Tag: PM Modi

PM Modi

  • Ujjain Mahakal: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের গুরুত্ব জানেন? 

    Ujjain Mahakal: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের গুরুত্ব জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য প্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে রয়েছে মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) মন্দির (Temple)। এটি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। মঙ্গলবার বিকেলে এই মন্দিরের লোক করিডরের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এজন্য খরচ হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে এই করিডর তৈরি করা হয়েছে। এই করিডরের ফলে মধ্যপ্রদেশের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে বলেও জানান মোদি। এদিন লাল সুতোয় মোড়া ছিল পবিত্র জ্যোতির্লিঙ্গ। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে বাজানো হয় শঙ্খ-ঘণ্টা। এর পর রীতি মেনে মন্দিরে পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও।

    নশো মিটার দীর্ঘ এই করিডরের উদ্বোধন করে মোদি বলেন, ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মহাকাল লোক করিডরের ফলে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে আসতে আরও সুবিধা হবে। এই করিডরেই বিশ্বমানের নানা আধুনিক পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাও নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, সে লিঙ্গ তৈরি করা হয় না, স্বয়ম্ভু, নিজে থেকে মাটি ফুঁড়ে বের হয় তাকে  জ্যোতির্লিঙ্গ বলে। ভারতে মোট বারটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। তারই একটি হল মহাকালেশ্বর। ভগবান শিবের আর এক নাম মহাকাল। কাল শব্দের দুটি অর্থ। এক, সময়, দুই মৃত্যু। যেহেতু ভগবান শিব একই সঙ্গে সময় এবং মৃত্যুর দেবতা, তাই তিনি মহাকাল। উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) ছাড়াও আরও যে এগারোটি জ্যোর্তিলিঙ্গ রয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাটের সোমনাথ ও নাগেশ্বর, অন্ধ্রপ্রদেশের মল্লিকার্জুন, মধ্য প্রদেশের ওঁকারেশ্বর, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ, ভীমশঙ্কর, ত্র্যম্বকেশ্বর, মহারাষ্ট্রের গৃশ্নেশ্বর, বারাণসীর বিশ্বনাথ, দেওঘরের বৈদ্যনাথ এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) মহাদেবের মন্দিরটি রয়েছে শিপ্রা নদীর পাড়ে। হিন্দুদের একাংশের মতে, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে মহাকালেশ্বরই সব চেয়ে পবিত্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভগবান মহাকালেশ্বরের নির্দেশেই চালিত হয় এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। কালিদাসের ‘মেঘদূতে’ও উল্লেখ রয়েছে মহাকালেশ্বরের জ্যোতির্লিঙ্গের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দাঁত, নখ বের করতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামিক এই সংগঠনকে। তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিজেপির (BJP) এক বিধায়ককে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে পিএফআইয়ের (PFI) এক সদস্য। ইসলামিক এই সংগঠনের সঙ্গে আইসিস এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠন ভারত বিরোধী কাজেও লিপ্ত। এই জোড়া অভিযোগের জেরে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। হুমকি চিঠি পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

    দায়ের করা এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার দেশমুখ অভিযুক্ত করেছেন পিএফআই (PFI) নেতা মহম্মদ সফি বিরাজদারকে। তাঁর দাবি, সফি তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, আত্মঘাতী বম্বারদের দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিএফআইয়ের (PFI) ওই নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরও কয়েকজন দক্ষ রাজনীতিবিদও তাঁদের র‌্যাডারে রয়েছেন। পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা যাচাই করছে সোলাপুর পুলিশ।

    পুজোর আগে আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলামিক ওই সংগঠনকে। কেবল পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই বেআইনি নানা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে।

    প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডেরায় হানা দিয়ে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই জানা গিয়েছিল, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর ও বিজেপির শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতাও ছিলেন পিএফআইয়ের র‌্যাডারে। পিএফআইয়ের টার্গেট যে বিজেপিই, এদিন ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিয়মের বাইরে নন। দেশের প্রধান হলেও নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য। তাই রাত ১০টায় জনসভায় পৌঁছে মাইক ব্যবহার করলেন না। দেরিতে সভায় পৌঁছনোর জন্য চাইলেন ক্ষমা। সকলের সামনে আদর্শ স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শুক্রবার রাজস্থানের সিরোহির আবু রোডের একটি সভায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় তাঁর। তাই সভায় বক্তব্য না রেখে মাইক ছাড়াই সমাবেশে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদি। সকলের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আমার পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন রাত ১০ টা বাজে। আমার বিবেক বলে, আমার নিয়ম নীতি মেনে চলা উচিত। তাই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

    পুনরায় ওখানে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আবার আসব আমি এখানে এবং আমাকে দেওয়া আপনাদের সব ভালবাসা সুদ সমেত ফিরিয়ে দেব।’ এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের বক্তৃতাই এখন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। এরপরই মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান তোলেন মোদি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতাও স্লোগান দিয়ে ওঠেন। একাধিক বিজেপি নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন। তাঁর মাইক্রোফোন এবং লাউডস্পিকারের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য তাঁকে বাহবা দিয়েছেন।

    এর আগেও এদিন মোদির মানবিক রূপ দেখেন দেশবাসী। অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দেওয়ার জন্য থেমে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। শুক্রবার আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগরে (Gujarat) যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে বাঁদিকে সরে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিচ্ছে মোদির কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো পোস্ট করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি লিখেছেন, ‘জনগণের সরকার। আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগর যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ দিতে থামল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়।’আর কিছু দিন বাদেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নবরাত্রী উৎসবের মধ্যে নিজের রাজ্যে গিয়েছেন মোদি। গুজরাটে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করছেন তিনি। শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine-Russia war) যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে ভারত। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই (Modi) এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। অভিমত মেক্সিকোর (Mexico) বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো লুইস এব্রান্ড ক্যাসাউবনের (Marcelo Luis Ebrard Casaubón)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্সেলো। তাঁর প্রস্তাব মতো এই কমিটির দায়িত্ব হবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তিস্থাপন করা। কমিটিতে মোদি ছাড়া আরও দু’জনের নাম করেছেন মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী। তাঁরা হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis) এবং রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেস।

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    কয়েকদিন আগে, উজবেকিস্তানের সমরকন্দে (Samarkand) সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বলেছিলেন,”এ যুগ যুদ্ধের নয়। এই সময়টা শান্তির। শান্তির পথে সবকিছুর সমাধান করতে হবে।” মোদির এই উক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকা-ইউরোপ। পুতিনকে এরকম সরাসরি যুদ্ধের কথা বলতে পারেন একমাত্র মোদি। এমনই ধারণা মেক্সিকোর। 

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    গত সাত মাস ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাশিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত। সবাই যুদ্ধের বিরোধিতা করে রাশিয়ার সমালোচনা করলেও কেউ শান্তিপূর্ণভাবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি। যা করেছে ভারত। তাই পুতিনকে বোঝাতে পারেন একমাত্র মোদি, এমনটাই অনুমান মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘এ বার শান্তির লক্ষ্যে জোরদার পদক্ষেপ করা উচিত আন্তর্জাতিক সংগঠনের। সেই প্রসঙ্গেই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ় ওবরাডরের হয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করছি। শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করুন গুতেরেস। এতে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের প্রস্তাব, এই কমিটিতে নরেন্দ্র মোদি ও পোপ ফ্রান্সিসও উপস্থিত থাকুন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    PM Modi: ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মোদি (PM Modi)-স্তুতি ভিন রাষ্ট্রের মুখে! দিন কয়েক আগে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ফ্রান্সের (France) রাষ্ট্রপ্রধান ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল আমেরিকা (US) ও ব্রিটেনের (UK) মুখেও।

    ২০ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার সুলিভান ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদির। তিনি জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেছিলেন, তাকে স্বাগত জানায় আমেরিকা। হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুলিভান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়াকে যা বলেছিলেন, তাকে স্বাগত জানায় আমেরিকা। মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক বেশ পুরানো। সেদিন মোদি পুতিনকে বলেছিলেন এটা যুদ্ধ শেষ করার সময়। তিনি বলেন, এবার রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করা উচিত। রাষ্ট্রসংঘের চার্টার মেনে ইউক্রেনের যেসব অংশ তারা জোর করে দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়াও প্রয়োজন। এটা গোটা বিশ্বের পক্ষেই একটা নয়া বার্তা দেবে।

    মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রিটেনও। ব্রিটেনের ফরেন সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি শক্তিশালী, বিশ্ব মঞ্চে প্রভাব ফেলতে পারে এমন একটি স্বর রয়েছে। রাশিয়া নিয়ে তাঁর যা অবস্থান, তাকেও সমর্থন করে ব্রিটেন। তিনি বলেন, লন্ডন আশা করে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যাঁরা শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছেন, তিনি তাঁদের কথায় কান দেবেন।

    আরও পড়ুন : পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানেই পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি হন তিনি। সেই সময় মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। ক্লেভারলি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি শক্তিশালী, বিশ্বমঞ্চে প্রভাববিস্তারকারী একটি স্বর রয়েছে। আমরা জানি রাশিয়ার নেতারা ভারতের কথা শোনেন। আমি মোদির বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। এবং আমরা আশা করি, পুতিন তাঁদের কথা শুনবেন, যাঁরা শান্তির বাণী প্রেরণ করবেন। তাই আমরা মোদির বক্তব্যকে স্বাগত জানাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিজজ ডেস্ক: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআইকে (PFI)। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইয়ের সহযোগী সংস্থাগুলিকেও। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। কেবল বিজেপি নয়, সুফি (Sufi) এবং বারেলভি (Barelvi) ধর্মগুরুরাও বুধবার স্বাগত জানিয়েছে মোদি (PM Modi) সরকারের এই সিদ্ধান্তকে। অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবৃতি জারি করে জানান জঙ্গিবাদ দমনে ব্যবস্থা নেওয়া হলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরা উচিত।

    ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিল বিশ্বাস করে আইনের স্বার্থে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরে কাজ করা উচিত। সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত।

    সুফিরা আবার প্রতিষ্ঠান এবং তার মতবাদের চেয়ে জাতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্য অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানসিন কাউন্সিল দেশের ঐক্য, সার্বভৌমিকতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট। ভবিষ্যতেও দেশ বিরোধী যে কোনও শক্তি মাথাচাড়া দিলে আমরা সুর চড়াব। অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি বারেলভি এক ভিডিও বার্তায় জানান জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক।

    আরও পড়ুন : ‘‘মোদি-জমানার ভারত…’’, পিএফআই নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে ব্যান করার দাবি অনেক আগেই জানিয়েছিল বারেলভি উলেমা। মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি স্বাগত জানিয়েছিলেন দেশজুড়ে পিএফআই সদস্যদের ধরতে চালানো অভিযানকে। তিনি বলেছিলেন, এতেই পরিষ্কার এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত। মওলানা রাজভি বলেন, এই জাতীয় সংগঠনকে ব্যান করা দরকার। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি রয়েছে আমাদের পূর্ণ সমর্থন। আজমেঢ় দরগার প্রধান জইনুল আবেদন আলিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

    তিনি বলেন, যদি দেশ নিরাপদ থাকে, তবে আমরাও নিরাপদে থাকব। দেশ যে কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা মতবাদের চেয়ে বড়। কেউ যদি দেশকে ভাঙতে চায়, দেশের ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করতে চায়, দেশের শান্তি নষ্ট হবে এমন কথা বলতে চায়, তাদের এদেশে থাকার কোনও অধিকারই নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুফি সেন্ট খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দেওয়ানও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chandigarh Airport: ভগৎ সিংয়ের নামে হবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর! ‘মন কি বাত’ -এ কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Chandigarh Airport: ভগৎ সিংয়ের নামে হবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর! ‘মন কি বাত’ -এ কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির রাজপথের পর এবার চণ্ডীগড় বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের (Chandigarh Airport) নাম রাখা হবে শহিদ ভগৎ সিং-এর নামে (Shaheed Bhagat Singh)৷ এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মবার্ষিকীর আগেই এ কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আজ রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ (Mann Ki Baat) মোদি জানান, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

    প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর  রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। আজ এই রেডিও অনুষ্ঠানের ৯৩ তম পর্বে তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময় জানান, চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ করা হবে শহীদ ভগৎ সিংয়ের নামে। তিনি বলেন, “মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরটি এখন শহীদ ভগৎ সিংয়ের নামে নামকরণ করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    এই বিমানবন্দরের নাম নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মিলিতভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সরকার এই বিমানবন্দর তৈরি করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিমানবন্দরের নাম চণ্ডীগড় বিমানবন্দর হিসাবে প্রচার করেছে, কিন্তু পাঞ্জাব সরকার একে মোহালি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নাম দিয়েছে। এর আগে হরিয়ানা আপত্তি জানিয়েছিল যে বিমানবন্দরের নাম শুধুমাত্র চণ্ডীগড়ের নামে রাখা উচিত নয়, কারণ এটি উভয় রাজ্যের যৌথ রাজধানী। পাঞ্জাব সরকার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং হিসাবে রাখার ঘোষণা করেছিল। একই সঙ্গে হরিয়ানা সরকার এই বিমানবন্দরের নাম মঙ্গল সেনের নামে রাখতে চেয়েছিল। ফলে এই নামকরণ নিয়ে বহু বছর ধরে বিতর্ক হয়ে আসছে। দুই রাজ্যের মধ্যে বিষয়টি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টেও পৌঁছেছিল, যেখানে উভয় রাজ্যকে একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    পরবর্তীকালে, অগাস্টে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা চণ্ডীগড়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং-এর নামে নামকরণ করতে সম্মত হয়। বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌতালার মধ্যে একমত হয়েছিল। ফলে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্যের সরকারের সম্মততেই বদলে যাচ্ছে বিমানবন্দরের নাম।   

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share