ্রেস সহ ২৬টি দলের নেতানেত্রী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের শারদ পাওয়ারের মতো হেভিওয়েট নেতারা। মহাজোটের বন্ধন শক্তপোক্ত করতে সোমবার নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল ওই হোটেলে। সেদিন উপস্থিত ছিলেন না এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। অবশ্য মঙ্গলবার সাত সকালেই হাজির হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মঙ্গলবারের বৈঠকের সঞ্চালক ছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরেই ভাষণ দিতে তিনি আমন্ত্রণ জানান মমতাকে। বক্তৃতার শুরুতে খাড়্গে সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামই নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে রাহুলকে তিনি প্রিয় রাহুল গান্ধী বলে সম্বোধন করেন। আবার (PM Modi) ভাষণ দিতে উঠে রাহুল মমতার নাম নিলেও, উচ্চারণ করেননি আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের নাম।

    জোটের অন্দরে বইছে মতানৈক্যের চোরাস্রোত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নয়া ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন  করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধার উদ্যোগকে। তিনি বলেন, “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা। যে যত বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, বৈঠকে তাঁর আসন হবে তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

    ‘ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ তো কট্টর ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন হচ্ছে। বিরোধীদের মন্ত্র হল, অফ দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি এবং ফর দ্য ফ্যামিলি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “গত ৯ বছরে আমরা পুরনো সরকারের ভুলগুলি শুধরে দেশের মানুষকে নতুন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছি। দেশে উন্নয়নের মডেল তৈরি হয়েছে। এটা সবকা সাথ সবকা বিকাশের মডেল।” তিনি বলেন, “এই দলগুলির লক্ষ্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দেশের যুবশক্তির সঙ্গে কখনও ন্যায় করেনি। এদের একটাই এজেন্ডা –  নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি কর।”

    ‘জাতিবাদের বিষ বিক্রি করছেন’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়। এক, জাতিবাদের বিষ বিক্রি করা এবং দুই, দুর্নীতি করা।” তিনি বলেন, “এঁরা যখন ক্যামেরার সামনে একই ফ্রেমে আসেন, তখন দেশবাসীর একটাই কথা মনে আসবে, এটা লাখো-কোটি টাকার দুর্নীতি। দেশের জনতা বলছে, এটা কট্টর দুর্নীতির সম্মেলন হচ্ছে। যেসব নেতা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত, জেলে গিয়েছেন বা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত, তাঁরাই এই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভারতের দুর্দশার জন্য দায়ী, তাঁরা এখন তাঁদের দোকান খুলেছেন। ২০২৪ এর লক্ষ্যে ২৬টি দল এক হয়েছে। এই দলগুলির ক্ষেত্রে এটাই মানায়। তাঁরা মুখে অন্য গান গাইছেন। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু। এখন তাঁরা বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করছেন।” বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কেন এই বিরোধী জোটের সদস্যরা চুপ করে রয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিনই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসছেন বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা। তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: গুচ্ছ মউ স্বাক্ষর, আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে “আমার বন্ধু” সম্বোধন মোদির

    PM Modi: গুচ্ছ মউ স্বাক্ষর, আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে “আমার বন্ধু” সম্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল অপেক্ষার প্রহর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফ্রান্স থেকে আমিরশাহিতে পৌঁছে এক বিবৃতিতে মোদি বলেন, “আমি আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য অপেক্ষা করছি।”

    বৈঠকের আলোচ্যসূচি

    বৈঠকের সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, “আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করব।” এদিন বৈঠক হয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ কাসার আল ওয়াতনে। সেখানে তাঁকে আলিঙ্গন করেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। গত বছর ওই বিষয়গুলি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। সেগুলিরই অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীকে যখন গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়, তখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তিরঙ্গা পতাকা নাড়াতে দেখা যায়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, ফিনটেক, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং রোবাস্ট পিপল টু পিপল টাইজ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমিরশাহিকে কপ-২৮ প্রেসিডেন্সির জন্য পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

    ভারতের বন্ধু

    বৈঠকের শুরুতেই আবুধাবির প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি ভারতবাসী আপনাকে প্রকৃত বন্ধুর চোখে দেখেন।” দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় বাণিজ্য, শক্তি, শিক্ষা এবং মুদ্রা সংক্রান্ত একাধিক মউ। প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ। এদিকে, আমিরশাহির সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে দুটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। একটি মউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, আমিরশাহিতে ক্যাম্পাস খুলবে দিল্লি আইআইটি।

    আরও পড়ুুন: “আমতাকে বগটুই করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন যে ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে সবই রয়েছে নিরামিষ আইটেম। মেনুতে রয়েছে গম ও খেজুরের স্যালাড। স্টার্টারে রয়েছে গ্রিলড ভেজিটেবল। মেইন কোর্সে রয়েছে গাজরের তন্দুরি, ফুলকপির তন্দুরি। স্থানীয় নানা সবজির পদও রয়েছে। শেষ পাতে পরিবেশন করা হবে নানা ফল দিয়ে তৈরি ফ্রুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ভারতের পতাকা ভেসে উঠল বুর্জ খলিফায়, লেখা হল, ‘স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’  

    PM Modi: ভারতের পতাকা ভেসে উঠল বুর্জ খলিফায়, লেখা হল, ‘স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা বিজয় হয়েছে। জয় হয়েছে ফরাসিদের মন। এবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মনও জয় করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার ফ্রান্স থেকে আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে চোখ ধাঁধানো স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন বুর্জ খলিফায় (Burj Khalifa) আলোকমালায় ফুটে ওঠে ভারতের জাতীয় পতাকা। মোদির সফর উপলক্ষে আগে থেকেই সাজানো হয়েছিল আকাশচুম্বী এই অট্টালিকা।

    বুর্জ খলিফা

    গলফ দেশে অফিসিয়াল ভিজিটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই বুর্জ খলিফায় লেখা হল, ‘স্বাগতম সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’। বস্তুত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ের গগনচুম্বী অট্টালিকা বুর্জ খলিফা শহরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেই বুর্জ খলিফাই সাজানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। এদিন আবুধাবি বিমানবন্দের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় মোদিকে (PM Modi)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ খালেদ বিন মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনও। 

    ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    গলফ দেশে আসার পর তাঁকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, ‘আজ আমাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ খালেদ বিন মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেন স্বয়ং।’ এই সফরে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনের সঙ্গে। আলোচনা হবে বিভিন্ন জটিল দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলি নিয়ে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    আবুধাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করার ঘণ্টাখানেক আগেই আমিরশাহির তরফে জানানো হয়, দুই দেশের পক্ষেই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। এই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জিউদি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে ভারতের তেল ছাড়া ব্যবসার পরিমাণ আশা করা হচ্ছে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, আমিরশাহি ও ভারতের কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট সুযোগ এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে ভেবেই ডিজাইন করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত (PM Modi) ও আমিরশাহির মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছিল ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। চুক্তি লাগু হয়েছিল ওই বছরেরই ১ মে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • DRDO: লক্ষ্য যৌথভাবে জেট ইঞ্জিন তৈরি! ফ্রান্সে অফিস খুলছে ডিআরডিও, ঘোষণা যৌথ বিবৃতিতে

    DRDO: লক্ষ্য যৌথভাবে জেট ইঞ্জিন তৈরি! ফ্রান্সে অফিস খুলছে ডিআরডিও, ঘোষণা যৌথ বিবৃতিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের ফ্রান্স সফর সেরে সংযুক্ত আরব আমির শাহির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারের ফ্রান্স সফরে এক গুচ্ছ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ফান্সেই সুবিধা মিলবে ইউপিআইয়ের। ইউরো ভাঙানোর ঝামেলা পোহাতে হবে না ফ্রান্সে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মোদি। সেটি হল, ফ্রান্সে যে ভারতীয় দূতাবাস রয়েছে, সেখানেই টেকনিক্যাল অফিস চালু হবে ডিআরডিওর (DRDO)। 

    কী রয়েছে যৌথ বিবৃতিতে?

    ভারত-ফ্রান্স যৌথ বিবৃতিতে বলাও হয়েছে সে কথা। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত যে ৩৬টি রাফাল অর্ডার দিয়েছে, তা সময়ে ডেলিভারি করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত ও ফ্রান্স। ভবিষ্যতে তাদের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কো-অপারেশনকে প্রসারিত করবে। এও জানানো হয়েছে, ভারত ও ফ্রান্স শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাডভান্সড অ্যারোনটিক্যাল টেকনোলজির ক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ব্রেকিং ডিফেন্স কো-অপারেশনকে প্রসারিত করবে। এটা করা হবে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির মাধ্যমে।

    সাফরান ও ডিআরডিও

    চলতি বছর শেষের আগেই ফ্রান্সের কোম্পানি সাফরান ও ডিআরডিও এই প্রজেক্টের একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় এদিন এই সিদ্ধান্তও হয়েছে যে, ইন্ডিয়ান মাল্টি রোল হেলিকপ্টারের অধীনে হেভিলিফ্ট হেলিকপ্টার তৈরিতে ভারতকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সহযোগিতা করা হবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও ফ্রান্স এই প্রতিজ্ঞা করছে যে অ্যাডভান্সড ডিফেন্স টেকনোলজির (DRDO) ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে দুই দেশই। তৃতীয় দেশের স্বার্থ বজায় রেখেই এটা করা হবে। তাছাড়া ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেশনের রোডম্যাপ তৈরিতে একযোগে কাজ করছে দুই দেশই।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    শুক্রবারই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘হরাইজন ২০৪৭’ গ্রহণ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেহেতু দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৪৭ সাল থেকে, ১৯৯৮ সালে যা আরও মজবুত করা হয়েছিল, সেই থেকে আমরা দুই দেশই নিরবচ্ছিন্নভাবে এক সঙ্গে কাজ করে চলেছি। একটা উচ্চস্তরের বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলছি। প্রসঙ্গত, বাস্তিল দিবস উপলক্ষে ফরাসি সরকারের আহ্বানে দু দিনের (DRDO) ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    PM Modi: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।’ শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি পোস্ট করে এমনই লিখলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। শুধু তাই নয়, পোস্ট করা ছবির নীচে ফরাসি, ইংরেজি এবং হিন্দিতে লেখা হয়েছে ওই ক্যাপশন।

    যৌথ বিবৃতি

    এদিকে, এদিন মাক্রঁর সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর উদযাপন করছি। এর আগের ২৫ বছরের মজবুত ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে আগামী ২৫ বছরের রোডম্যাপ তৈরি করছি।” তিনি বলেন, “এজন্য সাহসী ও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভারতের মানুষ নিজেদেরকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েছে। এই যাত্রায় আমরা ফ্রান্সকে একটি প্রাকৃতিক অংশীদার মনে করি।”

    আত্মনির্ভর ভারত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক অনেকটাই বড়সড় ভূমিকা নিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত ও মেক ইন ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।” তিনি বলেন, “সাবমেরিন হোক বা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ, এক সঙ্গে আমরা শুরু আমাদের নয়, অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের চাহিদাও পূরণ করতে চাই। আমি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল ও ফ্রান্সের টোটাল কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটি আমাদের পরিচ্ছন্ন শক্তি পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।”

    ফ্রান্সে ইউপিআই চালুর কথা ঘোষণা করেছে ভারত। এর পাশাপাশি ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাসে চালু হচ্ছে ডিআরডিওর টেকনিক্যাল অফিস। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত যে ৩৬টি রাফাল অর্ডার দিয়েছে, তা সময়ে ডেলিভারি করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত ও ফ্রান্স। ভবিষ্যতে তাদের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কো-অপারেশনকে প্রসারিত করবে।

    দুদিনের ফ্রান্স সফর শেষে শনিবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রওনা দেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে একটি ট্যুইটও করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারত-ফ্রান্স সম্পর্কের একটি নয়া অধ্যায় শুরু করে ফ্রান্সকে বিদায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিনই আবুধাবির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় নৌসেনার জন্য আসছে ২৬টি ‘রাফাল এম’ যুদ্ধবিমান! ঘোষণা কেন্দ্রের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সে ইউপিআই (UPI) ব্যবহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ভারত ও ফ্রান্স। আগামী দিনে, আইফেল টাওয়ারেও ইউপিআই ব্যবহার করা যাবে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ইউপিআই ব্যবহার চালু হয়ে গেলে ভারতীয় পর্যটকরা ফ্রান্সে ভারতীয় মুদ্রায়ই অর্থ দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে ইউপিআই ব্যবহার করা গেলে, ভারতীয় মুদ্রাকে ইউরোয় বদলে নেওয়ার ঝামেলা থাকবে না। পর্যটকদের নগদ ব্যবহারের প্রয়োজনও ফুরোবে।

    ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম

    ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেমে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আর্থিক লেনদেন করা যায়। মোদি সরকারের আমলেই চালু হয় এই ব্যবস্থা। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া তার সদস্য ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই ব্যবস্থাটি চালু করেছিল। তারপর থেকে দেশে ব্যাপকভাবে এই পেমেন্টের ব্যবহার বেড়েছে।

    ইউপিআই নিয়ে আগ্রহ বিদেশেও

    করোনা অতিমারি পর্ব ও তার পরবর্তী সময়ে ভারতের (PM Modi) ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ইউপিআই নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। ভারতে এই অর্থ প্রদান ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। চলতি বছরই সিঙ্গাপুরের পেনাওয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউপিআই। গত বছর ফ্রান্সের দ্রুত ও নিরাপদ অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম লিরার সঙ্গেও একই ধরনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এনসিপিআই। ইতিমধ্যেই নেপাল, ভুটান এবং আরব আমিরশাহিতে ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ইউপিআই পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে আলোচনা চালাচ্ছে এনসিপিআই।

    আরও পড়ুুন: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    এদিকে, ৪০ বছর (PM Modi) আগে তিনি যে ফরাসি ভাষা শিখতে গিয়েছিলেন, এদিন তা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। একটি লালচে রংয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। গুজরাটের আমেদাবাদে কবি কানাইলাল মার্গে রয়েছে আলিয়ান্স ফ্রাঁসের একটি শাখা। ১৯৮১ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই শাখায় ভর্তি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য তাঁকে দিতে হয়েছিল ১২৫ টাকা। প্রসঙ্গত, দু দিনের সফরে ফ্রান্সে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে গিয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লিজিয়ন অব অনার সম্মানে ভূষিত করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তার জেরে কেজরিওয়াল ও সাংসদ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় ২৬ জুলাই ওই দুই আপ নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিল গুজরাটের একটি আদালত। এই মামালায় আজ, ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি চলছে। তাই হাজির থাকতে পারলেন না কেজরিওয়াল। এর পরেই বিচারক তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন ২৬ জুলাই।

    কী জানিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্ট? 

    কিছু দিন আগেই গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছিল প্রধান নরেন্দ্র মোদির কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে সরব হওয়ায় কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল ওই দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। রেজিস্ট্রারের দাবি, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেজরিওয়াল ও সঞ্জয় যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ও ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই মামলায়ই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাটের আদালত।

    প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা 

    প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় (Arvind Kejriwal) থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এহেন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। তার পরেই চিফ ইনফরমেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মামলাকারীর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, “একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে জনগণের কোনও স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share