Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: ‘‘মহাকাশ ও প্রযুক্তি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা’’, মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের পর লিখলেন মোদি

    PM Modi: ‘‘মহাকাশ ও প্রযুক্তি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা’’, মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের পর লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সঙ্গে বৈঠক হল টেসলার সিইও ইলন মাস্কের। এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সপরিবারে দেখা করেন মাস্ক। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তানও হাজির ছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা হয় দু’জনের। সূত্রের খবর, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে মাস্ক-মোদি বৈঠকে। ভারতে ‘স্টারলিংক’-এর ব্যবসা শুরু করার বিষয়েও আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, স্টারলিংক শীঘ্রই ভারতে তাদের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করতে পারে। বৈঠকের পরে মোদি এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, মহাকাশ ও প্রযুক্তি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

    ব্লেয়ার হাউসে সম্পন্ন হয় বৈঠক

    গতকাল বৃহস্পতিবার, টেসলার সিইও ও স্পেস এক্স-এর মালিক, ইলন মাস্ক প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে ব্লেয়ার হাউসে পৌঁছন। মাস্ক ও মোদির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও। প্রায় ৫৫ মিনিট ধরে এই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক যে ভালো হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করেছেন দুজনেই। প্রসঙ্গত, এদিন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টসের সঙ্গেও দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে।

    বৈঠক নিয়ে কী লিখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)?

    প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা স্টারলিংক ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। ওই সংস্থার লাইসেন্স অ্যাপ্লিকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্টারলিংক হল স্পেস এক্স-এর অধীন একটি টেলিকম সংস্থা। বিশ্বের অন্তত ১০০টি দেশে এই সংস্থা পরিষেবা দেয়। মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা এক্স মাধ্যমে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ওয়াশিংটনে এলন মাস্কের সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার একটি বৈঠক হয়েছে। নানা বিষয়ে কথা হয়েছে আমাদের। এর মধ্যে যেগুলি সম্পর্কে ওঁর প্যাশন রয়েছে, যেমন মহাকাশ, প্রযুক্তি, আবিষ্কার। আমি কথা বললাম ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বোচ্চ শাসন’ প্রতিষ্ঠায় ভারতের প্রচেষ্টা সম্পর্কে।’’

  • Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবারই তিনি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মার্কিন আধিকারিক ও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কোয়াত্রা। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মোদি (Modi Trump Meeting)। অনাবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারির মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত

    দু’‌দিনের আমেরিকা সফরে ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে থাকবেন মোদি। এদিকে, মোদি ব্লেয়ার হাউসে যাচ্ছেন শুনে বহু অনাবাসী ভারতীয় সেখানে জড়ো হন। তাঁদের হাতে ধরা ছিল আমেরিকা এবং ভারতের পতাকা। মোদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, ওয়াশিংটনে পৌঁছেই আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে গুরুত্ব

    এদিন ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে (Modi Trump Meeting) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উঠে আসতে পারে বাংলাদেশ ইস্যুও। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদির প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে।

    সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটনে মোদি

    দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদি (PM Modi) সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে এই দুই সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটন পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হয়েছেন তুলসী গাবার্ড (Tulsi Gabbard)। প্রসঙ্গত, আমেরিকার আইনসভায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্যও ছিলেন তুলসি। সেসময় তিনি ভগবত গীতায় হাত রেখে শপথগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। তুলসী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু বলেই পরিচিত। ক্ষমতায় ফিরে গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে তুলসীকে মনোনীত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা সফরে গিয়ে সেই তুলসীর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দুজনের বৈঠকেই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তুলসীর পরিচয় বহুদিনের। আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হাউডি মোদি অনুষ্ঠানের সময়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তুলসীর। তুলসী এরপর থেকেই ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পান আমেরিকায়। এবার আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান হয়েই ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তুলসি।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী লিখলেন মোদি (PM Modi)?

    তুলসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা হল। এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। ভারত-আমেরিকার মজবুত বন্ধুত্ব নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী দিনে যাতে এই বন্ধন আরও মজবুত হয় সেনিয়ে আমরা একমত হয়েছি। তুলসী সব সময়ই দুদেশের বন্ধুত্বের পক্ষেই কথা বলেছেন।’’

    এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী

    জানা যায়, এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী। ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে সামিলও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তার পর বাইডেন সরকার ও দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ সামনে আনেন তিনি। বাইডেনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল, বর্তমান সরকার প্রতিটি ইস্যুতে বর্ণ বিচার করে কাজ করে। শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে ইন্ধন জোগায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ‘যুদ্ধবাজ ও বর্ণবিদ্বেষী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন।

  • PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বিনিয়োগের এটাই সঠিক সময়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্বের তাবড় শিল্পোদ্যোগী, বিনিয়োগকারী তথা শিল্প সংস্থাকে ভারতে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন মোদি। ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে তাঁকে স্বাগত জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। দুই দেশের বড় বড় সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশ নেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে প্রধানমন্ত্রী (Modi in France) জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। তিনি বলেন, “গত এক দশকে ভারতে পরিবর্তন আপনারা লক্ষ করেছেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে।” তাঁর সংযোজন “এখন বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল ভারত। আমরা এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম মিশনও শুরু করেছি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

    ভারত-ফ্রান্স গভীর বন্ধুত্ব

    এদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে এখানে থাকতে পারা আমার কাছে খুবই আনন্দের। গত ২ বছরে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যাক্রঁ।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “ভারত ও ফ্রান্স শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দ্বারাই যুক্ত নয় ৷ আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, উদ্ভাবন এবং জনকল্যাণ ৷ আমাদের অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র দু’টি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় ৷ বিশ্বের নানা সমস্যা, চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় আমরা একে অপরের সহযোগিতা করছি ৷ আমি শেষ বার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনই আমাদের অংশীদারিত্ব বিষয়ে ২০৪৭ সালের রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করেছিলাম ৷” সফলভাবে এআই অ্যাকশন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ম্যাক্রঁকে ধন্যবাদ জানান মোদি। এরপরই এআই, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে ভারতীয় সংস্থাগুলি বিমানের জন্য বাইরে বড় বড় বরাত দিত। এখন আমরা (ভারতে) ১২০টি নতুন বিমানবন্দর খুলতে চলেছি। তা হলে ভাবুন, ওই ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কতটা সম্ভাবনাময়।’’

  • PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবেই মিলবে মুক্তি স্থূলতা, হৃদ্‌রোগ, ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থেকে। এমনটাই মত দেশের প্রধানমন্ত্রীর। একইসঙ্গে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর পরামর্শও দিয়েছেন মোদি (PM Modi)। এপ্রসঙ্গে তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘ঠিক যেমন একজন কৃষক তাঁর রোজের অভ্যাসে করে থাকেন।’’

    ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময়

    প্রসঙ্গত, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের অষ্টম পর্বে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) পুষ্টিতত্ত্ব নিয়েও নানা কথা বলেন। দিন ওই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ওজন যদি কমাতে হয় ও শরীর সুস্থ (Early Dinner Benefits) রাখতে হয়, তা হলে সন্ধ্যা ৭টার আগেই রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে হবে। উদাহরণ দিয়ে বললেন, “একজন চাষি সন্ধ্যা নামার আগেই রাতের খাওয়া সেরে নেন। বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যেই তাঁদের খাওয়াদাওয়া হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে খুব ভোরে ওঠেন। এই জন্যই তাঁরা এত কর্মঠ। তাঁদের স্বাস্থ্যও ভালো এবং জটিল অসুখবিসুখেও ভোগেন না চট করে।”

    মোদির (PM Modi) টোটকায় সিলমোহর স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সুস্থ থাকতে দু’টি টোটকা জানালেন—এক, সন্ধ্যা ৭টার আগেই খাওয়া দাওয়া সেরে নেওয়া এবং দুই, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া। এতেই পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিক নিয়মে চলবে এবং মেদও জমতে পারবে না শরীরে। মোদির এই কথায় সিলমোহর দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে এই বিষয় নিয়েই একটি প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। সেখানেই গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টার আগে যাঁরা রাতের খাবার খেয়ে নেন, তাঁদের আয়ু ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তাড়াতাড়ি খাওয়া সারলেএবং হালকা খাবার খেলে ঘুমও ভালো হয়। গবেষকেরা বহু মানুষের ওপরে এই সমীক্ষা চালিয়ে তার ফলাফলও ব্যক্ত করেন।

    পুষ্টি সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক

    বলা হয়, পুষ্টির সঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগসূত্র আছে। হজম যদি ভালো হয় এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান পায়, তা হলে ঘুমের কোনও সমস্যাই হবে না। একইসঙ্গে ঠিক থাকে হরমোনের ভারসাম্যও। শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হবে। এরফলে হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ধরেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে রাতের খাওয়া সেরে নিতে হবে। খেতে হবে হালকা খাবার। কার্বোহাইড্রেট না খেতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়েটে রাখতে হবে অল্প প্রোটিন। সব্জি দিয়ে স্যুপ, একটা রুটি খেলে সবচেয়ে ভালো হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাতে জাঙ্ক খাবার বা ভাজাভুজি খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। ঘুমোনোর আগে চা, কফি বা মিষ্টি খেলেই কোলেস্টেরল বাড়বে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা। একইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, জগিং, সাঁতার অথবা যোগব্যায়াম করলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

  • Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লি দখল করেছে বিজেপি। ৭০ আসনের এই বিধানসভায় বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টিতে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিজয় হওয়ার পর বিজেপির অন্দরে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল কার মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ (Delhi Chief Minister)? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে পদ্ম পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। তার পরেই ফ্রান্স উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাঘুষোয়, শোনা যাচ্ছে তিনি দেশে ফিরলে, তবেই জানা যাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সিতে কে বসবেন।

    মসনদে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কেউ (Delhi Chief Minister)

    তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরে শোনা যাচ্ছে পদ্মময় দিল্লির মসনদে বসানো হতে পারে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে। এর মধ্যে রয়েছেন উত্তম নগর থেকে জয়ী পবন শর্মা। পবন প্রাক্তন সংঘ প্রচারক। দিল্লি রাজ্য সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও তিনি। পবন ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন আরও একজন। তিনি আদর্শ নগর কেন্দ্র থেকে জয়ী রাজকুমার ভাটিয়া। এবিভিপির সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। রোহিণী থেকে জয়ী জিতেন্দ্র মহাজন পাঞ্জাবি এবং বৈশ্য উভয় সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি। তবে তিনি সংঘ পরিবারের বাইরের। তাই তাঁর কপালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা কম।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে কারা

    বিজেপি (Delhi Chief Minister) যদি আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে দিল্লির কুর্সিতে বসায়, তাহলে দৌড়ে এগিয়ে পবন এবং রাজকুমার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলেই জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফিরবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার পরেই চূড়ান্ত হতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম। বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “আরএসএস বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবে। যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা বিজেপিকে দেওয়া সমর্থন অন্যতম।” বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বিজেপির দিল্লি বিজয় যাদের জন্য সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে মূলত রয়েছেন ব্রাহ্মণ, জাঠ এবং পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের ভোটার। তাই এই তিন সম্প্রদায়ের থেকেই কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপ-মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লি বিধানসভার স্পিকার এবং মন্ত্রিসভার সাতজন মন্ত্রীর নামও চূড়ান্ত করা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে (Delhi Chief Minister)।

  • India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিন ও চন্দ্রযান এর সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের বিজ্ঞানের অগ্রগতির (India’s Quantum Leap) কথা তুলে ধরেছে। রবিবার দিল্লিতে “বিজ্ঞান ভারতী”-এর নতুন অফিস ভবন উদ্বোধন করে এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি বলেন, ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ‘ভ্যাকসিন’ ও ‘চন্দ্রযান’-এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করেন না, বরং তা শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সম্পদ ও সরকারি-বেসরকারি খাতের মধ্যে দেশে বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করেন।

    চন্দ্রযানের সাফল্য

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) বলেন, ‘ভারতের বৈজ্ঞানিক (India’s Quantum Leap) মেধা ও প্রতিভা সবসময়ই ছিল, তবে যে বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল তা ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প এবং অগ্রাধিকার, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি ‘বিজ্ঞান ভারতী’-কে অনুরোধ করেন, ইনস্পেস ও বিআরএসি’র মতো সফল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চাঁদ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী প্রকল্পেরও সময় জানান কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চন্দ্রযান-৪ নতুন লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। চাঁদের মাটি থেকে সেখানকার পাথরের নমুনা সংগ্রহ করাই হবে পরবর্তী অভিযানের লক্ষ্য। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করা হবে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    ভ্যাকসিন নিয়ে সবার আগে

    স্বাস্থ্য খাতে ভারতের (India’s Quantum Leap) উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি জানান, একসময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব না থাকলেও এখন দেশটি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে। তিনি ভারতের সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহরণ দেন, যেমন মহামারীর সময় প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি, প্রথম দেশীয় এইচপিভি ভ্যাকসিনের উন্নয়ন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি। তিনি দেশের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন।

  • Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার আগে (Pariksha Pe Charcha) ছাত্রছাত্রীদের চ্যালেঞ্জ নিতে বললেও চাপ না-নেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মোদির অষ্টম বার্ষিক ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ সম্প্রচারিত হয় সোমবার ৷ আজ,১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সিবিএসসি দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৷ আর আইসিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৷ তার আগে শারীরিক পুষ্টি, চাপ আয়ত্ত করা এবং নেতৃত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    পরীক্ষা পে চর্চা

    জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা (Pariksha Pe Charcha) দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভীতি কাটাতে, উৎসাহ দিতে প্রতিবছরই পরীক্ষা পে চর্চা করেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির পরীক্ষা পে চর্চার PPC 2025) এবার অষ্টম সংস্করণ। পরীক্ষা পে চর্চায় প্রতি বছরের মতোই প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিলেন ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের। এই বছর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মোদির সেশন। “পরীক্ষা পে চর্চা”য় রেজিস্টার করিয়েছেন, ৩.৩০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। থাকছেন ২০.৭১ লক্ষ শিক্ষক । সাড়ে ৫ লক্ষ অভিভাবকও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    ব্যাটারের মতো ফোকাস

    পরীক্ষার আগে ফোকাস বাড়াতে ক্রিকেট ম্যাচের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখান ব্যাটারের টোটকা। পরীক্ষার সময়ে হই-হট্টগোলের মাঝে নিজের ফোকাস যাতে না নড়ে তার জন্য মোদি তুলে ধরেন ক্রিকেট মাঠে ব্যাটারের উদাহরণ। তিনি বলেন, সারা স্টেডিয়ামের চিৎকার সব কিছুর মাঝেও ব্যাটারের ফোকাস থাকে শুধু বলের উপর। সে আর কিছু শুনতে পায় না। পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের এরকমই মনযোগ দিতে হবে। মোদির কথায়, চিন্তা-উদ্বেগ ভুলে শুধু পরীক্ষাতেই নয়, জীবনেও হতে হবে ওয়ারিয়র অর্থাৎ যোদ্ধা।

    প্রকৃতির মাঝে থাকা ও শরীর চর্চা

    পরীক্ষার চাপ সামলে সুস্থ থাকতে পড়ুয়াদের প্রকৃতির মাঝে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতি আমাদের চাপ কমাতে সাহায্য করে। সূর্যোদয়ের পরেই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে লম্বা নিঃশ্বাস নিলে অনেকটাই কমে মানসিক চাপ।’ এছাড়া পড়ার ফাঁকে নিয়মিত শরীর চর্চারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সময়ের সঠিক ব্যবহার

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় সময়ের সঠিক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। সময়কে কাজে লাগানোর কৌশলটা ঠিক করার উপর জোর দিতে বললেন পড়ুয়াদের। পরীক্ষার হলে কীভাবে সময়টাকে ভাগ করে নেবে, কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ে নিজেকে উজাড় করে দেবে, তার মহড়া নিতে হবে আগে থেকেই। রণকৌশল ঠিক করে নিতে হবে আগে থেকেই।

    পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে উৎসাহ

    পরীক্ষার (Pariksha Pe Charcha) প্রয়োজনীয়তা তো আছেই। তবে প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি জোর দিলেন, সিলেবাসভিত্তিক পরীক্ষা আর জীবনের সত্যিকারের শিক্ষাটা আলাদা। সেটা গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে হবে না, জ্ঞান অর্জনের উপর মনোনিবেশ করা দরকার, মনে করেন মোদি। পরীক্ষার সিলেবাসের বাইরে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপেও উৎসাহ জোগান প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির টিপস, পড়াশোনা তো আছেই, কিন্তু শিশুদের বিশেষ আগ্রহের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদের পছন্দ খুঁজে বের করার স্বাধীনতা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, শিক্ষার্থীদের কেবল বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় এবং তাদের শখের দিকটিও নজর দিতে হবে। কারণ তা শিশুর সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

    রিল নয় প্রযুক্তির সাহায্য

    পড়ুয়াদের রিল দেখার বিষয়েও সাবধান করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল না দেখে পড়ুয়ারা যদি সে সময়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করেন তা হলে উপকার হবে। এ ছাড়া নিজেদের লক্ষ্য স্থির রাখতে রোজ একটা কাগজে পড়ুয়াদের উচিত নিজের পরিকল্পনা লিখে রাখা এবং দিন শেষে কতটুকু বাস্তবায়ন হল তা টিক চিহ্ন দিয়ে মার্কিং করা।

    বাবা-মা-শিক্ষককে টিপস

    পড়ুয়াদের সঙ্গে সঙ্গে এদিন বাবা-মা ও শিক্ষকদের উদ্দেশেও বিশেষ টিপস প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। পরীক্ষা বলে পড়ুয়াদের বাড়তি চাপ না দেওয়ার পরামর্শ। শুধু পড়ার বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলে হবে না। নিজেদের ভালো লাগার কাজও পড়ুয়াদের করতে দেওয়া উচিত। তাতে শারীরিক-মানসিক বিকাশ কোনওটাই আটকাবে না। মোদি ছাত্রছাত্রীদের বলেন ‘জ্ঞান’ এবং পরীক্ষা দু’টি ভিন্ন জিনিস। পরীক্ষাকে জীবনের সর্বস্ব হিসেবে দেখা উচিত নয়। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কোনও কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।

    পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষম আহার

    ভালো করে পরীক্ষা দিতে সুষম খাদ্য খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার বলে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। খাবার খাওয়ার সময়ে যেমন চিবিয়ে ভালো করে খেতে হবে তেমনি আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম না দিলে শরীর-মন তরতাজা হবে না। ফলে পরীক্ষার সময়ে পড়ুয়াদের মনসংযোগে সমস্যা হতে পারে।

  • PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ট্রাম্প ২.০ প্রশাসন আসার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবার তিনি উড়ে যাবেন ফ্রান্সের উদ্দেশে। বুধবার সেখান থেকে রওনা দেবেন আমেরিকার (US) উদ্দেশে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসে, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স অ্যাকশন সমিট’- এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফরের পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন আমেরিকায়। ফ্রান্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিয়াক্টার’ যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (PM Modi)

    তবে সমস্ত মহলের নজর রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফরের দিকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে ‘মিনি ট্রেড ডিল’ সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কথাবার্তা হতে পারে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি আমেরিকায় মোদিকে (PM Modi) আমন্ত্রণ করে ফোন আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’  মোদি-ট্রাম্পের কথায় স্বচ্ছ্ব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    মোদির (PM Modi) সফরের বিষয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অফিশিয়াল সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শুরুর পরে এটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের (দ্বিতীয়বার)অভিষেক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন অন্যতম।’’

  • Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন।

    ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠা (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

    মোদির জনসমর্থন কমাতে চক্রান্ত

    শুধু তাই নয়, এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করে, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসমর্থন কমানোর চেষ্টাও করছে। এ বিষয়ে নাম উঠে আসে জর্জ সোরোসের, যিনি ফান্ডিং করতেন এই সংস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতাদের প্রতিহত করতে। এজন্য তিনি এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলও গঠন করেছিলেন বলে জানা যায়।

    কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি যোগ

    এই সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও একটি যোগসূত্র রয়েছে। রাহুল গান্ধীর অন্যতম পরামর্শদাতা এবং কংগ্রেসের বিদেশ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা- সরাসরি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাই এটা বলাই যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থা অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা, মার্কিন করদাতাদের অর্থের একটি বড় অংশই এই সংস্থার কাজে ব্যয় করা হত বাইডেনের জমানায়। রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালেই ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল গঠন করা হয়েছিল এই সংস্থার জন্য। কিন্তু সেসব এখন অতীত। আপাতত এই সংস্থার লম্ফঝম্ফে রাশ টানছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

LinkedIn
Share