Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    PM Modi: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত ৯ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের বিদেশনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সফল মোদি সরকার। মোদি জমানায় (PM Modi) বিদেশনীতির প্রাথমিক ভিত্তি হল ‘Act East’, ‘Think West’ and ‘Connect Central Asia’। প্যাসিফিক রিজিয়নে শুরু করা হয়েছে সাগর প্রকল্প ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’। এই নীতির উদ্দেশ্য হল সমগ্র ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের সমমনস্ক সহযোগী দেশগুলিকে নিয়ে শান্তির পরিবেশ তৈরি করা। Solar Alliance (ISA), Coalition for Disaster Resilient Infrastructure (CDRI), Lifestyle for Environment (LiFE), এবং International Big Cat Alliance (IBCA) এই সব নীতির ফলেই বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ভারতের পদচিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

    ভারতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনের থিম হল বসুধৈব কুটুম্বকম। যার অর্থ হল এক পৃথিবী এক পরিবার। এখনও পর্যন্ত ভারতে একশোর উপর জি ২০-র মিটিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১১০ টি দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি এসেছেন। আমন্ত্রিত দেশের সদস্যরাও এসেছেন জি ২০ সম্মেলনে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যরাও পা রেখেছেন ভারতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সংকটের মুহূর্তে ভারতই একমাত্র দেশ, যার সক্রিয়তা সবার আগে দেখা যায়। যেমন সাম্প্রতিক তুরস্কের ভূমিকম্পে অপারেশন দোস্ত (২০২৩), অপারেশন গঙ্গা (২০২২), অপারেশন দেবী শক্তি (২০২১), মিশন সাগর (২০২১) সমেত আরও অনেকগুলি অপারেশনে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি জাতীয় সুরক্ষাও সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে মোদি সরকারের কাছে। দেখা গেছে, ভারতের বাইরেও অপারেশন সংগঠিত করেছে মোদি সরকার। বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক তার জীবন্ত প্রমাণ। গত ৯ বছরে দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থী মাওবাদীদের রমরমাও কমেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি মনে করেন, উন্নয়ন এবং জাতীয় সুরক্ষাকে পাশাপাশি চলতে হবে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে। ভারতের প্রথম নিজস্ব তৈরি এয়ারক্রাফট হল আইএনএস বিক্রান্ত। হিসাব বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিক্রি করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সুসংগঠিত এই বিদেশনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষানীতি নতুন ভারত গঠন করেছে।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, জাতীয় সুরক্ষা এবং বিদেশনীতিতে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি

    ১) গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে অপারেশন কাবেরির মাধ্যমে তিন হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ফিরিয়েছে মোদি (PM Modi) সরকার।

    ২) ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং আর্টিকল ৩৫ (এ) বিলোপ করা হয়েছে ভারতীয় সংবিধান থেকে।

    ৩) গত ৫ বছরে যুদ্ধ সরঞ্জাম বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৩৩৪ শতাংশ।

    ৪) ২ কোটি ৯৭ লক্ষেরও বেশি যাত্রীকে বন্দে ভারত ফ্লাইট-এর আওতায় আনা হয়েছে।

    ৫) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চার হাজার একশোর বেশি জিনিস ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

    ৬) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করেছে মোদি সরকার (PM Modi)।

    ৭) ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে অপারেশন দোস্তের মাধ্যমে ৫,৯৪৫ টন আপৎকালীন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত সরকার।

    ৮) ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৫০০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে।

    ৯) অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডগুলিকে বদলানো হয়েছে সাতটি প্রতিরক্ষা পিএসইউতে।

    ১০) ২৯.২ কোটি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনকে ৬১ রও বেশি দেশে পৌঁছানো হয়েছে ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রকল্পের মাধ্যমে।

    ১১) ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে সেভাবে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটেনি।

    ১২) ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালের এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে।

     

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে দেখা করবেন আহতদের সঙ্গে। পরিদর্শন করবেন দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Derailment)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে গিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দুপুর আড়াইটায় ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর

    রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬১ এবং আহত ৯০০ এর বেশি মানুষ। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কীভাবে ঘটল এই রেল দুর্ঘটনা তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর, আজ দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (Odisha Train Derailment) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জানা গেছে প্রথমে তিনি বালাসোরে যাবেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সোজা রওনা হবেন দুর্ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে তিনি যাবেন কটক হাসপাতালে। রেল দুর্ঘটনায় আহত শতাধিক যাত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা ছিলেন বৈঠকে

    আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ, আহত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বাকি আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ভারতীয় রেল এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। 

    রেলের পর প্রধানমন্ত্রীও দুর্গতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন

    নিহতদের পরিবার কিছু দশ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রেল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও বেশ কয়েকটি জনসভা করার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ৩১ মে রাজস্থানের আজমেড়ে প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন বিজেপির একমাসব্যাপী মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। সরকারের ন’বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরতে বিজেপি নেতাকর্মীরা গৃহ সম্পর্ক অভিযান, পথসভা, জনসভা, মিছিল, সাংবাদিক সম্মেলন, নাগরিক সেমিনার এ সমস্ত কিছুই করবেন আগামী এক মাস ধরে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও (Bengal BJP) শুরু হচ্ছে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান।

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বড় জনসভা করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন, অমিত শাহ রাঢ়বঙ্গে এবং জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা উত্তরবঙ্গে। দেশের প্রতিটি রাজ্যে মোট ৫১টি জনসভা করবে বিজেপি, যার মধ্যে তিনটি জনসভা হবে বাংলায়। বিজেপির সাংগঠনিক মণ্ডল কমিটিগুলি গ্রামীণক্ষেত্রে তৈরি হয় জেলা পরিষদের আসনকে ধরে। অন্যদিকে এক একটি শহরকে ধরে বিজেপির (Bengal BJP) নগর মণ্ডল তৈরি হয়। শহর বড় হলে নগর মণ্ডলের সংখ্যাও বাড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সমস্ত মণ্ডলগুলিতে এক হাজারেরও বেশি জনসভা করবেন তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্ব। হাজির থাকবেন এরাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ-বিধায়করাও।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বাংলার প্রতিটি বিধানসভায় যাবে বিজেপি (Bengal BJP) নেতৃত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, জুন মাসে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভাতেই জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব (Bengal BJP)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, সুশীল মোদির মতো নেতারা। তালিকায় রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নয়, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন বাংলার নেতারাও। আগামী ২১ থেকে ৩০ জুন মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসম্পর্ক কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: আমেরিকায় মোদিকে বদনাম রাহুলের! ‘‘জিন্নার আত্মা ভর করেছে’’, কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: আমেরিকায় মোদিকে বদনাম রাহুলের! ‘‘জিন্নার আত্মা ভর করেছে’’, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপি বলল, ‘‘বিদেশে গেলে রাহুলের উপর জিন্নার আত্মা ভর করে।’’ এদিন আমেরিকার সানফ্রান্সিস্কোর সভায় ১৪০ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রীকে সবজান্তা বলে উপহাস করেন রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয় নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গেল প্রতিষ্ঠা এবং সাধু-সন্তদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদির পুজোকেও কটাক্ষ করেন রাহুল। 

    দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশের মাটিতে বদনাম রাহুলের

    ভারতের মুসলিমরা খুব দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন এমন কথা বলতে শোনা যায় সাসপেন্ডেড সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। আমেরিকাতে তিনি বলেন, ‘‘গত শতকের আটের দশক থেকে যে অবস্থা দলিতদের ছিল বর্তমানে মুসলমানদের সেই অবস্থা হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করার উদ্দেশে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা ভাবেন যে ভগবানের থেকেও বেশি কিছু জানেন, সেই রকমই একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’’

    বিজেপির পাল্টা প্রতিক্রিয়া

    মার্কিন সফরে রাহুল গান্ধীর মুখে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বদনামের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র মুখতার আব্বাস নখবি বলেন, ‘‘বিদেশে যখনই রাহুল গান্ধী যান তখনই তাঁর উপর জিন্নার আত্মা ভর করে।’’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিককালে ২৪টি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ৫০টিরও বেশি বৈঠক করেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বস বলে সম্মোধন করেছেন। রাহুল গান্ধী এগুলোকে হজম করতে পারছেন না। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে জনপ্রিয়তম নেতা বলেছেন। অন্যদিকে পাপুয়া-নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী মোদিজির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন।’’ সেঙ্গেল নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের জেরে সরব হয়েছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও। রাহুলের বিরুদ্ধে তামিল সংস্কৃতিকে উপহাস করার অভিযোগ তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাদুরাই অধিনমের (Adheenams) প্রধান পুরোহিত সেদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেন। এক কথায় সেঙ্গল হল রাজদণ্ড। এরপর থেকেই অধিনম নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অধিনম কী? তাঁদের কাজ কী? এসব নিয়ে বাড়তে থাকে কৌতূহল।

    আরও পড়ুন: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    অধিনম (Adheenams) কী?

    হিন্দু ধর্মের প্রচলিত আশ্রম বা মঠের সমার্থক হল অধিনম। কুড়িটি অধিনম দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রচলিত রীতি অনুসারে এই অধিনমগুলির প্রধান পুরোহিত একজন অব্রাহ্মণ হন। সব থেকে প্রাচীনতম হল মাদুরাই অধিনম। যার প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দিয়েছিলেন। শ্রী হরিহর দেশিকা ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত বা অধিনমকর্তা। অধিনম একটি তামিল শব্দ যার সঙ্গে সম্পর্কিত শৈব উপাসনা। এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। এবং একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বটে। অধিনমের প্রধানকে বলা হয় অধিনমপতি বা অধিনমকর্তা। যাঁর কাজ হল ধর্মীয় বিষয় দেখাশোনা এবং অনুষ্ঠান পালন করা। অধিনমের (Adheenams) অন্তর্গত ভক্তদের মধ্যে শিক্ষা প্রদান করেন প্রধান পুরোহিতরা। এক কথায় অধিনমের প্রধান পুরোহিত একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হন, তিনি যেমন উপদেশ প্রদান করেন ঠিক একইভাবে সেই জনগোষ্ঠীর অন্যতম নিয়ন্ত্রণ কর্তার ভূমিকাও পালন করেন। নির্দিষ্ট ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মমত প্রচার করা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কাজও অধীনম করে থাকেন।

    গুরুত্বপূর্ণ অধিনম (Adheenams)

    মাদুরাই অধিনম

    মাদুরাই অধিনম হল সবথেকে প্রাচীনতম। এই মঠ তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। এখানে শৈব উপাসনা করা হয়।

    শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ

    কর্নাটকের শৃঙ্গেরীতে এই অধিনম অবস্থিত, যা অদ্বৈত বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী চলে। এই অধিনম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। আধ্যাত্মিক আলোচনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এ সমস্ত কিছুই হয় এখানে।

    কাঞ্চি কামাকোটি পীঠ

    কাঞ্চিপুরমে এই অধিনম অবস্থিত। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে পড়ে। এখানে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের চর্চা হয়। এখানে দেবী কামাক্ষীর উপাসনা করা হয়।

    দ্বারকা পীঠ

    গুজরাটে অবস্থিত এই অধিনম। বৈষ্ণব মতে চলে এই মঠ।

    জ্যোতির্মঠ 

    জ্যোতির্মঠ পরিচিত জোশীমঠ নামে। কয়েক মাস আগেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল জোশীমঠ ধসের কারণ। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত এটি। স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। 

    চোল, চের  এবং পাণ্ড রাজাদের সঙ্গে অধিনমের (Adheenams) সম্পর্ক 

    চোল সাম্রাজ্য খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। অধিনামগুলির সহযোগিতাতেই দক্ষিণ ভারতে অজস্র মন্দির স্থাপন করেছিলেন চোল রাজারা।

    চের রাজত্ব দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে চলেছিল। চের রাজত্বেও অধিনমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল অধিনমগুলি।

    সপ্তদশ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পাণ্ডুদের রাজত্ব চলত। পাণ্ডুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অধিনমগুলির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি সরকারের আমলে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নারীর সর্বাঙ্গীন উন্নয়নকে। নারী কল্যাণে একাধিক কর্মসূচি ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Modi)। সামাজিকভাবে নারী সুরক্ষা আনতে চালু হয়েছে বিভিন্ন আইন। যেমন আইন করে বন্ধ করা গেছে তিন তালাক প্রথা। মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোদি সরকার গ্রহণ করেছে ‘মিশন পোষণ’। এটা এক ধরনের পুষ্টির প্রোগ্রাম, গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্যোজাতদের জন্য। এই প্রকল্পে এখনও অবধি ১.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।

    নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের প্রকল্প

    অন্যদিকে সরকারি সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ‘মিশন শক্তি’ প্রকল্পে দুটি স্কিম রয়েছে। একটি হল ‘সম্বল’ এবং অপরটি ‘সামর্থ্য’। নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্যই এই প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প, বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন ১৮১। নারীঘটিত যে কোনও অপরাধের দ্রুত বিচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে মহিলা আদালত। অন্যদিকে ‘সম্বল’ স্কিমের আবার দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হল ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা’ এবং ‘শক্তি সাধন’। মাতৃ বন্দনা যোজনার মধ্যে পড়ছে উজ্জ্বলা যোজনা। যেখানে মোদি সরকার ৯ কোটির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করেছে। কর্মরত মহিলাদের জন্য মোদি সরকারের প্রকল্প হল সখী নিবাস। যা একধরনের মহিলা হস্টেল। লিঙ্গ অনুপাত প্রথমবারের জন্য বেড়েছে। প্রতি ১০০০ জন পুরুষে মহিলা হল ১০২০। মহিলাদের ওপর সাংসারিক নির্যাতনও কমেছে। কন্যা ভ্রুণ হত্যাও কম।

    নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি

    মোদি সরকারের ঘোষিত প্রাথমিক নীতি হল, প্রতিটি নারী যেন মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে। একটা সময় ছিল, যখন ভারতের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে শৌচকর্ম সারতে মহিলাদের মাঠে যেতে হত। কিন্তু স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে প্রতি বাড়িতেই এখন টয়লেট স্থাপন করতে পেরেছে মোদি সরকার। এই সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়ো থেকে পানীয় জল আনতে মহিলাদের অনেক দূরে যেতে হত। এখন সেটাও মোদি সরকারের সৌজন্যে বন্ধ হয়েছে এবং তার বদলে বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইন পৌঁছেছে। জল জীবন মিশনের আওতায় এই প্রকল্প গড়ে উঠেছে। প্রায় ১২ কোটি বাড়িতে জলের পাইপলাইন পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান বলছে, মুদ্রা যোজনায় ৬৮ শতাংশ লোনই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় কয়েক কোটি। এখন ঘরের জন্যও মহিলাদের চিন্তা করতে হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সেই সমস্যা দূর করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি জমানায় নারী শক্তির বিকাশ উল্লেখযোগ্য হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সাফল্যের হারও চোখে পড়ার মতো। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও বেড়েছে মোদি জমানায় (PM Modi)। একই কথা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও। মহিলা ক্রীড়াবিদের সংখ্যাও বাড়ছে। টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি বেড়েছে।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ন’ বছরে নারী উন্নয়নে মোদি সরকার (PM Modi) কী কী কাজ করেছে

    ১) প্রথমবারের জন্য ভারতবর্ষে বেড়েছে মহিলা লিঙ্গ অনুপাত। প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলা এখন ১০২০।

    ২) কর্মরত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বেড়ে ২৬ সপ্তাহ হয়েছে।

    ৩) ৩.০৩ কোটি মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ৪) জন ঔষধি কেন্দ্রে ২৭ কোটিরও বেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ১ টাকা মূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

    ৫) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৩.১৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ৬) ৯.৬ কোটি ধোঁয়ামুক্ত কিচেন তৈরি করা গেছে।

    ৭) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৬৮.৯ শতাংশ ঘরই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় আড়াই কোটি।

    ৮) ২৭ কোটিরও বেশি মুদ্রা লোনের সুবিধা পাচ্ছেন মহিলারা।

    ৯) সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন চালু করা হয়েছে।

    ১০) প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে মহিলাদের বিবাহের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার জন্য, যাতে তাঁরা শিক্ষা এবং কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পান।

    ১১) তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে আইন আনা হয়েছে, মুসলিম মহিলাদের দেওয়া হয়েছে অধিকার।

    ১২) পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অর্থনৈতিক সুবিধা দানের জন্য ৪৫ ছাত্রীকে স্কলারশিপের সুবিধা দিয়েছে মোদি সরকার।

    ১৩) ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে ৯.৫২ লক্ষ টয়লেট স্কুলগুলিতে স্থাপন করা গেছে।

     

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    PM Modi: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ভারতের অন্যতম ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষায়, ‘‘৯ বছরে কৃষকদের রোজগার অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি চাষের খরচও কমানো গেছে। আধুনিক উন্নত মানের সুবিধা কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে। বীজ বপন থেকে ফসলকে বাজারে রফতানি করা পর্যন্ত সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছে।’’ বিগত ৯ বছরের মোদি সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে কৃষি ক্ষেত্রে। জনপ্রিয় হয়েছে ‘‘বীজ সে বাজার তক’’ স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে মোদি সরকার বিগত ইউপিএ সরকারের থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে কৃষকরা আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা করে পাঠানো হয়ে থাকে এই প্রকল্পে। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির হাত থেকে কৃষিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো বিমাও চালু করেছে সরকার। খরা, বন্যা, অতি বৃষ্টি এসবই এর মধ্যে পড়ছে। পাশাপাশি, জল সেচের জন্যও আগের থেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এর ফলাফল আমাদের সকলের চোখের সামনে। লকডাউনের সময় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে খাদ্য উৎপাদনে রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে সমর্থ হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। শুধুমাত্র খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রেই নয়, মৎস্য চাষ থেকে শুরু করে ফরেস্টি, হর্টিকালচার সব ক্ষেত্রেই কৃষকদের রোজগার বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষেত্রেও রোজগার অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই পেশার সঙ্গে।

    সারা বিশ্বে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম ভারতবর্ষ, মাছ-ডিমে তৃতীয়  

    ভারতবর্ষ সারা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দুধ উৎপাদনে। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ডিম উৎপাদনে। মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংস উৎপাদনে অষ্টম স্থান অধিকার করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ ঘোষণা করেছে ২০২৩ সাল হল আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ। জোয়ার, ভুট্টা জাতীয় খাদ্যশস্যগুলিকে মিলেট জাতীয় শস্য বলে। এই শস্য যে কোনও প্রতিকূল পরিবেশেও চাষ করা যায় এবং অনুর্বর জমিতেও স্বাচ্ছন্দ্যে হয়। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলছেন, ‘‘মিলেট ক্রেতাদের জন্যও ভালো। চাষ করতেও সুবিধাজনক। আবার যে কোনও জলবায়ুতেও চাষ করা যায়।’’ কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দেওয়াতে, মিলেট জাতীয় খাদ্যশস্যর উৎপাদনও বেড়েছে দেশে।

    জৈব চাষে গুরুত্ব

    অন্যদিকে দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, তাঁরা যেন জৈব চাষ করেন। প্রাকৃতিক চাষের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশের পঞ্চায়েতগুলির সহযোগিতায় জৈব চাষকে বাস্তবায়িত করা হবে। এনিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেহেতু কোনও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না, তাই এই চাষ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। বিনিয়োগও এখানে কম হয়, যার ফলে লভ্যাংশের পরিমাণটাও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত নয় বছরে ভারতবর্ষের কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত দিক থেকে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার এসেছে এবং বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিকভাবে চাষাবাদ করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, ভারতীয় কৃষকরা শুধুমাত্র দেশের জন্যই খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন না, বরং উৎপাদিত পণ্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ৯ বছরে কৃষি ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে?

    ১) ইউপিএ জমানার সাপেক্ষে পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যেখানে ২১,৯৩৩ কোটি টাকার কৃষি বাজেট হত, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মোদি সরকারের জমানায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকার কৃষি বাজেট মঞ্জুর করা হয়েছে।

    ২) কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    ৩) পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ১১ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার উপভোক্তা।

    ৪) Soil Health Card বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি।

    ৫) পরিসংখ্যান বলছে, বাসমতি চাল ছাড়া অন্যান্য যে চালগুলি বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হত, ইউপিএ জমানার থেকে তার বিক্রি বেড়েছে ১০৯.৭ শতাংশ।

    ৬) ২০ লক্ষ কোটি টাকা কৃষি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে 

    ৭) ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৫০০ শতাংশ। 

    ৮) ফসল বিমা যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা।

    ৯) ২০২১ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত জল সেচ প্রকল্পে ৯৩ হাজার ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।

    ১০) গমের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ২০০৬ থেকে ২০১৪ অবধি যেখানে দেওয়া হয়েছে ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এর পরিমাণ ৪.৫২ লক্ষ কোটি টাকা।

    ১১) ধানের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সহায়ক মূল্য প্রদান করা হয়েছিল ৩.০৯ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এর পরিমাণ ১০.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা।

    ১২) কৃষকের জমিতে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। যাতে তাঁদের রোজকার বাড়তে পারে বিভিন্নভাবে। গত ন’ বছরে দ্বিগুণ মধু বিদেশে রফতানি করা গেছে।

     

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি জিতে আসেন ২০১৯ সালে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পরপরই দারিদ্রতা দূরীকরণে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখা গেছে দেশজুড়ে। একসময় ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় সেই স্লোগান নিছকই ফাঁকা আওয়াজ ছিল। তাই তো রাজীব গান্ধীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল, ‘‘আমি ১ টাকা পাঠালে মানুষের কাছে পৌঁছায় ১৫ পয়সা।’’ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।

    চিত্র বদলাতে থাকে ২০১৪ সাল থেকে। অনেকেই মনে করেন, আজ দারিদ্রতা দূরীকরণের একাধিক কর্মসূচির বাস্তবায়নের সাক্ষী ভারতবাসী। ২০২৩ সালে ৯ বছর সম্পূর্ণ করল মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ৯ বছরে একাধিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য। যেমন মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া এসবই সারা দেশে বেকারদের মধ্যে কর্মসংস্থানের স্রোত তৈরি করতে পেরেছে, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিকরা। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মুদ্রা যোজনার আওতায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি উদ্যোক্তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে আনার জন্য এটি মোদি সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিপদ সঙ্কুল নর্দমা এবং সেফটি ট্যাংকগুলি পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো হয়েছে, যাতে মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমে এবং সাফাই কর্মীরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারেন। জনজাতি সমাজকে সম্মান জানাতে নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভগবান বীরসা মুন্ডার জয়ন্তীকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডিং’-এর একটি সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকার দেশের চরম দারিদ্রতাকে মেটাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ‘মাল্টি ডাইমেনশনাল প্রভার্টি ইনডেক্স’ যা প্রকাশ করে ‘ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ তাদের মতে, মোদি সরকার দারিদ্রতা দূরীকরণের দশটি ধাপই পার করতে সক্ষম হয়েছে। মোদি সরকারের অন্যতম নীতি হল ‘অন্ত্যোদয়’, যার অর্থ সমাজের সব থেকে পিছনে থাকা ব্যক্তিটির কাছে যতক্ষণ না পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছাতে পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশকে সম্পূর্ণ বলা যাবে না।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক গত ৯ বছরে দারিদ্রতা দূরীকরণে মোদি সরকারের কিছু সাফল্য

    ১) ৮০ কোটি মানুষ করোনার সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন।

    ২) ১১.৮৮ কোটি মানুষের ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।

    ৩) প্রায় ৪ কোটি গরিব মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।

    ৪) ১১.৭২ কোটি মানুষের গৃহে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে শৌচালয় স্থাপন করা গেছে।

    ৫) ৩৪.৪৫ লক্ষ ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে PM SVANidhi যোজনার মাধ্যমে।

    ৬) ৩৯.৬৫ কোটি টাকার ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

    ৭) পিছিয়ে পড়া জনজাতি সমাজের জাতীয় কমিশনগুলিকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

    ৮) লকডাউনের সময় ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো হয়েছে।

    ৯) ৭,৩৫১ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সমাজের মানুষকে, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে।

    ১০) কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে ৬০ শতাংশ মন্ত্রীই হলেন তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজভুক্ত।

    ১১) দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় আগের চেয়ে পাঁচগুণ স্থাপন করা হয়েছে সারা দেশে।

    ১২) ৪৮.২৭ কোটি ভারতীয়র জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ১৩) ২৯.৭৫ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৪) ১৩.৫৩ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৫) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

    ১৬) ২.৮৬ কোটি মানুষের বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে।

    ১৭) ৯.৬ কোটি মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়েছে।

    ১৮) ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য ‘দ্য ট্রান্সজেন্ডার পার্সন অ্যাক্ট ২০১৯’ পাশ করা হয়েছে।

    ১৯) ড্রাগের ছায়া থেকে সমাজকে বাঁচাতে, নেশামুক্ত ভারত অভিযান করা হয়েছে।

    ২০) ২৮.৮৫ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

    ২১) প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মানধন পেনশন যোজনার মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪৯ .২৯ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের ৬০ বছর বয়স হলে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    Amit Shah: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩০০-র বেশি আসনে জিতে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।” বৃহস্পতিবার একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন অসম সরকারে চাকরির জন্য ৪৪ হাজার ৭০৩ জনকে নিয়োগপত্র বিলি করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই দেশে যে তৃতীয়বারের জন্য মোদি-রাজ কায়েম হতে চলেছে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শাহ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে। লোকসভায় এখন তাদের যা আসন রয়েছে, সেটাও ধরে রাখতে পারবে না।” কংগ্রসের নেতিবাচক রাজনীতিরও কড়া সমালোচনা করেন শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু, কংগ্রেস এটাকে বয়কট করে রাজনীতি করছে। তাদের যুক্তি, এর উদ্বোধন করা উচিত রাষ্ট্রপতির।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস এবং একাধিক বিরোধী-শাসিত রাজ্যে এমন উদাহরণ রয়েছে, যেখানে রাজ্যপালের পরিবর্তে বিধানসভা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা এবং সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা।”

    কারা যোগ দিচ্ছেন অনুষ্ঠানে?

    এদিকে, নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ছত্রখান হচ্ছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার ১৭টি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেলেও, পরের (Amit Shah) দিনই জানা গিয়েছে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিজেপি ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেবে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি, সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা, জননায়ক জনতা পার্টি, এআইএডিএমকে, ইন্ডিয়া মক্কাল কালভি মুনেত্রা কাজগাম, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেস, আইটিএফটি, বোড়ো পিপলস পার্টি, পাত্তালি মাক্কাল কাচ্চি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, আপনা দল, অসম গণ পরিষদ, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, ওয়াই এসআর কংগ্রেস, শিরোমণি অকালি দল এবং জনতা দল (সেক্যুলার)। আগে থেকেই কর্মসূচি থাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। এদিকে, রবিবারের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ সহ মোট ২০টি দল। যার অর্থ, ক্রমেই পাল্লা ভারী হচ্ছো মোদির।

    আরও পড়ুুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • New Parliament: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    New Parliament: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উদ্বোধন হবে নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament)। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হবে পুজো-হোম। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হবে পুজোআচ্চা। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। থাকবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং একাধিক মন্ত্রী।

    নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament) প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে হবে ভবনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। পুজো শেষে সংসদে স্থাপন করা হবে ‘সেঙ্গল’। এজন্য উপস্থিত থাকবেন তামিলনাড়ুর ২০ জন স্বামী। এর পর আধ ঘণ্টা ধরে হবে প্রার্থনা সভা। উপস্থিত থাকবেন শঙ্করাচার্য সহ দেশের পণ্ডিত বর্গ ও সাধুসন্তরা। দুপুর ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। হবে শর্ট ফিল্মের স্ক্রিনিং। পরে বার্তা পাঠ করবেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গের সম্বোধন অনুষ্ঠান রয়েছে। সম্বোধন অনুষ্ঠান রয়েছে লোকসভার স্পিকারেরও।

    ৭৫ টাকার কয়েন

    চলতি বছর স্বাধীনতার (New Parliament) ৭৫ বর্ষ পূর্তি উৎসব। উদ্বোধন হচ্ছে নয়া সংসদ ভবনেরও। এই দুই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশ করা হবে বিশেষ স্ট্যাম্প ও ৭৫ টাকার কয়েন। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েনের এক পিঠে থাকবে অশোক স্তম্ভ। তার নিচে লেখা থাকবে সত্যমেব জয়তে। বামদিকে দেবনগরী হরফে লেখা থাকবে ভারত, ডানদিকে ইংরেজি হরফে লেখা থাকবে ইন্ডিয়া। লেখা থাকবে মুদ্রার অঙ্কও।

    মুদ্রার অন্য পিঠে থাকবে সংসদ ভবনের ছবি। তার নিচে দেবনগরী হরফে লেখা থাকবে সংসদ সংকুল ও ইংরেজিতে নতুন পার্লামেন্ট (New Parliament) কমপ্লেক্স। কয়েনের ধারে মোট ২ হাজারটি দাগ থাকবে। ধাতু থাকবে চারটি রুপো, তামা, নিকেল এবং জিঙ্ক। অনুষ্ঠানের সব শেষে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্বোধন। অনুষ্ঠান শেষ হবে ২.৩০ মিনিটে।

    আরও পড়ুুন: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share