Tag: PM Modi

PM Modi

  • Anura Kumara Dissanayake: “আমরা এক সঙ্গে পারি…”, মোদিকে আশ্বাস শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের

    Anura Kumara Dissanayake: “আমরা এক সঙ্গে পারি…”, মোদিকে আশ্বাস শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা এক সঙ্গে পারি…।” কথাগুলো বললেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নয়া প্রেসিডেন্ট বামপন্থী নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েকে (Anura Kumara Dissanayake)। আজ সোমবারই প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন অনুরাকুমার। তার পরেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার।

    কী বললেন দিশানায়েকে? (Anura Kumara Dissanayake)

    বামপন্থী এই নেতার জয়ের রাস্তা পরিষ্কার হতেই তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই প্রেক্ষিতে এক্স হ্যান্ডেলে অনুরাকুমার বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই প্রতিশ্রুতি ভাগ করে নেন।” তিনি বলেন, “আপনার সদয় কথা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রী মোদি। আমাদের দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি আমি ভাগাভাগি করি। এক সঙ্গে আমরা আমাদের জনগণ ও পুরো অঞ্চলের কল্যাণে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে পারি।”

    অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    অনুরাকুমার (Anura Kumara Dissanayake) শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জেনেই ট্যুইট বার্তায় তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী হবে বলেও জানান তিনি। এবং তার ফলে উপকৃত হবে গোটা অঞ্চল। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আপনার বিজয়ের জন্য আপনাকে অভিনন্দন অনুরাকুমার দিশানায়েকে। ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি এবং ভিশন সাগরের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। আমাদের দুই দেশের মানুষের ও গোটা অঞ্চলের কল্যাণের জন্য বহুমুখী সহযোগিতা আরও মজবুত করতে আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।”

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে সুন্দর পিচাই সহ শীর্ষ টেক সিইওদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    এর আগে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার মাত্র তিন শতাংশ ভোট পেয়েছিল দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন বামজোট। ২০২২ সালে প্রবল বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রনিল। তার পরেও দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল ফেরাতে সমর্থ হননি রনিল। এবার তাই বছর (Sri Lanka) ছাপান্নর দিশানায়েকের ওপর ভরসা করছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী (Anura Kumara Dissanayake)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মার্কিন মুলুকে সুন্দর পিচাই সহ শীর্ষ টেক সিইওদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মার্কিন মুলুকে সুন্দর পিচাই সহ শীর্ষ টেক সিইওদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দর পিচাই সহ ১৫ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি সিইও। বৈঠক হয়েছে নিউ ইয়র্কের লোটে নিউ ইয়র্ক প্যালেস হোটেলে। সেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই ফাঁকে হয় এই বৈঠক।

    গোলটেবিল বৈঠক (PM Modi)

    এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কাম্পিউটিং, সেমি কন্ডাক্টর এবং বায়েটেকনোলজিতে বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন কোম্পানির মাথা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুগলের সুন্দর পিচাই, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং এবং অ্যাডোবের শান্তনু নারায়ণের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “নিউ ইয়র্কে টেক সিইওদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ গোলটেবিল বৈঠক করেছি, যেখানে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির বিষয়গুলিও তুলে ধরেছি, আমি আনন্দিত যে ভারতের ওপর প্রচুর আশাবাদ দেখা যাচ্ছে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই রাউন্ডটেবিল বৈঠক অত্যাধুনিক ক্ষেত্রগুলির ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জীবপ্রযুক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির বিকাশমান পরিসর ও এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলি কীভাবে ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিইওরা গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন কীভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতি ও মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের নীতিই হল সবার জন্য এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রচার করা।” ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষায় ও প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনের জন্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বৈঠকে উপস্থিত সিইওদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত যে অচিরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (MIT) দেশে পরিণত হবে, বৈঠকে তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রদূত বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রাই। নিউ ইয়র্কে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিন দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। রবিবার নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়েরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। সেখানেই আগামী দিনে ভারতের অবস্থান, পরিকল্পনা সম্বন্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন মোদি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত কিছু বললে এখন সারা বিশ্ব সে কথা শোনে। 

    দেশপ্রেমের বার্তা মোদির

    নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাঁর কথায়, “প্রবাসীদের গুরুত্ব, ক্ষমতার বিষয়ে আমি শুরু থেকেই শ্রদ্ধাশীল। আপনারা সকলে আমার কাছে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রদূত।” দেশপ্রেমের বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “ভারতীয়দের হৃদয়ে গাঁথা আছে দেশাত্মবোধ। এটাই আমাদের শান্তিপূর্ণ, আইন অনুসরণকারী, দায়িত্ববান বৈশ্বিক নাগরিক তৈরি করে। দেশ তাঁর সন্তানদের প্রতি গর্ববোধ করে। একইসঙ্গে বিশ্বকেও বোঝায় যে ভারত হল বিশ্ব-বন্ধু। আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধই আমাদের অনন্য করেছে।”

    মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী

    “মোদি অ্যান্ড ইউএস” অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ জীবনের বলিদান করেছিলেন। আমি স্বরাজের জন্য জীবন দিতে পারিনি, কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার জীবন সু-রাজ (সুশাসন) ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য অর্পণ করব। প্রথম দিন থেকেই এটিই মিশন ছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি কোনওদিন ভাবিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হব। কিন্তু যখন হলাম, তখন গুজরাটের সবথেকে বেশি মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হলাম। তারপর জনগণ আমায় প্রোমোশন দিল, আমায় প্রধামন্ত্রী করল। দেশ ভ্রমণ করে আমি যে শিক্ষা নিয়েছিলাম, তাই-ই আমার সুশাসন মডেলকে আরও শক্তিশালী করেছিল। এই তৃতীয় দফায় আমি আরও তিনগুণ দায়িত্ব নিয়ে এগোচ্ছি।”

    বিশ্ববন্ধু ভারত

    আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে এদিন মোদি (PM Modi) বলেন, “গত কয়েক বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। এখন ভারত কিছু বললে সারা বিশ্ব তা শোনে। কিছু দিন আগে আমি যখন বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়, সকলে সে কথার গুরুত্ব বুঝেছিল। বিশ্বের কোনও প্রান্তে যখনই কোনও সঙ্কট দেখা দেয়, প্রথম সাড়া দেয় ভারত। বিশ্বের উপর চাপ বৃদ্ধি করা ভারতের উদ্দেশ্য বা অগ্রাধিকার নয়। আমরা চাপ বৃদ্ধি নয়, ভারতের প্রভাব বিস্তার করতে চাই। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না ভারত। চায় বিশ্বের উন্নতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।”

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে ব্যবসা

    আগামী দিনে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন করা নিয়ে মোদি (PM Modi) জানান, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। শীঘ্রই সে বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা আসতে চলেছে। ভারতের ৫জি বাজার আমেরিকার চেয়েও বড়, বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৯ (Modi in New York)। তিনি বলেছেন, “এখন ভারতের ৫জি বাজার আমেরিকার চেয়েও বড় এবং বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। তা হয়েছে গত দু’বছরের মধ্যে। এখন ভারতে তৈরি ৬জি পরিষেবার জন্য কাজ চলছে। আগামী দিনে ভারত নিজস্ব চিপ তৈরি করতে চলেছে। ভারতে এখন প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা এখন আর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করি না। আমরাই সুযোগ তৈরি করি। গত ১০ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মার্কিন সফরে মোদি! বাইডেন প্রশাসন ভারতে ফেরাল ২৯৭টি পাচার হওয়া প্রাচীন সামগ্রী

    PM Modi: মার্কিন সফরে মোদি! বাইডেন প্রশাসন ভারতে ফেরাল ২৯৭টি পাচার হওয়া প্রাচীন সামগ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রয়েছেন আমেরিকা সফরে। তাঁর সফরের সময় আরও ২৯৭টি প্রাচীন সামগ্রী ফিরিয়ে দিল আমেরিকা। প্রসঙ্গত, এই সামগ্রীগুলি অতীতে বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে পাচার করা হয়েছিল বিদেশে। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদেশে পাচার হওয়া সামগ্রী দেশে ফেরানোর (Smuggled Antiquities) তোড়জোড় শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া চলছে  ২০১৪ সাল থেকেই। তারপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৪০টি পাচার হয়ে যাওয়া প্রাচীন সামগ্রী ভারতে ফিরেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিরিয়েছে আমেরিকাই। তথ্য বলছে, চুরি যাওয়া ৫৭৮টি প্রাচীন সামগ্রী ২০১৪ সাল থেকে ভারতে ফিরিয়েছে আমেরিকা। 

    ২০২১ ও ২০২৩ সালে মোদির (PM Modi) সফরেও প্রাচীন সামগ্রী ফেরায় আমেরিকা

    ৩ বছর আগে ২০২১ সালে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখনও ফেরানো হয়েছিল ১৫৭টি প্রাচীন সামগ্রী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ছিল দ্বাদশ শতাব্দীর একটি নটরাজ মূর্তি। ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যখন আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন পাচার হওয়া আরও ১০৫টি সামগ্রী ফিরিয়েছিল আমেরিকা। শনিবার মার্কিন প্রশাসন ফেরাল আরও ২৯৭টি প্রাচীন সামগ্রী (Smuggled Antiquities)।

    বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ মোদির (PM Modi)

    এনিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের বার্তায় বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘প্রাচীন সামগ্রী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। আমি ধন্যবাদ জানাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারত থেকে পাচার হওয়া ২৯৭টি সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে দিল্লিতে ৪৬তম বিশ্ব হেরিটেজ বৈঠকে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে। ভবিষ্যতে ভারত থেকে প্রাচীন সামগ্রী আমেরিকায় যেন পাচার না হয়, সে কারণেই এই চুক্তি সই করে দুই দেশ।

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। প্রথম দিনেই তিনি কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোয়াড (QUAD Summit) নেতার অর্থ হল আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো। আমরা এমন সময়ে একজোট হয়েছি, যখন বিশ্বজুড়ে অশান্তি-যুদ্ধ চলছে। পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে কোয়াড কাজ করছে, যা গোটা মানবতার জন্যই অত্যন্ত জরুরি।’’ এর পরেই মোদি বলেন, ‘‘আমরা কেউ কারোর বিরুদ্ধে নই। আমরা সবাই আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নিয়ম, পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে একে অপরকে সমর্থন করি।’’

    ২০২৫ সালে কোয়াড বৈঠক ভারতে!

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের কোয়াড সামিট (QUAD Summit) ভারতেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুরোধে তা আমেরিকায় বাইডেনের নিজের শহর ডেলাওয়ারে আয়োজন করা হয়। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট-কোয়াড থাকবে, এক অপরকে সাহায্য, অংশীদারিত্বে সামিল হবে। আমি আরও একবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমার সকল সঙ্গীদের স্বাগত জানাই। আগামী ২০২৫ সালে ভারতে কোয়াড লিডার্স সামিট আয়োজন করতে রাজি আমরা।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও এই কোয়াড সামিটে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

    গতকাল শনিবারই ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছান মোদি (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এখানে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোদির বিশেষ বিমান অবতরণ করতেই ট্যুইট ভেসে আসে প্রধানমন্ত্রীর এবং তিনি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছালাম। আজকে কোয়াড সামিট এবং বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়েই ব্যস্ত থাকব। আমি একেবারে নিশ্চিত যে এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে এবং তা আগামী পৃথিবীকে দিশা দেখাবে। এই আলোচনা বিশ্বব্যাপী অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’’ মোদির বিমান ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছানো মাত্রই প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের পাহাড়ে অমুসলিমদের উপর হিংসা, আদিবাসীদের অবরোধে স্তব্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের পাহাড়ে অমুসলিমদের উপর হিংসা, আদিবাসীদের অবরোধে স্তব্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সেনা এবং মুসলিম কট্টরপন্থীরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার শিকার হচ্ছে পার্বত্য বাংলাদেশের আদি বাসিন্দারা। এমনই অভিযোগ তুলল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জনজাতি সংগঠন। অবিলম্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই স্মারকলিপি পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ভায়াবহ। সেনাবাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে সেখানে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন। সেনার গুলিতে  বৃহস্পতিবার সেখানে তিনজন পাহাড়িয়াবাসী মারা যায়। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

    ঘটনার সূত্রপাত

    সূত্রের খবর, বুধবার খাগড়াছড়ি নোয়াপাড়া এলাকায় মহম্মদ মামুন নামে এক দুষ্কৃতী মোটরসাইকেল চুরি করে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। আহত অবস্থায় ধরা পড়ার পরে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। স্থানীয় দিঘিনালা সরকারি কলেজের বিএনপি এবং জামাতে ইসলামির সমর্থক ছাত্ররা অভিযোগ তোলে মানুনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এরই জেরে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে খাগড়াছড়ি শহরের বোয়ালপাড়া বাজার, লারমা স্কোয়ারের মতো এলাকায় অমুসলিম আদিবাসীদের বাড়িঘর, দোকান, ধর্মস্থান ভেঙে আগুন ধরানো হয়। পিটিয়ে মারা হয় কয়েক জনকে।

    হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অত্যাচার

    আদিবাসীদের অভিযোগ, হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাইরে থেকে এসে বসতি গড়া লোকেরা চাকমাদের উপরে হামলা, জমি দখল এবং দেশছাড়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করেছে। হামলাকারীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা, খাগড়াছড়ি, বান্দারবন এবং রাঙামাটিতে আদি বাসিন্দা চাকমা এবং অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর উপর গত ৭২ ঘণ্টা ঘরে ধারাবাহিক হামলা চলছে। খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন অমুসলিম। পোড়ানো হয়েছে চাকমা, কুকি, ব্রু এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনা, বিজিবি এবং র‌্যাব বাহিনীও বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের অছিলায় অমুসলিমদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। চট্টগ্রামের সমতল এলাকাতেও বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টানদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা মোতায়েন করা হলেও তাতে অমুসলিম জনজাতিদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে অন্তর্বর্তী সরকার হিংসা ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনবিন্যাসের চরিত্র বদলে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। 

    দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের ডাক

    শুক্রবার চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-সহ বিভিন্ন এলাকার সমাবেশ করে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী চাকমা-সহ বিভিন্ন অমুসলিম জনজাতি সংগঠনগুলি। তাঁদের ‘আদিবাসী’ তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পাহাড়ি অমুসলিমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়বে বলেই মত সাধারণ বাসিন্দাদের।

    কবে থেকে সংঘাতের শুরু

    আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে প্রায় ৫০ হাজার সমতলের মানুষকে পাহাড়ে বসতি গড়ে দেওয়া হয়। ‘সেটলার’ নামে পরিচিত সেই জনগোষ্ঠী আজ সংখ্যায় বহুগুণ বেড়ে চাকমা ও অন্য জনজাতিদের অস্তিত্বের সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। আর সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। নতুন সরকারের আমলে তাঁদের ‘আদিবাসী’ পরিচয়ও মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে চাকমা সংগঠনগুলির অভিযোগ। কয়েকশো বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর বাস। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি নিয়ে কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের নামে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনা এবং র‌্যাব। জঙ্গি দমন অভিযানের নামে সাধারণ কুকিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে।

    আরও পড়ুন: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

     প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ দাবি 

    বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে অমুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ত্রিপুরার শিল্প-বাণিজ্য ও কারামন্ত্রী সান্তনা চাকমা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করে জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবনে হিংসায় মোট ৪০ জন জনজাতি বা পাহাড়ের আদি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ১০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ভারতে জনজাতিদের একাধিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। চাকমা ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সুহাস চাকমা, ভারতের জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনের সদস্য নিরুপম চাকমা এবং মিজোরামের বিধায়ক রশিক মোহন চাকমা প্রধানমমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে চট্টগ্রামে চাকমাদের উপর মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    কেন এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)

    বুধবার কোবিন্দ কমিটির সেই প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে এ সংক্রান্ত বিলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এহেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। তার পরেও বিলটি সংসদে পেশ করতে ও পাশ করাতে মরিয়া মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি স্পষ্ট। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে বারবার ভোট করতে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা বন্ধ হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এই কারণে থমকে যায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। উন্নয়নের গতির চাকা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এহ বাহ্য। ঘন ঘন নির্বাচন হলে ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট কর্মীদের। তাদের প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় সময়, অর্থ। কাজকর্ম ফেলে তাঁদের যেতে হয় ভোট করাতে। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে, এই তিন সমস্যাই মিটবে। তার পরেও অযথা বিরোধীরা হইচই করছেন বলে অভিযোগ।

    বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা

    অথচ, বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে সুইডেন, বেলজিয়ামের মতো দেশ, তেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই দেশগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হয় একই সঙ্গে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। এ তো গেল বিদেশের কথা। ভারতেও বেশ কয়েকবার একই সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়। প্রথমবার নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তার পর থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবারই লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভারও। দিব্যিই চলছিল এই ব্যবস্থা। গোল বাঁধে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছিল কয়েকটি বিধানসভা। শুরু হয় অকাল নির্বাচন। তার পর থেকে আর এক সঙ্গে ভোট হয়নি। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে।

    এই ব্যবস্থায়ই বদল আনতে চান মোদি

    এই ব্যবস্থাতেই বদল আনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ নয়, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও তিনি এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতেও এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মোদি জমানায় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। সেই দফায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ এ ধারা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করতে কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবারই যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়।

    কোবিন্দ কমিটি

    তবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) কার্যকর করতে মোদি সরকার যে বদ্ধপরিকর, তার আঁচ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। তখনও লোকসভা নির্বাচনের ঢের দেরি। মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা, তাও নিশ্চিত ছিল না। তা সত্ত্বেও, কার্যত দেশের স্বার্থেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাব কার্যকর করতে কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মোদি সরকার। সেই কমিটি কথা বলে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আলোচনা করে অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। বিশ্বের যেসব দেশে এক সঙ্গেই সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন হয়, সেসব দেশে কীভাবে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাও খতিয়ে দেখে কোবিন্দ কমিটি। শেষমেশ দিন কয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে সেই কমিটিই। তার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চর্চা।

    কীভাবে কার্যকর করা হবে

    কোবিন্দ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’ধাপে কার্যকর করা যেতে পারে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একযোগে হবে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন (One Nation One Election)। এর ঠিক ১০০ দিনের মধ্যে করা হবে দেশের সব পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন। অবশ্য, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে সংবিধানের ৮৩ ও ১৭২ নম্বর ধারা। এই দুই ধারায় বলা হয়েছে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে।

    কমিটি জানিয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করে নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করার জন্য টেকসই আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়াদ ফুরনোর আগে কোনও সরকারের বিলুপ্তি ঘটাতে হলে সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা সুসঙ্গত নির্বাচন চক্রে সামিল করতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের সরকার গঠন করা যেতে পারে।

    বাড়বে ভোটার

    কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সুখ্যাতি গাওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একযোগে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটা। প্রশাসনিক বোঝাও হালকা হবে। বাড়বে ভোটারের সংখ্যাও। কমিটির বক্তব্য, বারবার নির্বাচন হলে অনেক সময়ই ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোটাররা। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি। কাজের ক্ষতি করে মোটা টাকা গচ্চা দিয়ে বারবার ভোট দিতে ‘গাঁয়ে’ ফেরা তাঁদের পক্ষেও বোঝা স্বরূপ। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে, এক ঢিলে তাঁরা মারতে পারবেন দুই পাখি। এক খরচে এবং এক ছুটিতেই লোকসভা ও বিধানসভার ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে।

    ২০২৯ সালেই এক দেশ, এক নির্বাচন

    দেশে ফের লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সে ক্ষেত্রে কী হবে সেই সব রাজ্যের, যেগুলিতে আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে? এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে। এবং কীভাবে এর সমাধান করা হবে, তাও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৫ সালে, সেই সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ হবে চার বছরের। আবার কর্নাটকের মতো রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৮ সালে, সেখানে বিধানসভার মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েক মাসের।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    যদি কখনও কোনও কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মেয়াদকে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে যাতে তাকে মিলিয়ে (PM Modi) দেওয়া যায় পরবর্তী এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তাহার দেখে খুশি পাকিস্তান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। কাটরায় নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।

    পাকিস্তানের আগ্রহ

    ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তাহারে স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তাহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে। পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। প্রথম পর্বে মানুষ বিপুল ভোট দেওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি জানান মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরকে আবার পিছনের দিকে ঠেলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বলছে পুরোনো সময় ফেরাবে। আপনারা চান আবার হরতাল হোক? খুন হোক? মেয়েরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক? স্কুলে আগুন লাগুক? সিনেমা হল বন্ধ হোক? ব্যবসা নষ্ট হোক?”

     কাশ্মীরে এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়

    কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Election) প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহ দেখে মোদি (PM Modi) বলেন,  “কিশতওয়ারে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, ডোডায় ৭১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এই পরিসংখ্যান বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, উপত্যকাবাসী সেই দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে যারা পাথর ছোড়া এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।” প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি। গোটা দুনিয়া দেখছে আর অবাক হচ্ছে। জি-২০ হল, খেলো ইন্ডিয়া হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হল। এটাই তো কাশ্মীর। কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের যুব প্রজন্ম আর মজবুর নয়, মজবুত হচ্ছে। এখন ইদ, দিওয়ালি দুই-ই হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    PM Modi: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন উপহার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তার জেরে জেলও খেটেছেন তিনি। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রতিবার পাওয়া উপহার নিলামে তোলেন। সেই টাকা দান করে দেন দেশের কল্যাণমূলক কাজে।

    নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের তহবিলে দান (PM Modi)

    এবার যেমন ‘নমামি গঙ্গে’ (Namami Gange Project) প্রকল্পের তহবিলে দান করবেন নিলাম বাবদ রোজগারের টাকা। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেন, “প্রতি বছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভায় পাওয়া স্মারকগুলি নিলামে তুলি। সেই অর্থ নমামি গঙ্গে প্রকল্পে দান করা হয়। আপনাদের জানাই, এ বছরের নিলাম শুরু হয়ে গিয়েছে। যে স্মারকটি আপনার পছন্দ, সেটি বেছে নিন।” প্রসঙ্গত, নিলাম শুরু হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

    কী কী বিক্রি হচ্ছে?

    জানা গিয়েছে, এবার ৬০০-রও বেশি স্মারক (PM Modi) রয়েছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপহার স্বরূপ এগুলি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ভাস্কর্য, চিত্র, দেশীয় শিল্পনিদর্শন, তেমনি রয়েছে ২০২৪ সালের প্যারা অলিম্পিকের বিভিন্ন স্মারকও। অযোধ্যার রাম মন্দিরের রেপ্লিকাও রয়েছে। রয়েছে দ্বারকার দ্বারকাধীশের প্রতিমূর্তিও। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করে যে কেউ এগুলি সংগ্রহ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেন, “এই উদ্যোগ ইতিহাসকে আরও আপন করে নিতে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করবে। সেই সঙ্গে তাঁরা এই মহৎ উদ্যোগেও শামিল হতে পারবেন।”

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    মিশন গঙ্গা মোদি জমানায় নাম বদলে হয় নমামি গঙ্গে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে বরাদ্দকৃত ২০ হাজার কোটি টাকার অর্ধেকেরও বেশি। নিলাম থেকে সংগৃহীত অর্থও এবার যোগ হবে এই খাতে। ই-নিলামের এই ব্যবস্থা চালু হয় মোদি জমানায়ই, ২০১৯ সালে। ইতিমধ্যেই নিলাম হয়েছে পাঁচবার। আয় হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি (Namami Gange Project) টাকা। এই টাকার পুরোটাই খরচ হয়েছে দেশের কল্যাণে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Election 2024: তাঁর প্রচারে এসেছিলেন মোদি, কাশ্মীরে বিজেপির জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শগুন

    Jammu Kashmir Election 2024: তাঁর প্রচারে এসেছিলেন মোদি, কাশ্মীরে বিজেপির জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালটা ২০১৮। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৩। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় বাবা অজিত পরিহার এবং কাকা অনিলের। বাবার ঠান্ডা শরীর স্পর্শ করেই চোখের জলে সিক্ত হয়েছিল তাঁর দেহ। এখনও সেই কথা মনে পড়লে চোখের কোণা চিকচিক করে ওঠে কিশতওয়ারে বিজেপি প্রার্থী শগুন পরিহারের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রচারের পোস্টার গার্ল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন শগুন (Shagun Parihar)। দীর্ঘ এক দশক পর জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Election 2024) বিজেপির জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।

    উপত্যকা উন্নতি চায়

    শগুন জানান, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। তিনি পিএইচডি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই সময় দলের তরফ থেকে ফোন যায় তাঁর কাছে। তখনই বলা হয় তাঁকে নির্বাচনে (Jammu Kashmir Election 2024) লড়তে হবে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)  নিজে তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও (Anurag Thakur) কিশতওয়ারের প্রার্থীর জন্য প্রচার চালিয়েছেন। শগুনের কথায়, উপত্যকায় সন্ত্রাস ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। যা সন্ত্রাস, তা ন্যাশনাল কনফারেন্সের জন্যই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে, এখানকার যুব সম্প্রদায় দেশের অন্য প্রান্তের মতোই উপত্যকার উন্নতি চায়। চায় শিক্ষা, চাকরি, দাবি শগুনের।

    বিজেপির জয় নিশ্চিত

    কিশতওয়ারে ন্যাশনাল কনফারেন্সের দু’বারের বিধায়ক সাজ্জাদ আহমেদ কিচলুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শগুন। এই আসনের সাত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৭৪,৪৬৬ ভোটার। ভোটারদের (Jammu Kashmir Election 2024) কাছ থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে শগুন বলেন, “আমি যখনই যেখানে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, দেখেছি তাঁরা আমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসছেন। আমার বাবার জন্যই আমি এত ভালবাসা পাচ্ছি। উপত্যকাবাসীর জন্য নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।” তাঁর মতে, ন্যাশনাল কনফারেন্স মানুষকে অনেক কিছুই দিতে পারেনি। শগুনের অভিযোগ, ওমর আব্দুল্লাহ গুজ্জর ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের কথা চিন্তা করেননি, রিজার্ভেশন কেড়ে নিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কথাও এতদিন চিন্তা করা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শগুন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ পরাজয়ের সম্মুখীন হবে বিরোধীরা। মানুষ শান্তি ও উন্নয়ন চায়। সেইলক্ষ্যেই কিশতওয়ারে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। বিজেপি মানুষের আশা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share