Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “ইয়ে নয়া ভারত হ্যায়, ঘর মে ঘুসকর মারতা হ্যায়”, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ৮ বছরে মোদি

    PM Modi: “ইয়ে নয়া ভারত হ্যায়, ঘর মে ঘুসকর মারতা হ্যায়”, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ৮ বছরে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হাজির ছিলেন ভোটমুখী হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরে। দু জায়গাতেই তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে ২০১৬ সালের উরির সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘‘আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ২০১৬ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। ভারত বিশ্বকে বলেছিল, ‘ইয়ে নয়া ভারত হ্যায়, ইয়ে ঘর মে ঘুসকর মারতা হ্যায়… আতঙ্ক কে আকাও কো পাতা হ্যায় আগর কুছ ভি হিমাকাত কি তো মোদি পাতাল মে ভি উনহে খোজ নিকালেগা’ (এটাই নতুন ভারত, ওরা ঘরে ঢুকে মারি আমরা… সন্ত্রাসবাদের মাস্টারমাইন্ডরাও জানেন, যদি কিছু ঘটে যায়, মোদি তাদের পাতাল থেকেও খুঁজে বের করবেন।) বিরোধী কংগ্রেসকে (Congress) কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন সেই সময়টা যখন ওদিক থেকে গুলি চালানো হত, আর কংগ্রেস এদিকে সাদা পতাকা ওড়াত।’’

    ২০১৬ সালের উরির ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি নিকেশ করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করে। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরির একটি সেনা ঘাঁটিতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা হামলা চালায়। এতে ১৯ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। এরপরেই মোদি সরকার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কেন্দ্র করে সেসময় দেশজুড়ে উৎসবের মহল তৈরি হয়েছিল। সন্ত্রাস দমনে মোদি সরকারের (PM Modi) এমন পদক্ষেপ করাকে সকলেই সমর্থন করেন।

    সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও রক্তপাত চায়না জম্মু-কাশ্মীর (PM Modi)

    এদিন নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস (Congress), ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে (পিডিপি) নিশানা করে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ তিন পরিবারকে নিয়ে ‘ক্লান্ত’।’’ তিনি আরও বলেন,  ‘‘চাকরিতে দুর্নীতি ও বৈষম্য থাকবে এমন ব্যবস্থা তারা (জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ) আর চায় না। তারা সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও রক্তপাতও চায় না। এখানকার মানুষ শান্তি চান, এখানকার মানুষ তাঁদের সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যত চান এবং সেই কারণেই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ বিজেপি সরকার চান।’’ উপত্যকার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও জানান মোদি। প্রসঙ্গত, দু’দফাতেই বিজেপির পক্ষে বিপুল ভোট পড়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপির প্রথম সরকার এখানে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গঠিত হবে। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথম দফার ভোট হয় ১৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৮ অক্টোবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

    PM Modi: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছ থেকে পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার উপহার পেল কলকাতা। একই ধরনের সুপার কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে পুণে এবং দিল্লিতেও। জানা গিয়েছে, জাতীয় সুপার কম্পিউটিং মিশনের আওতায় ১৩০ কোটি টাকা খরচে এই তিনটি সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর এই তিনটি সুপার কম্পিউটার উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কম্পিউটারগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে, কলকাতার সত্যেন্দ্রনাথ বোস সেন্টারে পরম রুদ্র কম্পিউটার ব্যবহার করে পদার্থবিদ্যা, সৃষ্টিতত্ত্ব সমেত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণা চালানো হবে। এদিন একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবহাওয়া এবং জলবায়ু গবেষণায় সাহায্যকারী হাই পারফরম্যান্স কম্পিউটিং সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)?

    বৃহস্পতিবার সুপার কম্পিউটারগুলি লঞ্চ করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গবেষণার ক্ষেত্রে এটা ভারতের জন্য এক উল্লেখযোগ্য দিন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে ভারত। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীরা সফলভাবে তিনটি পরম রুদ্র সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছেন। এখন কলকাতা, দিল্লি এবং পুনেতে এগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে। আমি (PM Modi) এই কৃতিত্বের জন্য সমস্ত ভারতীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং এটি ভারতের যুবদের উৎসর্গ করছি। তারা দেশীয় কম্পিউটিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’’

    কী কী কাজ করবে এই সুপার কম্পিউটার (PM Modi)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরম রুদ্র সিস্টেমগুলি (Param Rudra Supercomputers) অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বেশিরভাগ সরঞ্জাম ভারতেই তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাই-স্পিড কম্পিউটেশন এবং সিমুলেশনের জন্য এই সুপার কম্পিউটারগুলিকে নকশা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জলবায়ুর মডেল তৈরি, রাসায়নিক আবিষ্কার, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা— একাধিক বিষয়ে গবেষণা চালাতে সক্ষম হবে এই কম্পিউটারগুলি। শুধু তাই নয়, গবেষকদের যে কোনও জটিল সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে এই কম্পিউটারগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করতে চাইছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এজন্য ভারতের (PM Modi) ওপরই ভরসা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একটি শান্তি-প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে।

    মোদির রফাসূত্র (PM Modi)

    সম্প্রতি তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে কীভাবে দাঁড়ি টানা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ইউক্রেনকে যদি কিছু আপোস করতে হয়, তবে তার বিনিময়ে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হবে না। এর অর্থ হল, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। তবে ইউক্রেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ঝোঁকের ভারসাম্য বজায় রাখতে হতে পারে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    ভারত-চিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গও

    ওই আলোচনায় এসেছে ভারত-চিনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের (PM Modi) সংঘর্ষের প্রসঙ্গও উঠেছে। গত কয়েক দশক ধরে চিনা ফৌজের লাগাতার আক্রমণের জেরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূখণ্ড হারিয়েছে ভারত। তার পরেও ভারত চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। বড় কোনও আঞ্চলিক ছাড় দিতেও অস্বীকার করেছে ভারত। তাওয়াং এবং অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশের ওপর বেজিং যে দাবি করেছিল, সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিভের (ইউক্রেনের রাজধানী) চোখে মোদি অনেক কম সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ক্রমশ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে আদর্শ মধ্যস্থতাকারীই হিসেবে দেখছে। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইউক্রেনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ারও। পশ্চিমে ইউক্রেনের যেসব বন্ধু দেশ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির ভারতের। সেই কারণেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের (PM Modi) ওপর ক্রমেই নির্ভর করতে শুরু করেছে জেলেনস্কির দেশ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার ১০ বছর পূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই উদ্যোগ। সেই উপলক্ষে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত। এই উদ্যোগে সরকার কোম্পানিগুলিকে ভারতে পণ্যের বিকাশ, উৎপাদন ও উৎপাদনে উৎসর্গীকৃত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথচলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”

    সাফল্যের খতিয়ান

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলের ৯৯ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ভারত উঠে এসেছে দুনম্বরে।” খেলনা উৎপাদনেও ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দশ বছরে খেলনা রফতানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    ইস্পাত শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে দেশে ইস্পাতের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দেশে দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি চিপ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, গত দশ বছরে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে (Make In India) না। একই সঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই’’, হরিয়ানায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সম্প্রতি সামনে এসেছে কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। মহীশূর আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বুধবার নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন হরিয়ানার সোনপথে। ভোটমুখী হরিয়ানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসের ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির যাবতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এবং এ প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করেন কর্নাটকের মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দুর্নীতি। তখনই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভূ-ভারতে কংগ্রেসের মতো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত দল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু বছরও হয়নি কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছে কর্নাটকে, কিন্তু আপনারা দেখুন! এখন থেকে কীভাবে তারা দুর্নীতি করছে! খোদ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের রক্ষাকবচও চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

    কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জমি লুট করত

    তিনি হরিয়ানার মানুষদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘১০ বছর আগে যখন এখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন কৃষকদের জমি লুট করত তারা। কংগ্রেস (Congress) হরিয়ানা জমিগুলিকে দালালদের হাতে সঁপে দিয়েছিল। এমন কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষা ছিল না যেখানে দুর্নীতি হয়নি। সরকারের কোনও সংস্থাই দুর্নীতির বাইরে ছিল না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকার সর্বদাই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজকে সক্রিয়ভাবে সামাজিক বা সরকারি কাজে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রেখেছে। তাই বর্তমান দিনে দলিত সমাজও কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।’’

    দুর্নীতিকে লালন পালন করে কংগ্রেস, তোপ মোদির (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখবেন কংগ্রেস যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই তারা দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়। কংগ্রেস হল এমন একমাত্র দল যারা দুর্নীতিকে ভারতের শাসনব্যবস্থায় লালন পালন করেছে দীর্ঘদিন ধরে এবং আজও করে চলেছে।’’ এনডিএ সরকারের সাফল্যগাথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকে সারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিরা তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে এবং তারা উদগ্রীব ভারতে বিনিয়োগ করতে। এই বড় কোম্পানিগুলি ভারতবর্ষে যখন বিনিয়োগ করবে তখন হরিয়ানার যুবসমাজ ও কৃষকরাও উপকৃত হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asia Power Index: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    Asia Power Index: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপ্রতিরোধ্য ভারত! এশিয়া মহাদেশে তৃতীয় শক্তিশালী দেশ নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির নিরিখে জাপানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। এমনই তথ্য উঠে এল অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে (Asia Power Index)। জানা গিয়েছে, প্রতিপত্তির নিরিখে রাশিয়া ও জাপানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত।

    তিন নম্বরে ভারত (Asia Power Index) 

    সম্পদ ও প্রভাবের নিক্তিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তার পরেই রয়েছে চিন। ভারত রয়েছে এই তালিকার তিন নম্বরে। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ধীরে ধীরে হলেও, ক্রমেই ওপরের সারিতে উঠছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের যে পরিমাণ সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে এখনও ছুঁতে পারেনি। পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে রাশিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত অন্তত ২৭টি দেশ ও অঞ্চলকে সম্পদ ও প্রভাবের নিরিখে মূল্যায়ন করা হয় ওই ইনডেক্সে। তাতেই দেখা গিয়েছে, সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত।

    কী বলছে রিপোর্ট

    এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত ধীরে হলেও, ক্রমেই ওপরে উঠছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের হাতে যে সম্পদ রয়েছে, তার যা সম্ভাবনা, সেই সম্ভাবনাকে এখনও ছুঁতে পারেনি তারা। এশিয়ায় ভারতের শক্তি বাড়ছে। জাপানকে টপকে প্রথমবারের মতো তৃতীয় স্থান দখল করেছে তারা (Asia Power Index)। তবে ভারতের উত্থান নিয়ে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, আর বাস্তব ছবি যা বলছে, তাতে ফারাক রয়েছে।” ওই ইনডেক্স দেখা যাচ্ছে, এখনও মালাক্কা প্রণালীর পূর্বে শক্তি ও প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির ক্ষমতা সীমিত। তবে এর প্রভাব প্রতিশ্রুত স্তরের নীচে থাকার অর্থ, একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের।

    আরও পড়ুন: খাবারে মেশানো হচ্ছে মানব বর্জ্য, নয়া ফরমান যোগী রাজ্যে

    অস্ট্রেলিয়ার সংস্থার করা এই রিপোর্টে যারপরনাই খুশি ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “বিশ্বমঞ্চে ভারতের উত্তরণ কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় কূটনৈতিক কৌশল ও দেশকে নিয়ে তাঁর উচ্চাকাঙ্খার ফল এটা (PM Modi)। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া এটা সম্ভব হত না (Asia Power Index)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    Ayushman Bharat: মোদি সরকারের সাফল্য! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ বছরে কী পেলেন সুবিধাভোগীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (Ayushman Bharat Scheme)। যা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামেও পরিচিত। ছ’বছর আগে মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে। ছয় বছরে ১২.৩৭ কোটি পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। 

    কেন চালু করা হয়

    দেশের সমস্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা করাতে পারেন এবং টাকার অভাবে যাতে কারোর চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু করেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের একেবার গরিব বা প্রান্তিক শ্রেণির পরিবারগুলিও যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়েই চালু করা হয় এই প্রকল্প। সম্প্রতি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিরাও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসবেন।

    বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প

    কেন্দ্রের দাবি, এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প (Ayushman Bharat Scheme)। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন তার হিসাব করেই এই কথা দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের ২৭ হাজার ৩৪৩টি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রকল্প জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্র। হয়েছে আয়ুষ্মান ভব্য অভিযানও। যার মাধ্যমে চারটি সহজ ধাপে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা যায়। এই প্রকল্পে নাবালিকা, মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে এই কার্ডটি তৈরির ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা ও তাঁদের বয়স নিয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই। 

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে সুবিধা

    আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat) থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবেন সহজে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মিলবে বিনামূল্যে। এই কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালে বাধ্য থাকবে চিকিৎসা করতে। যাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন তাঁদের থেকে কোনওভাবে মুখ ঘুরিয়ে রাখা যাবে না। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারগুলি ভারতজুড়ে চিকিৎসা পরিবেষা পাবেন। আর তার জন্য পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সরকারি ও তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে কোনও অতিরিক্ত অর্থও দাবি করতে পারবে না।

    ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্য

    ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৫৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য (Ayushman Bharat) কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৩ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পাঁচ হাজার শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাড়ে ৫ হাজার শহুরে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং ১২ হাজার ১৭৩টি আয়ুষ-সম্পর্কিত কেন্দ্র রয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেননি। তাই এখনও পর্যন্ত ৩৫.৩৬ কোটি মানুষকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    PM Modi: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায়  যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর কথা যে নিছক কথার কথা নয়, তিনি যে প্রকৃতই বিশ্বশান্তির পক্ষে, এক মাসে দ্বিতীয়বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে বৈঠক করে তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে শান্তি ফেরাতে ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে একযোগে কাজ করবে ভারত ও ইউক্রেন।

    মোদি-জেলেনস্কি বৈঠক (PM Modi)

    দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” একবার নয়, একাধিকবার পুতিনের কানে এই মন্ত্র দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। মাসখানেক আগে ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও তিনি জানিয়েছিলেন, “যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়।” তিন দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জেলেনস্কি যে মোদির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে আগ্রহী, তা জানিয়েছিল ইউক্রেন। সেই মতো হয় পার্শ্ববৈঠক।

    কী বললেন মোদি?

    বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জেলেনস্কিকে বার্তা দিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার। শান্তি ও স্থিতাবস্থা না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। যুদ্ধ শেষ হবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে যুদ্ধ যাতে শেষ হয়, সেদিকেই মনোনিবেশ করা উচিত প্রত্যেকের। বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে গত মাসে ইউক্রেন সফরে আমাদের আলোচনায় যে বিষয়গুলি উঠে এসেছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে (Volodymyr Zelenskyy) দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভারত সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

    আরও পড়ুন: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি (PM Modi) একজন দুর্দান্ত মানুষ। আমার দেখা একাধিক চমাৎকার নেতাদের মধ্যে তিনি একজন। আগামী সপ্তাহে আমাদের দেখা হতে পারে।” দিন কয়েক আগে এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প চাইলেও বহু আকাঙ্খিত এই বৈঠক হল না। অথচ টানা প্রায় তিনদিন আমেরিকায় ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। 

    ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    আর ছ’সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ট্রাম্প। আর মার্কিন দেশে ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন কোয়াড সামিটে। পার্শ্ব বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচারে’। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী ধরেন ভারতের বিমান। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই যাত্রায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি।

    ‘নমস্তে ট্রাম্প’

    অথচ মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথা সুবিদিত। বছর কয়েক আগে টেক্সাসে হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’। তার পরে ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে হয়েছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’। এই দুই মেগা ইভেন্টের সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ট্রাম্প। রবিবার নিউইয়র্কের শহরতলিতে প্রবাসী ভারতীয়দের সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তার পরে কিছু সময় বরাদ্দ করে রেখেছিলেন ট্রাম্পের জন্য। কিন্তু সেই সময় ট্রাম্প ছিলেন নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী সমাবেশে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ আল খালিদের সঙ্গে। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে মোদি শেষ বৈঠক সেরে নেন ইফক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছেন ট্রাম্প। তার আগে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্কটা ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের একটি মন্তব্যে বেশ ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। ভারতের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত আমদানি শুল্কের খুবই অপব্যবহার করে থাকে।” ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে তাঁকে তিরস্কারও করেন (Donald Trump) মোদি। ট্রাম্প-মোদির বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক না হওয়ার এটাও একটা কারণ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations Summit) মঞ্চ থেকে তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিউইয়র্কে ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তির বার্তা বিশ্ববাসীর কানে পৌঁছে দিতে এই মঞ্চটাকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। এবং বললেন, “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।”

    বিশ্বশান্তির পক্ষে সওয়াল মোদির (PM Modi)

    বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কারের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সোমবারই লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। এহেন প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত আন্তর্জাতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বশান্তি ও সুরক্ষায় একদিকে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ, আবার সাইবার, মহাকাশ-সহ বিরোধের একাধিক নয়া ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। এসব দিকে নজর রেখে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ অবশ্যই হওয়া প্রয়োজন আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সংস্কারই প্রাসঙ্গিকতার মূল। নয়াদিল্লি সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান এদিকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।”

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ 

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। সাইবার, সামুদ্রিক ও মহাকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি নয়া সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই সব বিষয়ে আমি জোর দেব যে বৈশ্বিক পদক্ষেপকে অবশ্যই বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তির নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের এমন বৈশ্বিক ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন, যা জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোকে বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য একটি সেতু হতে হবে, বাধা নয়।” ভারত তার ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো পুরো বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (United Nations Summit)। তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারতের জন্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ, একটি অঙ্গীকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share