Tag: PM Modi

PM Modi

  • DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানিক আদালতের বিচারপতিদের এবং প্রশাসনিক প্রধানদের যথেষ্ট ম্যাচুউরিটি রয়েছে, যা বিচারবিভাগীয় বিষয়গুলোকে যে কোনও আলোচনার আওতার বাইরে দৃঢ়ভাবে রাখতে পারে।” গণেশপুজো বিতর্কে (Ganpati Puja Row) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “বিচারবিভাগ ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের মধ্যে যখন আলাপচারিতা হয়, তখন এটি এমন একটি ধারণার সৃষ্টি করে যে মনে হয় যেন চুক্তি করা হচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (DY Chandrachud)

    বিতর্কের সূত্রপাত গণেশ পুজোর দিন। সেদিন চন্দ্রচূড়ের বাসভবনে গণেশ পুজো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে চন্দ্রচূড় ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাসের সঙ্গে পুজায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পরেই গেল গেল রব তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালের এক ইফতার পার্টির কথা। ওই পার্টিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণ। জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি বলেন, “এ ধরনের সাক্ষাৎগুলো নিয়মিত এবং এতে বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনায় আসে।” চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “মানুষ মনে করে যে কিছু চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। এটি সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে শক্তিশালী আলোচনার অংশ। তিনটি শাখার কাজ জাতির উন্নতির জন্যই নিবেদিত।”

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাজনৈতিক প্রশাসকরা তাঁদের দায়িত্ব কী, তা জানেন। কোনও বিচারক, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারকরা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি কোনও হুমকিই গ্রাহ্য করেন না।” প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি কখনওই জুডিশিয়াল আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন না। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (Ganpati Puja Row) ম্যাচুউরিটি হচ্ছে যে রাজনৈতিক শ্রেণিতেও বিচার বিভাগের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ (Digital Arrest) বলে কিছু হয় না। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই। এটি হল সাইবার প্রতারণার ফাঁদ।’’ রবিবার (২৭ অক্টোবর), তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতীয় নাগরিকদের এ সম্পর্কে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমাজের সমস্ত অংশই এই অপরাধের শিকার হয়েছে। তদন্ত সংস্থাগুলি এই সমস্যার মোকাবিলায়, সমস্ত রাজ্যর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তবে, এই অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা অপরিহার্য।

    কী ভাবে চলে প্রতারণা

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) এর সঙ্গে সত্যিকারের গ্রেফতারির কোনও যোগ নেই। অনলাইনে জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডাদের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠেছে এটি। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। কীভাবে চলে এই প্রতারণা তা দেখাতে একটি ভিডিও চালান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই ভিডিওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, প্রথমে অপরাধীরা তাদের সম্ভাব্য শিকারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর, তারা তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ভেক ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সাধারণ মানুষের ভয়কে তারা নিজেদের সুবিধায় কাজে লাগায়। মোদি বলেন, “ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি থেকে সাবধান থাকুন। কখনও এই ধরনের তদন্তের জন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা ফোন বা ভিডিও কল করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।”

    কী ভাবে সুরক্ষা

    এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ (Digital Arrest) থেকে সুরক্ষিত থাকতে তিনটি বিষয় মাথার রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়— “থামুন, ভাবুন এবং তার পরে পদক্ষেপ করুন।” প্রথমত, অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ফোনকলটি রেকর্ড করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভব হলে ‘স্ক্রিন রেকর্ড’ করার কথাও বলেন তিনি। দ্বিতীয়ত, মাথায় রাখতে হবে যে কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ধমক বা হুমকি দেয় না। তৃতীয়ত, যখনই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে, তা ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানান। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কতা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার থেকে সম্প্রতি একটি অ্যাডভাইজরিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেও বলা হয়েছিল এই ধরনের ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ এক ধরনের দুর্নীতি। সাধারণ মানুষকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে ওই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল, সিবিআই, পুলিশ, কাস্টমস, ইডি কিংবা বিচারক— কেউই ভিডিও কলের মাধ্যমে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    PM Modi: “আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র নীতি নয়, পরিণত হয়েছে গণ আন্দোলনে”, ‘মন কি বাত’-এ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতের’ ১১৫তম অনুষ্ঠান। এখানেই উঠে এল আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি মেকিং ইন্ডিয়াতে দেশের সাফল্যের কথা। প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর রয়েছে দীপাবলি। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘এই সময়ে আত্মনির্ভর ভারতের ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার।’’ তিনি বলেন, ‘‘আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র আমাদের নীতিই নয়, বরং গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দশ বছর আগেও যদি কেউ বলত যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ভারতে তৈরি হয়েছে, তাহলে অনেকেই এটা বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। দেশের সাফল্যের সাক্ষী ভারতের প্রতিটি নাগরিক। ভারত আত্মনির্ভর হয়েছে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে চমৎকার ফল করছে।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে অ্যানিমেশন এবং গেমিং-এই দুটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব এসেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘ছোটা ভীম বলুন অথবা অ্যানিমেশনের শ্রী কৃষ্ণ, মটুপাতলু, বাল হনুমান-এই সমস্ত কিছুর ফ্যান জগৎ জুড়ে রয়েছে। ভারতের অ্যানিমেশন চরিত্রগুলির জনপ্রিয়তা সারা পৃথিবী জুড়ে। কারণ এগুলোর মৌলিক গল্প ও চমৎকার সৃজনশীলতা।’’

    ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ আনেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) 

    কয়েকমাস আগে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গেমারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেই আমি ভারতের শীর্ষস্থানীয় গেমারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সৃজনশীলতা সম্পর্কে জানবার।’’ অ্যানিমেশন ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া এবং মেড বাই ইন্ডিয়ানস- খুব দ্রুততার সঙ্গে সাফল্য পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে 

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় অ্যানিমেশন পৃথিবী বিখ্যাত কোম্পানি ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সদের সঙ্গেও কাজ করছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘বর্তমান সময়ে আমাদের যুবকরা মৌলিক ভারতীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারছেন, যা সমাজে ভালো প্রভাব ফেলছে এবং সেগুলি পৃথিবী জুড়ে মানুষ দেখছেন। অ্যানিমেশন ক্ষেত্র বর্তমানে একটি শিল্পের আকার ধারণ করেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে আমরা কীভাবে গ্লোবাল অ্যানিমেশন পাওয়ার হাউসে পরিণত করতে পারি, তা ভাবতে হবে।’’

    লাদাখের ইমেজিং টেলিস্কোপ

    অন্যদিকে আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি এখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তার কারণ এই মাসেই আমরা লাদাখে উদ্বোধন করেছি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইমেজিং টেলিস্কোপ। ৪,৩০০ মিটার উচ্চতায় গড়ে উঠেছে এটি। সেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতা। অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানী এবং শিল্পপতিরা এটা করে দেখিয়েছেন।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন দীপাবলিতে ভোকাল ফর লোকাল কর্মসূচি চালানোর জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির দেখানো পথেই গাজা-ইউক্রেনে শান্তি সম্ভব, মত জার্মান চ্যান্সেলর শোলৎজের

    PM Modi: মোদির দেখানো পথেই গাজা-ইউক্রেনে শান্তি সম্ভব, মত জার্মান চ্যান্সেলর শোলৎজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক সমাধান না মেলার ফলেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্য প্রাচ্য। এই পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে আলোচনাই একমাত্র সমাধানের পথ। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান মেলে। ভারত যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী, আগে একাধিক বার সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদির নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি।

    কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা

    দু’দিনের ভারত সফরে বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে পৌঁছেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রাতরাশ বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। এর পরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সরকারি প্রতিনিধিস্তরের সপ্তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদির সঙ্গে শোলৎজের বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গও। বৈঠকের পরে শোলৎজ বলেন, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে কথা বলেছি। কারণ এই পদ্ধতি উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।’’ ২০২২ সালে বার্লিনে জি৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসাবে যোগ দিয়েছিল ভারত। সেখানে প্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেই একই সুর শোনা গেল শোলৎজের কথায়।

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে চাপে ফেলতে ভারতের সঙ্গে অক্ষ তৈরি করতে আগ্রহী জার্মানি। সেই উদ্দেশ্যেই নয়াদিল্লির সঙ্গে সামরিক বোঝাপড়া বাড়াতে চাইছেন শোলৎজ। ২০২১ সালে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পরে এই নিয়ে তৃতীয় বার ভারতে এলেন তিনি। বরাবরই যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ আলেচনার কথা বলেছে ভারত। এবার একই সুর শোনা গেল জার্মান চ্যান্সেলরের গলায়। শোলৎজ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সমাধান না মেলার কারণেই মধ্যপ্রাচ্য (পশ্চিম এশিয়া) আজ অগ্নিগর্ভ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারিস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া দিশা দেখাবে।” চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (India China Relationship) শেষে একথাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রহরা দেওয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে ভারত চিনের মধ্যে। তার পরেই রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও জিনপিং।

    পার্শ্ববৈঠক (India China Relationship)

    বুধবার পড়শি এই দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের মানুষের জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে দু’দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত (India China Relationship) চার বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে ইস্যুগুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দু’টি দেশ। এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিরতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” 

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিন ও ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি ও জিনপিং। এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রনেতার। উনিশে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে দেখা হয়েছিল মোদি-জিনপিংয়ের। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল (BRICS Summit) এই প্রথম।

    এখন দেখার, ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relationship) বরফ গলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-পুতিন সম্পর্ক এতটাই গাঢ়, যে একে অন্যের ভাষা বুঝতে অনুবাদের দরকার হয় না। ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit 2024) যোগ দিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বন্ধু পুতিনের এই কথায় উষ্ণ হাসি ফিরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi-Putin Ties)। একই সঙ্গে ফের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর জন্য মোদি অনুরোধ করলেন পুতিনকে। বললেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।  

    মোদি-পুতিন মত বিনিময়

    মঙ্গলবার কাজানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন মোদি। ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও (Modi-Putin Ties)। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাঝেই পুতিন মোদিকে বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম অনুবাদ ছাড়াই আপনি আমার কথা বুঝতে পারবেন! আমাদের বন্ধুত্ব এমনই।’’ বৈঠকে বেশ কয়েক বার মোদি তথা ভারতকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘‘আমার জুলাইয়ের বৈঠকের কথা মনে আছে, সেখানেও আমরা নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ফোনেও বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কাজান সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’’

    পুতিনকে পরামর্শ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন পুতিন (Modi-Putin Ties)। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ভারত ফের একবার শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে জোর দিয়েছে। পুতিনের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘‘আমার রাশিয়া সফরে আমাদের বন্ধুত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুলাই মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনও আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে।’’ বন্ধু পুতিনকে ভারতে আসার জন্য ফের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জরুরি কাজ থাকায় বিভিন্ন পার্শ্ববৈঠক এবং মূল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসবেন দেশে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাড়ি পরে রয়েছেন রুশ মহিলারা। পুরুষদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) দেখে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ধরলেন কৃষ্ণ ভজন। রাশিয়ার কাজানে এভাবেই স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে মঙ্গলবার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয় সম্পূর্ণ ভারতীয় কায়দায়।

    কাজানে পা রাখলেন মোদি (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এমন আনুষ্ঠানিকতার গুরুত্ব স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কাজানে পৌঁছলাম। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। উন্নত গ্রহের লক্ষ্যে এখানে আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “রাশিয়ার হেরিটেজ শহর কাজানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” এবার ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই সম্মলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উষ্ণ অভ্যর্থনা

    হোটেলে পৌঁছানোর পর (BRICS Summit) প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতীয় পতাকা। সংস্কৃতে একটি গানও গান তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে রুশ শিল্পীদের একটি দল রাশিয়ান নৃত্য প্রদর্শন করেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯০০ কিমি দূরে কাজান। এখানেই হচ্ছে ব্রিকস সম্মলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া যাওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে ভারত অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে (Pm Modi) আবির্ভূত হয়েছে। ব্রিকসের (BRICS Summit) মঞ্চে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গত বছর। এতে আদতে বিশ্বেরেই ভালো হবে।”

     

    আরও পড়ুন: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে আমার সরকার কাজ করছে।” কথাগুলো বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে (NDTV World Summit) অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি তাঁর দিনরাত পরিশ্রমের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আমি অনেক লোকের সঙ্গে মিশেছি, তাঁরা আমায় বলেছেন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে। অনেক মাইলস্টোনও আমরা ছুঁয়েছি। সংস্কার সাধনও হয়েছে। তাহলে আপনি কেন এত পরিশ্রম করছেন?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ বছরে ১২ কোটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে, ১৬ কোটি বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে… এটাই কি যথেষ্ট? আমার উত্তর হল, না। এটা যথেষ্ট নয়। আজ বিশ্বের তারুণ্যে ভরপুর দেশগুলির অন্যতম ভারত। এই যৌবন, এই তারুণ্য আমাদের আকাশে নিয়ে যেতে পারে।”

    ‘শিথিলতার কোনও জায়গা নেই’

    তিনি বলেন, “আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি, যে অঙ্গীকার করেছি, সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, শিথিলতার কোনও জায়গা নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত এখন ‘লুক ফরওয়ার্ড’ অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগিয়ে চলেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রচলিত প্রথা হল যে প্রতিটি সরকার তার কাজের তুলনা করে আগের সরকারের সঙ্গে। আমরাও এই পথেই হাঁটতাম। কিন্তু এখন আর আমরা অতীত ও বর্তমানের তুলনা করে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। সাফল্যের মাপকাঠি এখন থেকে হবে ‘আমরা কী অর্জন করতে চাই’, তা।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন একটি সামনে তাকাও নীতি গ্রহণ করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারতের স্বপ্নও এই মানসিকতার অংশ।”

    আরও পড়ুন: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    এদিন বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) গত পাঁচ বছরে গোটা বিশ্ব কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর কথায় ঘুরে ফিরে এসেছে অতিমারির কথা, মূল্যবৃদ্ধির কথা এবং অবশ্যই বেকারত্বের কথা। উঠে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন পকেটে হওয়া যুদ্ধের কথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে আমরা ভারতের সেঞ্চুরি নিয়ে আলোচনা করছি। গ্লোবাল ক্রাইসিসে ভারত আশার আলো। ভারতের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে (NDTV World Summit)। কিন্তু আমরা সেগুলিকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share